Your death is my atheism, Writer: Rhesus, a great poem from QBIT
Like Socrates,
I want to say, I know, I know nothing.
The brain
can't know anything like going before the Big Bang point!
Just like I am
as unknown as the Big Bang point!
Every limb of
my body dropped from the supernova explosion is a Versace accident!
When my DNA
didn't design my body, or even before that, I was mixed with the light and air
of the earth, or since billions of years ago, the particles of my body have
been rotating in countless planets, stars and galaxies!
Am I from
Andromeda or Quasar, exactly where I come from or who?
I don't know!
I know,
Every particle
of my whole body is found from space, the boundless emptiness that works
between me!
I got a place
in this Bangla with a space emptiness.
The child has
got the language of expressing that absolute emptiness, the language of my
mother, Bengali!
February 14th,
when many young people in the world are intoxicated,
Then, I said,
Bengali, I love you.
How easily I have
built this cosmic feeling awake in the depths of existence, in the blood, in
the veins and sub-veins in Bengali!
My whole
existence is a language, what is the other way to express my existence without
language?
In this Bengali I
can say without hesitation, there is not a single sub-atomic particle in the
universe without my observation!
In this Bengal my
atheism, my devotion to humanity, in this Bengali I express my cosmic religion!
My universe is Bengali!
But in 1952, I heard that Salam, the son of Feni, gave his
life for the language.
At that time, I was very
young, very young, I did not understand anything.
My "mother" is
the writer of my brain. When I heard the name of Salam,
who is from Salamnagar!
He gave his life for language in '52!
Then my child's brain was
staring in amazement at the unbridled mental emptiness ...!
The atoms of my
body have been in the universe for billions of years, under the observation of
countless observers!
Just as I have
no hand behind my existence, just as my body has no role behind the origin of
the laws of physics,
so too the
Bengali language has some molecular particles recycled from historical
psychology!
But for this
innocent,
natural
evolution, why do the language martyrs have to give blood?
My sense of
humor still rises with occasional headaches!
Like Bangabandhu, every planet wants to shout on the satellite
in a thunderous voice!
I want to issue a writ against the whole
world!
Why irrationally give blood
to the language martyrs?
For a logical answer, for twenty-six long years, from the deepest to the deepest, to the smallest
level of existence, to thousands of abominable sorrows, to suffer, to be
tormented, to be shattered today! Nothing has happened! Now people call him an
atheist!
Oh!
Now I don't
pray to this universe anymore, or to God!
That is as
unchanging as the law of gravity!
Inside the
brain of God, in the blood of three million martyrs, thirty million
possibilities were wasted while his wave cycle was vibration less, steady !!
I can't have
any prayers to God in the form of that selfless material world!
Who could not
stop the brutal assassination of Bangabandhu!
The bloody
moment of that day is still one of my psychological problems!
I'm crazy!
Even if we
translate every particle of the world into language, it is impossible to
explain Bangabandhu's passion for this country!
Every time I
heard the story of Bangabandhu in Sheikh Hasina's face, every time I saw tears
in her eyes, I also cried loudly, shouted mother, no one heard that cry, no one
saw, no one knew!
This is probably
one of the many answers to why I am an atheist!
সক্রেটিসের মতো আমারও বলতে ইচ্ছে করে, আমি জানি, আমি কিছুই জানিনা।
বিগব্যাং বিন্দুর পূর্বে গিয়ে যেমন মস্তিষ্ক কোনোকিছু জানতে পারেনা!
ঠিক তেমনি আমিও যেনো বিগব্যাং বিন্দুর মতো অজানা!
আমার দেহের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুপারনোভা বিষ্ফোরণ থেকে ছিটকে পড়া এক
ভার্সিক দুর্ঘটনা!
যখন আমার ডি এন এ আমার দেহের ডিজাইন প্রস্তুত করেনি তখন বা তারও পূর্বে আমি ছিলাম পৃথিবীর আলো আর বাতাসের সাথে মিশে
অথবা বিলিয়ন বিলিয়ন খ্রিষ্ঠাব্দ পূর্ব থেকেই আমার দেহের পার্টিকেলগুলি আবর্তন করছে
অজস্র গ্রহ নক্ষত্র আর ছায়াপথে!
আমি কী এন্ড্রোমিডা অথবা কোয়েসারের, আমি ঠিক কোথায় থেকে এসেছি অথবা কার?
জানিনা!
আমি জানি,
আমার সমস্ত দেহের প্রতিটি ধুলিকণা মহাকাশ থেকে পাওয়া, আমার মাঝে কাজ করে
সীমাহীন শূন্যতা!
এক মহাকাশ শূন্যতা নিয়ে পেয়েছি আমি এ বাঙলায়
স্থান।
পেয়েছে শিশু সেই পরম শূন্যতা প্রকাশের ভাষা, আমার মায়ের ভাষা, বাংলা!
১৪ ই ফেব্রুয়ারী পৃথিবীর অজস্র তরুণ যখন তরুণীর শরীরের নেশায় উন্মুত্ত বুদ। তখন,
আমি বলেছি, বাংলা, তোমায় ভালোবাসি।
কত সহযে অস্তিত্বের গভীরে, রক্তে রক্তে, শীরা আর উপশীরায় জাগ্রত এ মহাবৈশ্বিক
অনুভূতিকে আমি গেঁথে ফেলেছি বাংলা ভাষায়!
আমার সমস্ত অস্তিত্বটাই তো একটি ভাষা, ভাষা ছাড়া আমার অস্তিত্বকে প্রকাশের আর
উপায় কী?
এ বাংলায় আমি নির্বিঘ্নে বলতে পারি, বিশ্বজগতে আমার পর্যবেক্ষণ ব্যাতীত একটি
অতি-পরমাণবিক কণিকারও অস্তিত্ব নেই!
এ বাংলায় আমার নাস্তিকতা, মানবতার প্রতি আস্তিকতা, এ বাংলায় আমি প্রকাশ করি
আমার মহাজাগতিক ধর্ম!
আমার বিশ্বব্রহ্মান্ডটাই তো বাংলা!
অথচ ১৯৫২ খ্রিষ্ঠাব্দে, শুনেছি, ফেনীর ছেলে সালাম ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছে,
তখন আমি অনেক ছোট, খুব ছোট, কিছুই বুঝিনা তেমন, অলিখিত এক সাদা কাগজে মাত্র আমার
মা আমার মস্তিষ্কে মহাবিশ্বের পরিচিতি লিখতে শুরু করেছে, বাংলা মহাবিশ্ব!
আমার ‘’মা’’ আমার মস্তিষ্কের রাইটার্স।
যখন শুনেছি, সালাম! সালামনগরের! ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছিলো বাহান্নে! তখন আমার
সেই শিশু মস্তিষ্ক বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো অবারিত মনস্তাত্বিক শূন্যতা পানে...!
আমার দেহের অনুপরমাণুগুলি কোটি কোটি খ্রিষ্ঠাব্দ জুড়ে মহাবিশ্বে ছিলো, অজস্র পর্যবেক্ষকের
পর্যবেক্ষণে!
আমার অস্তিত্বের পেছনে যেমন আমার কোনো হাত নেই, ফিজিক্সের সুত্রগুলির উদ্ভবের
পেছনে যেমন আমার দেহের ভূমিকা নেই, ঠিক তেমনি বাংলা ভাষা ঐতিহাসিক মনস্তত্ব থেকেই রিসাইকেল করা কিছু আনবিক কণা!
অথচ এ নিস্পাপ, প্রাকৃতিক বিবর্তনের জন্যে, ভাষা শহীদদের কেনো রক্ত দিতে হয়?
আমার যোক্তিক মন এখনো মাঝে মাঝে অসভ্যের মতো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে!
আমার বঙ্গবন্ধুর মতো বজ্রকন্ঠে প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে!
আমার সমস্ত পৃথিবীর বিরুদ্ধে রিট জারি করতে ইচ্ছে করে !
কেনো অযোক্তিকভাবে ভাষা শহীদদের রক্ত দিতে হলো?
একটি যৌক্তিক উত্তরের জন্যে আমার মনের মাঝে হ্যামলক সম যন্ত্রণা ভর করে এখনো এ
অস্তিত্বের জন্যে টিকে থাকার অন্ধ যুদ্ধেও!
আমি বিষাক্ত থেকে বিষাক্ততর হয়ে উঠি!
কেনো এ আবেগ আমি নিরাময় করতে পারিনা!
আমি কী অসুস্থ্য, সাইকোসিস, আমি কেনো এমন করি?
সেই শিশুটি সুদীর্ঘ ছাব্বিশ বছর গভীর
থেকে গভীরে, একেবারে অস্তিত্বের অতি-ক্ষুদ্রস্তরে, হাজার হাজার জঘণ্য দুখ্য,কষ্ট,
যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়ে,ভেঙে-চুরে আজ শূন্যবাদী হয়ে গেছে!কিছুই না হয়ে গেছে! এখন
লোকে তাকে নাস্তিক বলে!
ওহ!
এখন আমি এ মহাবিশ্বের কাছে, আর কিছু প্রার্থনা করিনা, অথবা ঈশ্বরের কাছে!
নিষ্কাম মধ্যাকর্ষের নিয়মের মতো যে
অবিচল!
যে ঈশ্বরের মস্তিষ্কের ভেতরেই ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তস্রোতে
ত্রিশ লক্ষ্য সম্ভাবনা অপচয় হয়েছিলো অথচ তার ওয়েভ সাইকেল ছিলো
কম্পনহীন, স্থির!!
সেই নিষ্কাম জড়জগতের সুত্রে আবদ্ধ ঈশ্বরের কাছে আমার কোনো প্রার্থনা থাকতে
পারেনা!
যিনি বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডকে ঠেকাতে পারেনি!
সেদিনের রক্তাত্ব মুহূর্তটিই এখনো আমার মনস্তাত্বিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম!
আমার মাথা নষ্ট!
পৃথিবীর প্রতিটি পার্টিকেলকেও যদি ভাষায় রুপান্তরিত করি তবু এদেশের প্রতি
বঙ্গবন্ধুর আবেগ ব্যাখ্যা করা অসম্ভব!
যতবার আমি শেখ হাসিনার মুখে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনেছি, যতবার তাঁর চোখে অশ্রু
দেখেছি ততবার আমিও হাউমাউ করে কেঁদেছি, মা মা বলে চিৎকার করেছি, সে চিৎকার কেউ
শুনেনি, কেউ দেখেনি, কেউ জানেনি!
আমি কেনো নাস্তিক তার অজস্র উত্তরের মধ্যে সম্ভবত অন্যতম উত্তর এটাই !
Comments
Post a Comment