মেটা ভার্সিক থট (ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাপেক্ষে টমাস আকোয়েনাসের যুক্তি এবং তার খন্ডন ) পার্ট-২
ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাপেক্ষে টমাস আকোয়েনাসের
যুক্তি এবং তার খন্ডন
( part-2)
ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাপেক্ষে টমাস আকোয়েনাসের এই যুক্তি
গুলি যুগ যুগ ধরে সংগ্রহ আর সংকলন করে যাচ্ছে রিলিজিয়াসরা।এবং অনেকে এর সাথে
করেছেন প্রয়োজনীয় সংযোজন।যাতে করে এই যুক্তি গুলিকে যুগ সেন্টিমেন্টের সাথে
ক্যামোপ্লাজ করা যায়।এছাড়া যারা সাধারণ কান্ডজ্ঞান সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন তাদের
মাঝেও একুইনাস প্রচলিত।ব্যাক্তিগতভাবে একুইনাসের প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই।কিন্তু
আমি যে সম্প্রদায়ের অন্তঃভূক্ত তাদের মাঝে একুইনাসের যুক্তির একটি প্রচলন লক্ষণীয়
আর তাই আমি চেষ্টা করবো টমাস একুইনাসের যুক্তিগুলির বিপরীতে আমার অবিশ্বাস
সংক্রান্ত প্রতিযুক্তি উপস্থাপন করতে।
আনমুভড মুভার- মহাবিশ্বের কোনো বস্তুই গতিশীল হতে পারেনা
যদি তার আগে কোনো মুভার না থাকে।এভাবে আমরা যদি চলতে থাকি তবে আমরা একটি ইনফিনিট
প্রসেসের দিকে এগিয়ে যাবো।যার কোনো অন্ত বিন্দু নেই।অতএব এই অসীম প্রকৃয়াকে স্তব্দ
করতে হলে প্রয়োজন একজন ঈশ্বরের যিনি আনমুভড অথবা যাকে মুভ করা যায়না।এই যুক্তিটির
অন্যতম একটি সীমাবদ্বতা আছে আর তা হলো আমরা সেই আনমুভড মুভারের ডেফিনিশন
জানিনা।গ্যালাক্সির প্রতিটি গ্রহ নক্ষত্র অস্থির এবং গতিশীল আর তাদের মুভিং ,তার আগের
কোনো মুভার দ্বারা প্রভাবিত।কিন্তু আমরা মহাবিশ্বের অন্তিম কোনো মুভারকে এক্সপ্লোর
করতে পারিনা,আমরা
যদি অন্তিম মুভারের অনুসন্ধানে একটি অসীম প্রকৃয়ার ভেতর দিয়ে পথ চলতে থাকি তাহলে
বিষ্ময়করভাবে আমরা দেখতে সক্ষম হবো যে আল্টিমেট মুভারের বাক্সটি সবসময় ‘’জিরো বা
শূন্য’’ থাকে।অন্তিম
বাক্সটি থেকে আমরা ‘’জিরো
বা শূন্যতাকে’’ সরাতে পারছিনা।এই আনমুভড শূন্যতাই কিন্তু প্রকৃয়াটি
অসীমের দিকে অব্যাহত রাখছে।তাহলে আমরা কি অন্তিম ঘরে লোকেটেড এই ‘’জিরোটিকেই’’ বলছি আনমুভড
মুভার?কিন্তু
শূন্যের ডেফিনিশন অনুযায়ী শূন্যতা জিনিসটাই অস্থিতিশীল।কোয়ান্টাম ফিজিক্স অনুসারে,কোয়ান্টাম
ভ্যাকুয়াম বলতে আমরা যা বুঝি তা এক্সেক্টলি শূন্যতাকে ডিফাইন করেনা,এখানে
হাইসেনের অনিশ্চয়তার সুত্র অনুমোদিত সীমানায় কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন তৈরি হয় যা
একটি পসিবিলিটি বা পটেনশিয়াল ফিল্ডকে নির্দেশ করে।কিন্তু রিলিজিয়াসরা আনমুভড মুভার
বলতে ঈশ্বরকে বুঝিয়েছেন এবং তার উপর আরোপ করেছেন মানবীয় গুণাবলি যা আমরা কিছুক্ষণ
পরই আলোচনা করবো।ঈশ্বর বলতে কি কোনো রিলিজিয়াস পারসন কোয়ান্টাম ভ্যাকুয়ামকে ইঙ্গিত
করে?হাস্যকর
ভাবে এর উত্তর হলো, না!
আনকসড কস বা পূর্বকারণহীন কারণ-আমরা জানি প্রতিটি ঘটনার
পেছনে একটি কারণ রিলেটেট।কজ ছাড়া কোনো ইফেক্ট তৈরি হয়না।যদি তাই হয় এবং আমরা যদি
এভাবে পূর্ববর্তী মতে ফিরে যেতে থাকি তবে এটি আমাদের অসীম একটি প্রকৃয়ার দিকে ঠেলে
দেবে যেই প্রকৃয়াটিকে আমাদের মস্তিষ্কের পক্ষে থামানো সম্ভব নয় আর তাই টমাস
একুইনাস এই অনন্ত প্রকৃয়াটিকে একটি আনকসড কস দ্বারা স্থির করার চেষ্টা করেছেন যেই
প্রথম কারণই মহাবিশ্বের ঈশ্বর।কিন্তু সিষ্টেম কি আমাদের আসলে তাই বলে?আমরা কিভাবে
এত সরল একটি ডিডাকশনে উপনিত হই?মহাবিশ্বের
সবকিছুই কস এন্ড ইফেক্টের একটি অসীম শৃঙ্খলায় সংযুক্ত, আমরা এই
শৃঙ্খলাকে কখনো ভেঙে ফেলতে পারিনা কিন্তু আমরা যখন প্রত্যেকটি ঘটনার পূর্ববর্তী
কারণে ফিরে যেতে থাকবো তখন আমরা একটি অসীম প্রকৃয়ায় উপনিত হবো,যে প্রকৃয়ায়
আমরা শুধু সুইম করতেই থাকি কিন্তু অন্তিম বাক্সে কোনো ‘’কস’’ খুঁজে
পাইনা।অন্তিম বক্সটি ‘’কারণ
শূন্য’’ কিন্তু
এই কারণ শূন্যতাকে আমরা কখনো আনকসড কস বলতে পারিনা অথবা আমরা এই কারণ শূন্যতাকে
বলতে পারিনা ঈশ্বর।এই ‘’কারণ
শূন্যতা’’ কারণের
অনপুস্থিতি নয় একসাথে অসীম কারণের উপস্থিতিকেও নির্দেশ করছে।আমরা মহাবিশ্বে অন্তিম
কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছিনা তার রিজন হলো অন্তিম কারণের ঘর ‘’শূন্য’’ এটি এ জন্যেই
শূন্য যে ‘’কারণের
আছে অসীম সম্ভাবনা।যা আমাদের নিকট একটি ইনফিনিট রিগ্রেস উপস্থাপন করে।আমরা কি
শূন্যের এই প্যারাডক্সিক্যাল অবস্থাটিকেই ঈশ্বর বলবো?পদার্থ
বিজ্ঞান আমাদের জানিয়েছে,
শ্রডিঙ্গারের কেটস থিওরি কথা।কোপেনহেগেনের ইন্টারপ্রিটেশন অনুসারে, উইথ আউট
অবজারভেশন আমরা কখনো বাক্সের ভেতরের একটি কেটসের ইতিহাস সুনির্দিষ্ট করতে
পারিনা।কিন্তু শ্রডিঙ্গারের কেটসের সাথে আনকজড কসের রিলেশন কি?একটু অপেক্ষা
করুন,বলছি।একটি
থট এক্সপেরিমেন্ট করি।মনে করুন,আপনি
শ্রডিঙ্গারের বাক্সে একটি কেটস রাখলেন এবং
তার পাশে রাখলেন একটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ।৫০ ভাগ
সম্ভাবনা আছে যে এক ঘন্টার মধ্যেই তেজক্রিয় পদার্থটি বিস্ফোরিত হবে এবং কেটসটি
মৃত্যুবরণ করবে।আপনি যখন বক্সটি ওপেন করবেন তখন দেখবেন কেটসটি হয়তোবা জীবিত অথবা
মৃত।কিন্তু বক্সটি খুলার আগে যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় কেটসটি কোনো অবস্থায় আছে
আপনি তার সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারবেন না।আপনার মস্তিষ্কে একসাথে এবং একই
সময় দুটি ইতিহাসই কাজ করবে অথবা আপনার ব্রেন নিউরাল কারেন্ট সম্ভাবনাময় হয়ে
উঠবে।বাক্সটি খুলার পূর্ব মুহূর্তে কেটসটি আপনার মস্তিষ্কে একইসাথে আর একইসময়
জীবিত এবং মৃত উভয় অবস্থা গ্রহণ করে অথবা সে প্যারালাল ইউনিভার্সে ভাইব করে।কোপেনহেগেনের
ইন্টারপ্রিটেশন অনুসারে,
সাব-এটমিক ডায়মেনশনে পার্টিকেল গুলি শ্রডিঙ্গারের কেটসের মতোই
ডুয়ালিস্টিক বিহেভ করে, একইসময় এবং
একইসাথে ওয়েভ এন্ড পার্টিকেল।কিন্তু যখনই
একটি সচেতন ব্রেন পর্যবেক্ষণ করে তখন সে এটম লাইক রিয়েলিটিতে একটি মহাবিশ্বের
স্পেস-টাইমে রিজোন্যাট হয়।কিন্তু তার মানে এই নয় যে সাব-এটমিক পার্টিকেলটি তার
সম্ভাব্য অন্য সকল ইতিহাস ক্যান্সেল করে দেয়।হিউ এবারেটের মেটা ইউনিভার্সাল ওয়েভ
ফাংশন থিওরি অনুসারে- পার্টিকেল গুলির অন্যান্য সম্ভাব্য ইতিহাস গুলি বিভিন্ন
প্যারালাল ইউনিভার্সে এটিউন থাকবে।আপনি যখন বাক্সের দরজা ওপেন করবেন শ্রডিঙ্গারের
কেটস শুধুমাত্র আপনার ইউনিভার্সেই হয়তোবা জীবিত হয় কিন্তু প্যারালাল
ইউনিভার্সগুলিতে কেটসটি তার অস্তিত্বের অন্য সকল সম্ভাবনাও সংরক্ষণ করে।
কিন্তু আনকসড কজের সাথে শ্রডিঙ্গারের কেটসের রিলেশনশিপ কি?কেনো আমরা
মহাবিশ্বের প্রথম কারণ ঈশ্বরের অস্তিত্বকে নাকচ করার জন্যে শ্রডিঙ্গারের কেটস
থিওরিতে ভ্রমণ করলাম?রিজন
তো অবশ্যই আমরা এক্সপ্লেইন করবো।কিন্তু তার আগে আমাদের জানা উচিত যে, শ্রডিঙ্গারের
কেটস পর্যবেক্ষণের পূর্বে কোয়ান্টাম সুপারপজিশনে থাকে।সুপারপজিশন হলো শ্রডিঙ্গারের
কেটসের এমন একটি পজিশন যেখানে তার সুনির্দিষ্ট সাইজ,সেইফ,স্পিন,রোটেশন,স্পেস এন্ড
টাইম জিরো।অতএব একটি পার্টিকেল সাব-এটমিক ডায়মেনশনে শুধুমাত্র পসেবিলিটি হিসেবেই
ইনফিনিট সেক্টিলিওন মহাবিশ্বে একইসাথে ও
একইসময় প্রেজেন্ট থাকে।কিন্তু আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটি অনুসারে-মহাবিশ্বের
কোনো ঘটনাই একইসাথে এবং একইসময় দুটি লোকেশনে উপস্থিত থাকতে পারেনা কারণ আলোর গতি
সীমাবদ্ব ,আলোর
গতির চাইতে অধিক গতিতে মহাবিশ্বের কোনো ইনফরমেশন ট্রাভেল করতে পারেনা আর তাই একটি
সাব-এটমিক পার্টিকেলের পক্ষে কখনোই একইসাথে এবং একইসময় দুটি মহাবিশ্বে প্রেজেন্ট
থাকা সম্ভব নয়।কারণ এতে করে স্পিড অব লাইটের অবিনশ্বরতা সুস্পষ্টভাবে লঙ্গন
হয়।যেখানে স্পিড অব লাইট এবসেন্ট সেখানে কোনো ‘’টাইম’’
নেই আর যেখানে কোনো ‘’টাইম’’ নেই সেখানে
কোনো কস এন্ড ইফেক্ট থাকতে পারেনা।কারণ আমরা জানি প্রতিটি ঘটনার আগে একটি কস থাকে
কিন্তু কোয়ান্টাম সুপারপজিশন স্পিড অব
লাইট লঙ্গন করে, আর
তাই সুপারপজিশনে টাইম এবসেন্ট,
যেখানে টাইম এবসেন্ট সেখানে কোনো পূর্বে বা পরে অথবা পাস্ট এন্ড ফিউচার থাকেনা।অতএব শ্রডিঙ্গারের
কেটসের নিকট মহাবিশ্বের উৎপত্তির কোনো ফাস্ট ‘’কজ’’
নেই!!ধার্মিকরা কি আনকসড কস বলতে শ্রডিঙ্গারের কেটস কে বুঝিয়েছেন?তাদের ঈশ্বর
কি শ্রডিঙ্গারের সেই বিখ্যাত বাক্সের বিড়াল?যার
উপর তারা মানবিক গুণাবলি আরোপ করেন?যেই
সুপারপজিশনাল কেটস পাপ ও পূর্ণের হিসেব করেন?যিনি
কারো জন্যে নির্ধারণ করেন হেভেন আর কারো জন্যে হেল?শ্রডিঙ্গারের কেটসই কি তাদের ঈশ্বর যিনি মোসেজকে সাগর
দ্বিখন্ডিত করতে সাহায্য করেছিলেন এবং যিশুখ্রিষ্ঠকে জন্ম দিয়েছিলেন পিতার সংস্পর্শহীন এক বন্ধ্যা জরায়ু থেকে?কোনো ধার্মিকই এটা স্বীকার করতে প্রস্তুত হবেন যে,
আমাদের ঈশ্বর শ্রডিঙ্গারের সুপারপজিশনাল কেটস!!
কসমোলজিক্যাল আর্গুমেন্টঃ মহাবিশ্বে এমন একটি সময় ছিলো যখন
কোনো ফিজিক্যাল অবজেক্টের অস্তিত্ব ছিলোনা,কিন্তু
এখন ফিজিক্যাল অবজেক্টের অস্তিত্ব আছে,তার
মানে এমন একটা সময় ছিলো যখন সবকিছুই ছিলো নন-ফিজিক্যাল, আর এভাবেই
টমাস একুইনাস একটি ডিসিশনে উপনিত হয়।তার মতে এই নন-ফিজিক্যাল কিছু একটাই ঈশ্বর যা
ফিজিক্যাল বাস্তবতার আদি কারণ।
আনমুভড মুভার,আনকজড
কজ এবং কসমোলিজিক্যাল আর্গুমেন্ট এই তিনটি
যুক্তিই প্রকারন্তরে পূর্বের মতে ফিরে যাওয়া যা ইনফিনিট রিগ্রেস তৈরি করে।যেখানে
ঈশ্বরের নাম ব্যাবহার করে এই পশ্চাদগমনকে প্রকৃয়াকে স্তব্দ করা হয়।এই যুক্তির
সমর্থকরা সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে ঘোষণা করেন তাদের ঈশ্বর পশ্চাদগমন যুক্তি প্রকৃয়ার
আওতামুক্ত বা বিয়োন্ড লজিক।ডকিন্স বলেছিলেন- এমনকি যদিও আমরা কাল্পনিকভাবে কোনো
অসীম পশ্চাদগমনশীল একটি যুক্তিপ্রকৃয়ায় কাল্পনিকভাবে সৃষ্টি করা একজন সমাপ্তকারীর
অস্তিত্ব সংক্রান্ত সন্দেহজনক বিলাসিতাকে শুধুমাত্র প্রয়োজনের খাতিরেও প্রশ্রই দেই, সেক্ষেত্রেও
কোনো কারণ নেই সেই কাল্পনিক সমাপ্তকারীর উপর সেই সব গুণাবলী আরোপ করা যা আমরা
সাধারণত ঈশ্বরের উপর আরোপ করিঃ সর্বশক্তিমান,
সর্বজ্ঞতা, দয়াশীলতা, সৃষ্টির
সৃজনশীলতা, এছাড়া
মানবিক ব্যাপারগুলো তো আছেই যেমনঃ
প্রার্থনা শুনা,
পাপের ক্ষমা করা,যে
কারো মনের গুপ্ত সংবাদ সম্পর্কে সম্মক অবগত থাকা ইত্যাদি।
প্রশ্ন আসে,
মহাবিশ্বের ব্যাকগ্রাউন্ড নন-ফিজিক্যাল হলেই কি তা একজন ঈশ্বরকে সমর্থন করে?বিজ্ঞানী
হাইসেন বলেছিলেন- সাব-এটমিক পার্টিকেল কোনো ফিজিক্যাল ম্যাটার বা ফ্যাক্ট নয়,এটি দ্যা
ওয়েভ অব পটেনশিয়ালিটি বা প্রবাবিলিটি।কিন্তু তাই বলে কি আমরা সাব-এটমিক
পার্টিকেলকে ঈশ্বর বলবো?কোপেনহেগেনের
ইন্টারপ্রিটেনশন অনুসারেঃ পার্টিকেলগুলি সাব-এটমিক ডায়মেনশনে একইসাথে এবং একইসময়
ওয়েভ এন্ড পার্টিকেল।পর্যবেক্ষক যতক্ষণ তা তাদের মেজার করছে ততক্ষণ তারা
আনসারটেইনটিতে থাকে অথবা তারা কোনো ফিজিক্যাল বাউন্ডারিতে লোকালাইজড হয়না।যদি
নন-ফিজিক্যালিটিই ঈশ্বরের মানদন্ড হয় তবে আমরা কি আনসারটেইনটি প্রিন্সিপালকে দ্যা
প্রিন্সিপাল অব গড মাইন্ড বলবো?না
আমরা তা বলবোনা,আমাদের
বিজ্ঞান কখনোই এভাবে কথা বলবেনা।আমরা আনসারটেইনটিটিকে আনসারটেনটিই বলি, ঈশ্বর
বলিনা।আমরা জানি কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগেলমেন্ট সম্পর্কে। কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগেলমেন্ট
থিওরি অনুসারে একই ওয়েভ ফাংশনে এটিউন দুটি সাব-এটম একটি গ্যালাক্সির ব্যাস দ্বারা
বিচ্ছিন্ন হলেও আপনি যখন এদের যেকোনো একটি স্পিন ডিটেক্ট করবেন ক্লক-ওয়াইজ অন্যটি
স্পিড অব লাইট থেকেও দ্রুত গতিতে আপনার অবজারভেশনের ইনফ্লুয়েন্স ফিল করবে এবং তার
স্পিন নিশ্চিত হয়ে যাবে কাউন্টারক্লক ওয়াইজ।কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগেলমেন্টে টুইনটি
স্পেস এন্ড টাইমকে ভ্যাকুয়াম মনে করে।তারা এত বিশাল ইন্টারস্টেলার দূরত্বকে অনুভব
করতে পারেনা।এন্টেংগেল পার্টিকেলগুলি স্পেস এন্ড টাইমকে ফিল করেনা কারণ কোয়ান্টাম
আনসারটেনটিটি প্রিন্সিপাল অনুসারে-একটি পার্টিকেল পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকেই
ফিজিক্যাল কিন্তু এটি পসিবিলিটির দিক থেকে অসীম।
নন-ফিজিক্যালিটিই যদি ঈশ্বরের প্যারোমিটার হয় তবে বিগব্যাং
পয়েন্টও নন-ফিজিক্যাল যার কোনো দৈর্ঘ,প্রস্থ,বা উচ্চতা
নেই এবং এটি সময়ের ডিউরেশনে থ্রি-ডায়মেনশনাল স্পেসে লোকেটেডও নয়।একটি
জিরো-ডায়মেনশনাল বিগব্যাং পয়েন্টকে আমরা কখনোই মহাবিশ্বের ফাস্ট কজ বলতে পারিনা
অথবা বলতে পারিনা মহাবিশ্বের ঈশ্বর।কিন্তু সবচাইতে গ্রেট কমেডি তৈরি হয় তখন যখন
কেউ একজন একটি সুপারপজিশনাল নন-ফিজিক্যাল পার্টিকেলকে পরম করুণাময় ঈশ্বর হিসেবে
উপাসনা করবে!অথবা বিগব্যাং পয়েন্টের নিকট পাপের ক্ষমা প্রার্থনা করবে!
কারেন ওয়ানেসের ঐশ্বরিক কবিতা এবং
ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা
একজন ঈশ্বর যিনি সর্বজ্ঞ বা মহাবিশ্বের সকল ইনফরমেশন জানেন
তিনি অবশ্যই জানেন ভবিষ্যৎ মহাবিশ্বের সম্ভাব্য ইতিহাসগুলিতে তিনি কিভাবে
হস্তক্ষেপ করবেন।আর যিনি জানেন যে তিনি কিভাবে মহাবিশ্বের ভবিষ্যতে ইন্টারফেয়ার
করবেন তিনি কখনোই তার অসীম শক্তিমত্তা দিয়ে ইতিহাসের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।অতএব যুক্তিবিদরা
সিদ্বান্তে এসেছিলেন যেঃ একজন সর্বজ্ঞ ঈশ্বরের পক্ষে কখনোই সর্বশক্তিমান হওয়া
সম্ভব না।আমরা সর্বজ্ঞ বলতে বুঝি যিনি ইউনিভার্সের সকল নিউজ জানেন।কিন্তু প্রশ্ন
হলো, যিনি
সকল ইনফরমেশন জানেন তাকে কি ঈশ্বর হতেই হবে?অমনিসিয়েন্সি
বা সর্বজ্ঞতাই কি ঈশ্বরের মানদন্ড?আমরা
জানি, শ্রডিঙ্গারের
কেটস থিওরির কথা।কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কোপেন হেগেন ইন্টারপ্রিটেশন অনুসারে,সাব-এটমিক
ডায়মেনশনে পার্টিকেল গুলিতে একইসাথে এবং একইসময় ওয়েভ এন্ড পার্টিকেল ডুয়ালিটি কাজ
করে, যদি না পর্যবেক্ষক পার্টিকেলের মেজারমেন্ট ক্রিয়েট
না করে, এটাকেই
বলা হয় কোয়ান্টাম সুপারপজিশন।কোয়ান্টাম সুপারপজিশনকে বুঝতে শ্রডিঙ্গারের বিখ্যাত
কেটস থিওরিটি আমরা ব্যাবহার করে থাকি।যা আমরা আলোচনা করেছি।আপনি যদি একটি কেটসকে কোনো রেডিও
একটিভ বাক্সে রাখেন যে বাক্সের ভেতর দশমিনিট পরই রেডিও এক্টিভ এক্সপ্লোশন ঘটবে তবে
৫০ ভাগ সম্ভাবনা আছে যে আপনি বাক্সের ডোরটি যখন ওপেন করবেন তখন কেটসটিকে দেখবেন
হয়তোবা সে জীবিত অথবা মৃত।কিন্তু বাক্সের ডোরটি ওপেন করার পূর্বে যদি আপনাকে
কেটসটির পজিশন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় তবে আপনি তার নির্দিষ্ট কোনো উত্তর করতে
পারবেন না।কারণ আপনার মস্তিষ্কে কেটসটি একইসাথে ও একইসময় দুটি ইতিহাসেই বিদ্যমান
থাকার সমান পসিবিলিটি রাখে।কোপেনহেগেনের ইন্টারপ্রিটেশন অনুসারে, পর্যবেক্ষক
যদি মেজারমেন্ট ক্রিয়েট না করে তবে পার্টিকেলগুলিও একইসাথে ও একইসময় একাধিক
মহাবিশ্বের স্পেস এন্ড টাইমে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রাখে।কারণ সুপারপজিশনে একটি
সাব-এটম একইসাথে ও একইসময় ওয়েভ এন্ড পার্টিকেল দুটোই।আর তাই একটি
পার্টিকেলের স্পেস এন্ড টাইম নির্দিষ্ট হলেও তার ওয়েভ ফাংশনের স্পেস এন্ড টাইম
সুনির্দিষ্ট নয়।অতএব একটি কোয়ান্টাম সুপারপজিশনাল পার্টিকেল একইসাথে এবং একইসময়
ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন প্যারালাল মহাবিশ্বে সম্ভাবনার দিক থেকে প্রেজেন্ট থাকতে
পারে।তার নিকট অসীম বিলিয়ন মহাবিশ্বকে একটি কোয়ার্ক থেকেও মিলিয়ন মিলিয়ন মিলিয়ন
মিলিয়ন্থ গুণ ক্ষুদ্র মনে হতে পারে অথবা অসীম মেটা মহাবিশ্ব তার নখদর্পণে, থিওরিটিক্যালি একটি সুপারপজিশনাল পার্টিকেলও সো-কল্ড
ঈশ্বরের মতোই অমনিসিয়েন্ট বা সর্বজ্ঞ!তাই বলে কি আমরা একটি সুপারপজিশনাল কেটসকে
তার অমসিয়েন্সির জন্যে ঈশ্বর বলবো?
কারেন ওয়ানেস ঈশ্বরের সর্বজ্ঞতা সংক্রান্ত প্যারাডক্সটিকে তার কবিতায় অত্যন্ত
সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন,
সর্বজ্ঞ ঈশ্বর কি পারেন,যিনি ভবিষ্যৎ জানেন,
অসীম শক্তি দিয়ে,তার
ভবিষ্যৎ মনকে বদলাতে?
( তথ্যসুত্রঃগড ডিলুশন, ভার্চুয়াল ব্যাংস্পেস
)
টমাস আকোয়াইনাসের যুক্তি
খন্ডন
ডিগ্রি বা ডায়মেনশন থেকে যুক্তি বা আর্গুমেন্ট ফ্রম লজিকঃ
আমরা লক্ষ্য করেছি যে,পৃথিবীর
সবকিছু ভিন্ন।আমরা জানি যে,
একটি মাত্রা আছে সবকিছুর যেমন ভালোত্ব এবং উৎকর্ষতার।কিন্তু আমরা এই ডায়মেনশন বা
মাত্রাকে বিচার করি এই বৈশিষ্টগুলির অন্তিম একটি ডায়মেনশনকে আদর্শ হিসেবে চিন্তা
করে।মানুষ ভালো এবং মন্দ দুটো হওয়ারই পসিবিলিটি রাখে।আর তাই মানুষের পক্ষে এই
সম্ভাবনাকে অতিক্রম করে কখনোই পরম ডায়মেনশনের ভালোত্ব অর্জন করা সম্ভব নয়।এতএব উৎকৃষ্টতার
এমন একটি মাত্রা থাকার সম্ভাবনা আছে যে মাত্রা ভালোর একটি চুড়ান্ত মানদণ্ড তৈরি
করে সেই চুড়ান্ত ডায়মেনশনকে আমরা নামকরণ করতে পারি ঈশ্বর।
কিন্তু ডকিন্সের মতে এটা কোনো যুক্তিই হতে পারেনা কারণ
দুর্গন্ধেরও একটি আদর্শ মাত্রা আছে যে মাত্রার সাথে কম্পেয়ার করে আমরা গন্ধকে
সনাক্ত করতে পারি কিন্তু সেই চুড়ান্ত দুর্গন্ধকে আমরা কখনোই স্পর্শ করতে
পারিনা।শূন্য এতটাই বৃহৎ একটি সংখ্যা যে সংখ্যাকে কোনো সংখ্যা দ্বারাই স্পর্শ করা সম্ভব
নয়।যদি ভালোত্বের চুড়ান্ত একটি মাত্রা থাকে এবং সেই মাত্রাকে আমরা ঈশ্বর বলি তবে বিপরীতক্রমে দুর্গন্ধের সেই চুড়ান্ত মাত্রাও কি ঈশ্বর হওয়ার
উপযুক্ত নয়?
অতএব এভাবে আর্গুমেন্ট ফ্রম লজিক অবশেষে ফাঁকা এবং নির্বোধ
একটি যুক্তিতে পর্যবসিত হয়।
দ্যা টেলিওলজিক্যাল আর্গুমেন্টঃ একুইনাস মনে করতেন মহাবিশ্বকে দেখলে মনে হয় যে একে
ডিজাইন করা হয়েছে যদি মহাবিশ্বকে দেখলে মনে হতো যে এর ডিজাইন করা হয়নি তাহলে আমরা
কখনোই তার নকশার পেছনে কোনো ডিজাইনারকে
কল্পনা করতাম না কিন্তু যেহেতু আমাদের মনে হচ্ছে যে এ মহাবিশ্ব ওয়েল ডিজাইন্ড অতএব
এর একজন ডিজাইনার আছে।আর্গুমেন্ট ফ্রম ডিজাইন একটি মাত্র যুক্তি যা আজো ঈশ্বরের
অস্তিত্ব প্রমাণে মানুষ ব্যাবহার করে
থাকে।কিন্তু এভুলিউশন কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদকে ডিজাইন করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত
নয়।এভুলিউশনের চোখে স্পেসিফিক কোনো পারপোস
নেই। এভুলিউশনের পারপোজ শূন্য।আর ‘’শূন্য’’ সবসময়
সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে।এভুলিউশনের চোখে মহাবিশ্বে কোনোকিছুই নেই,মহাবিশ্ব
একটি নাথিং,একেবারেই
ভয়েড,এটি
একটি প্রবাবিলিটি।কিন্তু তবুও এটি প্রাণী এবং উদ্ভিদের মধ্যে জটিল থেকে জটিলতর
ডিজাইন প্রস্তুতের সম্ভাবনা রাখে।সম্ভাবনা রাখে প্রাণীদের মস্তিষ্কে স্পেসিফিক
পারপোস টিউন করতে যা দেখে যে কারো মনে হতে পারে এটি নিছক কোনো উদ্দেশ্যহীনতার
ফলাফল নয়।এটি স্রেফ ইন্টেলেকচুয়ালিটির স্মৃতিসোধ।এভুলিউশনাল প্রসেসের বিখ্যাত কিছু
সিউডো ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে স্নায়ুতন্ত্র,
যে তন্ত্রের সামান্যকিছু অর্জনের মধ্যে রয়েছে গোলসিকিং।গোলসিকিং হলো
উদ্দেশ্যমূলত কিছু আচরণ যা ক্ষুদ্র ইনসেক্টদের মধ্যে দেখা যায় তীর অপেক্ষা উন্নত
এবং জটিল হিট সিকিং ক্ষেপনাস্ত্রের মতো।
( তথ্যসুত্রঃ গড ডিলুশন )
আনসেল্ম
এবং ঈশ্বর
ঈশ্বরের অস্তিত্ব সংক্রান্ত দুই ধরণের যুক্তি আছে যাদের
একটি হলো পোস্টেরিওরী আর অন্যটি প্রাইওরী।পোস্টেরিওরী যুক্তি হলো সেই সকল যুক্তি
যে সকল যুক্তি আমাদের ফিফথ সেন্সের উপর ডিফেন্ড করে এবং যে সব যুক্তি আমাদের
মিমকোড বা অভিজ্ঞতার জগতের ইনফরমেশন বা পূর্ব-ধারণার প্রভাবে প্রস্তুত হয়।আমরা
মহাবিশ্বকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে পোস্টেরিওরী যুক্তি প্রস্তুত করি কিন্তু প্রাইওরীও যুক্তি হলো সে সকল যুক্তি
আমাদের পর্যবেক্ষিত জগতের সাথে যার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, যে সকল
যুক্তি প্রস্তুত করতে আমাদের ফিফথ সেন্সকে ব্যাবহার করার প্রয়োজন হয়না।প্রাইওরীও
যুক্তিগুলি আনসেল্মের মতো আরাম কেদারায়
বসে বসেই প্রস্তুত করা যায়।হ্যা আনসেল্মের কথাই বলছি।আনসেল্ম ঈশ্বর সম্পর্কে এমন
একটি প্রাইওরী যুক্তি প্রস্তুত করেছিলেন।ডকিন্স তার গ্রন্থে ব্যাপারটাকে এভাবে
তুলে ধরেছেন,মনে
করুন দুজন বন্ধুর সাথে কনভারসেশন হচ্ছেঃ
‘’আমি
তোমার সাথে বাজী ধরতে পারি যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে’’।
‘’না
তুমি পারবেনা,আমি
বিশ্বাস করিনা’’
‘’আচ্ছা, মনে মনে
নিখুঁত নিখুঁত যতটা সম্ভব একদম নিখুঁত কোনোকিছু একটাকে কল্পনা করো’’।
‘’হুম,কল্পনা করেছি’’।
সেই নিখুঁত বাস্তবতার অস্তিত্ব কি এ মহাবিশ্বের কোথাও
বাস্তবে আছে?
‘’না
নেই,এটি
আমার কল্পনার জগতে অস্তিত্বশীল’’।
‘’যদি
সেই নিখুঁত বাস্তবতা তোমার কল্পনার জগতকে ছেদ করে ফিজিক্যাল বাস্তবতায় অস্তিত্বশীল
হয় তাহলে কি সেটি তোমার কল্পনার ঝাপসা এবং কুয়াশচ্ছন্নতাকে অতিক্রম করে আরো অধিক
সুনিপুণ হয়ে দেখা দেবেনা’’?
‘’হুম, দেবে’’।
এরপর আনসেল্ম অনেকটা এভাবেই একটি প্রাইওরী যুক্তিতে অবতীর্ণ
হোন যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে।
ডকিন্স বলেছেন,এভাবে
একজন নির্বোধও চিন্তা করতে পারে যে এমন কিছু যার চাইতে মহানকিছুকে আমরা চিন্তা
করতে পারিনা তা কেবল আমাদের বোধের জগতেই বাস করে,কারণ সে যখন এটি শুনতে পারে তখন সে এটি বুঝতে পারে।
আর যেটা সম্ভব হয়েছে তা কেবল আমাদের বোঝার জগতেই
অস্তিত্বশীল।নিশ্চিতভাবে এমনকিছু যার চাইতে আর মহান কিছুকে আমরা চিন্তা করতে পারিনা
তা আমাদের বোধের জগতে সীমাবদ্ব থাকতে পারেনা।কারণ ধরা যাক এটি শুধু আমাদের বোধের
জগতেই বাস করে যার বাস্তব অস্তিত্ব ধারণা করা সম্ভব, যা আরো মহানতর।ডকিন্স এ ধরণের উপসংহারকে
ল্যাগোম্যাশিষ্ট চাতুরী বলেছেন।
তরুণ বয়সে বাট্র্যান্ড রাসেলও আনসেল্মের এ যুক্তি দ্বারা
কিছু সময়ের জন্যে প্রভাবিত হয়েছিলেন।রাসেল নিজেই বলেছিলেন- ১৮৯৪ সালে আমি যখন
ট্রিনিটি লেন দিয়ে হাঁটছিলাম তখন এক ঝলকের জন্যে আমার মনে হয়েছিলো এই যুক্তিটি
সঠিক,আমি
গিয়েছিলাম এক টিন তামাক কেনার জন্যে,আকষ্মিক
আমি তামাকের টিনটি শূন্যে ছুড়ে ফেলে দেই এবং বলে উঠি- গ্রেট স্কট...অন্টোলজিক্যাল
যুক্তিটি সঠিক।
কিন্তু ফিজিক্যাল জগতের কোনো তথ্য বা উপাত্ত ব্যাতীত
আনসেল্ম কিভাবে এ যুক্তিতে উপনিত হয়েছিলেন তা আমার জানা নেই, এমন কোনো
চিন্তা বা ইমাজিনেশন যার চাইতে শ্রেষ্ঠ কোনোকিছু হতে পারেনা তা অবশ্যই চিন্তা বা
ইমাজিনেশনের জগতে সীমাবদ্ব নয় কিন্তু ফিজিক্যাল জগতে তার এক্সিসটেন্স ম্যাপিং করার
চেষ্টা না করে অথবা নিশ্চিত না করেই সম্পূর্ণ দার্শনিক চিন্তার উপর বেসিস করে
একমাত্র আনসেল্মের মতো কোনো ফিলসফারই সম্ভবত শব্দের চাতুরীতে ঈশ্বরের অস্তিত্বের
সাপেক্ষে একটি শক্তিশালী যুক্তি উপস্থাপন করতে পারে যা কখনোই বৈজ্ঞানিক উপায়
দ্বারা সমর্থিত নয়,অন্তত
আমি সমর্থন করতে পারিনা।
লিখেছেন- রিসাস
( তথ্য সুত্রঃ গড ডিলুশন, ভার্চুয়াল ব্যাংস্পেস, অবিশ্বের দর্শন, বায়োলজি অব বিলিভ, এথিস্ট ইউনিভার্স = )
Comments
Post a Comment