হাইপারব্রেন; কেনো নাস্তিকদের আই কিউ গড়পড়তা আস্তিকদের তুলনায় বেশি?, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-৪১


   A scientist looked through 63 studies to conclude atheists are ...





কেনো নাস্তিকরা আস্তিকদের তুলনায় যুক্তি,দর্শন এবং বৈজ্ঞানিক প্রতিভায়  অনেক বেশি শক্তিশালী?পৃথিবীর প্রায় আট বিলিয়ন মানুষের মধ্যে বর্তমানে ১২০ কোটি মস্তিষ্কের পালসেশনই নাস্তিক।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ইন্টালেকচুয়ালিটি এবং সৃষ্টিশীলতার দিক থেকে নাস্তিকরা আস্তিকদের থেকে বহুগুণ উন্নত।লন্ডন ইকোনোমিকসের বিবর্তনীয় সাইকিয়াট্রিস্ট সাতোসি কানাজাওয়ারের পরিচালিত সোশ্যাল সাইকোলজি কোয়ার্টারলি, ভলিউম-৭১ থেকে জানা গেছে নাস্তিক এবং উদারপন্থিরা ধার্মিক এবং রক্ষণশীলদের থেকে অনেক বেশি বুদ্ধিসম্পন্ন এবং স্মার্ট হয়ে থাকে।সোশাল কোয়ার্টারলি জার্নালে ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘’হোয়াই লিভারেল এন্ড এথিস্ট আর মোর ইন্টিলেলিজেন্ট’’ নামক একটি গবেষণাপত্রে, ঈশ্বরের বিশ্বাসী ধার্মিকদের তুলনায় নাস্তিকদের আউ কিউ গড়পড়তা পয়েন্ট বেশি থাকে।আবার রক্ষনশীলদের থেকে উদারপন্থি এবং প্রগতিশীল ব্যাক্তিদের আই কিউ বেশি থাকে ১২ পয়েন্ট।ধার্মিকদের প্রকোপ যত বাড়ে তার সাথে সঙ্গতি রেখে আই কিউ হ্রাস পায় যেমনঃ চরম নাস্তিকদের গড়পড়তা আই কিউ পাওয়া গেছে ১০৩. পার্সেন্ট।আবার চরম আস্তিকদের আই কিউ ৯৭.১৪।গড়পড়তা অন্তত পয়েন্ট কমে থাকে।


নাস্তিকদের মস্তিষ্কের আই কিউ কে ব্যাখ্যা করার জন্যে আমি এখন আলোচনা করবো মানবদেহের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্যারাসাইট নিয়ে।প্রথমে বলি, ডেমোডেক্স ফোলিকালোরাম প্যারাসাইটের কথা।এরা এতটাই ক্ষুদ্র যে মাইক্রোস্কোপ ছাড়া এদেরকে সনাক্ত করা যায়না।ক্ষুদ্র হলেও ডেমোডেক্স আর্থোপোড বা যুক্তপদী।এদের শরীরের দুই দিকে চারটি করে সর্বমোট আটটি পা থাকে।এরা দেখতে লিকলিকে, লম্বা দেহ।ডেমোডেক্স ফলিকালোরাম আমাদের চুল এবং রোমকূপে বাস করে, মাইক্রোস্কোপে দেখলে মনে হয় তারা আমাদের দেহে সুইম করছেআবার ডেমোডেক্স ব্রেভিস বাস করে আরো গভীরে শরীরের তৈলাক্ত স্থানে।

তবে এই ডেমোডক্স পরজীবীদের ব্যাপারে একটা আজব তথ্য হল এদের মধ্যে স্ত্রীরা ডিম পাড়লেও এদের কনো পায়ুপথ নেই, যা দ্বারা এরা বর্জ্য নিষ্কাশন করবে!
বিশেষজ্ঞদের ধারণা যেহেতু এদের জীবনকাল খুবই কম থাকে, এরা হয়তো শেষ সময়ে বর্জ্য সহই বিস্ফারিত হয়ে যায়!মূলত জীবনকালের শেষদিকে এসে এদের দেহ শুকিয়ে যায় এবং সঞ্চিত থাকা বর্জ্য বেড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত ত্বকে এবং সেই সাথে ব্যাকটেরিয়ারাও! North Carolina State University এর গবেষক Megan Thomas বলেন, “আমার মনে হয় তারা সেরকম ক্ষতিকারক নয় যেমন করে তারা আমাদের চোখে ধরা পড়ে

 More About Mites | Ungex Demodex Treatment for hair mites



ডেমোডেক্সের মতোই আস্তিকদের মস্তিষ্কের ভেতরে এমন অনেক মাইক্রোস্কোপিক প্যরাসাইটিক চিন্তা আছে যা তারা স্বাভাবিক অবস্থায় সনাক্ত করতে পারেনা, এসব চিন্তা স্বাভাবিকভাবে আমাদের সমাজের জন্যে ক্ষতিকর নয়, এমনকি তাদের মাঝেও উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো সমস্যা তৈরি করেনা কিন্তু সাব-কনসাসলি এদের মস্তিষ্কে প্রেসার ক্রিয়েট করে, যেমনঃ যখন তারা বায়োলজির ক্লাস করে তখন তারা বায়োলজির অনেক টার্ম সাব-কনসাসলি গ্রহণ করতে পারেনা, তারা যখন বিবর্তন নিয়ে কোনো একটি গ্রন্থ পড়বে তাদের সাব-কনসাস মাইন্ড তাদেরকে গ্রন্থটি সঠিকভাবে বুঝতে দেবেনা, তাদের মধ্যে একটি অস্বস্তি এবং আতঙ্ক তৈরি করবে, তাদের ভেতর এমন কিছু ভয় সৃষ্টি করবে যে, তুমি ডকিন্সের গড ডিলুশন পড়তে পারোনা, তোমার বিশ্বাসের ক্ষতি হবে, তুমি ধর্মহীন হয়ে যাবে, তুমি নাস্তিক হয়ে যাবে।এভাবে তার সাব-কনসাস মাইন্ডে ডেমোডিক্সের মতো অনেক গুলি সাইকোলজিক্যাল প্যারাসাইট দলে দলে ঘুরে বেড়াবে এবং তাদের মস্তিষ্কে একটি প্রোটেকশন লেবেল তৈরি করবে যেনো তারা সেই গ্রন্থটি সঠিকভাবে বুঝতে না পারে, যেনো গ্রন্থটির প্রতি তাদের ঘৃণা তৈরি হয়, বিদ্বেষ তৈরি হয়।এবং এতে করে তাদের শরীর উত্তপ্ত হয়ে যাবে, কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝমবে কিন্তু তারা বুঝতেই পারবেনা মিউজিয়ামে কোন একটি মূর্তি দেখলে, ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার অথবা বিশ্বাসের ভাইরাস পড়লে, স্টিফেন হকিংস এবং আইনস্টাইনকে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বললে কেনো তাদের ভেতর খারাপ লাগে, সবকিছু বিষাক্ত লাগে, কেনো তারা রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়তে অস্বস্তিবোধ করে, কেনো তসলিমা নাসরিনের নাম শুনলেই ক্রোধ সৃষ্টি হয়, কেনো নজরুলকে কেউ নাস্তিক বললে তাদের মস্তিষ্ক হ্যাং হয়ে যেতে চায় তারা সেটা বুঝতে পারেনা!তারা বুঝতে পারেনা ডেমোডিক্সের মতো তাদের মস্তিষ্ক অতি-ক্ষুদ্র কিছু ভয়াভহ প্যারাসাইট হেটে বেড়াচ্ছে যারা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর কিন্তু তাদেরকে কোনোকিছুর দিকে সঠিকভাবে মনযোগ দিতে দিচ্ছেনা, সবসময় ভেতরে ভেতরে ফোর্স করছে।তারা সি এন জিতে কোন একটি মেয়ের সাথে বসলে অনেক বিব্রতবোধ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষিকা বিজ্ঞান এবং দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বললে তার প্রতি বিচিত্র বিতৃষ্মা জাগে।হিজাব না পড়ে কেউ সংবাদ পত্র পাঠ করলে তার সংবাদ শুনতে তাদের কষ্ট হয়।যার তার প্রতি সেক্স ফিল করতে পারেনা, সবসময় প্রেসার অনুভব করে।ডেমোডেক্সের মতো এদের ব্রেনে কিছু একটা সবসময় ভেতরে ভেতরে ঘুরে বেড়ায় আর এদের মধ্যে বিচিত্র ব্যাথা,অস্বস্তি,বিরক্তি অথবা ক্রোধ তৈরি করতে থাকে যার কোনো দৃশ্যমান কারণ তারা আপাতত বুঝে উঠতে পারেনা।তারা বুঝে উঠতে পারেনা ভয়ানক কিছু প্যারাসাইট তাদের মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে!আর এই প্যারাসাইট গুলি তাদেরকে কোনোকিছু সঠিকভাবে অনুভব করতে দেয়না, ইন্দ্রীয়গুলিকে কন্ট্রোল করে, তাদের চোখ, কান, মুখ সবকিছুকে ভেতরে ভেতরে কন্ট্রোল করে।তাই এদের আই কিউ কমে যায়।এরা রিয়েক্টিভ হয়।

স্ক্যাভিস মাইটঃ 

What are the microscopic bugs that eat our dead skin cells ...



হাসপাতাল এবং জেলখানায় আবদ্ধ ব্যাক্তিদের মধ্যে এই স্ক্যাভিসটি সংক্রমিত হয়।এগুলি সাধারণত একজনের সংস্পর্শ থেকে আর একজনের ভেতর ছড়ায়।যা আমাদের দেহে ভয়ানক চুলকানীর জন্ম দেয় কিন্তু তারা এই চুলকানির দৃশ্যমান কারণ ধরতেই পারেনা।মাইক্রোস্কোফ দিয়ে দেখলে এই অতি-ক্ষুদ্র পরমাণু সম প্রাণীদেরকে এমনই ভয়ানক মনে হয়।এদের শরীরে ধারালো সুড় থাকে।যা শরীরে ক্ষত তৈরি করে। ঠিক তেমনি একজন শিশু যখন দীর্ঘদিন মক্তব এবং মাদ্রাসার মতো বদ্ধ স্থানগুলিতে থাকে, অথবা যারা তাবলিগ,বিশ্ব ইজিতেমা, ওয়াজ,মাহফিল এবং সাপ্তাহিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে স্ক্যাভিসের মতো কিছু সাইকোলজিক্যাল মাইট সংক্রমিত হয়।এ মাইট আক্রান্ত ব্যাক্তিরা সবসময় অন্তরগতভাবে পোড়ে, তাদের মন চুলকায়, কেনো পোড়ে, কেনো যন্ত্রণা হয় তারা সেটা বুঝতে পারেনা, গভীর শীতের রাতে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও কম্বল ছেড়ে দিয়ে তারা মসজিদে ছুটে যায়, মনযোগ দিয়ে পড়াশুনা করতে পারেনা, কখন আযানের শব্দ হবে, কখন সে নামাজে যাবে এমন একটি মনস্তাত্বিক চুলকানী তাদেরকে সবসময় জর্জরিত করে, ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস চলাকালীন সে উদগ্রীব হয়ে যায়, আযানের শব্দ শুনলেই সে উত্তক্ত হয়ে উঠে, পুড়তে তাকে, সে আর ক্লাসে মনযোগী হয়ে উঠতে পারেনা।এই রিলিজিয়াস স্ক্যাভিসগুলি এদেরকে সঠিকভাবে ঘুমোতে দেয়না, গভীর রাতে আকষ্মিক ঘুম ভেঙে ফেলে, তারপর তাহাজ্জুদ পড়ে, সালাতুল এশরাক পড়ে, বিবিধ নফল নামাজ পড়ে, বারবার আল্লাহু আল্লাহু বলে চিৎকার করতে ইচ্ছে করে!মোট কথা শরীরেরর কোন অংশে স্ক্যাভিস সংক্রমিত হলে যেমন আমরা অযোক্তিক এবং অনিয়ন্ত্রিত হবে ইনফেকশন হবে জেনেও চুলকাতে থাকি, রক্তাত্ব করে ফেলি ঠিক তেমনি এরাও বারবার মসজিদে ছুটে যায়, মাহফিলে ছুটে যায়, তাবলিগে ছুটে যায় আর এতে করে তাদের মস্তিষ্কের প্রায় ৭০ পার্সেন্ট টাইম এবং এনার্জি এসব রিলিজিয়াস স্ক্যাভিস খেয়ে ফেলে।তারা মহাবিশ্ব, প্রকৃতি অথবা জীবন সম্পর্কে চিন্তা করার সময় পায়না।তারা কখনো শান্ত মনে মহাকাশের দিকে তাকাতে পারেনা, গ্রহ নক্ষত্রদের পর্যবেক্ষণ করতে পারেনা, সবসময় তাদের মস্তিষ্কে স্ক্যাভিস ঘুরে বেড়ায় আর চুলকায়, তাদের মস্তিষ্কে ধারালো শয়তানগুলি ভয়াভহ সুড় দিয়ে কামড় দেয়, এবং বলে, এখন নক্ষত্র দেখার সময় নয়, চলো, নামাজ পড়ো!এখন মহাকাশের বিশালত্ব দেখে বিমুগ্ধ হওয়ার সময় নয় কিছুক্ষণ কোরান তেলাওয়াত করো!নাস্তিকরা যখন আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি পড়ে তখন আস্তিকরা নারী দেহ থেকে তাদের চোখকে সংযত রাখার ক্ষমতা অর্জন করে, তসলিমার বিরুদ্ধে কবিতা লিখে।  নাস্তিকরা যখন জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গবেষণা করে তখন তারা রাতে স্বপ্নদোষ হয়ে যাওয়ার অপরাধে শয়তানকে দোষারোপ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়!নাস্তিকরা যখন ফিজিক্সের সুত্র গুলির মাঝে গ্রেন্ড ইউনিটি আবিষ্কার করার জন্যে ব্যাস্ত তখন আস্তিকরা কোরানের মধ্যে বিগব্যাং থিওরির সত্যতার প্রমাণ খুঁজে বেড়ায়।প্রতিনিয়ত ইসলাম নামক একটি স্ক্যাভিস এদেরকে টর্চার করে, এদের মস্তিষ্কের প্রত্যেকটি সেলে স্ক্যাভিসরা ঘুরে বেড়ায়, আর তাদের মস্তিষ্কে বিষাক্ত সুড় দিয়ে কামড় দেয়, তাদের মন যন্ত্রণায় ভরে উঠে, আর এভাবে আস্তিকদের মস্তিষ্ক ক্রমশ বিকল হয়ে যেতে থাকে, তাদের আই কিউ গড়পড়তা কমে যেতে থাকে এমনকি কখনো কখনো এই চুলকানী থেকে ভয়াভহ ক্যান্সার হয়ে যায়, যা আর নিরাময় করা সম্ভব হয়না,মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠে!

10 Bugs That Are Living in Your House—and How to Get Them Out ...


নাভেল ভাইরাসঃ

এছাড়াও আমাদের শরীরে রয়েছে নাভেল ব্যাক্টেরিয়া, যারা আমাদের নাভেলে বসবাস করে, সাধারণ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় নাভিতে পানি কম যায় আর এই ব্যাক্টেরিয়াগুলি সেখানেই সংক্রমিত হয়। National Geographic এর দেয়া এক তথ্যমতে নাভিতে প্রায় ১৪৫৮ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া বাস করে যার মাঝে কিছু কিছু খুবই বিরল!


নাস্তিকদের মধ্যে যারা মুক্তচিন্তার চর্চা করেনা, মহাবিশ্বকে বৃহৎ এবং ব্যাপক পরিসরে জানতে চায়না তাদের মস্তিষ্কের ইনফরমেশনের গ্যাপিং দেখা দেয়।
এবং মস্তিষ্কের সে অরক্ষিত অংশগুলিতে ধর্মীয় প্যারাসাট নাভেল ভাইরাসের মতো সংক্রমিত হয়।আমরা মাঝেমাঝেই শুনি, অনেক নাস্তিক আকষ্মিক আস্তিক হয়ে গেছেমূলত মুক্তচিন্তার চর্চার ঘাটটি এবং ক্রমবর্ধমানভাবে পরিবর্তনশীল বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিক বিবর্তনকে বুঝতে না পারার অক্ষমতার কারণে নাভেল ভাইরাসদের মতো এরাও সংক্রমিত হয় এবং এদের আই কিউ কমে যায়।কিন্তু এই পরিবর্তনগুলি অনুভূতির এত সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম পর্যায়ে সংঘঠিত হয় যে এরা কোনোকিছুতেই সাইকোলজিক্যাল নাভেলদের উপস্থিতি বুঝতে পারেনা।

    



চিগার (Chiggers)



Effective natural ways to cure chigger bites




এরা মুলত একধরণের trombiculidae যা প্রায় সবরকমের ঘাসপালাতেই থাকে, আর ডিম বা লার্ভা দেয়ার জন্যে যেকোনো উপযুক্ত দেহ পেলেই সেটাতে লেগে পড়ে। ঠিক তেমনিভাবে এরা মানবদেহের সংস্পর্শে আসলে সেটাকেও খুব দ্রুত নিজের বসতবাড়ি বানিয়ে ফেলতে পারে! আকারে মাত্র . মিলিমিটার হওয়াতে এদের ধরা যায়না। তবে এদের কর্মকাণ্ড শুনলে আৎকে উঠতে হবে বটে।এদের দেহে থাকা কেমিক্যাল ব্যবহার করে এরা অন্যান্য বসতদেহের মত মানবদেহতেও ছিদ্র করে। এবং সেই ছিদ্রর মাধ্যমেই তারা রক্ত খেয়ে থাকে!কারণ এরা রক্তজীবীই! রক্ত খেয়ে পর্যাপ্ত বড় আর হৃষ্টপুষ্ট হয়ে গেলে পরে সড়ে পড়ে।


চিগারকে  সূফি প্যারাসাইটের সাথে তুলনা করা যায়, যারা  ডিপ্রেশনে আক্রান্ত নারীদের মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয়।এবং তাদেরকে যৌণযন্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করে,
তাকে বুঝানো হয় সকল মানুষের মাঝে ঈশ্বর থাকেন, অতএব বহুগামীতার মাঝে কোনো অন্যায় নেই।তখন পালাক্রমে সেই নারীদেহকে অনেক সূফি ভোগ করে,
এবং তার মস্তিষ্কের লজিক্যাল অপারেটিং সিষ্টেমকে নষ্ট করে ফেলে।আক্রান্ত নারীরা একটা সময় শারীরীক এবং মানসিকভাবে অক্ষম হয়ে উঠে, ইয়াবা এবং গাজায় আসক্ত হয়ে উঠে।তারা পরিবার এবং অন্যান্য সামাজিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।একটা সময় ছেড়া জামাকাপড় পড়ে, ফুটপাতে ঘুরে বেড়ায়, বিভিন্ন রওজায় ঘুরে বেড়ায়, মাজার পূজা করে; একটা সময় ক্ষুদা, তৃষ্মা এবং অনাহারে মারা যায় কিন্তু সেই নারীটির সাথে কাটানো বিভিন্ন সময়গুলির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে, বিভিন্ন লোভনীয় অফার করে, রহস্য তৈরি করে, আর এতে করে অন্য নারীরাও আকৃষ্ট হয়,
এই প্যারাসাইটিক গোষ্ঠীটি হৃষ্টপুষ্ট হয়।কিন্তু কখনো সেই হতভাগীনির সংবাদ নেয়না!
কিন্তু ঐ নারীটি বুঝতেই পারেনা তার মস্তিষ্ক ভয়ানক চিগারে আক্রান্ত, তার মস্তিষ্কের ভেতরে যারা কিলবিল করছে এবং তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছে!



কাঁকড়াপোকা (Crab Lice)

Pubic louse, SEM - Stock Image - C021/7264 - Science Photo Library


সামনে ছোট ছোট চিকন দুই পা, আর তার পেছনেই দুইপাশে দুইজোড়া করে কাঁকড়ার মত বাকানো পা এর জন্যেই এদের এই নাম দেখতে বেশ নাদুসনুদুস আর অনেকটাই ভীতিকর এই ক্ষুদে পোকাগুলোর রঙ হয় গাড় তামাটের মত আর এরা বসবাস করে যেখানে যেখানে, তা শুনে আরো আৎকে উঠবেন হয়তোঅতিমাত্রায় ক্ষুদ্র এই জীবেরা মূলত পায়ের উরুতে (রানে), যৌনাঙ্গের চুলগজানো এলাকায় আর এমনকি পিল পিল করে গিয়ে ভ্রুর ফাঁকফোকরেও বাসা বেধে বসে এদেরো একমাত্র খাবার রক্ত রক্তভোজী এই ক্ষুদে জীবগুলোর জন্যে শরীরে বেশ চুলকানির উদ্রেক হতে পারে আর হবেই না বা কেনো, দেখতে যেমন, আর যেখানে এর বসবাস! হ্যা, জেনে রাখা ভাল যে এইসব ক্ষুদে ভ্যাম্পায়ারেরা কিন্তু সচরাচর যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে থাকে ফলে এরা গোপনাঙ্গের আশেপাশে আর উরুতেই বেশি বাসা বাধে খাদ্যের সন্ধানেই মুলত এদের এমন দেহ খোঁজা



ক্রেবলিসের মতোই কিছু কিছু ধর্মীয় প্যারাসাইট আছে যারা মানুষের যৌন অর্গানগুলিকে সংক্রমিত করে,যেমন- মুসলিম নারীদের মস্তিষ্কে এমনকিছু সাইকোলজিক্যাল ক্রেবলিস সংক্রমিত হয় যারা তাদের ব্রেস্ট, যৌনাঙ্গ এবং মুখ ঢেকে রাখতে ফোর্স করে, এটা সাধারণ কোনো জামাকাপড় নয় বরং লম্বা জুব্বা এবং হিজাবের মাধ্যমে।পুরুষদের পেনিসে সংক্রমিত হয়, ছোটবেলায় তাদের পেনিরে চামড়া কেটে দেয়া হয়।মুসলিম নারীরা তাদের যৌনাঙ্গকে ব্যাবহার করতে ভয় পায়, আতঙ্কবোধ করে, এজন্যে তারা বিয়ের পূর্বে কারো সাথে সেক্স করেনা, এমনকি কোনো পুরুষের সাথেও মিশেনা।এরা সবসময় নিজেদের আবৃত রাখে।ওদের দেখায়, অন্যান্যরাও এ রোগে সংক্রমিত হয়, তারাও তাদের দেহের কিছু সেনসেটিভ অর্গানের প্রতি অহেতুক সংবেদনশীল হয়ে উঠে।আর এই সংবেদনশীলতা পুরুষদের মস্তিষ্কে তাদের প্রতি আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে দেয়।এজন্যে অনেক সময় ভয়াভহ দূর্যোগ দেখা যায়, শিশুদের যৌন হয়রানী করে, পরক্রিয়া করে।মূলত এ ধর্মীয় ক্রেবলিস গুলির উদ্দেশ্য হলো যৌন যন্ত্রগুলির উপর বিধি নিষেদ আরোপ করে সমাজে ধর্ষণ,পরক্রিয়া,অনাচার এবং নারী নির্যাতন, বাড়িয়ে তোলা।আর এসব ধর্মীয় অপচিন্তার মধ্যে ব্রেনগুলিকে ব্যস্ত রেখে ক্রমশ তাদের আই কিউ কমিয়ে দেয়।


চক্ষুকৃমি বা Loa Loa


Shows Loa loa adult worm in eye (eye worm) | Download Scientific ...

এদের বসবাস চোখে! শুনতেই ভয় করে তাইনা? জ্বী হ্যা, অস্বাস্থ্যকর কোনো উপায়ে হাত ডলতে গিয়ে বা অপরিচ্ছনায় এরা চোখে গিয়ে সেখানে খুব ভালভাবে আস্তানা গেড়ে ফেলতে সক্ষম। এই চোখের কৃমিরা চোখের অক্ষিগোলকের নীচেই ধীরে সুস্থে ঘুরে বেড়ায়, কারণ হয়ে দাঁড়ায় লোয়াসিস (Loasis) সংক্রমণের। আর চোখের ভেতর

এমন কিছু আস্তে ধীরে ঘুরে বেড়ালে কতটা যন্ত্রণা হতে পারে তা তো বুঝতেই পারছেন! লোয়া লোয়া রান দৈর্ঘ্যে . ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।


ধর্মীয় লোয়া লোয়া কৃমি আমাদের চোখের রেটিনাকে নিয়ন্ত্রণ করে, আমাদের কী দেখা উচিত, কী দেখা উচিত নয় তা নির্ধারণ করে দেয়এই কৃমিগুলি ধার্মীকদের চোখকে কোনো উন্নতমানের মুভি দেখতে দেয়না, সমকামীতার সাথে সম্পৃক্ত কোনো গ্রন্থ পড়তে দেয়না অথবা কোনো পর্নভিডিও দেখতে দেয়না।নারীদের দিকে তিনবারের বেশি তাকাতে দেয়না, কোনো নারীর পুরুষের দিকে সরাসরি তাকাতে চায়না।এমন অজস্র চবি আছে যা তাদের চোখ দেখতে অস্বস্তি অনুভব করে, আর এতে করে তাদের জ্ঞান কমে যায়, বুদ্ধি ক্রমশ অচল হতে থাকে।এ মনস্তাত্বিক লোয়া লোয়া তাদের আই কিউ কমিয়ে দেয়!



যাইহোক!আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি নাস্তিকদের আই কিউ উন্নত হওয়ার পেছনে জীববিজ্ঞানের প্যারাসাইট সংক্রান্ত উদাহরণগুলি নিয়ে এসেছি।আমি শুধু এটাই বুঝানোর চেষ্টা করেছি যে একেবারে খালি চোখে আমাদের দেহকে সম্পূর্ণভাবে রোগমুক্ত মনে হলেও এটা আদৌ সত্য নয়, আমরা আমাদের দেহ এবং মনের মাইক্রোস্কোপিক লেবেলে কত ভয়াভহ ঘটনাগুলি ঘটে চলছে তার কোনোকিছুই জানিনা।আমাদের দেহকে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখলে মনে হবে একটি বিরাট আমাজন জঙ্গল যেখানে ভয়ানক সকল বিষাক্ত প্রাণী চলাচল করছে।আমাদের মাঝেমাঝে অকারণেই মন খারাপ হয়ে যায়, শরীর বিষাক্ত লাগে, অসস্তি অনুভব করি, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, এগ্রেসিভ আচরণ করি, মনস্তাত্বিকভাবে নিজেকে এনভায়রণমেন্টের সাথে রিজোন্যাট রাখতে পারিনা।
কত সুন্দর রাত্রি, কত অসীম মহাকাশ, আর মিলিয়ন মিলিয়ন নক্ষত্র কিন্তু আমার
কাছে কিছুই ভালোলাগেনা, শরীর তিক্ত লাগে, অবসাদ তৈরি হয়, প্রেমিকার সাথে ঝগড়া হয়ে যায় অথচ আমি এসবের কোনটার যোক্তিক কারণ খুঁজে পাইনা।মূলত
আমাদের সমস্ত শরীরে কোটি কোটি ভয়ানক প্যারাসাইট এবং মাইট বাস করে তারাই আমাদের বায়োলজিক্যাল সিষ্টেমকে ডোমেইন করছে যার প্রভাব আমাদের মনের উপরও পড়ে।এমনকি কারো মস্তিষ্কে প্রোটাজোয়া প্যারাসাইট সংক্রমিত হলে সে তার প্রেমিকার সাথে নিজের অজান্তেই ঝগড়া করবে এবং সম্পর্ক ভেঙে ফেলবে কিন্তু তাদের দুজনের কেউই বুঝতে পারবেনা, তাদের এত বছরের সাধণার সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে  বেড়ালের দেহ থেকে তার প্রেমিকের মস্তিষ্কে সংক্রমিত হওয়া একটি প্রটোজোয়া প্যারাসাইট!এমনকি কারো চুলের মধ্যে উকুন বাসা বাধলে তার প্রভাবে তার সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে, তার মনমানিকতা বিকৃত হয়ে যেতে পারে, কয়েক মিলিয়ন ডলার লস করে বসতে পারে!একটি উকুনের জন্যে কারো মিলিয়ন ডলার লস হতে পারে এটা হয়তোবা সে কখনো সজ্ঞানে বুঝতেই পারবেনা! কারণ ঘটনাগুলি ঘটছে অনুবীক্ষণিক জগত থেকে!

ঠিক তেমনি ধর্মীয় প্যারাসাইটগুলি যখন আমাদের মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয় তারা এইস আইভি ভাইরাসের মতো বছরের পর বছর আমাদের দেহে নিরবে নিবৃত্তে কাজ করে যায়, তারা আমাদের বায়োলজিক্যাল  আচার আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে যায় কিন্তু আমরা তাদেরকে রিয়েলাইজ করতে পারিনা, আমরা বুঝতে পারিনা আমাদের মানসিক এবং সামাজিক অসঙ্গতির কারণগুলি।ঠিক যেমনি আস্তিকরা তাদের জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার পশ্চাতগামীতার কারণ বুঝতে পারেনা, তাদের পক্ষে কোনো একটি নতুন মহাজাগতিক মডেল উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়না, তারা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারেনা, এদের মস্তিষ্কে সবসময় অজস্র অনুবীক্ষণিক ধর্মীয় প্যারাসাইট ঘুরে বেড়ায়।

ধর্মীয় প্যারাসাইট কিভাবে আস্তিকদের মস্তিষ্কের ট্রিমেন্ডাস সম্ভাবনাকে বিপথে ব্যাবহার করে তার একটি ভয়ানক এবং অস্বস্তিকর দৃষ্টান্ত  Cymothoa Exigua নামক পরজীবী যা একটি মাছের মুখে অবস্থান করে এবং মুখের রক্ত নালী গুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে থাকে যতক্ষণ না মাছটির জিহ্বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এবং পরজীবীটি জিহবার জায়গা গ্রহণ করে।এইটাই একমাত্র প্যারাসাইট যে তার আশ্রয়দাতার শরীরের অঙ্গ খেয়ে ফেলে এবং নিজে সেই শরীরের অঙ্গ হয়ে তাদের নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী সেই অঙ্গটিকে ব্যাবহার করে!

ক্যামোথোয়া এক্সিগুয়া প্যারাসাইটের মতোই ধর্মগুলি একজন আস্তিকের সমস্ত মস্তিষ্ককে দখল করে ফেলে।তখন সেই মস্তিষ্কটিকে তারা আর নিজের ইচ্ছা মতো পরিচালনা করতে পারেনা।ক্যামোথায়ার মতোই তখন ধর্মীয় প্যারাসাইটই তার মস্তিষ্কের অপারেটিং সিষ্টেমগুলিকে পরিচালনা করে।একজন ধার্মীকের মস্তিষ্কের লজিক্যাল অপারেটিং সিষ্টেম,বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম অথবা লিম্বিক সিষ্টেম প্যারাসাইটের দখলে।এ জন্যে মুসলিমদের সকল যুক্তির একমাত্র উদ্দেশ্যই থাকে ইসলাম ধর্ম নামক একটি ধর্মীয় প্যারাসাইটকে বিস্তার করা, হিন্দুদের সকল দার্শনিক চিন্তার একমাত্র উদ্দেশ্যই থাকে হিন্দু ধর্ম এবং তাদের দেবদেবতাদের সত্যতা প্রতিষ্ঠা করা।ধর্মগুলি যদি প্যারাসাইট মুক্ত হতো, যদি তারা নিরপেক্ষ হতো তবে এদের কারো মধ্যে কোনো প্রকার সংঘর্ষ থাকতোনা।কিন্তু যেহেতু প্রত্যেকটি ধর্মই এক একটি মানসিক ব্যাধী তাই তারা একে অপরের বিপক্ষে কাজ করে, তারা সবসময় সংঘাতে লিপ্ত থাকে।এই প্যারাসাইটগুলি আস্তিকদের মস্তিষ্কের এতটাই গভীরে বিরাজ করে যে মাইক্রোস্কোপ ছাড়া এদের ভয়াভয় এবং বিধবংসি অস্তিত্বকে নির্ণয় করাই অসম্ভব!প্রত্যেকটি ধার্মিকই নিজেদের ইনোসেন্ট মনে করে, তাদের ভেতরকার অসঙ্গতিগুলিকেই সত্য ও স্বাভাবিক মনে করে কারণ তারা তাদের মনস্তত্বের গভীরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেনা তারা ততটুকু গভীরে কখনোই যেতে পারেনা!




 Cymothoa Exigua: Meet The Sex-Changing, Tongue-Eating Parasite








Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১

I am Planck