A motivational speech given in the year 2015 for the purpose of science-minded but mentally disturbed youth society to revive.

                          
                           74+ Inspirational Monday Quotes To Explode Your Motivation - BayArt


কারো ফ্যাশন এবং কারো স্টাইল অনুকরণ করার প্রয়োজন নেই।হোমার হোমারকে অনুকরণ করেছে, রবার্ট ফ্রস্ট রবার্টফ্রর্স্টকে অনুকরণ করেছে এবং নেপোলিয়ন নেপোলিয়ন কে অনুকরণ করেছে।নিজেকে অনুকরণ না করে অন্যকাউকে অনুকরণ করার অর্থ হচ্ছে আত্মহত্যা করা।আপনার চেহারা এবং শারীরিক গঠনের মতো এই মহাজগতে দ্বিতীয় কোন সত্তার অস্তিত্ব নেই।আপনি এক, আপনি অদ্বিতীয় এবং আপনি অতুলনীয়।আপনার কোন উদাহরণ নেই আপনার উদাহরণ দিতে হলে এই পৃথিবীতে আপনার মতো সেকেন্ড একটা জিরোক্স কপি থাকতে হবে সেটা সম্ভব নয় এই পৃথিবী আপনার কোন ক্লোন সৃষ্টি করতে পারেনি, পারবেওনা, একটি পরমাণবিক বন্ধনে হলেও ব্যাবধান থেকে যাবে, ডি এন এ হেলিক্সে একটি ইনফরমেশনের জন্যে হলেও তারতম্য থেকে যাবে, কোয়ান্টাম আনসারটেইনটিটি থেকে যাবে।

আপনি এ মহাবিশ্বের একটি মডেল, আপনার প্রতিটি ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রনে, আপনার ব্রেনের প্রতিটি ইলেক্ট্রিক্যাল পালসে মহাবিশ্ব নিজের এক একটি মডেল প্রস্তুত করে যাচ্ছে,সেই মডেল অসাধারণ,অদ্বিতীয়,অনন্য,অতুলনীয় আপনি কোন ভাবেই অর্ডিনারী নন আপনি তখনই অর্ডিনারি হতেন যখন আপনার মতো অবিকল লক্ষ লক্ষ মডেল এই পৃথিবীতে বিচরণ করতো।আপনি কোপেন হেগেনের ইন্টারপ্রিটেশন যা বলে মাইক্রো-স্কোপিক পার্টিকেলগুলি আপনার পর্যবেক্ষণেই তৈরি হয়, মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে আপনার একটি নির্বাচন আছে!আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছেনা আপনার?তাহলে শুনুন এটা আমার কথাও নয় "মডেল ডিপেন্ডেড রিয়েলিজম" নামক একটা বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক থিওরির কথা যেই থিওরি বলছে যে -আপনার সোসাইটির অশিক্ষিত অবহেলিত সেই ক্ষুদার্থ ভিক্ষুকটিও একজন পদার্থবিজ্ঞানী।এটা স্রেপ মুখের কথা নয় এটাই চরম বাস্তব।আপনি জন্মের পর থেকেই বিখ্যাত,কারণ আপনি দুর্লভ!আপনি দুস্প্রাপ্য! ১৩.৮ বিলিয়ন বছর সময়ের দৈর্ঘে ৪৬.৫ বিলিয়ন লাইট ইয়ার্স রেডিয়ার্সের এ ইউনিভার্সে হাবল টেলিস্কোপ দিয়েও আপনার মতো বিখ্যাত একটা মডেলকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়, আপনিই ধর্মগ্রন্থের সে এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বর যাকে শুধু মানুষ কল্পনাই করতে পারে।তুমি পাবলো পিকাসোর ১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বিখ্যাত চিত্রকর্ম দ্যা ড্রিম নও অথবা তুমি নও অ্যাডেলে ব্লচ বাউয়ার!তুমি কী জানো, এ মেটা ইউনিভার্সে মহাবিশ্বের সংখ্যা কত?তবে শোনো! বিখ্যাত বিজ্ঞানী, লিন্ডে এবং ভানচুরিন বলেন একজন মানুষ সারাজীবনে সর্বোচ্চ 10^16 bits ইনফরমেশন সংগ্রহ করতে পারে অতএব মানুষের মস্তিষ্কে সর্বোচ্চ 10^10^16 সংখ্যক কনফিগারেশন রয়েছে আর তাই মানুষের ব্রেন এ সংখ্যাটিকে অতিক্রম করে আর কোনো ইউনিভার্সকে জানতে পারবেনা!!তোমার মস্তিষ্কে ঠিক যতগুলি কনফিগারেশন আছে মেটা ইউনিভার্সে আছে সেই সংখ্যক মহাবিশ্ব!এ সংখ্যাটি কত বিশাল তুমি জানো?বিগব্যাং এর পর যদি শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার ক্রে-ওয়ান দিয়েও প্রতি সেকেন্ডে একটি করে মহাবিশ্বের কনফিগারেশনও তুমি পড়ো তবুও এত বিশাল সংখ্যাটিকে তুমি স্পর্শ করতে পারবেনা অথচ বিজ্ঞানী রোজার পেনরোজ বলছে, তোমার মস্তিষ্ক থিওরিটিক্যালি 10^10^16 এর এই বিরাট সংখ্যাটিকে আলোর গতির চেয়েও দ্রুত গতিকে কোয়ান্টাম টানেলিং এর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে!বিজ্ঞানী স্টাফ মনে করছে, তোমাকে ফিজিক্সের সুত্র দিয়েও সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়না তুমি এতটাই অসীম!!তারপরেও তুমি মৃত্যুকে ভয় পাচ্ছো?

তবে মনে রেখো বিজ্ঞানী রবাট লাঞ্জা অথবা টিপলারের কথা, এ অসীম মেটা ইউনিভার্সে তোমার জন্ম এবং মৃত্যু সবকিছু একইসাথে এবং একই সময় অস্তিত্বশীল হয়ে গেছে, হ্যা!! তোমার আর মৃত্যু নেই!যদি তোমার মস্তিষ্কের নিউরন সেল গুলি অনরকম হতো তবে তুমি এ মহাবিশ্বটিকে হয়তোবা মাকড়সার মতোই উজ্জ্বল বেগুনী দেখতে ঠিক তেমনি হয়তোবা তোমার মস্তিষ্ক তোমাকে এমন কোনো মহাবিশ্বে সংবেদনশীল করে তুলবে তখন যে মহাবিশ্ব মোটেও তোমার অপরিচিত নয়!আজকের বিজ্ঞান হয়তো তোমার অসীমত্বকে পুরোপুরি মেনে নিতে পারছেনা!হয়তো তোমার অসীমত্বকে এখনো ল্যাবে প্রমাণ করা সম্ভব হচ্ছেনা কিন্তু মনে রেখো একসময় কিছু বিজ্ঞানী মনে করতো, বাতাসের চেয়ে ভারী কোনোকিছুই উড়তে পারেনা আর বর্তমানে মহাকাশে রকেট,বিমান আর কৃত্রিম উপগ্রহ ঘুরে বেড়ায়!

‘’আমি শুধু তোমাদের আশাবাদী করছি আর সেজন্যে আমার গলায় নাস্তিকতা অথবা আস্তিকতার মেডেল পড়িয়ে দিওনা!’’

যাইহোক!জুয়েল আইসের ম্যাজিক দেখে আমার প্রাকবৈজ্ঞানিক মস্তিষ্ক চিৎকার দিয়ে বলেছিলো এটা প্যারানরমাল।কিন্তু যখন আমি বিজ্ঞানের একটু টাচ পেলাম সকল প্যারানরমাল তাৎক্ষণিক নরমাল হয়ে গেলো।আপনি একজন পদার্থ বিজ্ঞানী এটা আপনার নিকট প্যারানরমাল হলেও এটাই প্রকৃত বাস্তবতা।আপনি নিজেই সুপার হিউমেন!! ভয়ের কিছুই নেই কোন স্প্রিচুয়াল ডিক্রিজারি করে আপনার অনন্যতা কে মুছে দেয়া যাবেনা কখনো কোনভাবেই।আপনার মস্তিষ্কে দুটি হেমিস্ফিয়ার ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশনের মাধ্যমে একটি মহাবিশ্বের মডেল প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, আমরা আপনার চেতনাতেই আছি ,আপনার সাইকোলজিতেই প্রকৃতির যেই চলচিত্র চলমান সেই চলচিত্র সম্পূর্ণ রুপে ইনোভেটিভ।কখনো কোন কারণে হীনমন্যতার মধ্যে নিজেকে উদযাপন করবেননা।আপনি কেন মেন্টাল কমপ্লেক্সে আক্রান্ত থাকেন?প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে?তাহলে শুনুন,মাইকেল ফ্যারাডে,টমাস আলভা এডিসন,লালন,নজরুল,আরজ আলী মাতব্বর কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছাড়াই বিশ্বের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে আছেন।এমন কী আমি যে আপনাদের আজ বিজ্ঞানভিত্তিক আশারবানী শোনাচ্ছি আমারও আহামরি কোনো শিক্ষা নেই...সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করেছি, বসদের চা সিগারেট খাইয়েছি, পা তুলে স্যালুট দিয়েছি , আমার বয়সী ছেলেরা আমাকে কান ধরে উঠবস করিয়েছে, স্যার বলে সম্বোধন না করে ‘’ভাইয়া’’ বলে ডাকার অপরাধে!!আমি একেবারে কিছুই নয় কিন্তু তাতে আমার মহাজাগতিক মস্তিষ্ক পার্থক্য করেনি! আপনি কি আপনার বাইয়োডাটা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন? ভারতের সংবিধানের প্রণেতা আম্বেদকর হরিজনের বাইয়োডাটা দেয়ার মতো তেমন কিছুই ছিলোনা। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্রেমদাসা বস্তির ছেলে ছিলেন।এরিস্টটল, এন্ড্রু কার্ণেগী, ওনাসিস, কিম জু জং,আর পি সাহা দারিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন!আপনি কি চেহারা, রঙ, রুপ, উচ্চতা, শারীরিক স্ট্যাটাস,কন্ঠস্বর নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগেন?সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মুঙ্গেশকারের চেহারা মোটেও সুশ্রী ছিলোনা।নেপোলিয়ন বেটে ছিলেন,তৈমুর লং খোড়া ছিলেন,হেলেন কিলার অন্ধ ও বধির ছিলেন, স্টিপেন নিউরো মোটর ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৪৬ বছর বাস্তবিকই মৃত ছিলেন, তিনি বলেছিলেন,আমি মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়েই আছি তাই তাকে গ্রহণ করার কোনো তাড়া নেই।আপনি কেন অস্থির হয়ে পড়েন? আপনার অস্থিরতার কারণ কী? রবার্ট ব্রুশ অষ্টমবারে এসে বিজয়ী হয়েছিলেন!মাং সে তুং লং মার্চে নব্বই জন সঙ্গীকে হারিয়েছেন!নেলসন মেন্ডেলা ২৯ বছর অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কারাবরণ করেছেন!আয়াতুল্লাহ খোমেনী দীর্ঘ নির্যাতন আর নির্বাসন অম্লান বদনে হজম করেছেন!জীবন গতিশীল জীবন থেমে থাকেনা!সেই জীবনকে জীবনের গতিশীলতাকে আপনি কেন ভয় করেন?আপনি কেন ভবিষ্যৎ কে হাজার হাজার কাল্পনিক বিপদ দিয়ে সাজিয়ে রাখছেন ! আপনি ভবিষ্যৎকালের সংবাদ জানেননা,আপনার উপস্থিতি ছাড়া ভবিষ্যৎ কখনো কার্যকর হবেনা!আপনি ভবিষতের চিন্তা করবেননা!ভবিষ্যতের চিন্তা ভবিষ্যৎ নিজেই করবে, তাকে হিউ-এভারেটের ওয়েভ ফাংশনে অনিশ্চিত থাকতে দিন!বর্তমানকে ব্যাবহার করুন।যা আপনি জানেননা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে নিজেকে অপচয় করবেন কেন?আপনি কেন প্রতিনিয়ত ভয়ের মাঝে নিমজ্জিত। আপনি কি জানেন না ভয় অতীত থেকে আগত? কিছু কিছু ভয় একেবারেই নিষ্প্রোয়োজন। মানুষের জীবনের বিকাশ এবং প্রকাশের ক্ষেত্রে খুব ক্ষতিকর, ভয়কে নিজের সতর্কতা হিসেবে গ্রহণ করুন, জেনেটিক্যাল সিগনাল মনে করুন।অতীতের একটি ভয়কে কেন্দ্র করে আপনি আপনার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কে দূষিত করে তুলতে পারেন না।আবারও আপনি মৃত্যুকে ভয় পান?পৃথিবীতে এমন একটা প্রাণী দেখাতে পারবেন যে মৃত্যুবরণ করেনি, মৃত্যু কী আপনার একার?স্টালিন লোহ যবনিকার অন্তরালে আশ্রয় নিয়েও নিজেকে মৃত্যু থেকে পরিত্রাণ করতে পারেনি।হিটলার এটম বোমা প্রুফ বাঙ্কারে আত্মহত্যা করে এই পৃথিবী থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।মৃত্যু জীবনের অবধারিত সত্য, সত্যকে গ্রহণ করুন, সত্যই অসীম !সে আপনাকে ঠকাবেনা।!সত্যকে ভয় পাওয়া বোকামি মাত্র।আপনার স্বপ্ন !আপনার কল্পনা! আপনার ভয় আপনার অনুশোচনাআপনি কি তাদের জানতে পেরেছেন! তারা কে?আসলে তারা কেউ কিছুই না আপনি তাদের প্রোফাইলকে ব্রেনের হলোগ্রাপিক স্কিনে পর্যবেক্ষণ করুন,নিরীক্ষা করে দেখুন,দেখবেন এগুলো প্রকৃতির গতিশক্তির একটি স্প্রিচুয়াল প্রকাশনা।আপনার জীবন গতিশীল সেই গতিকে অব্যাহত রাখতেই আপনার সাইকোলজিতে মাল্টি-ডায়মেনশনাল শক্তি প্রতিফলিত হয়। আপনার মাঝে উদয় হয় স্বপ্ন,কল্পনা,আশা,আকাঙ্ক্ষা,হতাশা,অনুশোচনা, ভয়।এগুলি আপনার বিবর্তনীয় অভিযোজন বিবর্তনকে বুঝতে শিখুন!আপনার শরীরের প্রতিটি কণিকা রুপান্তর হয়েছে শক্তি থেকে,আপনার প্রতিটি রাসায়নিক বিক্রিয়া জীবনের গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে ছুটে চলছে প্রতিনিয়ত। আপনার মনের প্রতিটি চিন্তা প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত আপনার দেহের গতিশক্তির ফলাফল।আপনি গতিকে কেন চিনতে পারেন না !!!আপনি কি এই পৃথিবীতে এমন একটা পদার্থ দেখাতে পারবেন যা থার্মো ডায়নামিক্স মেনে চলছেনা, যা সবার জন্যে সত্য তা আপনার ক্ষেত্রে ব্যাতীক্রম হওয়াটাই কী অসুস্থতা নয়?অমরত্ব কী অসুস্থ্যতা নয়?আপনি কী নিজেকে উদাহরণের বাহিরে নিয়ে যাচ্ছেন! বরং না! গতিকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই, এটাই শক্তি, শক্তি ছাড়া একটা পার্টিকেলও নেই, মৃত্যু ভয় এটাও একটা শক্তি,আপনার ব্রেনে এই শক্তি গুলো এক একটি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ বিকিরণ করে।আপনার ব্রেন ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করে আলফা,বিটা,ডেল্টা,থিটাতে নিয়ে যায়।আপনি এখন ভাবুন, আপনি কি একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভকে ভয় পাবেন যেই তরঙ্গ আপনার নিজের মাঝেই সৃষ্টি হয়েছে এবং যেই বৈদ্যুতিক বিকিরণ ঘটছে আপনার পর্যবেক্ষনেই?





by Risus Vartue


Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১

I am Planck