কোয়ান্টাম সুপারপজিশন এবং এন্ট্যাংগেলমেন্ট কী পারে টাইম প্যারাডক্স লঙ্গন করতে? লিখেছেন- রিসাস


 










The Quantum Physics of Time Travel by chamal ruwanjith on Prezi Next
















 

 

যদি সময় ভ্রমণ করে তের মিলিয়ন বছর অতীতে যেতে পারতেন এবং সব প্রাইমেটদের করোনা ভাইরাস সংক্রমিত করে মেরে ফেলতেন তাহলে কেমন হতো?বিবর্তন তত্ব অনুসারে, শিম্পাঞ্জি,ওরাল,ওটাং এবং আমরা প্রাইমেট নামক একটি আদিম পূর্বপুরুষ থেকে এসেছি আর এ জন্যে আমাদের সকলের জেনেটিক্যাল কোড প্রায়ই একইরককম!কিন্তু কেমন হতো যদি সময় ভ্রমণ করে তের মিলিয়ন বছর পূর্বে যেতে পারতেন এবং আপনার পূর্বপুরুষ আদিম প্রাইমেটদের এটম বোমা মেরে নিশ্চিহ্ন করে ফেলতেন?যদি আপনার পূর্ব-পুরুষই না থাকতো তবে আপনারই বিবর্তন ঘটতোনা, কোন মানুষেরই জন্ম হতোনা, এটম বোমাও আবিষ্কার হতোনা আর আপনিই যদি না থাকেন তবে অতীত ভ্রমণ করে প্রাইমেটদেরকে হত্যা করলোই বা কে!!এটাই টাইম ট্রাভেলের একটি প্যারাডক্স!সময় ভ্রমণ থিওরিটিক্যালি সম্ভব কিন্তু আবার এটি তাত্বিকভাবেই কিছু গোলোযোগ সৃষ্টি করে!যেমন আপনি যদি সময় ভ্রমণ করে আপনার মায়ের কলেজ জীবনে চলে যান এবং তাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নিজেই বিয়ে করে পেলেন তবে আপনার জন্ম হলো হতো কি করে? আপনি কী নিজেই নিজেকে জন্ম দিয়েছেন?এটাও কী সম্ভব অতীতে গিয়ে নিজেকে নিজে জন্ম দিয়ে আবার ভবিষ্যতে ফিরে আসাক!সময় ভ্রমণের অনেক মজার মজার প্যারাডক্সের মধ্যে গ্রেন্ড ফাদার প্যারাডক্স, হিটলার প্যারাডক্স, কজাল লুপ এবং বুটস্ট্রেপ প্যারাডক্স অন্যতম!গ্রেন্ড ফাদার প্যারাডক্স অনুসারে আপনি যদি আপনার দাদুর সময়ে গিয়ে আপনার দাদাকেই হত্যা করেন তাহলে আপনার পিতার জন্মই হতোনা? আর যার কোন পিতাই নেই সে কী যিশুখ্রিষ্ঠের মতো  এমনি এমনি জন্মগ্রহণ করবে?টাইম ট্রাভেলের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো আপনি যদি অতীতে ভ্রমণ করেন তবে কোন না কোনভাবে অতীতে আপনার উপস্থিতি আপনার ফিউচারকে প্রভাবিত করবে!

 

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, আইনস্টাইন সময়কে আলাদা একটি ডায়মেনশন মনে করেন, যে ডায়মেনশনে মহাবিশ্বের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রত্যেকটি মুহূর্তের ক্লোন রয়ে গেছে!ব্যাপারটা হয়তো অনেকে বুঝেন নি?তাইনা!দাঁড়ান বুঝিয়ে বলছি, সময়ের ডায়মেনশনটি হলো আপনার ফেসবুক অথবা টুইটারের টাইমলাইনের মতো।আপনার প্রত্যেকদিনের স্ট্যাটাসগুলি যেমন আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে সংরক্ষিত থাকে ঠিক তেমনি আপনার জীবনের প্রত্যেকটি মুহূর্তও সময় নামক এই ডায়মেনশনটিতে একেবারে টাইমলাইনের মতোই সেভ করা থাকে।আপনার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আপনার জীবনের কোন মুহূর্তে আপনি কেমন ছিলেন প্রত্যেকটি মুহূর্ত এ ডায়মেনশনটিতে একেবারে অবিকল রয়ে গেছে বা কোন ঘটনাই সময়ের এ ডায়মেনশন থেকে মুছেনা!কারণ আইনস্টাইন মনে করতেন ইনফরমেশন থাকে আলোক তরঙ্গে যে ইনফরমেশন বা বাস্তবতার কোন অস্তিত্বই নেই সে বাস্তবতাও আলোক তরঙ্গের মধ্যে অস্তিত্বশীল!ব্যাপারটা মনে হয় একটু কঠিন হয়ে গেলো, না?কোন টেনশন নেই!বুঝিয়ে বলছি!মনে করুন বিশ লক্ষ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির নক্ষত্র গুলি থেকে আমাদের পৃথিবীতে আলো প্রবেশ করতে সময় প্রয়োজন হয় বিশ লক্ষ মিলিয়ান বছর।এমন অনেক নক্ষত্র আছে এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সিতে বর্তমানে যাদের কোন অস্তিত্বই নেই অথচ তাদের আলো মাত্র আমাদের চোখের রেটিনায় এসে প্রবেশ করেছে এবং আমাদের মস্তিষ্ক মনে করছে নক্ষত্রগুলি এখন, এই মুহুর্তেই অস্তিত্বশীল।নক্ষত্রগুলি যে নেই সেটা আমাদের ব্রেন বুঝতে পারছেনা কারণ ইনফরমেশনগুলি থাকে আলোক তরঙ্গে।বন্ধুরা!মজার ব্যাপার হলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনটিও কিন্তু ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ দিয়েই তৈরি করা!যাইহোক জটিলতার মধ্যে না যাই!আইনস্টাইনের মতে, আপনি আপনার ফেসবুকের টাইমলাইন থেকে যেমন বহুবছর পূর্বের মুহূর্তগুলিও হুবহু খুঁজে পান ঠিক তেমনি আপনি যদি আপনার জীবনের সময়ের ডায়মেনশনে ভ্রমণ করেন তবে আপনি আপনার জীবনের অতীতের প্রত্যেকটি মুহূর্ত খুঁজে পাবেন!

 

স্টিফেন হকিং বরাবরের মত একগুয়ে স্বভাবের তিনি টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমে অতীতে যাওয়ার তত্ত্বের সম্পূর্ণ বিরোধি ২০০৯ সালের ২৯ই জুন তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চেম্বারে একটি পার্টির আয়োজন করেন। তবে পার্টিটি কোন সাধারন মানুষের জন্য ছিলোনা  না ! তার পার্টিটি ছিল সম্পূর্ণভাবে "সময় অভিযাত্রী" বা টাইম ট্রাভেলারদের জন্য স্টিফেন হকিংস মনে করেছিলেন যদি টাইম ট্রাভেল সত্যি হয় তবে অবশ্যই সময় ভ্রমণকারীরা তার সাথে দেখা করতে আসবেন!তিনি "welcome time travelars" ব্যনার, ফেস্টুন বেলুন নিয়ে সারারাত অপেক্ষা করলেন কিন্তু কেউ দেখা দিল না হ্যা , হাস্যকর শোনাতে পারে কেনই, বা টাইম ট্রাভেলার তার সাথে দেখা করতে গিয়ে উল্টো বিপদে পরবেন !! তবে যাই হোক, স্টিফেন হকিং নিজেকে আবার আপাতত সঠিক প্রমান করলেন !

 

২০০০ সালের নভেম্বরে জন টিটোর নামে ফ্লোরিডার এক ব্যাক্তি হুট করে দাবি করে বসলেন যে তিনি ২০৩৬ সাল থেকে তিনি বর্তমান সময় অর্থাৎ ২০০০ সালে এসেছেন তিনি মুলত একজন সৈনিক এবং তাকে অনেকের মাঝে থেকে নির্বাচিত করে আলাদা ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল তার প্রধান কাজ ছিল ১৯৭৫ সাল থেকে IBM 5100 সিরিজের একটি কম্পিউটার তার সময়ে নিএ যাওয়া তার পিতামহ আইবিএমের একজন প্রোগ্রামার ছিলেন বিধায় তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল IBM 5100 কম্পিউটারটির প্রয়োজন কারন অনেকগুলি প্রোগ্রাম ডিবাগ করতে হত তবে সে মাঝে ২০০০ সালে যাত্রা বিরতি দেয় বিশেষ ব্যাক্তিগত কাজে তার পরিবারের কিছু মানুষের সাথে দেখা করা এবং তার পরিবারের কিছু ছবি সাথে করে নিয়ে যাওয়া যা তার সময়ে হারিয়ে গিয়েছে , তিনি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বেস কিছু মন্তব্য করেন এবং বেস কিছু মাস হলো  ২০০০ সালে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছিলেন কী আজব একজন ব্যাক্তি ২০৩৬ সাল থেকে এসে ২০০০ সালে যাত্রা বিরতি দিয়ে অপেক্ষা করছেন তিনি সময়ের ভেতর হাটাহাটি করছেন ব্যাপারটা অদ্ভুদ না!আমরা এতদিন শুনেছি কোন স্থানের মধ্যে দাঁড়ানো যায়, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ করা যায়, অপেক্ষা করা যায় কিন্তু কেমন লাগবে ব্যাপারটা শুনতে যে একজন ব্যাক্তি ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে ৩০০০ খ্রিষ্ঠাব্দ থেকে একটি মেয়ে তার সাথে দেখা করতে আসবে!যাইহোক জন টিটোর  মতে ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র "জনগনের অধিকার আদায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার নামে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গৃহযুদ্ধের সুচনা করবে, যা ভবিষ্যতে নিউক্লিয়ার যুদ্ধ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডাক দিবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেকটি অঙ্গরাজ্য আলাদা ভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করবে ২০১২ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ থাকবে আর ২০০৪ সালে অলিম্পিকের শেষ আসর বসবে যদিও তার কোনটিও ঘটে নি ।২০০০ সালেই তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে রহস্যজনক ভাবে তিনি প্রিজন সেল থেকে উধাও হয়ে যান। তারপরে কেউ তার আর হদিস পান নি !তার ভবিষ্যতে চলে যাওয়ার মাস পরে সার্ন নাকি ব্লাকহোল তৈরি করতে পারবে বলে জন টিটোর জানিয়েছিল যদিও সেসময় তা সম্ভব ছিল না কিন্তু বর্তমানে সার্ন মিনিইয়েচার ব্লাকহোল তৈরি করে যা কয়েক ন্যানো সেকেন্ডে নিঃশেষ হয়ে যায় ভয় পাবেন না এসব ব্লাকহোল ভর বৃদ্ধির পূর্বেই ধ্বংস হয়ে যায়

জন টিটোর যদি সত্যি এসে থাকত তাহলে তার অতীতে পদার্পণের ফলে তার সময়ে কিছু না কিছু তো হেরফের হবেই কিন্তু আইনস্টাইনের সাধারন আপেক্ষিকতত্ত্ব বলছে অন্য কথা তিন স্থান মাত্রার বাহিরে চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময়কে আইনস্টাইন নতুনভাবে মূল্যায়ন করলেন যা আমরা এর আগেও বলেছি, তার এই তত্ত্বের সময়কে নিয়ে অনেকগুলি অনুসিদ্ধান্তের মধ্যে সময়ের সিরিজ। যা প্যারালাল মহাবিশ্বতত্ত্বের সুচনা করে প্যারালাল মহাবিশ্ব কী?দাড়ান বলছি আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এক একটি অংশে অবস্থান করছে আর প্রত্যেকটি অংশই এক একটি আলাদা আলাদা ইউনিভার্স, প্রত্যেকটি মুহূর্তেই আপনি এক একটি ইউনিভার্সে উপস্থিত হচ্ছেন এবং সেই ইউনিভার্স থেকে সুইপ করে আর একটি ইউনিভার্সে প্রবেশ করছেন!এবং প্রত্যেকটি মুহূর্তের ইউনিভার্সেই অসীম একটি মহাকাশ আছে, আছে গ্রহ নক্ষত্র, প্রতিটি ইউনিভার্সই আবার মহাবিস্পরণ বিন্দু বিস্ফোরিত হয়ে তৈরি হয়েছে, প্রত্যেকটি ইউনিভার্সে কাজ করছে ডারউইনের বিবর্তনবাদ এবং কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের অদ্ভুত সুত্রগুলি!ব্যাপারটা অদ্ভুত না!!

 

 

 হ্যা সময় হল অনেকটা ফেসবুকের টাইমলাইনের মত , প্রতিটা মুহূর্ত একেক অংশে অবস্থান করছে প্রতিটা মুহূর্তে আপনি উপস্থিত রয়েছেন। প্রতিমুহূর্তে আপনার জন্ম হচ্ছে আবার মৃত্যুও হচ্ছে এতে করে কিন্তু আগের বা পরের মুহূর্তে এর প্রভাব পরছে না অর্থাৎ সময় হল একটি সমন্তরাল বা প্যারালাল মুহূর্তের সন্নিবেশ।

 

লিনিয়ার টাইমলাইনে আপনার সময় বা আপনার অতীত বা ভবিষ্যৎকে আপনার আসল বা অরিজিনাল না বিবেচনা করে রেপ্লিকা হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।অর্থাৎ গ্র্যান্ডফাদারকে আপনি না হয় খুন করলেন , এতে কিন্তু আপনার সময়ে কিছুই পরিবর্তিত হবে না কিন্তু যেই সময়ের দাদুটিকে আপনি মেরেছেন তার সময়ের ভবিষ্যতের অনেক কিছু পরিবর্তন হবে সহজ ভাবে বলতে , আপনার সময়ের দাদু ঠিকই বেঁচে থাকবে, অতীতের দাদুটিকে মারলেও তার প্রভাব আপনার সময়ে পরছে না ।হ্যা ম্যানিওয়ার্ল্ডস থিওরি আমাদের এটাই বলছে, মেনি ওয়ার্ল্ডস থিওরি অনুসারে যেহেতু প্রত্যেকটি মুহূর্তই আলাদা আলাদা ইউনিভার্সকে নির্দেশ করছে অতএব কোন ইউনিভার্সই অন্য কোন ইউনিভার্সে প্রবেশ করতে পারবেনা, আপনি আপনার গ্রেন্ড ফাদারকে যে জগতটিতে হত্যা করেছেন সেই হত্যাকান্ডটি শুধুমাত্র সে জগতটিকেই প্রভাবিত করবে, সে জগতের তথ্য আপনার জগতে প্রবেশ করতে পারবেনা!হলি কাউ!কিছু কী বুঝতে পারছেন?তার মানে আপনি আমার স্ট্যাটাসটি পড়তে পড়তে এই মাত্র যে মুহূর্তটি ক্ষয় করলেন সেটি আসলে কোন মুহূর্ত নয় সেটি নিজেই একটি অসীম মহাবিশ্ব যে মহাবিশ্বটিতে আপনার আলাদা একটি টাইমলাইন আছে বা সে মহাবিশ্বটির ভেতরেও আরো ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন প্যারালাল মহাবিশ্ব আছে, যে জগতগুলিতেই আপনার মা,বাবা, প্রেমিকা অথবা মুহূর্তে আমার আর্টিকেল সবকিছু পাওয়ার সম্ভবনা আছে! যাক আর সামনে না যাই, ব্রেন এমনিতেই স্পিন করছে! সম্প্রতি ইসরাইলের কম্পিউটার বিজ্ঞানী ডোরন ফ্রেডমান কম্পিউটার এলগোরিদম ব্যবহার করে একটি সমাধান পেয়েছেন তিনি কম্পিউটার এলগোরিদমকে প্রশ্ন করেছিলেন-টাইম প্যারাডক্স কিভাবে এড়ানো যায়? সমাধানটি এমন টাইম মেসিন ব্যবহার করে অতীতে যাওয়া সম্ভব হলে ভবিষ্যতেও যেকোনো মুহূর্তে যাওয়া সম্ভব কোন ব্যক্তি অতীতে ফেরত গিয়ে তার দাদুকে ছোটবেলায় মেরে তার দাদীকে/ঠাকুরদীকে বিয়ে করল তাতে তার সন্তান জন্ম নিল যা তার বাবা সে আবার ভবিষ্যতে ফেরত এল অর্থাৎ, একই ব্যাক্তি নিজেই নিজের দাদু , ব্যাপারটি গা ঘিনঘিনে মনে হচ্ছে? কম্পিউটার এলগোরিদমটি অজস্র সামাধান দিয়েছিলো তার মধ্যে আরো একটি সামাধান এরকম।মনে করুন, আপনার বাবা সময় ভ্রমণ করে যাস্ট এক বছর ভবিষ্যতে চলে এলো এবং আপনার মাকে প্রেগন্যান্ট করলো আর আপনি ঠিক মুহূর্তে অতীতে গিয়ে আপনার বাবাকে খুন করলেন যদিও আপনার বাবা এক বছর ভবিষ্যতে ছিলো তখন! এর চাইতেও আরও অদ্ভুত আরেকটা প্যারাডক্স আছে যেখানে নিজেই নিজের বাবা,মা,সন্তান !

 

 

 

 

 

 

আবার, কেমন হবে যদি আপনি আপনার দাদুকে মারলেন কিন্তু আপনার জন্ম হয়নি, আবার আপনার জন্ম হয়েছে এবং দাদুকে মারেননি এমন একটি ব্যাপার তৈরি হয়?হ্যা এটাকে প্যারাডক্স না মনে করে কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগেলমেন্ট হিসেবে ভাবুন।বুঝেন নি সম্ভবত?শুনুন তবে! কোয়ান্টাম জগতে একটি ব্যাপার আছে যাকে বলা হয় সুপারপজিশন।সুপারপজিশনকে বুঝানোর জন্যে বিজ্ঞানী শ্রডিঙ্গার একটি বাক্সের উদাহরণ দিয়েছেন।মনে করুন একটি বাক্সে আপনি আপনার প্রিয় বেড়ালটিকে রেখে দরজাটি বন্ধ করে দিলেন, বাক্সের মধ্যে একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ রাখা আছে এবং ৫০ পার্সেন্ট সম্ভাবনা আছে যে ৫ মিনিটের মধ্যেই তেজস্ক্রিয় পদার্থটি বিস্ফোরিত হবে এবং বেড়ালটি মারা যাবে!কিন্তু ৫ মিনিট পূর্বে বাক্সের দরজা ওপেন করার পূর্বে আপনি কী বলতে পারবেন বেড়ালটি জীবিত অথবা মৃত?না পারবেন না বরং আপনার মস্তিষ্কে বেড়ালটি ৫০ পার্সেন্ট জীবিত এবং ৫০ পার্সেন্ট মৃত হিসেবে অস্তিত্বশীল হয়ে উঠবে।তথা বেড়ালটি আপনার মস্তিষ্কে একসাথে দুটি মহাবিশ্বে অস্তিত্বশীল হয়ে উঠবে।একইসাথে ‘’হ্যা’’ এবং একইসাথে ‘’না’’।বা একইসাথে ০ এবং একইসাথে ১।যেটাকে বলা হয় কিউবিট বা কোয়ান্টাম কম্পিউটার বিট।তো আপনি যদি কোয়ান্টাম সুপারপজিশন থিওরি দ্বারা সময় ভ্রমণকে দেখেন তবে আপনি একইসাথে জীবিত এবং একইসাথে মৃত এবং আপনার দাদুও একইসাথে জীবিত এবং একইসাথে মৃত।আবার আপনার জন্ম হয়েছে কিন্তু আপনার দাদুকে আপনি হত্যা করেছেন এবং আপনার জন্ম হয়নি আপনার দাদুকে আপনি হত্যা করেননি; এ দুটো ব্যাপার কোয়ান্টাম সুপারপজিশনে একসাথে সংঘঠিত হবে!!

 

 

 

আলোর বা লাইট অব ওয়েভের  ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টের পরীক্ষা কথা আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন, যে একটিমাত্র ফোটন কনা কিভাবে একই সাথে দুইটি ছিদ্র দিয়ে অতিক্রম করে আবার আলো একইসাথে কনা তরঙ্গ উভয় ধর্ম প্রদর্শন করে অর্থাৎ আমাদের সামনেই আমাদের অজ্ঞাতেই একই সাথে দুই অবস্থায় এমনকি দুই স্থানে আলো অবস্থান করছে ফোটন কেন যে কোন ধরনের সাব-এটমিক পার্টিকেলের ক্ষেত্রেও এমন কথা প্রযোজ্য তারা একই সাথে দুই সময়েও অবস্থান করে একই কথা আপনার দাদুর জন্যেও প্রযোজ্য আপনার দাদু বেচেও আছেন আবার মারাও গেছেন তাহলে, আপনার জন্য একই সুপারপজিশন ঘটবে, অর্থাৎ আপনার জন্ম হতেও পারে- নাও পারে তাহলে , দুই ঘটনার মিলিত সুপারপজিশন হয় আপনি বেঁচে আছেন-আপনার দাদুকে মেরেছেন, আপনার জন্ম হয়নি-আপনার দাদু বেঁচে আছেন অর্থাৎ, কনার দুই অবস্থানের মতই এই ঘটনাটি একই আচরন করছে

 

 

ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টে একটি পার্টিকেল যেমন একইসাথে ওয়েভ এবং একইসাথে পার্টিকেল ঠিক তেমনি

আপনিও আপনাকে একটি ফোটন কণা হিসেবেই চিন্তা করুন।আপনি দেয়ালের ভেতর দিয়ে হেঁটে চলে গেলেন কিন্তু কোন প্রতিবন্ধকতাই অনুভব করলেন না!ঠিক একইভাবে আপনি আমাদের মহাবিশ্ব ছাড়াও অসীম সংখ্যক মহাবিশ্বে উপস্থিত থাকতে পারেন।সময় ভ্রমণকে যদি কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগেলমেন্ট এবং সুপারপজিশনের ভিত্তিতে দেখা হয় তবে টাইম প্যারাডক্সকে খুব সহযেই এড়িয়ে যাও যায়!

 

 

লিখেছেন- রিসাস


Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

I am Planck

প্রাইম নাম্বার এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট- ৫