করোনা ভাইরাসের পক্ষে টাইম মেশিন আবিষ্কার করা সম্ভব?লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-৩৯
Don't take it Seriously!
করোনা ভাইরাসকে মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখা যায়না, এটি আমাদের সাধারণ সেন্সের অতীত, যেটি ভাবনায়ও পড়েনা, এত বড় বড় ঘটনার মাঝে এত ক্ষুদ্র একটি প্যারাসাইট নিয়ে কে ভাববে?যদিও আমাদের ব্যাপারটা এক্সেপশনাল!এদেশের মানুষ মিলিয়ন বিলিয়ন কিলোমিটার আয়তনের মহাকাশ নিয়েও তো ভাবেনা, করোনা তো দূরে থাক! সে যাই হোক!হ্যা, যাকে নিয়ে কেউ চিন্তা করেনি সে অচিন্তনীয় করোনাই চিন্তাতীতভাবে আমাদের প্লানেটারি সিষ্টেমকে হ্যাক করে ফেলেছে!কার সাধ্য আছে মুজিববর্ষে ইন্টারফেয়ার করে?সেই ভাবনাতীত ক্ষুদ্র প্যারাসাইট ইন্টারফেয়ার করেছে!প্রটোজোয়া প্যারাসাইট সংক্রমিত হলে মানুষের মাঝে একটি কমন সাইকোলজি ডেভলাপ হয়, তারা বারবার চিড়িয়াখানায় যেতে চায় অথবা পোলার বিয়ারকে ফেন্স কিস করে।একটি ভাইরাসের পক্ষে হিউম্যান সাইকোলজিই চ্যাঞ্জ করে দেয়া সম্ভব, সে নিউ ভার্সনের ওয়াল্ড সাইকোলজি ডেভেলাপ করতে পারে!যেমন- নেমাটোমর্ফ হ্যায়ারওয়ার্ম প্যারাসাইট যখন ঘাস ফড়িং এর ব্রেন ফাংশনে অধিকার করে নেয় তখন ঘাসফডিংরা পানিতে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড করে কিন্তু সে বুঝতেই পারেনা, এটা তার নিজের ইচ্ছায় ঘটেনি, সে একটি প্যারাসাইটিক ইচ্ছা বাস্তবায়ন করেছে!ভাইরাসদের পক্ষে নিউ-ডায়মেনশনের হিউম্যান সাইকোলজিও ইনস্টল করা সম্ভব।করোনাও প্রোটোজোয়ার মতো আমাদের মাঝে একটি নিউ সাইকোলজি ডেভেলাপ করছে, মেটা হিউম্যান ক্রিয়েট করছে সে, আল্ট্রা হিউম্যান মাইন্ড!ন্যাচার মানুষকে অপারেশন করছে!কারণ করোনার জেনেটিক্যাল কোডের সাথে তারা নিজেদের এডজাস্ট করার জন্যে একটা সময় নিজস্ব জিনোম মিউটেট করে ফেলবে!বর্তমানে আমাদের প্লানেটারি সাইকোলজিক্যাল ফাংশন করোনা ভাইরাসের অধিকারে, সে নিজেই মেটা সাইকোলজি, সে আমাদের গভার্ণ করছে, আমরা পরিচালিত হচ্ছি খুবই সাবধাণতার সাথে, আমাদের সাইকোলজি এখন করোনার ইচ্ছায় বিবর্তিত হচ্ছে,
ইচ্ছে করলে করোনা টাইম মেশিন ক্রিয়েট করতে পারবে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করতে পারবে এমনকি ইচ্ছে করলে তার পক্ষে এখন টেলিপোর্টেশন প্রযুক্তিও উদ্ভাবন করা সম্ভব!কারণ আমরা জানি, প্রোটাজোয়া আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মাঝে এমন একটি কৃত্রিম সাইকোলজি আপডেট হয় যা তাদের চিড়িয়াখানায় নিয়ে যায় ঠিক তেমনি করোনা আমাদের মাঝে এমন একটি সাইকোলজি আপডেট করে দিবে যেই সাইকোলজিক্যাল ডায়মেনশন থেকে টাইম মেশিন উদ্ভাবন করা অথবা ভিন্ন কোনো মহাবিশ্বে হাইপারড্রাইভ প্রযুক্তি এক্সপ্লোর করা কিছুইনা!এমনকি এ মুহূর্তে আমি যে চিন্তাগুলি প্রকাশ করছি এগুলিও করোনা ভাইরাসের চিন্তা কারণ করোনা সংক্রমিত না হলে আমি এভাবে চিন্তা করতাম না, যাকে মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখাই যায়না, তাকে নিয়ে চিন্তা করার সময় আছে?যাইহোক আমি মনে করি ধর্মগুলিও আমাদের মাঝে একটি কমন সাইকোলজি ডেভেলাপ করতে চায়, ইসলাম ধর্ম প্রত্যাশা করে হোল প্লানেট তাদের অর্ডার কেরি করুক, আবার অন্যদিকে খ্রিষ্ঠানরা প্রত্যাশা করে হোল প্লানেট তাদের ধর্মীয় সাইকোলজি বাস্তবায়িত হোক।কিন্তু তারা সেটা সম্পূর্ণভাবে পারেনি, এবং পারবেওনা বরং তারা একটা নিউ সাইকোলজির জন্ম দিয়ে বসে আছে আর সেটা হলো বিজ্ঞান!মানুষের পৃথিবীকে যখন ভাইরাস হ্যাক করলো তখন মানুষ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্যে এন্টি-ভাইরাস আবিষ্কার করলো, ভাইরাস সংক্রমিত না হলে মানুষ কখনোই এন্টি-ভাইরাস তৈরি করে সময় ও শক্তি অপচয় করতোনা।তার মানে ভাইরাস নিজেই মানুষকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টি-ভাইরাস তৈরি করার জন্যে সাইকোলজিক্যালি ফোর্স করছে, করোনা ভাইরাস নিজেই মানব দেহে সংক্রমিত হয়ে মানুষের মস্তিষ্কে এমন একটি সাইকোলজি আপডেট করছে যেনো মানুষ তার বিপক্ষে এন্টি-ভাইরাস তৈরি করে তাকেই হত্যা করে ফেলে।এটি কী একপ্রকার সুইসাইড নয়?একটা ভাইরাস সিষ্টেম্যাটিক্যালি সুইসাইড করছে অথচ নিজের অজান্তেই!!আবার যদি এমন হয়, যদি মানুষ তার বিপক্ষে প্রতিষেধক তৈরি করতে না পারে তবে ব্যাপারটা কেমন হতো?আমরা জানি করোনা ভাইরাস র্যাপিডলি তার জেনেটিক্যাল সিকোয়েন্স আপডেট করছে, খুব দ্রুত তার জিন মিউটেড হচ্ছে, এ জন্যে কোনো সিঙ্গেল এন্টি-ভাইরাস দিয়ে তার পরিবর্তনশীল জিনকে প্রতিহত করা সম্ভব না।যদি
সম্ভব নাই হয় ?এতে করে কী হবে?গ্রহের সব মানুষ এক সময় মারা যাবে!সম্পূর্ণগ্রহ যেদিন এম্পটি হয়ে যাবে সেদিন আকষ্মিক কিছু করোনা ভাইরাস মানুষে মিউটেড হয়ে যাবে, যাদের জিন মিউটেশন ছিলো খুব দ্রুত গতিসম্পূর্ণ!হয়তো সেটা হতে কয়েক হাজার কোটি বছরও প্রয়োজন হতে পারে! না, মানুষ নয়, তারা হবে আরো আল্ট্রা, মেটা হিউম্যান! আমার কথাগুলি সায়েন্স ফিকশনের মতো মনে হলেও, এই অচিন্তনীয় ব্যাপারটাই কোন একদিন আমাদের গ্রহে সত্যতা পেতে পারে, অস্বাভাবিক বলে কিছুই নেই!সামান্য একটা ভাইরাস যদি টাইম মেশিন তৈরি করতে পারে, মুজিব বর্ষে হস্তক্ষেপ করতে পারে, তাহলে সে স্বয়ং ইন্টেলেকচুয়াল প্রাণীতেও মিউটেট হয়ে যেতে পারবে, যদি মিউটেশন
র্যাপিড হয়!আমি সম্ভবত অতি-কল্পনা করছি, হ্যা হতে পারে, কিন্তু অন্তত অযোক্তিক চিন্তা করছিনা যতটা অযোক্তিক চিন্তা ধার্মিকরা করে থাকে!!
গোল্ডেন রেশিও অথবা ফিবোনিসি আটাশ গিগাপার্সের আয়তনের এ মহাবিশ্বের সর্বত্র সমান, অতএব হোল ইউনিভার্স একটি কমন সাইকোলজি।নিউটনের থার্ড ‘’ল’’ অথবা থার্মো-ডায়নামিক্সের সেকেন্ড ‘’ল’’ গ্যালাক্সির সকল গ্রহ নক্ষত্রে কমন, অতএব হোল গ্যালাক্সিই একটি কমন সাইকোলজি।থমসন কনস্ট্যান্ট,বোলজম্যান কনস্ট্যান্ট অথবা প্লাঙ্ক ল্যাংথ অসীম মহাবিশ্বে কমন অতএব অসীম মহাবিশ্বে একটাই সাইকোলজি![এখানে একটা ইউনিভার্সের কথা বলছি, মেটা নয়)।তাহলে ধর্মগুলি নতুন করে কীসের সাইকোলজি এস্টাবলিসড করতে চায়, কেনো তারা চায় হোল প্লানেট তাদের সিষ্টেমে অন্তঃর্ভূক্ত হোক?এটা কী তাদের প্যারাসাইটিক চিন্তা নয়!হ্যা ধর্মগুলি এ প্যারাসাইটিক চিন্তা বিস্তারের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের মতোই আমাদের ফোর্স করছে তার বিপক্ষে প্রতিষেধক তৈরি করতে, ধর্মের মৃত্যু হবে তার নিজের হাতেই, সেই দিন আর বেশি দূরে নয়!
Comments
Post a Comment