রিসাসের বিভিন্ন দার্শনিক চিন্তা এবং উক্তি! লিখেছেন- আরভীল প্রিজম, পর্ব- ১

  The 5 Biggest Questions About the Universe (and How We're Trying ...

 


.তোমরা সকল মানুষকে কেনো একই মানদন্ড থেকে পরিমাপ করতে যাও?তোমাদের কী একবারও মনে হয়না তোমাদের এই মানদন্ড বিশ্বের শূন্যতাকে পরিমাপ করতে অক্ষম?তোমরা শুধু ক্ষমতাকেই প্রাধান্য দিলে!শারীরিক ক্ষমতাটাই যোগ্যতার মানদণ্ড। জেনেটিক্যাল ক্ষমতাকে কী কখনো তোমরা অনুধাবন করার চেষ্টা করেছিলে?মানুষের জ্ঞান,বোধ,বিচার,বুদ্ধি,বিবেচনা এবং মানুষের সীমাবদ্বতাগুলির শক্তিকে বুঝতে চেষ্টা করেছিলে?একটি সিংহ সেতো শারীরিকভাবে অনেক ক্ষমতাবান!তাকে বলো, মাকড়সার মতো শূন্যতাকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার কক্ষপথ অংকন করতে!সৃষ্টি করতে বলো তাকে পাই এর মান!তুমি ডায়নোসরকে বলো দেখি পরিমিত জ্যামিতি অনুসরণ মৌমাছিদের মতো ষড়ভূজ আকৃতির অজস্র কক্ষ বিশিষ্ট্য একটি বৈজ্ঞানিক ভবন প্রতিষ্ঠা করতে যার প্রতিটি কক্ষে রয়েছে একটি করে বৃত্তাকার এম্পটিস্পেস যেই এম্পটি বৃত্তের মান ‘’.১৪''!তুমি কি পারবে পিঁপড়ের মতো পানিতে নির্বিঘ্নে হেঁটে বেড়াতে?প্রজাপতি অথবা কোটিকোটি প্রজাতির পাখিদের মতো গ্রেভিটিকে উপেক্ষা করে মহাকাশে উড়ে বেড়াতে?আপ সাইড ডাউন মুভিতে আমরা দেখেছি- কিছু কিছু মানুষ উপরের দিকে গ্রেভিটি অনুভব করে এবং কিছুকিছু মানুষ পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে।যাদের গ্রেভেটির কেন্দ্র আপসাইডে তারা বিল্ডিং এর  হেঁটে বেড়ায়,অফিস করে, তাদের মাথা নিচের দিকে ঝুলে থাকে আর পা স্থির থাকে উপরের দিকে।তুমি কি দেখোনি কিভাবে গিরগিটিগুলি দেয়ালে এবং তোমার রুমের সিলিঙে হেঁটে  বেড়াচ্ছে?একটি বিশাল এবং শক্তিশালী হাতির পক্ষে কি সম্ভব পৃথিবীর গ্রেভিটিকে উপেক্ষা করে দেয়ালে এবং ছাদে হেঁটে বেড়ানো?তোমার চোখের দৃষ্টি এত সীমাবদ্ধ কেনো?তুমি যে গাছটিকে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছো, তার সমস্ত দেহে নিউরো-একটিভ ক্যামিকেল আছে, তার সমস্ত দেহটাই একটা ব্রেন, একটি নটার ফুল গাছ কিভাবে জানে কখন সূর্য উঠবে এবং তাকে ফুল ফোটাতে হবে?গাছের পাতা আলোক তরঙ্গকে ‘’রিড’’ করতে পারে এবং আলোক তরঙ্গের এমপ্লিটিউড বিশ্লেষণ করে সে তার কান্ডকে ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশন সেন্ড করে, আর কান্ড মূলের কাছে এই মেসেজ সেন্ড করে যে, এখন ফুল ফোটার সময় হয়েছে, পর্যাপ্ত রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োজন।পুরো গাছটাই একটা ব্রেন সার্কিটে মতো আচরণ করছে!দ্যা এভায়েটর মুভির মতোই প্রতিটি গাছই সংবেদনশীল!সে তোমাকেও শুনে!অথচ তুমি তাকে একটি স্থির বৃক্ষই মনে করো, যার কান্ড দিয়ে তৈরি করা যায় আসবাবপত্র!একটি সুপার কম্পিউটারকে তুমি আসবাবপত্র তৈরির উপকরণ মনে করছো!তোমাদের চিন্তা চেতনা কতটা হাস্যকর!প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র মানুষ এবং প্রাণীকে অনুভব করো, কারো অনন্যতাকে অন্য কারো সাথে গুলিয়ে ফেলিওনা।অথবা তোমাকে অতি-শীঘ্রই হতাশ হতে হবে!

 

.এমিবার ভাষা মানুষ বুঝেনা তাই বলে কি এমিবার ভাষা অনেক উচ্চমাত্রিক?কারো ভাষা বা আচরণ কঠিন এবং দুর্বোধ্য মনে হলেই যে সেটা অনেক উচ্চমাত্রিক হবে সেটা একদম কাজের কথা নয় বরং ব্যাপারটা হলো আমি এমিবার ভাষার সাথে অভ্যস্ত নই।সে যেভাবে বিবর্তিত হয়েছে আমি ঠিক সেভাবে বিবর্তিত হইনি।গণিত বা বিজ্ঞান কি অনেক উচ্চমাত্রিক ভাষা?না!কখনোই না!গণিত অথবা তাত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান আমাদের নিকট জন্যেই কঠিন মনে হয় কারণ আমরা জন্মের পর থেকেই গণিত বা তাত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানের সাথে খুব একটা পরিচিত নয়।আমাদের বিবর্তন ঘটেছে ধর্ম এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেখানে গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞান মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নয়।আপনার নিকট বিজ্ঞানের ভাষা আপনার আঞ্চলিক ভাষার মতোই সহয মনে হতো যদি একটি বৈজ্ঞানিক পরিবেশে আপনার জন্ম হতো।আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সোফিয়া, সে একটা যান্ত্রিক রোবট কিন্তু তার নিকট গণিত আর ফিজিক্স অত্যন্ত সাধারণ একটি ভাষা কারণ তাকে একটা সায়েন্টিক এনভায়রণমেন্টে বিবর্তিত করা হয়েছে।
উচ্চতা বলতে জ্ঞানের ক্ষেত্রে কোনো শব্দ নেই।কোনোকিছু কেউ একজন না বুঝলেই যে সে মূর্খ হবে তা একদম কাজের কথা নয়,একটা শিশু কোনো ভাষাই জানেনা তাই বলে কি সে মূর্খ?পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ বাংলা ভাষা জানেনা তাই বলে তারা মূর্খ?মূর্খতার ডেফিনিশন কি?হুম।মূর্খতার একটা ডেফিনিশন আছে, যথার্থ জ্ঞান পরিস্থিতে সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে যথাযথ আচরণ করতে পারার অক্ষমতাই মূর্খতা।আর যেসকল মানুষ মনে করে বিশ্বজগত সম্পর্কে কোনোকিছু জানার প্রয়োজন নেই,যা আমরা নিজেরাই জানি তা অন্য কারো কাছ থেকে শুনার প্রয়োজন নেই তারাই মূর্খ।

 

.মানুষের উচিত তার নিজস্ব প্রকৃতিকে জানা এবং উপলব্দি করা।পরিবেশ বা পরিপার্শিকতা যেনো কারো নিজস্ব প্রকৃতিকে আক্রান্ত করতে না পারে।জীবনে যতই সংকট আসুক আপনি আপনার নিরপেক্ষ প্রকৃতির বিধান থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না।একাকীত্বকে সর্বদা নিজের মাঝে জাগ্রত রাখুন।আপনার মহাজাগতিক ধর্মই ‘’একাকীত্ব’’।এই একাকীত্ব কখনো জগতের কোনোকিছু দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নয়।এটাই আপনার বিশেষত্ব।কোনোকিছুই যেনো এই বিশেষত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।যখন আপনি একা থাকেন তখনও আপনি ‘’একা’’ আর যখন আপনি অজস্র চিন্তায় সম্পৃক্ত থাকেন তখনও আপনি একা,আপনি যখন অনেক মানুষের মাঝে থাকেন তখনও আপনি ‘’একা’’।বিভ্রান্ত হবেন না, কারো সঙ্গ যেনো আপনার আভ্যন্তরীণ একাকীত্ববোধকে বিভ্রত করতে না পারে, আপনি যা কিছু দেখছেন সবকিছু স্থান এবং কালের।এদের কেউই আপনার নয়, কোনোকিছুই নয়।কিন্তু মানুষের মন এই একাকীত্বকে মেনে নিতে পারেনা তাই সে পরমাণবিক বন্ধন তৈরির স্বপ্ন দেখে, বন্ধুত্ব অথবা ভালোবাসা।মানুন বা নাই মানুন
কারো সাথে আমাদের কখনো সম্পর্ক হয়নি এবং কোনোকিছুর সাথে আমাদের কোনোদিন সম্পর্ক হবেওনা।অপমান আর লাঞ্চনা ছাড়া এখানে আর কোনোকিছুর অস্তিত্ব নেই।আমার কথাগুলি জটিলভাবে নেয়ার প্রয়োজন নেই।আমি সহয সুত্রে বিশ্বাসী।আপনার মধ্যে প্রবাহিত মহাজাগতিক তরঙ্গ নিরপেক্ষ এবং বেপরোয়াভাবে মানুষকে প্রদান করুন,কিন্তু কখনো এটা ভেবে ভুল করবেন না যে এরা কেউ আপনার কেউ বা কোনোকিছু।এদের কেউই আপনার কেউ না, কোনোকিছুই না, আপনি ছাড়া আপনার উত্তর অথবা দক্ষিণে আর কারো অস্তিত্ব নেই।

 

.পনের বিলিয়ন বছর সময় অপচয় করে ‘’’‘ অব ফিজিক্স আমার মস্তিষ্কের নিউরাল ফাংশন প্রতিষ্ঠিত করেছে আত্ম-সচেতনতার জন্যে, আমি যেনো মহাবিশ্বের ম্যাকানিজমের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠি।আমার রেটিনায় গ্যালাক্সির বিলিয়ন বিলিয়ন নক্ষত্র কেমিক্যাল ফ্লাকচুয়েশন তৈরি করছে আর অডিটরি স্নায়ুতে কম্পিত হচ্ছে মহাবিশ্বের শব্দ।সমস্ত মহাবিশ্বই আমার অস্তিত্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে আমি যেনো মহাবিশ্বকে অনুভব করতে পারি।আমার চেতনা মহাবিশ্বের আত্ম-উপলব্দির এম্বাসেডর।আমার মস্তিষ্কের নিউরাল এক্টিভিটিজই তুমি, তোমার অস্তিত্ব আমার মস্তিষ্কে একটি ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশন হিসেবে প্রকাশিত।মহাবিশ্বের বিশেষ কোনো অংশকে বিশেষায়িত ভাবে যদি পরিমাপ করতে হয় তবে আমি আমাকেই সেই বিশেষণে বিশেষিত করবো।আমি আমার কোনো অহংকার নই, আমি আমার নিকট বিশেষভাবে বিশেষায়িত।আমার মধ্যে রয়েছে একটি মহাজাগতিক মূল্যবোধ।আমি কথা বলি সম্ভাবনার ভাষায়।যারা অসহায়,এবং নিরূপায় তারা আমার নিকট এসে কিছুক্ষণ অথবা কিছুকালের জন্যে আশ্রয় গ্রহণ করে।আমি মানুষের মেন্টাল হসপিটাল।মানুষ ঐশ্বরিক তরঙ্গকে একপ্রকার ইলেক্ট্রিক্যাল থেরাপি মনে করে।ইমার্জেন্সি মুহূর্তেই তাই এই হসপিটালে মানুষকে এডমিশন নিতে হয়।ঈশ্বর একটি মেন্টাল হসপিটাল।এখানে তারা তাদের জীবনের খুব খারাপ সময়গুলি উদযাপন করে, এবং একটা সময় আবার তাদের আমিত্ব শক্তিশালী হয়।জগত তাদের চোখে ম্যাগনেটিক ফোর্স তৈরি করে।আবার তারা বিষয়রাশিতে বিজড়িত হয়ে যায়।এদের সবাই যখনই প্রবলভাবে বিপর্যস্ত হয় তখন গড হসপিটালে নক করে।কিন্তু এদের ভেতরের দ্বান্তিক চিন্তাচেতনা এদেরকে স্থির থাকতে দেয়না।এরা না পারে পুরোপুরিভাবে মহাজাগতিক প্রকৃয়ার সাথে নিজেকে একত্রিত করে নিতে অথবা এরা না পারে পুরোপুরিভাবে ঈশ্বরের নগরী ছেড়ে দিতে।একটি অস্বস্তিকর আর তাচ্ছিল্যের ভাব নিয়ে এরা আমাদের সাথে কথা বলে।আমরা বা আমি সবকিছুই উপলব্দি করি কিন্তু কোনোকিছুতে নিজেকে প্রবিষ্ট করিনা।

 

৬. মানব মস্তিষ্ক যদি আমাদের বুঝবার মতো সরলও হতো আমরা তাকে না বুঝবার মতো বোকাই থেকে যেতাম।যখনই মনে হয়, একটা মানুষকে ১০০ ভাগ বুঝে গেছি তখনই অবাক হয়ে দেখি- না আমি তাকে ১০০ ভাগই বুঝিনি।মানুষের এই ‘’অজানা প্রকৃতি’’ সত্যিই খুব বিষ্ময়কর।সাব-এটমিক পার্টিকেলদের সম্ভাব্য স্পেস-টাইম নিশ্চিত করা সম্ভব হলেও মানুষের মনকে কোয়ান্টাম অনিশ্চয়তার সুত্র দ্বারাও প্রেডিকশন করা যায়না।অন্তত আমি প্রেডিকশন করতে পারিনি।কারণ পার্টিকেলদের ইমোশন নেই কিন্তু মানুষ ইমোশনাল প্রাণী।সবসময় একজন মানুষকে আপনি যুক্তিসংঘতভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন না কারণ তার মস্তিষ্কের কজাল অপারেটিং সিষ্টেম লিম্বিক সিষ্টেমের স্টিমুলেশনের আধিক্যের কারণে ডি-একটিভেট হয়ে থাকে।মানুষ মস্তিষ্কের রাইট এবং লেফট হেমিস্পিয়ার যদি সঠিকভাবে রিজোন্যাট না করতে পারে তবে সমাজ জীবনে বিভিন্ন অসঙ্গতি সৃষ্টি হয়।কিছুকিছু মানুষ আছে যাদের রাইট হেমিস্পিয়ার শক্তিশালী আবার কিছুকিছু মানুষ আছে যাদের লেফট হেমিস্পিয়ার শক্তিশালী।আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের দুটি হেমিস্পিয়ার শক্তিশালী কার্পাস কলোসাম দ্বারা সংযুক্ত ছিলো বলে জানা যায়।তার দুটি হেমিস্পিয়ারের কমিউনিকেশন অনেক আপডেট ছিলো।আমরা মানুষকে তখনই সঠিকভাবে বুঝতে পারবো যখন আমরা আমাদের প্রত্যেকটি এরিয়াকে সঠিক এবং যথার্থ ভাবে চর্চা করতে শিখবো।এবং আমাদের প্রত্যেকটি ইন্দ্রীয়ের ব্যাবহার আমাদের শিখতে হবে।আমাদের ফিফথ সেন্স আছে এটা সত্য কিন্তু আমরা ফিফথ সেন্সকে সঠিক ভাবে ব্যাবহার করতে শিখিনি, আর জন্যে আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রীয়ে কোনো আনন্দ নেই, আমরা সবসময় বিভ্রান্তিকর আর বেদনাদায়ক একটি পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করি।কারণ আমাদের শব্দ,গন্ধ এবং দৃশ্যের উপলব্দিতে যথাযথ কোনো ক্যামিস্ট্রি নেই।দুটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক তখনই বিচ্ছিন্ন হয় যখন কারো মস্তিষ্কের লিম্বিক সিষ্টেম শক্তিশালী হয়ে উঠে অথবা কারো মস্তিষ্কের বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম শক্তিশালী হয়ে উঠে।
যেমন যদি কারো মস্তিষ্কের বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম শক্তিশালী হয়ে উঠে তবে সে সম্পর্কের মধ্যে বিভিন্ন দোষ ত্রুটি, উঁচু-নিচু, ছোট-বড় তারতম্য করতে থাকবে আর অন্যদিকে আর একজনের ইমোশনাল সেন্টার যদি সকল তারতম্যকে মেনে নিতে না পারে আউট-ব্রাস্ট করবে।আমাদের ম্যাক্সিমাম রিলেশন ব্রেকাফ হয় ব্রেনকে সঠিক মাত্রায় ইউটিলাইজ করার সক্ষমতার অভাবে।

 

৭. একজন মানুষের পক্ষে বিশ্বের সকল মানুষকে ভালোবসা সম্ভব কিন্তু জীবনের পরমাণবিক বন্ধন তৈরি হয় একজনের সাথে সেই পরমাণবিক বন্ধন ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করাটা কখনোই ভালোবাসার মানদন্ড নয়।আপনি কাউকে ভালোবাসেন, তাকে আপনি পেতে চান এটা আপনার সমস্যা , এটা কখনোই সেই ব্যাক্তির সমস্যা নয় যে আপনাকে ভালোবাসে কিন্তু কোনো বন্ধনে আক্রান্ত হতে প্রস্তুত নন।আপনিও তাকে ভালোবাসুন এবং নিজের সমস্যা পরিহার করুন।হতে পারে আপনার এই একটি ইমোশন একটি সম্পর্কের আত্মহত্যার কারণ।আপনি তুচ্ছ ইমোশনের বশবর্তী হয়ে একটি স্বপ্নের সংবাদও সমাজে প্রচার করতে পারেন না।বাটার ফ্লাই এফেক্ট বলতে একটি ব্যাপার আছে।আপনি স্বপ্ন দেখেছেন যে আমি কার এক্সিডেন্টে মৃত্যুবরণ করেছি কিন্তু অথচ আমি ঘুমিয়ে ছিলাম আর ঘুম থেকে উঠে গান শুনছি।আপনার স্বপ্নটি মিথ্যা ছিলো।অথচ আপনি স্বপ্নের সেই ভারচুয়াল ইনফরমেশন দ্বারা আমার ফ্যামলি এবং ফ্রেন্ডসদের বিভ্রান্ত করলেন,এটা ঠিক নয়।ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে কারো ক্ষতি যেনো না হয়।মানুষের ব্রেন তথ্য দ্বারা পরিচালিত।সে ভুল বা সঠিক তথ্য সবসময় যাচাই করেনা, শুধু তথ্য দিয়েই মানুষকে ইমোশনালি হত্যা করা যায়।আপনার স্বপ্ন সীমিত কালের ভিত্তিতে সত্য না হলেও অসীমকালের ভিত্তিতে সত্য হতেও পারে, আপনার একটি কল্পনা এক মহাবিশ্বের ভিত্তিতে সত্য না হলেও অসীম মহাবিশ্বের ভিত্তিতে সত্য হতেও পারে ।কখনোই অবিবেচকের মতো নিজের মনের মাঝে উৎপন্ন কোনো স্বপ্ন বা কল্পনা কারো সাথে ভাগ করতে যাবেন না।স্বপ্ন এবং কল্পনার কথা প্রকাশ করতে হয় হায়ার ইন্টালেকচুয়ালদের কাছে, সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক মুভমেন্টের ভেতর আপনি কাল্পনিক কোনো তথ্য ইনপুট করে দিতে পারেন না, এটা অপরাধ।আমাদের একটা গুরুতর রোগ হলো আমরা যেখানে ইমোশনাল সাপোর্ট পাই সেই স্থানটিকে কেন্দ্র করে পাতা লতার মতো শিকড় বাকর বিস্তার করতে থাকি এবং অবশেষে সেই স্থানটিকে পরিত্যাক্ত একটি জঙ্গলে পরিণত করি যেনো সে স্থানে আর কোনো মানুষ আতঙ্কেও প্রবেশ করতে না পারে।আমি আমাকে বিস্তার করার এই জঙ্গি স্বভাব কখনোই পরিত্যাগ করতে পারিনা।যে আপনাকে ইমোশনাল সাপোর্ট দিচ্ছে তার যে পৃথিবীর অন্য সকল মানুষদেরও প্রয়োজন আছে সেটা আমরা ভুলে যাই, আমরা অনেক স্বার্থপর এবং পরশ্রীকাতর।অপরের মঙ্গল হোক এটা আমরা চাইনা, আমরা জগতের ঐশ্বর্যকে আমাদের নিজেদের ব্যাক্তিগত ঐশ্বর্য মনে করি, শুধু তাই নয় আমরা দাঙ্গা হাঙ্গামার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্বের বিচ্ছুতিসৃষ্টিকারী সীমানাটি অন্যদেরকে বুঝিয়ে দেই।নিজের ভালোবাসার মানুষকে আমরা বিশ্ব থেকে লুকিয়ে রাখতে চাই, তাকে আমরা মানব সভ্যতার আড়ালে রাখতে চাই, না জানি কোনো নারী/পুরুষ তার জীবনকে জলদস্যুর মতো লুন্ঠন করে নিয়ে যায়।এটা কখনোই ভালোবাসা নয়, এটি অস্তিত্বের সংকট,একটি একটি সীমাবদ্বতা, এটি একটি নোংরামি।যে তোমাকে ভালোবাসে সে এমনি এমনি তোমার চারপাশে আবর্তিত হবে ঠিক যেমনি ভাবে সোলার সিষ্টেমের কেন্দ্রস্থল সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় মঙ্গল আর পৃথিবী।তোমাকে কোনো সীমা আরোপ করতে হবেনা সে নিজেই সীমালঙ্গন করবেনা কারণ সে তোমার নিকট সার্বাধিক নিরাপধ।
জংলী স্বভাব পরিত্যাগ করো, নির্মল,সত্য আর সুন্দর হও।যে যাকে ভালোবাসে এবং যে তার মর্মের কথা যার মাঝে খুঁজে পায় সে তাকেই নিজের রিলিজিয়ন মনে করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু তুমি যাকে রিলিজিয়ন মনে করছো সে তোমাকে তার রিলিজিয়ন মনে নাও করতে পারে।গোতম বুদ্বকে কি তুমি মসজিদের ঈমাম হিসেবে সমাজে দাঁড় করাতে পারবে?তোমার ক্লাসিফিকেশনে বুদ্ব কখনোই আসবেনা।এটা তার সীমাবদ্বতা নয়,এটা তোমার সীমাবদ্বতা কারণ বুদ্ব তোমাকে ডাকেনি তুমি তাকে ডাকছো।তুমি তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হও সেটা কোনো সমস্যা নয় কিন্তু সূর্যের পক্ষে কখনো শুক্র গ্রহকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হওয়া সম্ভব নয়।আমি যখনই কোনো নারীকে বলেছি আমি জগতের সকল মানুষকে ভালোবাসি সে নারী বা পুরুষ যাইহোক আমি তাদের চোখেমুখে বেদনার একটি চিহ্ন দেখেছি আর প্রতিবাদ।তারা আমার বিশ্বজনীন মনকে মেনে নিতে পারেনি।প্রেমিকার প্রথম চিন্তা ছিলো, না জানি আমি মহাবিশ্বজনীনতার রেফারেন্সে কার সাথে অসভ্যতা করছি।কিন্তু যার মনে মহাবিশ্বকে জানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা,সে জানতে চায় কেনো সে মহাবিশ্বে এবং কিভাবে? তার নিকট পৃথিবীর সাধারণ প্রেক্ষাপট কতটা তুচ্ছ সে ব্যাপারে তারা সন্দিহান।নারীর নিকট পুরুষ একটা দুশ্চরিত্র লম্পট ছাড়া কিছুই নয়।কিন্তু সাধারণ জ্ঞানের বাহিরেও যে একটি পুরুষ সত্তার অস্তিত্ব আছে, একটি ওয়াই-ক্রোমোজমের অস্তিত্ব আছে যার চোখে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডের অংশ, যার মনে প্রতিটি অস্তিত্বের জন্যে অসীম ভালোবাসা, যার হৃদয়ের একমাত্র শূন্যতাই অজানা।তাকে সেই নিরপেক্ষ সত্তাকে যে বা যারা অত্যাচার করে, তাকে জগতের সাধারণ ফর্মুলায় বিচার করে, তার সুন্দর সম্পর্ক গুলিতে আঘাত হানেএকমাত্র তাদের দ্বারাই প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।সম্ভাবনাময় থাকো এবং সম্ভাবনার দৃষ্টিতে মানুষকে দেখো।যে মানুষের দৈর্ঘ,প্রস্থ এবং উচ্চতা আছে এবং যে মানুষ এক মাইক্রোসেকেন্ডের জন্যেও স্থান দখল করে সেই মানুষকে নয়, প্রতিটি মানুষের মাঝে নিরাকার নিমাত্রিক সম্ভাবনাকে দেখো, মুর্তিপূজা বন্ধ করো, ছবি আঁকা বন্ধ করো।মানুষের কোনো মুর্তি অথবা ছবি যেনো তোমার মনের ঘরে না থাকে।মনটাকে অসীম ‘’শূন্যে’’ বিলীন করে দাও।কেউ তোমার পর নয়, কেউ তোমার আপনও নয়, তুমিই সব, আপন আর পর সবকিছু তোমার মস্তিষ্কের বাইনারি অপারেটিং সিষ্টেমের রচনা।

 

.আমরা সবাই নিখোঁজ!মহাবিশ্বের বয়স পনের বিলিয়ন বছর হলো ।কিন্তু এখনো আমরা আমাদের অস্তিত্বের কারণ,লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য খুঁজে যাচ্ছি।আমাদের দর্শন এবং বিজ্ঞান আমাদের অস্তিত্বের খোঁজ দিতে ব্যার্থ হয়েছে।সাব-কোয়ান্টাম লেবেলে আছে অনিশ্চয়তা যেখানে একটি সাব-এটমকে আমরা পৃথক কোনো এন্টিটি হিসেবে জানতে পারিনা সমগ্র সিষ্টেমের সাথে একটি সাব-এটম সম্ভাবনার দিক থেকে জড়িয়ে যায়!কোয়ান্টাম অনিশ্চয়তা আমাদের নিকট একটি ইলেক্ট্রনের অস্তিত্বের সঠিক কোনো তথ্য দেয়না বরং প্রতিটি পার্টিকেল এখনো অনির্ণেয়, তাই তাদের সামনে অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব দোদুল্যমান।যেদিন থেকে জানতে পেরেছি আমি নিখোঁজ সেদিন থেকে নিজের লক্ষ্য,উদ্দেশ্য আর গন্তব্য খুঁজে চলছি কিন্তু পাইনি।মাঝে মাঝে হুমায়ুন আহাম্মদের ‘’দুই দুয়ারির’’ রহস্যময় মানবের মতো গলায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে করে!

. পনের বিলিয়ন বছর মহাবিশ্বে মাল্টি জিলিয়ন ঘটনা ঘটেছে,কিন্তু কোনো ঘটনাকে সে দ্বিতীয়বার রিপিট করেনি।মানুষ মহাবিশ্বের মাল্টি বিলিয়ন ডায়মেনশন এখনো জানেইনা।কিন্তু যখনই সে কোনো একটি মানুষ সম্পর্কে পার্টিকুলার একটি ইনফরমেশন জানতে পারে, সেই ইনফরমেশন দ্বারাই তার হোল এক্সিজটেন্সকে সে পরিমাপ করে ফেলে।মনে হয় যেনো সেই মানুষটা সম্পর্কে তার নতুন করে কোনোকিছু জানার নেই।মানুষ এখনো তার নিজের এক্সিস্টেন্সের ৯৯.৯৯ ভাগ ইনফরমেশন সম্পর্কে অজ্ঞাত অথচ সে অবলিলায় অন্য একজন মানুষের উপর বড় মাপের পি এইস ডি করে ফেলেছে এমন একটা অহমিকা চাষাবাদ করে!এখনো বিজ্ঞানীরা তাদের নিজের দেহের ডি এন সিকোয়েন্স সম্পর্কে হাইলি অর্গানাইজড কোনো সত্য জানতে পারেনি এবং জানতে পারবে বলে মনেও হয়না আর এদেশের পথে ঘাটে বিজ্ঞানী, পথে ঘাটে প্রতিভা, প্রতিভা চারদিকে শুধু বিকশিত হয়ে চলছে!

তোমার দেহে ফিজিক্সের সুত্রগুলি কিভাবে কাজ করে সেটা তুমি জানোনা,অতএব এটি এখনো তোমার নিকট একটি অজ্ঞাত রাশি, তোমার কোনো দেহ নেই,আছে দেহ নামক একটি অজ্ঞতা বা অন্ধকার,তুমি তোমার মস্তিষ্কের সফটওয়্যার সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা রাখোনা, অতএব তোমার মন তোমার নিকট একটি অজ্ঞাত রাশি, এটি একটি অন্ধকার, তুমি যে মহাবিশ্বে আছো সেই মহাবিশ্বের ম্যাকানিজমও তুমি সঠিকভাবে বুঝোনা,অনেকের কাছেই মহাবিশ্ব একটি দৃশ্যমান অজানা রাশি!তুমি দেহে নই তুমি অন্ধকারে আছো,তুমি মনে নই তুমি অন্ধকারে আছো, তুমি মহাবিশ্বে নই তুমি একটি অসীম অন্ধকারে আছো, একটি সম্ভাবনার মধ্যে আছো।অনেকে বলে থাকেন- জীবন একটি রহস্য!কিন্তু আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করুন, রহস্য কাকে বলে?সে তার সঠিক কোনো উত্তর জানেনা!রহস্যের ডেফিনিশনটাকেও তারা রহস্যময় করে রাখে!আসলে রহস্য হলো তা যেখানে আমাদের মন ‘’আছে’’ বা ‘’নেই’’ কোনটাই নির্দিষ্ট করতে পারেনা, ‘’হ্যা’’ বা ‘’না’’ কোনটাই নির্দিষ্ট করতে পারেনা।রহস্য হলো তা যেখানে আমাদের মন ‘’’’ বা ‘’’’ কোনটাই নির্দিষ্ট করতে পারেনা।‘’অসীম সম্ভাবনাকেই’’ এদেশের মানুষ রহস্য নামকরণ করেছে!আর এই শব্দ নিয়ে করছে আবার নানান রহস্য!যা তুমি পুরোপুরিভাবে জানোনা তার সম্পর্কে যতটুকু জানার অনুমোদন পেয়েছো বা সিষ্টেম তোমাকে জানিয়েছে সে জানার সীমানায় নিজেকে অবরুদ্ব রেখোনা,
সম্ভাবনার চর্চা করো, এতে করে একটি সুস্থ এবং সুন্দর মহাজাগতিক কমিউনিকেশন তৈরি হবে।

 

১০. একজন সাইকিয়াট্রিস্ট মানুষকে সাইকোলজিক্যাল টার্ম থেকে দেখবে আর একজন নিউরোলজিস্ট দেখবে নিউরোলজিক্যাল টার্ম থেকে।এবং কোনো ভাবে যদি তারা প্রমাণ করতে পারে আপনার সিজোফ্রেনীয়া অথবা ম্যানিক ডিপ্রেশন হয়েছে অথবা যদি অন্তত শুনে যে আপনার প্যারিটরিয়াল লোবে কোনো ক্রাইসিস হয়েছে তবে তারা আপনার সাধারণ কোনো কথাও আর সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে নেবেনা।কারণ তাদের নিকট একটা কনস্ট্যান্ট আছে আর সেই কনস্ট্যান্টের মধ্যেই তাদের ব্রেন ফিক্স।তারা সেই ফর্মুলা অতিক্রম করে কখনোই আপনাকে দেখবেনা বা দেখার চেষ্টা রবেনা।এটিও একপ্রকার মানসিক প্রতিবন্ধকতা।সার্কাসে আগুন লাগলে সবাই পালিয়ে যায় কিন্তু বিরাট এবং শক্তিশালি একটি হাতি অতি-ক্ষুদ্র এবং তুচ্ছ একটি শিকড়ের বন্ধন ছিড়ে মুক্ত হতে পারেনা কারণ ছোটকালে তার ব্রেনকে এভাবেই পোগ্রাম করা হয়েছিলো।আপনি সাইকিয়াট্রিস্ট সেটা ঠিক আছে কিন্তু আপনার মন সাইকিয়াট্রিস্ট না আর তাই সেই ইনফিনিট পটেনশিয়ালিটিকে সাইকোলজিক্যাল টার্মে রেগুলেট করার চেষ্টা করবেন না।আপনি একজন ডাক্তার সেটা ঠিক আছে কিন্তু নিজের মনকে ডাক্তারে রুপান্তরিত করবেন না।আপনার অরিজিনিয়াল ন্যাচার কোয়ান্টাম কম্পিউটার কোড চেনে সে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার চিনেনা।ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ার বিজ্ঞানী স্টাফ বলেছিলেন, মানুষের ব্রেনের সাইনাপ্স এতটাই ক্ষুদ্র যে সেখানে কোয়ান্টাম অনিশ্চয়তা তাৎপর্যবাহী হয়ে উঠে, আপনার ব্রেন নিউরন ফায়ার হবে কি হবেনা সেটা সেখানে কমপ্লিটলি অনিশ্চিত, আপনি এটাকে না ‘’হ্যা’’ বলতে পারবেন অথবা না ‘’না’’ বলতে পারবেন,এটি সুপারপজিশনাল ডায়মেনশনে সংবেদনশীল।অতএব আপনার প্রকৃত কনসাসনেস কোনো ইউনিভার্সে আছে অথবা কোন সময়ে তা আপনি ডিটারমাইন্ড করতে পারবেন না।মানুষকে মাঝেমাঝে উইথ আউট টার্ম বুঝার চেষ্টা করুন, সবাইকে না হোক কিন্তু একজন আত্মজ্ঞানীকে কখনো সাইকোলজিক্যাল অথবা নিউরোলজিক্যাল টার্ম থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবেন না।কারণ সে আপনার ভাষায় হয়তোবা কথা বলতে পারেনা কিন্তু সে আপনার উইকনেস বুঝতে পারে এবং তাদের পক্ষে আপনার মতো তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ তৈরি করা কোনো ফ্যাক্টরই নাহ।

 

 

১১.হিব্রু ভাষা কেনো ডান পাশ থেকে শুরু হয়?প্রতিটি ভাষা লিখার সময় অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে যায় কিন্তু ঈশ্বর কি ভবিষ্যৎ থেকে অতীতের দিকে এসেছেন? এই ভাষার মাঝে এক্সট্রা-টেরিস্টিয়াল কোনো ইন্টিলিজেন্টের কি কোনো হস্তক্ষেপ আছে?আমাদের মস্তিষ্কের পেরিটরিয়াল লোব ডি-একটিভেট হয়ে গেলে বা কোনো কারণে বিকৃত হয়ে গেলে তবে মস্তিষ্কের বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম বামকে ডান ডানকে বাম হিসেবেও সিমপ্লিসাইজড করতে পারে। সে ভবিষ্যৎ থেকে অতীতের দিকে ভ্রমণ করতে পারে।আইনস্টাইন ছোট বেলায়- ডান দিক থেকে লিখতেন, তার মস্তিষ্ক বাম দিক থেকে লিখতে পারতো না শুধু তাই নয় পরবর্তীতে যখন তার লিখাগুলিকে মিররে দেখা হতো তখন দেখা যেতো প্রতিটি সেন্টেন্সের প্রতিটি ওয়ার্ড সঠিক মাত্রায় বিদ্যমান রয়েছে।লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চিও বাম হাত দিয়ে ডান দিক থেকে লিখতেন।মিরর ছাড়া তার লিখা কেউই পড়তে পারতোনা।বিশ্বে সিলেক্টিভলি খুব অল্পকিছু ভাষা আছে যেগুলি ডান পাশ থেকে শুরু হয়।

 

১২. ঈশ্বরের অস্তিত্বকে যিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তিনি যদি সেই ঈশ্বরের বিধিবহির্ভূত না হয় তবে তার পক্ষে কখনো ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব নয়।ঈশ্বরের অস্তিত্বকে যিনি প্রমাণ করছেন তিনি যদি ঐশ্বরিক প্রকৃয়ারই একটি অংশ হয় তবে এটা প্রকারন্তরে ঈশ্বরের নিজেকে প্রমাণ করার প্রচেষ্টা, আর স্বয়ং ঈশ্বর কখনো তার নিজের অস্তিত্বকে প্রমাণ করতে পারবেন না কারণ প্রামাণিক প্রকৃয়ার সাথে সে নিজেই সম্পৃক্ত।ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে ঈশ্বর নিজেই একটি প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে।আর এই প্রতিবন্ধকতাই ‘’শূন্য’’।তাই ঈশ্বরের অস্তিত্বকে প্রমাণ করতে যেওনা কারণ মহাবিশ্ব সৃষ্টি প্রকৃয়ায় তার অস্তিত্বের কোনো সীমাবদ্ব প্রমাণ নেই।ঈশ্বরকে নয় বরং ঐশ্বরিক প্রকৃয়াকে জানা এবং বুঝার চেষ্টা করো যে প্রকৃয়ায় সে অবতীর্ণ হয়েছেন।আর তুমিই তার আয়াত যার অস্তিত্বের প্রমাণ অসম্ভব।

 

১৩. জানাটাই আমাদের মস্তিষ্কের একমাত্র লিমিট কিন্তু আমরা আমাদের এই জানার লিমিটেশনে মহাবিশ্বকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে জানতে পারিনা তাই এই "লিমিটেড" জানাটা একটা সময় অজানার পথে এক ভয়ানক প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়!যদি লিমিটেড জানার মাধ্যমে আমরা মহাবিশ্বকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে জানতে না পারি তাহলে সেই জানার পরিধিকে লিমিটেড করতে করতে একটা সময় "এটম সীমায়" নিয়ে আসা উচিত তারপর সেই "এটম সীমাকে" সংকুচিত করতে করতে "সাব-এটমিক সীমায়" এভাবে সেই সাব-এটমিক সীমাকে অতিক্ষুদ্র সাব-এটমিক পার্টিকেল "টেকিওন" ীমায় এনে তারপর "শূন্য" করে দেয়া।

যখন তোমার মস্তিষ্কের জানার পরিধি "টেকিওন" সাইজ থেকে একটা সময় "জিরো ডাইমেনশনে" চলে যায় তখন তোমার আর জানার মতো কোনকিছু অবশিষ্ট থাকেনা।তোমার মস্তিষ্কে জানার মতো কোনকিছু অবশিষ্ট না থাকার অর্থ এই নয় যে তুমি কোনকিছু জানোনা বরং জানার মতো কোনকিছু অবশিষ্ট না থাকার তাৎপর্য হলো এমন কিছু অবশিষ্ট নেই যা তোমাকে "সময়ে" জানতে হবে কারণ যার জানার অবশিষ্ট থাকে সেই জানতে পারে কিন্তু যার কোনকিছু জানার অবশিষ্ট নেই,সে অবশিষ্টাংশহীন,আর যার জানার কোন অবশিষ্টাংশ একটি "এটমও" নেই সে "অসীম"।আর অসীম কোনকিছু জানেনা কারণ অসীমে জানার কোন সীমানা নেই হোক তা একটি "কোয়ার্ক সীমা"!


Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

I am Planck

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১