বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখা মহাজাগতিক কাব্যগ্রন্থ ''ম্যাটা হিউম্যান, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট- ১






                                           ম্যাটা হিউম্যান
                 








Statue of Bangabandhu similar to 'Statue of Liberty' to be erected ...





                                       
                                       
                                   

                                          গভীর শব্দ
                             

                                      স্বাধীনতা!
  স্বাধীনতা হলো এমন একটি অনুভূতি যেটিকে যুক্তি অথবা গণিত দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা যায়না
        কারণ মুক্তি সকলপ্রকার সীমানাকে অস্বীকার করে, যা সকল সীমাকে অস্বীকার করে তাঅসীম
আর বিজ্ঞান অসীমকে ব্যাখ্যা করতে ব্যার্থ!
         তাই স্বাধীনতার একমাত্র ব্যাখ্যাই ‘’শূন্যতা’’......
        স্বাধীনতার পাশে হাইফেন অথবা ফুলস্টপ কিছুই নেই, এটি সম্পূর্ণ একা...
      এটি অদ্বিতীয়!
     স্বাধীনতা ঈশ্বর!
আর সেজন্যেই সম্ভবত ১৯৭১ খ্রিষ্ঠাব্দে বাংলার ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের প্রতিটি আণবিক কণায় জেগে উঠা অসীম বিপ্লবের সম্মুখে দাড়াতে পারেনি পরাজয়!
আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বিজয়।


                          মহাবিশ্বজনীন রেটিনা
              (The Eye of Infinity)
                      

শেখ হাসিনা,আপনি কী জানেন বঙ্গবন্ধু কে?

যেভাবে আমি তাঁকে জেনেছি ঠিক সেভাবে?
আমার মহাজাগতিক দৃষ্টি কি আপনার অন্তরেও অনুরণন জাগায়?
আমার নাস্তিক্যবাদী মস্তিষ্ক যেভাবে জেনেছে  কোয়াড্রিলিয়ন নক্ষত্রের মাঝে হারিয়ে যাওয়া একটি গ্রহের মহান সে’ই অনুভূতিকে?
আমি তাঁকে জেনেছি, আপনার মস্তিষ্কের প্রতিটি ক্যামিক্যাল ফ্ল্যাকচুয়েশনে।
আপনার দেহের প্রতিটি স্নায়ুতন্ত্রে অনুরণিত হতে দেখেছি বঙ্গবন্ধু নামক এক মহাবৈশ্বিক অনুভূতি
যাকে আপনি পিতা বলে জানেন!
আমি আপনার অজস্র গোপন ব্যাথায়, প্রকাশ্য অশ্রুজ্বলে, আপনার জীবনের প্রতিটি বিবর্তনে তাঁকে দেখেছি, আমি দেখেছি তাঁকে আপনার দেহের পরমাণুর কক্ষপথে আবর্তিত প্রতিটি ইলেক্ট্রনে।
ইলেক্ট্রনগুলি বঙ্গবন্ধু আর জয় বাংলা ধবনিতে গাণিতিক ছন্দে কক্ষপথে প্রচন্ড বেগে ঘুরে বেড়ায়!
আমি আপনার মাঝে একটি অনুভূতিকে দেখেছি, যে অনুভূতি অধিকার করেছে আপনার সামগ্রিক অস্তিত্ব!
বঙ্গবন্ধু গ্রাস করেছে আপনার আমিত্ব!
আমি আপনার মাঝে ‘’শেখ হাসিনার’’  মহাশূন্যতা দেখেছি, আমি আপনার মাঝে মুক্তযুদ্ধ দেখেছি, আমি দেখেছি , আমি দেখে যাচ্ছি সুদীর্ঘ ছাব্বিশ বছর ভাষা শহীদদের,  যারা, আপনার প্রতিটি ধমনী, শিরা আর উপশীরায় ঘুরে বেড়ায়!

আমি মহাবিশ্বের অসীমত্বে হারিয়ে যাওয়া একটি  অস্তিত্বের মাঝে দেখেছি সুদীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ,রক্ত,কান্না আর সুতীব্র হাহাকার!
সবাই আপনার ভৌত বাস্তবতা দেখেছে, কেউ আপনার মহাশূন্যতা দেখেনি!
কেউ দেখেনি শেখ হাসিনা মৃত্যুবরণ করেছে বহু যুগ পূর্বেই!
ত্রিশ লক্ষ শহীদ, শেখ রাসেল আর বঙ্গবন্ধুর সাথে!
আমি দেখেছি মনস্তাত্বিকভাবে একটি মেয়েকে মৃত্যুবরণ করতে!
আমি দেখেছি এক অসহায়, একাকী, মহাশূন্য বালিকাকে!
আমি আপনার মাঝে আপনাকে নয় , অন্যকিছু দেখেছি!
আমি আপনার মাঝে দেখেছি এদেশের সতের কোটি সম্ভাবনাকে!
তাই এদেশের দুঃখ্য,সুখ, আনন্দ,বেদনা পরিণত হয়েছে একটি শরীরে!
আমি দেখেছি , তিনি নেই, তিনি এ মহাবিশ্বের সীমানা থেকে বেরিয়ে গেছেন বহু খ্রিষ্ঠাব্দ পূর্বেই!
এখন বঙ্গবন্ধুই একটি নারীমূর্তিতে এ ভুখন্ডে ঘুরে বেড়ায়, তিনি জীবন্ত, তিনি প্রাকৃতিক ঈশ্বরে অমর এবং অব্যয় হয়ে আছে শেখ হাসিনা নামক একটি নারীর মৃত্যুতে!



                বঙ্গবন্ধু কেনো ঈশ্বর নয়?


               (God is not Same to you)



নোহার মহাপ্লাবনে আমি বিশ্বাস করিনা, আমি বিশ্বাস করিনা ৩০০ কিউবিট দৈর্ঘের  একটি কিস্তিতে পৃথিবীর সকল প্রাণীকে নোহা জোড়ায় জোড়ায় উত্তোলন করেছিলো।
আমি বঙ্গবন্ধুর আর্কে বিশ্বাস করি।
বিশ্বাস আমার একান্ত ব্যাক্তিগত।
আমি তাঁকে চাইলে যিশুখ্রিষ্ঠের সাথে তুলনা করতে পারতাম কারণ একমাত্র ঈশ্বরের পুত্রের পক্ষেই সম্ভব সমগ্রের জন্যে ব্যাক্তি জীবনকে জলাঞ্জলি দেয়া!
কিন্তু আমি তাকে বাংলার জিসাস বলতে চাইনা!
আমি তাকে বলতে চাইনা মুহাম্মদ!
আটানব্বই মিলিয়ন লাইট ইয়ার্স আয়তনের এ মহাবিশ্বে দুই ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সির অপচয় হয়েছে যার জন্যে!
পনের বিলিয়ন বছর সময়ের মহাজাগতিক বিবর্তনের এক মেগামুহূর্তে বাংলার চেতনার মহাকাশে যে নক্ষত্রের উদয়!
সে আমার বৈজ্ঞানিক মস্তিষ্কে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রিক ভাবেই ধরা পড়েছে ঠিক যেভাবে ধারা পড়ে মাইক্রোকসমিক ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন!
সে জিশু, বুদ্ধ অথবা মোহাম্মদ কেউ নয়, সে গ্রহের কারো মতো নয়, সে মহাবিশ্বের অন্যকোনোকিছুর মতো নয়, সে শুধু বাংলার মানুষের হতে এসেছে,

তিনি ঈশ্বর হতে আসেননি, তিনি বঙ্গের বন্ধু হতে এসেছেন, তিনি আমার বন্ধু হতে এসেছেন!
তাই পৃথিবীর আট বিলিয়ন মানুষের মাঝে আমিও  একজন হতে পেরে গর্বিত কারণ আমি বাঙালী !!
কারণ আমার বন্ধু হওয়ার জন্যে মুজিব ঈশ্বরত্ব ছেড়েছেন!!
ঈশ্বরকে আমি চাইনা, ঈশ্বরকে পৃথিবীর মানুষ এ মুহূর্তে পেয়ে গেলেই আর কী করবে?
আমি বর্তমানকে আকড়ে ধরতে চাই!
কারণ আমি বর্তমান বলেই  ৪৭ বছর পূর্বের বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আমার চিন্তা বাউন্স করে!
তিনি আছেন ঠিক এ ‘’মুহূর্তেই’’ যে মুহূর্ত থেকে আমি বের হতে পারিনা
আমার চেতনায়!
আমার মনই আমার বঙ্গবন্ধু!
কারণ তিনি স্বাধীনতা!
আমার নির্বান!

আমার সমাধি! 





                        ঈশ্বরের খুলির ভেতর!
                                           
                    (Inside the Brain of God)



সক্রেটিসের মতো আমারও বলতে ইচ্ছে করে, আমি জানি, আমি কিছুই জানিনা।
বিগব্যাং বিন্দুর পূর্বে গিয়ে যেমন মস্তিষ্ক কোনোকিছু জানতে পারেনা!
ঠিক তেমনি আমিও যেনো বিগব্যাং বিন্দুর মতো অজানা!
আমার দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুপারনোভা বিষ্ফোরণ থেকে ছিটকে পড়া এক ভার্সিক দুর্ঘটনা!
যখন আমার ডি এন এ আমার দেহের ডিজাইন প্রস্তুত  করেনি তখন বা তারও পূর্বে  আমি ছিলাম পৃথিবীর আলো আর বাতাসের সাথে মিশে অথবা বিলিয়ন বিলিয়ন খ্রিষ্ঠাব্দ পূর্ব থেকেই আমার দেহের পার্টিকেলগুলি আবর্তন করছে অজস্র গ্রহ নক্ষত্র আর ছায়াপথে!
আমি কী এন্ড্রোমিডা অথবা কোয়েসারের, আমি ঠিক কোথায় থেকে এসেছি অথবা কার?
জানিনা!
আমি জানি,
আমার সমস্ত দেহের প্রতিটি ধুলিকণা মহাকাশ থেকে পাওয়া, আমার মাঝে কাজ করে সীমাহীন শূন্যতা!
এক মহাকাশ শূন্যতা নিয়ে পেয়েছি আমি এ বাঙলায়  স্থান।
পেয়েছে শিশু সেই পরম শূন্যতা প্রকাশের  ভাষা, আমার মায়ের ভাষা, বাংলা!
১৪ ই ফেব্রুয়ারী পৃথিবীর অজস্র তরুণ যখন তরুণীর শরীরের নেশায় উন্মুত্ত  বুদ। তখন,  আমি বলেছি, বাংলা, তোমায় ভালোবাসি।

কত সহযে অস্তিত্বের গভীরে, রক্তে রক্তে, শীরা আর উপশীরায় জাগ্রত এ মহাবৈশ্বিক অনুভূতিকে আমি গেঁথে ফেলেছি বাংলা ভাষায়!
আমার সমস্ত অস্তিত্বটাই তো একটি ভাষা, ভাষা ছাড়া আমার অস্তিত্বকে প্রকাশের আর উপায় কী?
এ বাংলায় আমি নির্বিঘ্নে বলতে পারি, বিশ্বজগতে আমার পর্যবেক্ষণ ব্যাতীত একটি অতি-পরমাণবিক কণিকারও অস্তিত্ব নেই!
এ বাংলায় আমার নাস্তিকতা, মানবতার প্রতি আস্তিকতা, এ বাংলায় আমি প্রকাশ করি আমার মহাজাগতিক ধর্ম!
আমার বিশ্বব্রহ্মান্ডটাই তো বাংলা!
অথচ ১৯৫২ খ্রিষ্ঠাব্দে, শুনেছি, ফেনীর ছেলে সালাম ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছে, তখন আমি অনেক ছোট, খুব ছোট, কিছুই বুঝিনা তেমন, অলিখিত এক সাদা কাগজে মাত্র আমার মা আমার মস্তিষ্কে মহাবিশ্বের পরিচিতি লিখতে শুরু করেছে, বাংলা মহাবিশ্ব!
আমার ‘’মা’’ আমার মস্তিষ্কের রাইটার্স।
যখন শুনেছি, সালাম! সালামনগরের! ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছিলো বাহান্নে! তখন আমার সেই শিশু মস্তিষ্ক বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো অবারিত মনস্তাত্বিক  শূন্যতা পানে...!
আমার দেহের অনুপরমাণুগুলি কোটি কোটি খ্রিষ্ঠাব্দ জুড়ে মহাবিশ্বে ছিলো, অজস্র পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণে!
আমার অস্তিত্বের পেছনে যেমন আমার কোনো হাত নেই, ফিজিক্সের সুত্রগুলির উদ্ভবের পেছনে যেমন আমার দেহের ভূমিকা নেই, ঠিক তেমনি বাংলা ভাষা ঐতিহাসিক মনস্তত্ব থেকেই  রিসাইকেল করা কিছু আনবিক কণা!
অথচ এ নিস্পাপ, প্রাকৃতিক বিবর্তনের জন্যে, ভাষা শহীদদের কেনো রক্ত দিতে হয়?
আমার যোক্তিক মন এখনো মাঝে মাঝে অসভ্যের মতো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে!
আমার বঙ্গবন্ধুর মতো বজ্রকন্ঠে প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহে চিৎকার করে  বলতে ইচ্ছে করে!
আমার সমস্ত পৃথিবীর বিরুদ্ধে রিট জারি করতে ইচ্ছে করে !
কেনো অযোক্তিকভাবে ভাষা শহীদদের রক্ত দিতে হলো?
একটি যৌক্তিক উত্তরের জন্যে আমার মনের মাঝে হ্যামলক সম যন্ত্রণা ভর করে এখনো এ অস্তিত্বের জন্যে টিকে থাকার অন্ধ যুদ্ধেও!
আমি বিষাক্ত থেকে বিষাক্ততর হয়ে উঠি!
কেনো এ আবেগ আমি নিরাময় করতে পারিনা!
আমি কী অসুস্থ্য, সাইকোসিস, আমি কেনো এমন করি?
সেই শিশুটি সুদীর্ঘ  ছাব্বিশ বছর গভীর থেকে গভীরে, একেবারে অস্তিত্বের অতি-ক্ষুদ্রস্তরে, হাজার হাজার জঘণ্য দুখ্য,কষ্ট, যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়ে,ভেঙে-চুরে আজ শূন্যবাদী হয়ে গেছে!কিছুই না হয়ে গেছে! এখন লোকে তাকে নাস্তিক বলে!
ওহ!
এখন আমি এ মহাবিশ্বের কাছে, আর কিছু প্রার্থনা করিনা, অথবা ঈশ্বরের কাছে!
 নিষ্কাম মধ্যাকর্ষের নিয়মের মতো যে অবিচল!
যে ঈশ্বরের মস্তিষ্কের ভেতরেই ত্রিশ লক্ষ শহীদের  রক্তস্রোতে  ত্রিশ লক্ষ্য সম্ভাবনা অপচয় হয়েছিলো অথচ তার ওয়েভ সাইকেল ছিলো কম্পনহীন,  স্থির!!
সেই নিষ্কাম জড়জগতের সুত্রে আবদ্ধ ঈশ্বরের কাছে আমার কোনো প্রার্থনা থাকতে পারেনা!
যিনি বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডকে ঠেকাতে পারেনি!
সেদিনের রক্তাত্ব মুহূর্তটিই এখনো আমার মনস্তাত্বিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম!

আমার মাথা নষ্ট!
পৃথিবীর প্রতিটি পার্টিকেলকেও যদি ভাষায় রুপান্তরিত করি তবু এদেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আবেগ ব্যাখ্যা করা অসম্ভব!
যতবার আমি শেখ হাসিনার মুখে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনেছি, যতবার তাঁর চোখে অশ্রু দেখেছি ততবার আমিও হাউমাউ করে কেঁদেছি, মা মা বলে চিৎকার করেছি, সে চিৎকার কেউ শুনেনি, কেউ দেখেনি, কেউ জানেনি!
আমি কেনো নাস্তিক তার অজস্র উত্তরের মধ্যে সম্ভবত অন্যতম উত্তর এটাই !




                          বৈশ্বিক প্রথা
              


তোমার দেহের ৭ অক্টিলিওন এটমকে কী তোমার ঘুম ভেঙে  মনে পড়ে?
অথবা নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে আবর্তিত ইলেক্ট্রনগুলিকে?
না! তুমি কখনোই তাদের স্মরণ করোনা!
স্কিপ করে চলো!
অসীম মহাকাশ তোমাকে ক্ষুদ্র একটি কোয়ার্ক পার্টিকেলও মনে করেনা!
আজ যা মহাগুরুত্বপূর্ণ, আজ যা তোমার জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলছে আগামীকাল তা তার প্রাধান্য হারাবে!
তুমি তোমার দেহের পার্টিকেলগুলিকে যেমন মাইক্রোস্কোপ ছাড়া দেখোনা ঠিক তেমনি কোটি কোটি বছর অতীতের ইতিহাসগুলি আজ তোমার কাছে একটি টাউও না
যতই ভবিষ্যতের দিকে যাই অতীতের স্মৃতিগুলি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে শূন্যতায় মিশে যায়।
আচ্ছা!মুক্তিযুদ্ধের কথা কী তোমার মনে পড়ে, মনে পড়ে তোমার ভাষার জন্যে যারা জীবন দিয়েছিলো তাদের?
পঁচিশে মার্চের ভয়াভহতা কী এখন তোমাদের মস্তিষ্কে রেখাপাত করে, শরীরে শিহরণ জাগায়?
আহা!ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মদান আজ তোমার কাছে একটি ইলেক্ট্রনও না!
তোমার দেহের রাসায়নিক বিক্রিয়া ছাড়া তোমার অস্তিত্ব অসম্ভব কিন্তু তুমি কী স্মরণ করতে পারো কখন কোন মুহূর্তে কোন বিক্রিয়াটি ঘটছে?
না তুমি সেটা করোনা!
বরং স্কিপ করো!
ঠিক তেমনি বাঙালী ষোলই ডিসেম্বর অথবা একুশে ফেব্রুয়ারীর পূর্বে মুক্তযোদ্ধা এবং ভাষা শহীদদের স্কিপ করে!
এটা তোমাদের অন্যায় নয়, এটাই প্রকৃতির নিয়ম!
প্রকৃতি শেখ হাসিনার মতো অতীতকে মনে রাখেনা, বারবার মুক্তিযুদ্ধ,ভাষা আন্দোলন অথবা বঙ্গবন্ধুকে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে পাঞ্চ করেনা!
ঠিক এ জন্যে তিনি বিশেষ!
যিনি অতীতকে স্মরণ রাখেন!
একটি বিশেষ অতীত!
একটি বিশেষ অতীত জাগ্রত হয়ে থাকবে নভৌলোকের নক্ষত্রের মতো এদেশের চেতনার আকাশে!




           ব্রহ্মান্ডের কেন্দ্র
                      [ CENTER OF THE UNIVERSE]    


              আমি কোনো রাষ্ট্রীয় কবি নই যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্যারালাক্স লিখবো!
আমার বিবর্তনবাদী এ বৈজ্ঞানিক মস্তিষ্কে কাব্যের স্থান কতটুকু?
       কিন্তু রেসক্রোস ময়দানে এ সোলার সিষ্টেম মুক্তির যে মহাকাব্য শুনেছিলো!
সেই পঙতিগুলি আমার নার্ভাস সিষ্টেমকেও প্রভাবিত করে!
                            আমি সুনামির মতো অস্থির হই!
শরীরের স্নায়ুতন্ত্রে আমারও বিদ্রোহ জেগে উঠে, আমারও ইচ্ছে করে
পতঙ্গের মতো আলোর উৎসকে কেন্দ্র করে ইলেক্ট্রনের মতো আবর্তিত হতে থাকি!
                               উৎসর্গ করি হৃদকম্পন!
নভৌলোকের ক্ষুদ্র এ গ্রহটিতে মাল্টি বিলিয়ন মানুষের মাঝে আমি বঙ্গবন্ধুকে আমাদের জন্যে কথা বলতে শুনেছি!
নশ্বর একটি জীবনকে অসীম অনিশ্চয়তার মধ্যে দীর্ঘ নয় মাস উদযাপন করবে পিশাচের কারাগারে সাধ্য কার?
                       প্রেমিকা হারানো প্রতিটি রাত্রির দৈর্ঘ কত কোটি আলোকবর্ষ?
                       সেটি আমিও বুঝি!
কারণ সে শূন্যতা আমার জীবনকেও অধিকার করেছিলো!
হ্যারিপটারের হগওয়ার্ট স্কুলে ঢুকে পড়েছিলো আমার মস্তিষ্ক!
দুর্বিষহ যন্ত্রণা আর দুঃস্বপ্ন!
কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের বিষ্ময়কর আর ভৌতিক বাস্তবতাগুলি বঙ্গবন্ধুও অতিক্রম করেছিলেন; আমি জানি!
মানবতার প্রেমিক বঙ্গবন্ধু তাই আমার অন্তরে আজো প্রকম্পন জাগায়!
চোদ্দশত বছর পূর্বের মোহাম্মদকে নিয়ে আমার কাব্য রচনার কোনো ইচ্ছে নেই!
আমার অন্তরে যা সত্য বলে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, আমি সেই সত্য আবেগের ভাব
সম্প্রসারক!
মুক্তিযুদ্ধ ছিলো এদেশের কেম্ব্রিয়ান বিস্ফোরণ!
কেন্দ্রকে অতিক্রম করে কখনো বৃত্ত অংকন করা অসম্ভব!
বঙ্গবন্ধুই আজ এদেশের সতের কোটি মানুষের জীবন বৃত্তের কেন্দ্র!
স্বাধীনতা নামক পাইয়ের মানটি কার রচিত?
তা তামি জ্যামিতিক উপপাদ্য দিয়ে পরিমাপ করে দেখেছি!
আমি সেই বৃত্তের বিন্দুকে কেন্দ্র করে প্রায় সতের কোটি মানুষের সাথে ব্রহ্মান্ডের
গ্রহ নক্ষত্রের মতো আবর্তিত হতে চাই, মঞ্চায়িত করতে চাই এক মহাজাগতিক নৃত্ত!
আমি আবার মসজিদ এবং মন্দিরগুলি মস্তিষ্ক থেকে ভেঙে ফেলবো!
কারণ আমার আরাধ্য দেবতাকে সমস্ত অস্তিত্বের মাঝে উপলব্দি করেছি!
আমি বুদ্ধ হয়েছি!
কোয়ান্টাম পার্টিকেলের মতো আমি এ মহাবিশ্বের দেয়াল ভেদ করে অন্য কোনো জগতে পালিয়ে যেতে পারিনা!
আমার দেহের ইলেক্ট্রনগুলি পৃথিবীর ইলেক্ট্রনকে বিকর্ষণ করে!
এ সীমানা কত কঠিন এবং শক্ত!
আমি এ বাংলাকে অতিক্রম করে অন্য কোনো মহাবিশ্বে প্রবেশ করতে চাইনা।
এমনকি আমার অমরত্বেরও প্রয়োজন নেই!
পনের বিলিয়ন বছর সময় পরিভ্রমণ করে এক মুহূর্তের জন্যে আমি যে দেশের দেখা পেয়েছি, সে দেশকে আমি অসীমভাবে ভালোবাসতে চাই।




                               শ্রডিঙ্গারের বাক্স
                   




হিউ এবারেটের নাম শুনেছো?
ইউনিভার্সাল ওয়েভ ফাংশন থিওরির প্রবক্তা!
তিনি বলেছিলেন, একটি পার্টিকেল পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণে অসীম মহাবিশ্বে বাউন্স করতে করতে একটি মহাবিশ্বে টিউন হয়।
আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে বাংলাদেশ ছিলো একটি সম্ভাবনা!
শ্রডিঙ্গারের বাক্সে!
যে বাক্সটিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ রাখা ছিলো, সম্ভাবনা ছিলো বিড়ালটি মৃত্যুবরণ করবে অথবা জীবিত থাকবে।
কিন্তু নিশ্চয়তা ছিলোনা!
আমরা অসীম অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম যখন এদেশের সাত কোটি মানুষ শ্রডিঙ্গারের বাক্সে বন্দী ছিলো, আর পাকিস্তানী নামক এক দল করোনা ভাইরাস গোষ্ঠী সেই বাক্সটিতে যাদের সংক্রমিত করছিলো ক্রমশ!
আহা!
সেই শূন্যতা!
সেই সম্ভাবনা!
বুদ্ধের সেই হ্যা অথবা না!
জীবন আর মৃত্যুর মধ্যখানে এক অনিশ্চিত দোদুল্যমানতা যখন গ্রাস করেছিলো আমাদের!
যদি সেদিন বঙ্গবন্ধু বাক্সের দরজাটি না খুলতেন?
আমি তো দেখি, এদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ বঙ্গবন্ধুরই মস্তিষ্কের পর্যবেক্ষণ।
আমি তো দেখি প্রায় সতের কোটি মানুষ বঙ্গবন্ধুর মাথার খুলির ভেতরের একটি ইলেক্ট্রিক্যাল সিগনাল! 





         তুমি কী অনন্ত কোটি জগতের অন্তরে! 
            [ are you inside the Heart of Meta verse?]




দুটি এন্ট্যাংগেল পার্টিকেলের একটি যদি পনের বিলিয়ন বছর পূর্বেও  অবস্থান করে তবু তাদের যোগাযোগ হয় তাৎক্ষণিক

যেনো তারা পনের বিলিয়ন বছর সময় দ্বারা বিচ্ছিন্ন নয়!

যেনো তাদের মধ্যখানে কোনো মহাবিশ্বই নেই!


অস্তিত্বের পরমাণবিক স্তরে স্থান-সময় আর আমরা একটি বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছি যার পূর্বে কোনো গতকাল ছিলোনা অথবা যার পরে কোনো আগামীকাল নেই!
সবকিছু এখানেই!

আহা! পঁচিশে মার্চ রাত্রিতে  হায়নারা অনুভব করেছিলো কী   বর্তমানের তাৎপর্য?
যদি তোমরা বুঝতে তোমাদের দেহের পার্টিকেল গুলি সুপারপজিশনে আমাদের দেহে ভাইব করে,  তবে?

তোমরা কী পারতে অকাতরে ত্রিশ লাখ শহীদের প্রাণ কেড়ে নিতে?
ওহ!পাকিস্তান!

একটি প্রাণের ইতিহাস কী তোমাদের জানা আছে, তোমাদের কী জানা আছে একটি শহীদের জীবনের মহাজাগতিক সুক্ষ্মতার মান?

যদি মহাবিস্ফোরণের পর মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ একটু ধীর গতিতে ঘটতো তবে গ্রেভেটির প্রবল আকর্ষণে সংকুচিত হয়ে যেতো সমস্ত গ্যালাক্সি
পৃথিবীর হয়ে উঠতো অসম্ভব!

মহাবিশ্বে এভাবে প্রায় ৩৭ টি কনস্ট্যান্ট সুক্ষ্মাতিসুক্মভাবে রিজোন্যাট করে নির্ধারিত হয়েছে মানুষের ছায়াপথ!
যার এক মিলিওন ভাগের এক ভাগ তারতম্যে হয়তোবা অকল্পনীয় হয়ে উঠতাম আমরা!

অথচ
তোমরা একটুও ভাবোনি, এক মুহূর্তের জন্যেও অনুভব করোনি, মানুষের ম্যাকানিজম!

ত্রিশ লক্ষ মায়ের মস্তিষ্কের সাইনাস্ফে তাদের সন্তানরা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক অভিঘাত হয়ে রেসিং করতো শুধুই,

আমি শূন্যতার অপেক্ষায়  অপেক্ষারত প্রেমিকার প্রহর এখনো আকাশের তারকার মাঝে গুনি, ব্যার্থ আমি এখনো অনুভব করি তাদের প্যারানরমাল মুহূর্তগুলি!

সেদিন কী তাদের কাছে ঈশ্বরের কোনো সংবাদ এসেছিলো অথবা পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলো কোনো জিসাস?

কী ছিলো তাদের শান্তনা?
আমি এখনো ভাবি!
আমার অরাজনৈতিক মস্তিষ্ক এখনো বঙ্গবন্ধু অথবা শেখ রাসেলের হত্যার কারণ বুঝেনা!!

আচ্ছা!মেনিওয়ার্ল্ড থিওরি কী সত্য?
সত্যিই কী বহুবিশ্বের অস্তিত্ব আছে যদি পার্টিকেল্গুলি মাল্টিপল ডায়মেনশনে বাউন্স করে?

পিতা বঙ্গবন্ধু অথবা ছোট্ট রাসেল কী অন্য কোনো জগতে এখন অস্তিত্বশীল?
তারাও কী মধ্যরাতের স্বপ্নে এক অপরিচিত কবিকে দেখে বিষ্মিত হয়?

যাদের স্মরণে আমার মস্তিষ্কের নিউরনে ইলেক্ট্রিক্যাল কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে, তারা, তারা কী মাকে স্বপ্ন দেখে?



                                        মুক্তি দাও 
                  ( Heal Me )
                                                  


                 বিশ লক্ষ বিলিয়ন বছর দূরের এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সিকে যেমন হাবল টেলিস্কোপ ছাড়া শূন্যস্থান মনে হয়।

ঠিক তেমনি, আমাকেও আমার কাছে শূন্যস্থান মনে হচ্ছে।
আমি এতটাই ক্ষুদ্র, লার্জ হেড্রন কোলাইডর দিয়েও পাওয়া যাচ্ছেনা যেনো আমাকে!
আমি যেনো এক অজ্ঞাত রাশি!
এত বিরাট আঘাত, এত অসীম ব্যাথা, এত অথৈ হাহাকার অধিকার করলো আমায়!
পিতা, তাকে ভালোবেসে, সীমা ভেঙে আজ আমি হারিয়েছি অসীমতায়!
বঙ্গবন্ধু!কী হারিয়েছিলে তুমি, কী সেই শূন্যতা, কোথায় পেয়েছো বৈশ্বিক মনস্তত্বে নিজেকে হারানোর স্পৃহা?
কী সেই ব্যাথা, যা ভেঙে দিয়েছিলে আমিত্বের সীমারেখা, একটি অনু অথবা  পরমাণুও তোমার মনে প্রতিবন্ধকতার দেয়াল হয়ে ভেসে উঠেলোনা?
শুনেছি, মানুষ যখন বিশ্বব্যাবস্থার মাঝে আপন অস্তিত্বের উপলব্দিকে বুদ্ধের মতো হারিয়ে ফেলে তখন মহাবিশ্বটাই তার নিউরন হয়ে যায়!
জানিনা, পিতা!
তোমাকে পরিমাপ করার দুঃসাহস আমার নেই!
আমি শুধু জেনেছি মানবতার তরে এক অতি-মানবিক আবেগ!
শত বার শত কোটি মুহূর্তের মর্মান্তিক মৃত্যু আর জীবনের আপেক্ষিকতাকে অনুভব করেও আকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছি কিছু না কিছু,
কতবার অযোক্তিকভাবে এ ভঙ্গা অন্তরটাকে সমর্পন করেছি খন্ডিত সময়ের কাছে!
কেউ আমার কিছু নয়, আমি কোনোকিছু দ্বারা সীমাবদ্ধ হতে পারিনা, আমি বারেবারে পেয়েছি আমার অস্তিত্বের পরম শূন্যতা
তবু...
মানবতার তরে জলাঞ্জলি দিতে পারলাম না এ জীবন!
কোন সেই ব্যাথা, কোন সে আঘাত অথবা কোন সে  বজ্র  পিত!
আমাকে করতে পারে আমার সীমানা ভেঙে তোমাতে উন্নীত?



                                রি-ভাইভ
                             REVIVE 
                                 

আমি অসম্প্রদায়িক এক বাংলাদেশের কথা বলছি,
বঙ্গবন্ধু যেমন বলেছিলেন, মধ্যাকর্ষের নিয়ম যেমন খ্রিষ্ঠান অথবা বোদ্ধকে আলাদা করে দেখতে জানেনা, আমিও আমার শূন্যবাদী জাতির জনকের দৃষ্টি অর্জন করেছি!
আমার দেহের প্রতিটি কোষের সাথে যে জেনেটিক্যাল সম্পর্ক আমি বিশ্বমানবতার মাঝে সেই সম্পর্ককে পিকাসোর নবম সিম্পোনির মতো গাঁথতে জেনেছি!
আমি মানুষের মাঝে ছায়াপথকে দেখতে শিখেছি।
যে মানুষের অস্তিত্বের পেছনে অসীম নভৌলকের অবদান সেই সে নভৌলকে সশ্রদ্ধ নমস্কার বলতে বলেছি।
কারণ আমার সাংস্কৃতিক এলগরিদম বঙ্গবন্ধুর মনস্তত্বেরই প্রতিনিধি!
মহাবিশ্বের প্রতিটি গ্রহ নক্ষত্রে  আইনস্টাইন যেমন সাম্যের তাত্বিক গান শুনে!
সেই প্রশিক্ষিত কান আমিও সৃষ্টি করেছি!
আমিও স্পিনোজার মতো বিশ্বের গাণিতিক শৃংখলার মাঝেই ঈশ্বরের চিৎকার শুনেছি!
তোমার অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিলো অজস্র সহস্র দার্শনিক চিন্তার এক অনবদ্য প্রতিফলন!
অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নামক সেই হাইপোথেসিস ছিলো অভেদ ঈশ্বরের অসীম শূন্যতার বহিঃপ্রকাশ!
দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার দার্শনিককে তোমার  মৃত্যুর সাথে সাথে আমি শহীদ হতে দেখেছি!
ব্যার্থ ঈশ্বর বলে, আমি  বাংলার মাটি ছেড়ে সপ্তমাকাশে পালিয়েছি!
ঈশ্বরহীন এ বাংলা
বাংলাদেশ নামক এক অসীম ব্যাথা বুকে চেপে আমি আজো বাংলায় পড়ে রয়েছি!
আমরা তোমার সন্তারনা আজ এ শহরে পিকে বনে গিয়েছি!
এলিয়েন হয়ে সমাজতত্ব থেকে বহু দূরে সরে পড়েছি!
পৃথিবীর সকল মানুষ যদি আমার মতো বঙ্গবন্ধু হয়ে যায় তবে নিউটনের সুত্রের কী পরিবর্তন হয়?
তবে কেনো এত বিভেদ?কেনো এত বিচ্ছেদ?কিভাবে শুধু তুমি ৩.৯ বিলিয়ন পুরুষের মাঝে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হও?
ভারচুয়াল জগতের অহেতুকতায় হাজার হাজার মস্তিষ্ককে হাইজ্যাক হতে দেখেছি।
অফুরন্ত সৃষ্টিশীলতার ধবংস হতে দেখেছি!
হে মানুষ কেনো তোমাদের জন্যে আটাশ হিগাপার্সেস আয়তনের  এ মহাবিশ্বের অপচয়?
স্বাধীনতার মেট্রিক্স অবধারণ করে মহাবিশ্বের মহাবিশ্ব হও!


                                 


                                শব্দের মৃত্যুভয়
                                [Word Fear]


ওয়ার্মহোলের ভেতর স্পেস ড্রাইভ করে যদি আজ থেকে পঞ্চাশ বছর অতীতে চলে যেতাম?
এবং রেসক্রোস ময়দান থেকে বঙ্গবন্ধুকে মহাবিশ্বের অন্য কোনো স্থানে  প্রতিস্থাপন করতাম?
কী ঘটতো এদেশের ভবিষ্যতের সাথে?
কী ঘটতো যদি ১৯৭১ খ্রিষ্ঠাব্দের স্থানিক মাত্রায় বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে অন্য কেউ থাকতো?
তবে কার ঠোঁট থেকে স্বাধীনতার অগ্নিবীণা প্রকাশিত হতো, কে সৃষ্টি করতো এদেশের অসহায় মানুষগুলির মস্তিষ্কে মুক্তির মনস্তাত্বিক সংগ্রাম?
এদেশ কী ভুলে গেছে কার মস্তিষ্কের নিউরো-ট্রান্সমিটার থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের
জন্ম হয়েছে?
এদেশ কী মনে রেখেছে,কী অপচয় হয়েছে!
অসীম সম্ভাবনার তরঙ্গ থেকে এ বাংলাকে ভবিষ্যতের ফ্রেমওয়ার্কে সুনিশ্চিত করেছিলেন যিনি!
এদেশের রক্ত কী আজ তাকে অস্বীকার করে?
যদি মোহাম্মদের নাম উচ্চারণ করলে দরুদ পড়তে হয় তবে আজো কেনো বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণের পর এদেশের কন্ঠস্বর থেকে নিঃসৃত হয়না, নমস্কার পিতা?
আমি কবি, কাব্যের শৃংখলায় আমি অনন্তকে স্পর্শ করি, আমার মতে কাব্য চিন্তার অসীমত্ব!
তাই!
আমি যা ইচ্ছে তা বলে বেড়াই, তা কিন্তু নয়!
ফিজিক্স ব্যাতীত মহাবিশ্বের অস্তিত্ব যেমন অসম্ভব, আমি শুধু তাঁকে ছাড়া বাংলার  অসম্ভাব্যতার কথাই বলি!
সতের কোটি মানুষের মুক্তির দেবতা আজো পূজাহীন, পূজার থালার পুষ্প শূন্যতা আজো আমার অন্তরকে লজ্জিত করে তোলে!
মসজিদ,মন্দির গুলি আমার ভেঙে চুরমার করে ফেলতে ইচ্ছে করে!
কারণ হাজার হাজার খ্রিষ্টাব্দ  করে মানুষ যে ঈশ্বরকে অনুসন্ধান করেছিলো সে ঈশ্বর ৭১ এ মানুষের শরীরে মানব সভ্যতার মগজের সম্মুখেই  জিশুর মতো ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলো!
এদেশের মানুষ তাদের মুক্তির দিশারীকে হত্যা করেছে!
এদেশের মানুষ ঈশ্বরকে হত্যা করেছে!
তাই আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা, আমি অদৃশ্য ঈশ্বরে বিশ্বাস করিনা, আমার ব্যাক্তি ঈশ্বর, যিনি অসীমের সাথে আমাকে সম্পৃক্ত করে দিয়েছেন, আমি সেই ঈশ্বরের আরাধনা করে তারুণ্যের প্রতিটি মুহূর্ত আহুতি দিতে চাই!



                           মহাবিশ্বের হত্যাকারী
                   [Varese Killer]



পার্টিকেলগুলি আমার দেহে আবর্তিত হয় বলেই আমি অস্তিত্বশীল,
অথচ আমি যদি মাইক্রোস্কোপ তৈরি না করতাম তবে পার্টিকেলগুলির অস্তিত্ব
আবিষ্কৃত হতোনা!
এমন একটি জগতের অস্তিত্ব কী আছে যেখানে মানুষের কোনো মস্তিষ্ক নেই কিন্তু পার্টিকেলগুলি একটি মহাবিশ্বকে তৈরি করেছে?
কী আসে যায় তাতে আমার?
যদি আইনস্টাইনের মতো বলি,  আমি এ গ্যালাক্সিতে অস্তিত্বশীল না থাকলেও  গ্যালাক্সির অস্তিত্ব থাকবে; তবুও তো এটা অস্তিত্বশীল সেই আমারই কথা!
একটি মানুষকে আমরা কোনোকিছুতেই মহাবিশ্বের মেট্রিক্স থেকে পৃথক করতে পারিনা, আর তাই মানুষ হিন্দু, মুসলিম,বোদ্ধ অথবা খ্রিষ্টান কোনটাই নয়, মানুষ মহাবিশ্ব!
আর আমিও একজন মানুষ!
আমার ধর্ম মহাবিশ্বেরই ধর্ম!
যারা ধর্ম অথবা রাজনৈতিক দ্বন্ধে অবতীর্ণ হয়, যারা  চিন্তার সাম্প্রদায়িকতায় জীবন্ত মানুষকে হত্যা করে, তারা একটি মহাবিশ্বের হত্যাকারী!
আর বঙ্গবন্ধু সেই অধার্মিকতার বিরুদ্ধাচারণ করেছেন শুধু!
আমি ব্যাক্তিক বঙ্গবন্ধুর কথা বলছিনা আমি বলছি সেই বঙ্গবন্ধুর কথা কোয়ান্টাম সুপারপজিশনে যার মস্তিষ্কের পার্টিকেলগুলি অসীম সেক্টিলিওন মহাবিশ্বে বাউন্স করে, এবং যেখানে আমিও বঙ্গবন্ধু!
আমি বলছি সেই বঙ্গবন্ধুর কথা যার মস্তিষ্কের ওয়েভ এন্ড পার্টিকেল ডুয়ালিটি নভৌলোকের গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথকে প্রভাবিত করে!
আমি এক মহাভার্সিক বঙ্গবন্ধুর কথা বলছি, যার এটমিক শরীর এ গ্যালাক্সি থেকে নিশ্চিহ্ন হয়েছিলো!
আমি সেই বঙ্গবন্ধুকে আবার ম্যাটারিয়ালাইজ করছি!
আমি তাঁর সাথে কথা বলছি!
অজানা জগতে!
অচেনা ভাষায়!




                  মানবতার প্রতিশব্দ 
     [ The Nickname of Humanity ]



কোয়ান্টাম কণিকাগুলি মাল্টিপল এনার্জি স্টেটে দোদুল্যমান,
তারা শুধু আমার দেহ অথবা আমার মহাবিশ্বে সীমাবদ্ধ নয়,
কোয়ান্টাম টানেলিং এর ভেতর দিয়ে আমার দেহের পার্টিকেল গুলি নৃত্ত করে এন্ড্রোমিডায়!
অথবা অন্য কোনো স্থানে , প্যারালাল মহাবিশ্বে আমাকে পাওয়ার সম্ভাবনা শূন্য নয়!
পৃথিবী এ গ্যালাক্সির কেন্দ্র নয়, মহাবিশ্বের কোনো কেন্দ্রবিন্দু নেই, যেকোনো বিন্দুরই রয়েছে মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার সম্ভাবনা!
তাই কেন্দ্রবিন্দুটি সবসময় কাল্পনিক, আমি বঙ্গবন্ধুকেই মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু ধরে নিয়ে এ জগতকে ব্যাখ্যা করতে চাই।
এ জন্যে সম্ভবত আমাকে ব্রুনোর মতো জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে পারা যায়না!
মহাবিশ্বের কেন্দ্র সাইকোলজিক্যাল, তাই আমি সমস্ত স্পেস এবং টাইমের প্রসারণকে আমার সাইকোলজির প্রসারণ বলতে চাই!
সমস্ত মানব সভ্যতাই আমি!
আর বঙ্গবন্ধু সেই মহাবৈশ্বিক আমিকেই তার মস্তিষ্কে স্থাপন করেছিলেন এবং তার অস্তিত্বের উপলব্দিকে হারিয়েছেন অসাম্প্রদায়িক মানবতায়!
মানবতার প্রতিশব্দই বঙ্গবন্ধু।
মানুষ তার আপন অস্তিত্বের ম্যাকনিজমকেই ভুলে গেছে এবং এটাও  মনে রাখেনি তার অস্তিত্বে কার্যকর বৈশ্বিক নিয়মগুলিকে?
আমি গ্রেভিটিকে ভুলে গেলেও গ্রেভিটি আমাকে ঠিকই কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করছে!
আমার দেহ ঠিকই তাকে সাব-কনসাসলি অনুভব করছে!
এভাবে মানুষ তার পনের বিলিয়ন বছরের বিবর্তনের প্রতিটি বিক্রিয়াকে ভুলে গেছে, যদিও সাব-কনসাসলি তার অস্তিত্ব সকল তথ্যকেই মনে রেখেছে!
আমরা মহাবিশ্বকে মনে না রাখলেও, আমার অস্তিত্বে এটি কাজ করে!


আমার দেহে ইলেক্ট্রনের সংখ্যা কত তা না জানলেও তারা কক্ষপথে ফিজিক্স মেনে ক্ষিপ্ত গতিতে ঘুরতে থাকে!
আমি অসীম মহাবিশ্বকে ভুলে গেলেও ইন্টারনেটের মতো তারা আমার দেহেই রোমিং করে!
এদেশের মস্তিষ্কগুলি কী নিয়ে ব্যাস্ত?তারা কী করছে?অথবা কেনো করছে তা আমার কাছে অস্পষ্ট!
সকালের সূর্য যে মহাকাশ  নিয়ে আমার মস্তিষ্কে প্রবেশ করে সে মহাকাশের অসীমত্বে আমি নিজেকেও হারিয়ে ফেলি, আমিও আবিষ্কার করি আমি নেই!
শুধু ফুটন্ত ফুল অথবা উড়ন্ত প্রজাপতিগুলিই আছে এখানে!






                   দেবী




হে গণতন্ত্রের মানসকন্যা!
চিন্তার জন্যে কেনো আমরা নির্যাতিত হবো?
অভিজ্ঞতা প্রকাশের জন্যে কেনো আমাদের জীবন দিতে হবে?
একটি নিউট্রনো পার্টিকেলের নিকট চীনের মহাপ্রাচীর কেনো, একটি মহাবিশ্বও কিছুই না,
সে জগতের ঘণত্ব অনুভব করেনা
এ জন্যে তো আমরা নিউট্রোনো পার্টিকেলকে হত্যা করতে পারিনা, তাকে বলতে পারিনা নাস্তিক!
চিন্তার ম্যাকানিজমের পার্থক্যের কারণে কেনো মহাবিশ্বের সন্তানদের জীবন দিতে হবে?
মা!
মাগো!
আমরা অনেক কষ্টে আছি মা!
এ পৃথিবীতে , এ সমাজে, অত্যাচার,নিন্দা আর গ্লানি ছাড়া আর কোনোকিছুই পাইনি!
সব হারিয়ে এক ফোটা শান্তনা জোটেনি এ ক্ষুদার্থ অন্তরে!
তুমিও তো হারিয়েছো , হারানোর যন্ত্রণা কাকে বলে তা তুমি জানো, প্রতিটি রক্ত কণিকায় তুমি সেই যন্ত্রণাকে অবধারণ করে আছো!
বঙ্গবন্ধু দেশের জন্যে তার অস্তিত্বের প্রতি সেঃমি জলাঞ্জলি দিয়েছেন, অবশেষে ওরা তাঁকে কেড়ে নিলো!
শূন্যতা ছাড়া কিছুই জুটেনি তাঁর!
যার জীবনে শূন্যতা ছাড়া কিছু নেই সে তো শূন্যতাকে আরাধনা করেই বেঁচে থাকে, সে তো শূন্যতার মাঝেই নিজের পরিপূর্ণতাকে বুঝে নেয়!
আমিও তার ব্যাতিক্রম নই!
অসীম ঈশ্বরকে অতিক্রম করে যদি একটি কোয়ার্ক পার্টিকেলও অস্তিত্বশীল হতে না পারে তবে আমরা কেনো ঈশ্বরকে অন্যকোথাও অনুসন্ধান করি?
এ সরল প্রশ্নটার উত্তর আজো আমার মেলেনি!
আমরা মানুষ আর মানবতার কথা বলি বলে ওরা আমাদের নির্যাতন করে!
আমরা সক্রেটিসের মতো মানুষের মাঝে তার আপন অস্তিত্বহীনতা অনুভব করি বলে তারা আমাদের নির্যাতন করে!
আমি তো আমার অস্তিত্বকে অস্বীকার করি ‘’মা’’, আমি তো এ বিশ্বব্রহ্মান্ডের কোথাও আমাকে খুঁজে পাইনা, আমার সর্বত্র অসীমের অধিকারে, তাই আমি আমার মাঝে অসীম ব্যাতীত আর কিছু দেখিনা!
আমি যদি ঈশ্বরকে ‘’এখানেই’’ পাই তবে অন্য কোথাও খুঁজবো কেনো?
আমাদের সরল মন, আমাদের সরল অনুভূতি, মাগো! আমরা একান্ত নিস্পাপ নিতান্ত শিশু!
আমাদের কেউ নেই!
সমাজ, পরিবার, কেউই না!
সিঙ্গুলারিটি পয়েন্টের মতো একা!
অস্তিত্বের মহাজাগতিক ব্যাথা আমাদের অনেক আগেই ধুমরে মুচড়ে শেষ করে ফেলেছে!
ভাঙা এ অস্তিত্বটাকে আমরা কার কাছে সমর্পন করবো?
সবাই বলে আমাদের ঈশ্বর নেই, আমরা নাস্তিক, কিন্তু হে গণতন্ত্রের মানসকন্যা এ মহাশূন্য ব্যাথাতুর হৃদয়ের স্থান তোমার দরবারেও হবেনা?
আর কত ব্যাথা সহ্য করবো?
আমরা তো এ পৃথিবীর কাছে কিছুই চাইনা, শুধু প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে কোনোমতে টিকে থাকতে চাই, আমরা তো শুধু এই গাণিতিক মহাবিশ্বের অন্তরকে উপলব্দি করতে চাই!
তোমার চরণে আমরা ঠাই চাই!
কারণ এ বাংলায় বঙ্গবন্ধুর অন্তর ব্যাতীত আমাদের জন্যে এক বিন্দুও স্থান নাই!
তোমাদের পরিবার ছাড়া কেউ আমাদের থার্মো নিউক্লিয়ার ছাইও মনে করেনা!




                     ..      কিউবিট 
                              [ Q-bit]



আলোর গতির চেয়ে উচ্চগতিতে কোনো কিছুই পথ চলতে পারেনা ,  তারও একটি সীমারেখা আছে।
তাই আমিও মহাবিশ্বের কোয়াড্রিলিয়ন গ্রহ নক্ষত্র এবং ছায়াপথকে একই সময় একই সাথে জানতে পারিনা, সীমারেখা আছে!
যদি অসীম গতিতে এন্ট্যাংগেল পার্টিকেলদের মতো ভ্রমণ করতে পারতাম !
তবে
মহাসম্প্রসারিত এ মহাবিশ্বগুলির ব্যাস ব্যাসার্ধ শূন্য মনে হতো!
সম্ভবত তখনই আমি মানুষ হয়ে উঠতাম!
কারণ আমি অসীম মানুষকে একটি স্থানেই পেতাম!
সেই সাধ আর পূর্ণ হলো কই?
সেই শূন্যতাকে স্পর্শ করতে কোথায় পাবো মহাশূন্যযান?
যা আলোর গতিকে অতিক্রম করতে পারে?
কিন্তু গভীর রাতে যে শূন্যস্থানকে অন্তরজুড়ে অনুভব করি, তা কী মিথ্যা?মরীচিকা?
অসীম জগতে একইসাথে একইসময় উপস্থিতির সংকেত নয় কী আমার মধ্যরাত?
আহা!ঈশ্বর!
মানবতা!
হিন্দু-মুসলিম-বোদ্ধ অথবা খ্রিষ্টান।
মনস্তাত্বিক শূন্যতায় তার স্থান কোথায়?
একইসাথে একইসময় বঙ্গবন্ধু ! তুমি ধারণ করেছো, অজস্রতা।





                   বিকৃতি

প্রকৃতি ইংরেজী অথবা বাংলা ভাষা বুঝেনা, সে ফ্রিকোয়েন্সির ভাষায় কথা বলে!
ফিজিক্সের সুত্রগুলি ভাষা আন্দোলন আর শহীদ চেনানা, তারা গণিতের ভাষায় কথা বলে!
আহা!
মহাবিশ্বের উদারতা!
তার সর্বদিকে অসীমতা!
নিরপেক্ষতা,
মানব মস্তিষ্ক অনুভব করেনি।
অতি-ক্ষুদ্র কিছু বিবর্তনীয় বৈচিত্রতা!
সামান্য কিছু তারতম্য!
ভাষার পার্থক্য,
যারা সহ্য করতে পারেনা,
যারা মানুষের যুগযুগান্তরের মনস্তাত্বিক বিবর্তনকে প্রতিহত করে!
আহা!
রফিক,সালাম!
মানবতার কত বড় বিপর্যয়!
কী মানবিক বিকৃতি!
অথচ এ বিকৃতি এদেশ আজো তার রক্তে বয়ে বেড়ায়!








                 হাইপারস্পেস তার মন
                       

আমি মাইকেল নয় যে কখনো বাংলার মাহত্ম অনুভব করে আবার বাংলা ভাষায় কবিতা লিখবো!

আমি শেখ মুজিবের বন্ধু, যিনি কোয়ান্টাম পার্টিকেলের মতো স্পেস এবং টাইমে সীমাবদ্ধ নয়, যার অন্তর স্থান-কাল ফুটো করে হাইপারড্রাইভ দেয় ঈশ্বরের অন্তর হাইপারস্পেস!

যিনি বাংলাদেশী নয়, অথবা যিনি সীমাবদ্ধ নয়, গ্যালাক্সির অন্য কোনো গ্রহ উপগ্রহে!
তিনি, শূন্য, তিনি স্বাধীন, তিনি বুদ্ধ, তিনি সম্ভাবনাময়!

এ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর মস্তিষ্কের নিউরাল সিলেকশন, তিনি এদেশের মানুষ হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করেছেন!

তিনি এদেশের মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন!

অসীম ঈশ্বরই যেনো অসহায় একটি জাতীর মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ করেছেন!
এ মহাবিশ্ব আমার মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রিক্যাল সিগনাল, আমি সমস্ত গ্যালাক্সির, আমি কোনো স্থান অথবা কালের নই।

আমি সীমার মাঝে অসীমের আরাধনা করি বলেই আমি এ বাংলার!
জাগ্রত, সজাগ, সচেতন।





                              
                          দেবতা
                        [ AVIATOR ]





মুজিব!
তুমি আমার নিকট কোনো ব্যাক্তি নয় এবং মুক্তিযুদ্ধে তোমার কোনো অবদানই ছিলোনা!
কারণ এক হেক্টোসেকেন্ডের জন্যেও যদি অনুভব করতে তুমি মানুষ তবে মুক্তিযুদ্ধ কখনোই সংঘঠিত হতোনা!
তুমি আমার কাছে অসীমের মতোই অজ্ঞাত, যে অসীমকে বিজ্ঞান দ্বারা সঙ্গায়িত করা যায়না!
বিলিয়ন খ্রিষ্টাব্দ অতীতের অপটিক্যাল ইনফিনিটিতে হারিয়ে গেছে মহাবিশ্বের অজানা অনেক হাইপার মুহূর্ত!
আমরা তোমাকে হারাবোনা, অজ্ঞাত রাশিমালায়, অজস্র  ঘটনার ভীড়ে, তুমি বাঙলার মনস্তাত্বিক আকাশের কক্ষপথে সমুন্নত থাকবে চিন্তার মহাকর্ষ শক্তিতে, মহানতর অনুভূতিগুলির সাথে!
মুজিববর্ষের দৈর্ঘ সম্প্রসারিত হোক সমস্ত মহাকাল!
আমার কবিতার প্রতিটি বর্ণমালা পথ চলুক তোমার অনুভূতির সন্ধানে  বিবর্তনের অনাদী স্রোতদ্বারায়!
আমরা আইনস্টাইন আর পিথাগোরাসের মনস্তাত্বিক সন্তানরা তোমাকে নিয়ে ছুটে যাবো গ্রহ, গ্রহান্তরে, সূদুর অতীত এবং ভবিষ্যতে!
বিশ্বের প্রতিটি আনবিক কণায় খোচিত হবে তোমার নাম!
বিশ্বব্রহ্মান্ডের অসীমতায় আমরা চর্চা করবো তোমাকে, যেনো তুমি ছাড়া নেই এ বিশ্বে ঈশ্বরের স্থান!!









                ঈশ্বর

ফুলের বর্ণালীর মাঝে কত কোটি পর্যায়ক্রম ঘটে, গোপনে নিরবে নিবৃতে!
কে দেখে তাকে?
কে পর্যবেক্ষণ করে!
একটি ফুল কোন শব্দ ছাড়াই বিগব্যাং বিন্দুর মতো বিস্ফোরিত হয়, প্রকাশ করে কোনো এক অজ্ঞাত কাল্পনিক রাশির ভাষা!
আমরা শুধু তারপর কী হলো, তাই জানি!
প্রজাপতিগুলি মধ্যাকর্ষকে ক্ষুদ্র দুটি ডানা দিয়ে প্রতিহত করে উড়ে বেড়ায়!
অগোচরে কত গ্রহ-নক্ষত্রের জন্ম হয়, প্রকাশের পূর্বেই ঝরে যায় কত ফুল!
ঠিক এ মুহূর্তে যে মুহূর্তে তোমার মস্তিষ্কের সাইনাস্ফে রেসিং করছে একটি মহাবিশ্ব!
তুমি কখনো আলাদা আলাদা করে প্রতিটি মুহূর্তকে দেখেছো?
ঈশ্বরের মনকে কখনো পাঠ করেছো?
পনেরশত বছর পূর্বে আরবের একটি শরীরে ঐশ্বরিক তরঙ্গ প্রবাহিত হতো, তার স্নায়ুতন্ত্রে অনুরণিত হতো একটি একত্ব!
সে ঈশ্বরের মনকে পড়তো, যাকে মানুষ ওহি বলে!
অসীম মহাবিশ্ব যা তোমার পঞ্চ ইন্দ্রীয় পথে মাথার খুলির অভ্যন্তরে প্রকাশিত তা কি ঈশ্বরের ওহী নয়?
তোমরা শুধু অতীতের অযোক্তিকতায় নিজেদের জীবন, সময় আর শক্তির অপচয় ঘটাও!
তোমার দেহের একটি ব্যাক্টেরিয়া অতীত অথবা ভবিষ্যতের জন্যে নয় সে বর্তমানের জন্যেই বেঁচে থাকে, অবাধ্য তোমার মন!
তুমি বর্তমানকে বুঝো,
বঙ্গবন্ধু তোমাকে ভৌগোলিক স্বাধীনতা দিয়েছে!
মনস্তাত্বিকভাবে তোমাকে স্বাধীন হয়ে উঠতে হবে!
স্বাধীনতার মর্ম তোমাকে উপলব্দি করতে হবে!
প্রতি সপ্তাহে একবার তোমার দেহের প্রতিটি সেল পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে তোমাকে নতুন একটি মানুষে রুপান্তরিত করে!
মনস্তাত্বিক স্বাধীনতা ছাড়া তুমি অস্তিত্বের গভীর তান,লয়,রাগ অথবা রাগিনীগুলি অনুভব করতে পারবেনা!
বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, প্রায় সাত কোটি মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল কারেন্ট  সাম্প্রদায়িক কোয়ালিশন থেকে মুক্ত হোক!
একমাত্র নিরপেক্ষ, এবং শূন্য একটি মস্তিষ্কের মাঝেই অসীমকে উপলব্দি করা সম্ভব!
তোমার মস্তিষ্কের লেফট হেমিস্পিয়ার এবং রাইট হেমিস্পিয়ার আলাদা আলাদা ডাটা প্রসেসিং করলেও তারা ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশনের মাধ্যমে একটি মহাবিশ্বের মডেল তৈরির ডিসিশন নেয়।
তাদের কর্মের লক্ষ্য এক।

মহাবিশ্বের আলাদা আলাদা প্রায় ৩৭ টি কনস্ট্যান্ট বিদ্যমান থাকলেও তারা একটি মহাবিশ্বের ফিজিক্স নিয়ে কাজ করে!
বঙ্গবন্ধু এ প্রাকৃতিক অসাম্প্রদায়িকতাকে তার আবেগ এবং অনুভূতির ভেতর দিয়ে উপলব্দি করতে পেরেছেন!
যা অকল্পনীয়!
বঙ্গবন্ধু একটি অতি-মানবিক আবেগের নাম!
নিরক্ষরতা বোধের মানদন্ড নয়!
তিনি বুদ্ধ ছিলেন, তোমরা তাকে অনুভব করতে পারোনি!

                                         

Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

I am Planck

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১