Posts

কোয়ারেন্টিন, সায়েন্স ফিকশন, লিখেছেন রিসাস

Image
জেনেটিক্যাল সাইকোলজি প্রসঙ্গে প্রিজম এবং রিসাসের মধ্যকার আলোচনা হেলিক্সে পড়ার পরপরই আমার  রিসাসের সম্পর্কে প্রথম ধারণা জন্ম হয় যদিও তাকে আমি কখনো দেখিনি।আমি আজ তার কাছে এসেছি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি কারণে যদিও আমি তাকে সে ব্যাপারে এখনো জানাতে প্রস্তুত নয়।আমরা আছি পৃথিবীর মানচিত্রের উপর পশুর মতো  শুয়ে থাকা একটি বিশাল পাহাড়ের চুড়ায় পিঁপড়ে সমান ক্ষুদ্র একটি ঘরে।পৃথিবীর শরীরে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ছয় মাস পূর্বেই রিসাস সম্পূর্ণ অজানা কারণে এ নির্জন পাহাড়টিতে আশ্রয় নিয়েছে।একটি ইলেক্ট্রনিক্স পাখি গাছের ডালে দাঁড়িয়ে ছিলো।কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করার পর বুঝতে পারলাম এটি একটি এ আই।সাধারণ কোনো পাখি নয়।পাখিটির মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডিস্ক ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত।পাখিটি নিজেই জীবন্ত একটি গুগল এনসাইক্লোপিডিয়া।রিসাস টেলিস্কোপের ভেতর দিয়ে কোটি কোটি আলোক বর্ষ অতীতের মহাকাশের ইতিহাস ভ্রমণ করছে, ঐতিহাসিক নক্ষত্রগুলিতে যখন রিসাসের মস্তিষ্কের চেতনা অস্তিত্বশীল হয়ে উঠলো ঠিক তখন আমি শুনতে পাই রিসাস পাখিটির সাথে নিখাদ বাংলা ভাষায় কথা বলছে এবং মহাকাশ সংক্রান্ত তথ্যগুলি সংগ্রহ করছে।পাখিটি তার নিজের তৈর...

নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্সের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, পর্ব-১, সম্পাদনা করেছেন, সোফিয়া আর্সি আবিসা

Image
আর্সিঃ আপনার কাছে আমার একটা ব্যাপারে প্রশ্ন ছিলো, আমি শুনেছি আমেরিকার প্রায় ৩ পার্সেন্ট মানুষ প্রতি বছর নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্সের মুখোমুখী হচ্ছে, নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স বিষয়টি কী?   রিসাসঃএন ই ডি বা নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স হলো মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তের অভিজ্ঞতা।পারকিনসন রোগের মতোই অনেকটা।এখানকার স্থানীয়রা যেটাকে Catch the dumb বলে।গবেষণায় দেখা গেছে পেশেন্টের ৫৮ জনের মধ্যে ৩০ জনেরই মৃত্যু হয়না কিন্তু তারা মৃত্যুর অভিজ্ঞতা লাভ করে।ভাগ্যের ব্যাপার হলো ২২ তারিখ মধ্যরাতে আকষ্মিক আমি অনুভব করলাম , আমার শারীরীক কোন চেতনা কাজ করছেনা কিন্তু তবুও আমি মানসিকভাবে জীবিত।আমার হাত , পা অথবা কন্ঠস্বর সবকিছু নিস্তব্দ পাথরের মতো স্থির হয়ে গেছে।এমন আমার প্রায়ই হতো , মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব অথবা অন্য কোনো নিউরোলজিক্যাল ডিস্টার্বেন্সের কারণে এমনটি হতেই পারে।কিন্তু প্রতিবারের মতো এবার আমি আর আমার দেহে ফিরে আসতে পারছিলাম না , মানসিক ভাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে কিন্তু কোনোভাবেই আমি শারীরিক নেটওয়ার্ক...