দ্যা ফিজিক্স অব ফ্রি উইল, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-২৯


          

 The Physics of Free Will | Helix Magazine

তুমি ফুটবল প্লে করছো, তোমার পায়ের দিক নির্দেশনায় ফুটিবল একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছুটে চলছে, তোমার পায়ের মুভমেন্ট ফুটবলটির ভবিষ্যত যেদিকে ফিক্স করছে এটি সেদিকেই ভ্রমণ করছে।আমরা যদি কিছুক্ষণের জন্য থামি এবং লক্ষ্য করি তাহলে আমরা তোমার পায়ের মোশন দেখেই বলে দিতে পারবো ফুটবলটি গোলপোস্টে বাউন্স করবে কী না!আমরা কখনো ফুটবলের গতিবিধি দেখেও বলে দিতে পারবো এটি আসলে কোনদিকে যেতে চাইছে আবার যদি যথেষ্ট মনযোগের সাথে তোমার পায়ের সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ করি তাহলেও বলে দিতে পারবো ফুটবলটি ভবিষ্যতে কোনদিকে যাবে।আমরা পূর্বের অবস্থাকে পরিপূর্ণভাবে পড়তে পারলে ফুটবলের পরের অবস্থাটিকেও পড়তে পারবো।আচ্ছা, ফুটবলটি যদি তোমার পায়ের তালু দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গোলপোস্টের দিকে প্রচন্ড বেগ ছুটে চলে তবে তোমার পায়ের তালু কী কোনো পূর্বের অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হয়নি, তোমার পা কী নার্ভ থেকে সিগনাল পায়নি, তোমার দেহের স্নায়বিক নেটওয়ার্ক কী তোমার ঐচ্ছিক পেশিকে সঞ্চালন করতে সহযোগীতা করেনি?তোমার শরীরের নার্ভ গুলি তোমার মস্তিষ্কের নিউরাল সিগনাল অনুযায়ী ফুটবলটিকে সুট করার নির্দেশ দিয়েছিলো, তাই নয় কী?হ্যা... এখন যদি আমরা তোমার মস্তিষ্কের নিউরাল স্টেট মনিটর করি তাহলে আমরা প্রেডিক্ট করতে পারবো তোমার পায়ের তালু ফুটবলটিকে ঠিক কোনদিকে সুট করার ডিসিশন পেয়েছিলো মস্তিষ্ক থেকে।আমরা তোমার মস্তিষ্কের নিউরাল একটিভিটিজ দেখেই বলে দিতে পারবো তোমার ফুটবলের ফিউচার।এখানে থেমে যাবোই বা কেনো?
Free Will and Consciousness in the Multiverse - Physics ... 
তোমার মস্তিষ্ক নিউরন, হোয়াইট ম্যাটার এবং সিগন্যালিং মলিকিউল দ্বারা গঠিত এবং তারা অবশ্যই ফিজিক্সের নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করে – ফোর্সের সাথে রিয়েক্ট করে মোমেন্টাম সংরক্ষণ করে ইত্যাদি।আমরা ব্রেন মনিটরিং ইকুইপমেন্ট দিয়ে তোমার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সচেতন হওয়ার অনেক পূর্বেই তোমার ডিসিশন পড়ে ফেলতে পারবো,
তুমি ফুলবলটি স্বেচ্ছায় সুট করার পূর্বেই আমরা কী বলে দিতে পারবো ফুটবলটির গতি আসলে তাকে ভবিষ্যতে কোন দিকে নিয়ে যাবে?

 


আমরা কী একজন ক্রিকেটারের মস্তিষ্কে ক্রিয়াশীল ফিজিক্সের সুত্রগুলি পাঠ করে তার জন্মের পরই বলে দিতে পারবো কোন এক দিন সে আন্তঃর্জাতিক দলের ক্রিকেটার হিসেবে প্লে করবে এবং ওয়ার্ল্ড ফ্যামাস প্লেয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পাবে, আমরা কী তার প্রত্যেকটি ওভারের প্রত্যেকটি বলকে ডিটারমাইন করে দিতে পারবো?আমরা কী বলে দিতে পারবো ঠিক কোন বলটি তাকে কোন এঙ্গেলে আউট করবে অথবা আউট করতে পারবেনা?

ডোনাল ট্রাম্পের মস্তিষ্কে ক্রিয়াশীল ফিজিক্সের সুত্র গুলি তার জন্মের বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পূর্বেও মহাবিশ্বে ছিলো, আমরা কী সেই ‘’ল’’ অব ফিজিক্স পাঠ করে বিলিয়ন বছর পূর্বেই বলে দিতে পারবো ডোনাল ট্রাম্প নামক একজন ব্যাক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন?আইনস্টাইন বলেছিলেন, হ্যা সম্ভব, কারণ তিনি মনে করতেন বাস্তবতা প্রি-প্রোগ্রামড, কোনোকিছুই নিজের ইচ্ছায় সংঘঠিত হচ্ছেনা।আমি যদি আপনার জেনেটিক্যাল কোড পড়তে পারি তবে আমি আপনার জন্মের পূর্বেই বলতে দিতে পারবো আপনার চিন্তার প্যাটার্ন কেমন হবে!


তুমি ফুটবলটিকে কার কাছে সুট করবে?দশ নাম্বার জার্সির দিকে অথবা ২ নাম্বার?তুমি মনে করছো এটা তোমার নিজস্ব পছন্দ, তুমি মনে করছো তুমি চাইলেই এ দুয়ের যেকোনো একজনকে পরিস্থিতি বুঝে তুমি নির্বাচন করতে পারবে যারা বলটিকে তার কঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাবে।তোমার মনে হবে তুমি তোমার স্বাধীন ইচ্ছাকেই চর্চা করছো।কিন্তু আমরা দেখেছি কেউ যদি তোমার মস্তিষ্ককে মনিটরিং করতে পারে তবে সে তোমার সচেতনতার পূর্বেই বলতে দিতে পারবে তুমি ফুটবলটি ঠিক কোন দিকে টার্গেট করছো।কেউ যদি তোমার মস্তিষ্কের ফিজিক্স পাঠ করতে পারে তবে সে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পূর্বেই দেখে ফেলেছে তুমি এ মুহূর্তে ফুটবলটি ঠিক কত নাম্বার প্লেয়ারের দিকে সুট করছো।তার মানে তোমার সচেতনতাটাই একটি ইলুশন।তোমার স্বাধীন ইচ্ছার সচেতনার বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পূর্বেই সে ঘটনাটি ঘটে যায়।
Determinism and Free Will: New Insights from Physics, Philosophy ... 

কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্সের হাইজেনের আনসারটেইনটি ডিটারমিনেস্টিক ফিজক্সকে সাব-এটমিক লেবেলে ক্যান্সেল করে দেয়।আমাদের মস্তিষ্কের নিউরনসেলগুলি সাব-এটমিক এবং অনিশ্চয়তার সুত্র অনুসারে, পার্টিকেলগুলি সাব-এটমিক লেবেলে শুধুমাত্র পটেনশিয়ালিটি হিসেবে অস্তিত্বশী। সুপারপজিশনে একটি পার্টিকেল মাল্টিপল এনার্জি স্টেটে বাউন্স করে যতক্ষণ না একজন পর্যবেক্ষক তাকে পর্যবেক্ষন করছে।আপনি ফুটবলটি কিভাবে স্যুট করেছেন তা যদি আপনার মস্তিষ্কের নিউরাল একটিভিটিজ পর্যবেক্ষণ করেই পূর্ব থেকে বলে দেয়া সম্ভব হয় তবে অবশ্যই আপনার মস্তিষ্কের সাব-এটমিক পার্টিকেলদের পর্যবেক্ষণ করেও বলে দেয়া সম্ভব আপনি ফুটবলটিকে সুট করার ব্যাপারে কোন ধরণের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।কিন্তু উপ-পরমাণবিক পর্যায়ে আমরা রিয়েলিটিকে ডিটারমাইন করতে পারিনা, সেখানে কোয়ান্টাম আনসারটেইনটিটি কাজ করে, আপনার মস্তিষ্কের ডিসিশনটি কোয়ান্টাম সুপারপজিশনে অসীম সংখ্যক জগতে উপস্থিত থাকে, এক একটি জগতে ডিসিশনটি এক এক রকম, কোনো কোনো জগতে আপনি ফুটবলটি দশ নাম্বার জার্সিকে দিচ্ছেন অথবা কোন জগতে ফুটবলটি মিডফিল্ড থেকে সরাসরি গোলপোস্টে চলে গেছে কিন্তু আপনার পর্যবেক্ষণের পূর্বে ডিসিশনটি মাল্টি ইউনিভার্স কলাস্ফ করে সুনির্দিষ্ট কোনো স্পেস-টাইম জিওমেট্রিতে ফিক্স হয়না
এটাকে বলা হয় ভার্চুয়াল মাল্টিভার্স কনসেপ্ট।ভার্চুয়াল মাল্টিভার্স থিওরি অনুসারে, আমাদের ব্রেন একইসাথে এবং একইসময় মাল্টিপল ভার্চুয়াল ইউনিভার্সে সংবেদনশীল থাকে কিন্তু আমরা যখন সচেতন হই তখন ভার্চুয়াল মাল্টিভার্স কলাস্ফ করে একটি ডিসিশনে উপনিত হই, এবং আমরা তখন স্বাধীন ইচ্ছাকে অনুভব করি।যাইহোক, বাস্তবতার একেবারে গভীরে আমরা ঘটনার কার্যকারণ সম্পর্ককে সুনির্দিষ্ট করতে পারিনা, ফুটবলের মুভমেন্ট যদি পূর্ববর্তী অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হয় তবে আমরা অবশ্যই সে পূর্ববর্তী অবস্থাকে ডিটারমাইন করে বলে দিতে পারবো এর পরে কী হতে যাচ্ছে , কিন্তু আমরা আমাদের মস্তিষ্কের সাব-এটমিক স্কেলে কোনোকিছু পর্যবেক্ষণ ব্যাতীত কোনোকিছু ডিটারমাইন করতে পারিনা, র‍্যান্ডমনেস কাজ করে তারমানে আমার ইচ্ছার পেছনে আল্টিমেটলি সুনির্দিষ্ট কোন কার্যকারণ

 কাজ করছেনা, আমি নিজের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি?আমার অবজারভেশন কোন পূর্বকারণ দ্বারা প্রভাবিত ছিলোনা?


1. The Naturalistic Case for Free Will: The Challenge – The Brains ...
২০০৬ খ্রিস্টাব্দে জন কনওয়ে এবং সিমন কোচেন ‘’ফ্রি উইল থিওরেম’ প্রকাশ করেন যা স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটি এবং কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের ভিত্তিতে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির বাস্তবতা দেখিয়েছেন।এই থিওরেম আমাদের বলে, যদি পর্যবেক্ষকের কর্ম তার অতীতের কোনো ইভেন্ট দ্বারা নির্ধারণ করা সম্ভব না হয় তাহলে সে যা পর্যবেক্ষণ করছে তার সেই আচরণকেও অতীতের কোন ইভেন্ট দ্বারা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।তাদের মতে যদি কারো স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি

 








থেকে থাকে, তবে সাব-এটমিক পার্টিকেলদেরও স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি রয়েছে তারা ধারাবাহিকভাবে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিয়ে থাকে।
কোনওয়ে –কোচেন থিওরেম, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অস্তিত্ব রক্ষা করেছেন।কিন্তু যদি সব কিছুরই স্বাধীন ইচ্ছা থাকে তবে স্বাধীন ইচ্ছা আর স্পেশাল কোনোকিছু নয় তাহলে এখন আমাদের বোঝা উচিত এই থিওরেম আসলে কী বলতে চাচ্ছে।স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটি অনুসারে,
আপনার অতীত হলো এমন কিছু যা সে সকল ঘটনাকে অন্তর্ভূক্ত করে যে সকল ঘটনা আপনার বর্তমানকে প্রভাবিত করছে কার্যকারণ প্রভাবের মাধ্যমে এবং এ কার্যকারণ অবশ্যই স্পিড অব লাইট থেকে দ্রুত গতিতে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনা।

একজন পর্যবেক্ষকের অতীত হলো সে সকল কিছু যে সকল ইনফরমেশন পর্যবেক্ষক জানে, অন্তত প্রিন্সিপ্যাল তাই বলে কিন্তু পর্যবেক্ষক কখনো জানতে পারেনা ঠিক এ মুহূর্তে কী সংঘঠিত হতে যাচ্ছে।ব্যাপারটা হয়তোবা অনেকে পরিস্কার হতে পারেন নি।একটু খেয়াল করুন,
আমরা জানি মহাবিশ্বে আলোর গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে কোন ইনফরমেশন ট্রাভেল করতে পারেনা, কিন্তু এই গতির একটি সীমা আছে।আলো যদি অসীম গতিতে পথ চলতো তাহলে এক স্থান থেকে অন্য আর একটি স্থানে কোনো ইনফরমেশন ভ্রমণ করতে সময় প্রয়োজন হতোনা।আমরা জানি আলো প্রতি সেকেন্ডে ১৮৬০০০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে।সূর্য থেকে ফোটন যদি প্রতি সেকেন্ডে ১৮৬০০০ মাইল বেগেও পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে তবুও আমাদের রেটিনায় সূর্য প্রকাশিত হতে সময় প্রয়োজন হয় ৮ মিনিট আঠার সেকেন্ড।তার মানে, আমরা আট মিনিট আঠার সেকেন্ড পূর্বের সূর্যকে দেখছি, আমরা বর্তমান মুহূর্তে সূর্যের মধ্যে কী সংঘঠিত হচ্ছে তা জানতে পারছিনা!বর্তমান মুহূর্তকে জানার স্বাধীনতা আমাদের নেই!২.৫ মিলিয়ান আলোক বর্ষ দূরের অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি থেকে আমাদের পৃথিবীতে আলো আসতে সময় প্রয়োজন হয়েছে ২.৫ মিলিয়ন বছর।অতএব আমরা যখন অ্যান্ড্রমিডার দিকে তাকাচ্ছি আমি সরাসরি তাকিয়ে আছি ২.৫ মিলিয়ান বছর অতীতের দিকে?আমরা বর্তমানকে দেখছিনা!দেখা সম্ভব হচ্ছেনা!বর্তমানকে দেখার কোন স্বাধীনতাই আমাদের নেই?আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি অনুসারে, আলোর গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে মহাবিশ্বে কোন ঘটনাই ঘটেনা,যদি আলোর গতিতে পথ চললেও সময় প্রয়োজন হয়, তবে যে সকল ঘটনা আলোর গতির চেয়ে ধীর গতিতে ঘটে সেগুলি অনুভব করতেও আমাদের সময় প্রয়োজন হবে।আমাদের মস্তিষ্কের প্রত্যেকটি ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশন সংঘঠিত হতে সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে আর এ জন্যে আমাদের মস্তিষ্ক শুধুমাত্র সে সকল ঘটনাকেই অনুভব করতে পারছে যা এই মাত্রই হয়ে গেছে, আমাদের কনসাসনেস
বর্তমানকে অনুভব করতে পারছেনা!কনওয়ে এবং কোচেন প্রশ্ন করেছিলেন, Do we loose any free will due to what’s happening now? Does an electron?
কোয়ান্টাম থিওরি এখানে সতর্কতা প্রকাশ করেছে।বিশুদ্ধ কোয়ান্টাম থিওরিতে বলা আছে,যেকোনো হারে,  মহাবিশ্বের ফিজিক্যাল বাস্তবতা প্রকাশিত হয়েছে একটি একতা হিসেবে।সবকিছু এন্ট্যাংগেল এবং এন্ট্যাংগেলমেন্টের মধ্যে কোন কার্যকারণ নেই।আর এই কানেক্টিভিটির সাথে স্পিড অব লাইটের কোনোকিছু করার নেই।তুমি এবং একটি ইলেক্ট্রন সমগ্র মহাবিশ্বের সাথে এ মুহূর্তেই এন্ট্যাংগেল।যা তুমি করছো এবং যা একটি ইলেক্ট্রন করছে, প্রকৃতপক্ষে যা সবাই করছে সবকিছু হলো তা যা এ মুহূর্তে মহাবিশ্ব করছে।
কনওয়ে-কোচেন থিওরেম ব্যাক্তির অতীতের ডিটারমিনিস্টিক ইফেক্টকে সীমিত করে দিয়েছে কারণ যদি সবকিছু কানেক্টেড হয়, ব্যাক্তির অতীত তবে কোনোকিছুই না।এখানে কোনো ব্যাক্তির অতীত নেই, কারণ সমস্ত অতীত মহাবিশ্বের মধ্যেই সংঘঠিত হয়, তার মানে আমরা আমাদের ব্যাক্তিগত অতীত বলে যে অতীতকে দেখছি তা আসলে মহাবিশ্বেরই অতীত। কনওয়ে এবং কোচেন থিওরি অনুসারে, যদি সবকিছুই সম্পর্কযুক্ত হয়,তাহলে তোমার কোনো ব্যাক্তি স্বাধীনতা নেই, কোনোকিছুরই ব্যাক্তি স্বাধীনতা নেই!
কিন্তু অপেক্ষা করুন, হয়তোবা কোনো স্বতন্ত্র বস্তুর ব্যাক্তি স্বাধীনতা নেই কিন্তু কোনকিছুর পক্ষেই বলা সম্ভব নয় যে সমস্ত মহাবিশ্বের কোনো স্বাধীনতা নেই।কনওয়ে-কোচেন থিওরেম অনুসারে, হয়তোবা সঠিক উত্তর এটা নয় যে সবকিছুর ফ্রি উইল আছে, অথবা কোনকিছুর ফ্রি ইউল নেই, কিন্তু সবকিছু, সমগ্রের, ইন্টার-কানেক্টেড মহাবিশ্বের ফ্রি উইল রয়েছে।সমস্ত মহাবিশ্বের ফ্রি উইল আছে এটি আমাদেরকে আবার নিউটনের ডিটারমিনেস্টিক ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যায়।কোনওয়ে থিওরেম ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করে আবার ইউনিভার্সাল কানেক্টেডনেস ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়।কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্সের সাথে ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সের আসল পার্থক্যটা কোথায়?কোয়ান্টাম ফিজিক্সে ব্যাক্তির ভবিষ্যত তার অতীতের কোন  একটি অংশ দ্বারা নির্ধারিত হচ্ছেনা, যেহেতু এটি ব্যাক্তির অতীতকে না দেখে দেখে থাকে সমগ্রকে।শুধুমাত্র মহাবিশ্বের সমগ্র অতীতই একজন ব্যাক্তির ভবিষ্যতকে প্রেডিক্ট করতে পারবে।কিন্তু তুমি বা কোন পর্যবেক্ষকের পক্ষেই সমগ্র অতীতকে দেখা সম্ভব নয়।আমরা এখনো একটি পার্টিকেলের ফিউচারও প্রেডিক্ট করতে পারিনা, কারণ আমরা সমস্ত অতীতকে জানিনা।মিসিও কাকু বলেছিলেন, আমরা যেহেতু আমাদের ফিউচারকে প্রেডিক্ট করতে পারছিনা, আমরা বর্তমানে অনিশ্চয়তা অনুভব করছি, অতএব স্বাধীন ইচ্ছার একটি সম্ভাবনা থেকেই যায়।


 হ্যা... জীবন স্বাধীন ইচ্ছায় পরিপূর্ণ।আমরা যখন স্যান্ডয়েচ এবং বার্গার পছন্দ করি।যখন আমরা আমাদের পছন্দের সিরিজ নেটফ্লিক্স দেখি অথবা সঠিক সময় ঘুমোতে যাই।আমাদের পছন্দের একটি প্রভাব রয়েছে এবং আমরা এটা আমাদের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি অনুযায়ী করি।
স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির প্রকৃতি একটি দীর্ঘকালীন ফিলসফিক্যাল ডিবেট কিন্তু এটি একইসাথে মহাবিশ্বের ফান্ডামেন্টাল ন্যাচার সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলে।‘’BIG THINK”” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে, মিসিও কাকু ২০১১ সালে বলেছিলেন,

‘’আইনস্টাইন বিশ্বাস করেন তিনি একজন পূর্বনির্ধারণবাদী।তার মানে কী এই যে একজন খুনী তার খুনের জন্যে দায়ী নয় কারণ সে খুন করার জন্যে বিলিয়ন বছর পূর্ব থেকেই নির্দিষ্ট ছিলো?
আইনস্টাইন বলেছিলেন, হ্যা অবশ্যই একটা দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সত্য কিন্তু তিনি বলেছিলেন, তারপরেও খুনিকে জেলে বন্দী করতে হবে।‘’

মিসিও কাকু আরো বলেছিলেন,’’Einstein believed that free will was just an illusion, and that awareness of this lack kept him from taking himself and others too seriously. But Einstein was plain wrong’’প্রশ্ন হলো মহাবিশ্ব কী  স্ট্রিক্ট পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম দ্বারা পরিচালিত যা বিগব্যাং এর পর থেকে মহাবিশ্বের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার ডেস্টিনি বা নিয়তিকে নির্ধারণ করবে?নাকি মাঝেমাঝে ‘’ল’’ অব ফিজিক্স কোন ঘটনাকে র‍্যান্ডমলি ঘটারও অনুমোদন দেয়।শতাব্দীর প্রাচীন পদার্থ বিজ্ঞান এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।কিন্ত সায়েন্টিফিক আমেরিকান এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিলিয়ন লাইট ইয়ার্সব্যাপী একটি এক্সপেরিমেন্ট পরিচালনা করে তারা আবিষ্কার করেছেন প্রকৃতিতে র‍্যান্ডমনেসের অস্তিত্ব রয়েছে এবং তা মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিকে অনুমোদন দেয়।


ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স সবসময় পূর্বনির্ধারণবাদকে সমর্থন করে।নিউটনের ম্যাথমেটিক্যাল মহাবিশ্ব একটি ক্লকওয়ার্ক মহাবিশ্ব যেখানে প্রতিটি কজের অনন্য একটি ইফেক্ট রয়েছে এবং আমরা আমাদের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দ্বারা পরিচালিত নয় বরং আমরা পরিচালিত স্থির এবং অপরিবর্তনীয় কিছু প্রাকৃতিক সুত্র দ্বারা।
কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্সের একটি অদ্ভুত সম্পদ হলো র‍্যান্ডমনেস যা থেকে কিছু বিজ্ঞানী স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির দরজা উন্মোচন করতে পারবেন বলে মনে করেন।যখনই কোয়ান্টাম ফিজিক্স বাস্তবতার গভীরে খনন করেছেন তখনই তারা র‍্যান্ডমনেস খুঁজে পেয়েছেন।
আবার অনেক বিজ্ঞানীর মতে কোয়ান্টাম র‍্যান্ডমনেস আসলে র‍্যান্ডম নয়।আমার কাছে যদিও মনে হয় এটি র‍্যান্ডম ওয়েতে কাজ করছে কিন্তু এই র‍্যান্ডমনেস আসলে ডিটারমিনেস্টিক হিডেন ভেরিয়েবল দ্বারা পরিচালিত।

আমরা এখনো কোয়ান্টাম গ্রেভিটিকে পুরোপুরিভাবে রিয়েলাইজ করতে পারিনি।এর পেছনে অন্যতম একটি রিজন হলো আমরা জানিনা কিভাবে আইনস্টাইনের ডিটারমিনেস্টিক থিওরি অব গ্রেভিটিকে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের র‍্যান্ডমনেসের সাথে টিউন করা যায়। যা আইনস্টাইনকেও সম্মোহিত করেছিলো সম্ভবত আমাদের চেয়ে আরো উজ্জ্বলভাবে।তিনি একটি এক্সপেরিমেন্ট কল করেছিলেন যার মাধ্যমে র‍্যান্ডমনেসের এই ধারণাটিকে ব্যাখ্যা করা যায়।বোরিস পোডোলস্কি এবং নাথান রোজেনকে সাথে নিয়ে তিনি একটি থট এক্সপেরিমেন্ট প্রেজেন্ট করেন।যা বর্তমানে ই পি আর নামে পরিচিত।

ইপি আর’ কে বোঝার জন্যে কল্পনা করো তোমাদের এমন একজন দুষ্টু বন্ধুকে যে প্রাংক করতে ভালোবাসে।সে এলেক্স।যে, দুটি মাক্স ক্রয় করলো তোমার আর আমার জন্যে।একটি মাস্ক সিংহের আর অন্যটি ভাল্কুকের।এলেক্স মেসেঞ্জারে আমাদের দুজনের কাছে মাস্কের দুটি ছবি সেন্ড করলো।তুমি মেসেঞ্জার অন করার পূর্বে তুমি কী বলতে পারবে এলেক্স তোমার কাছে কোন মাস্কটি সেন্ড করেছে?
না, পারবেনা, বরং তোমার কাছে তখন ব্যাপারটা র‍্যান্ডম মনে হবে।
কিন্তু যখন তুমি মেসেঞ্জার অন করলে এবং দেখলে তোমাকে এলেক্স ভাল্লুকের মাস্কটি পাঠিয়েছে তবে তুমি আমার ইনবক্সে যোগাযোগ করা ছাড়াই ইনস্ট্যান্টলি বলে দিতে পারবে এলেক্স আমাকে লায়ন মাস্কটাই সেন্ড করেছে।তুমি তোমার ইনবক্স জানলে আমার ইনবক্সের নিউজ তোমার অটোম্যাটিক্যালি জানা হয়ে যাবে আমি তোমার থেকে যত মিলিয়ন কিলোমিটার দূরেই অবস্থান করি না কেনো, তাইনা?মনে হবে, যেনো তোমার এবং আমার ইনবক্সের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে।অথবা আমার ইনবক্স থেকে তোমার কাছে কোন তথ্য সেন্ড করার পূর্বেই আমার তথ্য তুমি জেনে গেছো।কিন্তু আইনস্টাইনের মতে ব্যাপারটা তা নয়, মূলত দুটি ইনবক্সে কোনো কমিউনিকেশন হয়নি।তিনি এটাকে স্পুকি একশন এট ডিস্টেন্স বলেছিলেন।


এটাই ইপি আর এর প্রধান আইডিয়া।ইপি আর আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের সিলি প্রাংক থেকে বেশি কিছু না কিন্তু কোয়ান্টাম অবজেক্ট আসলেই অদ্ভুত আচরণ করে!তোমরা নিশ্চয় শ্রডিঙ্গারের কেটস সম্পর্কে পূর্বের অধ্যায় গুলিতে পড়েছো, যেখানে কোয়ান্টাম কেটস জীবিত নয় অথবা মৃত যদিনা তুমি তাকে ডেফিনিট অবস্থা থেকে পর্যবেক্ষণ না করো!কোয়ান্টাম রিয়েল্মে একটি অবজেক্ট একইসময় এবং একইসাথে ইনিফিনিট সেক্টিলিওন এনার্জি স্টেটে বাউন্স করে যতক্ষণ না তুমি তাকে পর্যবেক্ষণ করছো।মনে করো, আমাদের ইনবক্সটিও ওপেন করার পূর্বে অসীম সংখ্যক মাস্ক থাকার সম্ভাবনা থাকে, জোড়ায় জোড়ায়।
তুমি যতক্ষণনা ইনবক্স চেক করছোনা ততক্ষণ তুমি বুঝতেই পারছোনা স্পেসিফিক্যালি কোন মাস্কটি তোমাকে সেন্ড করা হয়েছে।যখন তুমি ইনবক্সটি ওপেন করবে ঠিক তখনই তুমি নিশ্চিত হবে।কিন্তু কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স আমাদের বলছে, তুমি কিভাবে ইনবক্স চেক করেছো তার উপরই নির্ভর করবে ইনবক্স ওপেন করার পর তুমি সেখানে কী দেখতে যাচ্ছো!ব্যাপারটা অদ্ভুত , তাইনা?
তুমি কোন এপস ইনস্টল করে মেসেঞ্জার ওপেন করেছো তা কি তোমার ইনবক্সের কোন মেসেজকে প্রভাবিত করতে পারে?তোমাকে আমি ইনবক্সে একটি বিড়ালের ছবি পাঠিয়েছি  এবং তুমি ক্রোম থেকে মেসেঞ্জার অন করে দেখলে সেটা কুকুরে রুপান্তরিত হয়ে গেছে, এমন কিছু কী সম্ভব?ব্যাপারটা একেবারেই অসম্ভব!পর্যবেক্ষক কিভাবে পর্যবেক্ষণ করবে তার উপর ভিত্তি করে বাস্তবতা কেনো নির্দিষ্ট হবে?কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, কোয়ান্টাম জগতে এই কল্পনাতীত ও একেবারে অসম্ভব ঘটনাটাই ঘটে।শুধু তাই নয় একবার যখন তুমি ক্রোম দিয়ে তোমার মেসেঞ্জার অন করে জেনে ফেলবে তোমার ইনবক্সে ঠিক কোন মেসেজটি এসেছে তাহলে কোন প্রকার কমিউনিকেশন ছাড়াই তুমি বলে দিতে পারবে আমার ইনবক্সে কোন মেসেজটি এসেছে যদিও আমি এক আলোক বর্ষ দূরে হই।তোমার ইনবক্স একইসাথে এবং একইসময় আমার ইনবক্সকে প্রভাবিত করতে পারবে, ব্যাপারটা এমন যেনো আমি তোমাকে আমার ইনবক্সের নিউজ জানানোর পূর্বেই তুমি আমার নিউজ জেনে গেছো।বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এ দুটি মেসেঞ্জার এন্ট্যাংগেল; যা আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি অনুসারে অসম্ভব কারণ তিনি মনে করতেন স্পিড অব লাইট থেকে দ্রুত সময়ে কোনোকিছুই পথ চলতে পারেনা, আলো যেহেতু প্রতি পার সেকেন্ডে তিন লক্ষ মাইল বেগে পথ চলে সেহেতু ইনফরমেশন একটি স্থান থেকে অন্য আর একটি স্থানে ভ্রমণ করতে অবশ্যই কিছু না কিছু সময়ের  প্রয়োজন হবে।কিন্তু কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগেলমেন্টে স্পিড অব লাইট ভায়োলেট করে যা আইনস্টাইন কখনোই মেনে নিতে পারেন নি!


যাইহোক, আমরা তো আর এই এক্সপেরিমেন্টটি মাক্স দিয়ে করতে পারিনা!এজন্যে আমাদের প্রয়োজন আলোক তরঙ্গ, দুটি এন্ট্যাংগেল ফোটনকে আমরা বিপরীত ডিরেকশনে সেন্ট করতে পারি।আমি একটি ফোটনের অরিয়েন্টেশন পরিমাপ করবো তুমি পরিমাপ করবে অন্যটির, তারপর আমরা আমাদের রেজাল্ট কম্পেয়ার করে দেখবো।আমরা বিভিন্ন রকমের অরিয়েন্টেশন পরিমাপ করতে পারবো, অতএব আমাদেরকেই পছন্দ করতে হবে আমরা ঠিক কোন অরিয়েন্টেশনটা চয়েজ করবো।আমরা যখন ল্যাবে এ পরীক্ষাটি করি তখন দেখা যায় এটি কাজ করে।যদি আমাদের মেজারমেন্ট র‍্যান্ডম হয় তাহলে অন্য ফোটনটির পক্ষে কখনোই জানা সম্ভব নয় আমরা এখানে ঠিক কোন মেজারমেন্টটি নিয়েছি।অতএব কোন হিডেন ভেরিয়েবলই থাকবেনা যা দ্বারা আমরা ফলাফলকে ডিটারমাইন করতে পারবো।আমরা যেকোনোকিছু পেতে পারি, যেকোনো মাস্ক কিন্তু ব্যাপারটা সত্যিকারে র‍্যান্ডম। 



কিন্তু সায়েন্টিফিক আমেরিকা ২১ শে নভেম্বার ২০১৮ তে গবেষক এবং বিজ্ঞানী Brian Koberlei বলেছিলেন , এটাই মূল কারণ যেজন্যে আইনস্টাইন একে স্পুকি একশন এট এ ডিস্টেন্স বলেছিলেন।এটা  স্পুকি কারণ অবজেক্টগুলির মাঝে কোয়ান্টাম কানেকশন রয়েছে যদিও দ্বারা লাইট ইয়ার্স দূরে হয়।আর সেজন্যে একটির মেজারমেন্টই একইসাথে উভয়ের মেজারমেন্ট নিশ্চিত করে দেয়।কিন্তু এটাকে আমরা তখনই স্পুকি বলতে পারি যদিনা এটি র‍্যান্ডম হয়।যদি র‍্যান্ডম না হয় তাহলে ই পি আরকে ব্যাখ্যা করতে কোনো স্পুকি কানেকশনের প্রয়োজন পড়েনা।


এটাকেই বলা হয় ‘’ফ্রিডম অব চয়েজ’’ লুপহোল।ইপি আর এক্সপেরিমেন্ট ল্যাবে সংঘঠিত হয়েছিলো, যদি আমরা কিভাবে একটি ফোটনকে পরিমাপ করতে পছন্দ করি তা র‍্যান্ডম হয়, যদি আমাদের কোন স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিই না থাকে তবে আমরা যে পর্যবেক্ষণ করি তা অবশ্যই পূর্ববর্তী অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত।ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলি, এক্সপেরিমেন্ট পরিচালনার পূর্বে আপনি ল্যাব তৈরি করেছেন, ল্যাবের পরিবেশ নির্ধারণ করেছেন এবং যন্ত্রপাতি সেট করেছেন আর হয়তোবা এসবকিছু আপনার অবজারভেশনকে নির্ধারণ করে দিয়েছিলো, আপনি স্বাধীনভাবে ই পি আর এক্সপেরিমেন্ট পরিচালনা করেন নি।আর সম্ভবত আপনার ল্যাবের একটি ইন্টারেকশন ছিলো ফোটনের অরিয়েন্টেশন নির্ধারণে যা আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলো কোন ধরণের এক্সপেরিমেন্ট পরিচালিত হবে।সম্ভবত এক্সপেরিমেন্ট,সায়েন্টিস্ট এবং ল্যাব সবকিছু এন্ট্যাংগেল এমন একটি উপায়ে যার জন্যে ফলাফল র‍্যান্ডম নয়।

আমরা জানি যে স্পিড অব লাইট কনস্ট্যান্ট, আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে কোনোকিছু পথ চলতে পারেনা।এটা বাস্তব যে কোনো তথ্যই আলোর চেয়ে দ্রুত ট্রাভেল করতে পারেনা।আমরা একে অপরকে ইন্টারনেটে টেক্সট মেসেজ সেন্ড করতে পারি কিন্তু আলোর গতির চাইতে দ্রুত গতিতে নয়, এটি আমাদের কাছে আসতে সময় প্রয়োজন হয়।ক্ষুদ্র ল্যাবে আলোর কাছে প্রচুর সময় থাকে সামনে এবং পেছনে ভ্রমণ করার জন্যে কিন্তু তবুও ক্ষুদ্র পরিমাপের তথ্য হলেও র‍্যান্ডম এক্সপেরিমেন্টের মধ্যে হস্তক্ষেপ করবে।সম্ভবত ব্যাপারটা বুঝাতে পারিনি!একটু মনযোগ দিয়ে বুঝুন, আলো প্রতি পার সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল বেগে পথ চলে, কিন্তু সেটা তো আর অসীম গতি নয়, এটি সীমিত গতি, একটি নির্দিষ্ট গতি, আলো যদি অসীম গতিতে পথ চলতো তাহলে ইনফরমেশনের জন্যে আমাদের অপেক্ষা করতে হতোনা, বা ইনফরমেশন কোথাও পাঠানোর প্রয়োজনই হতোনা, আমাদের ল্যাবেও কোনো ইনফরমেশন আসতোনা এবং আমাদের র‍্যান্ডম এক্সপেরিমেন্টে হস্তক্ষেপ করতোনা।অতএব আমরা এ পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ র‍্যান্ডমভাবে এক্সপেরিমেন্ট পরিচালনা করতে পারিনা, কিছুনা কিছু কার্যকারণ, কিছু না কিছু ইনফরমেশন বা নির্দিষ্টতা থেকে যায় যা এক্সপেরিমেন্টটিকে প্রভাবিত করে, তথা আমাদের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির কনসেপ্ট ভেঙে যায়।কিন্তু নতুন ধরণের একটি এক্সপেরিমেন্ট আবিষ্কার করা হয় যার মাধ্যমে এ ঝামেলাটি এড়ানো যায় আর এ জন্যে ল্যাবে র‍্যান্ডম নাম্বার জেনারেটর ব্যাবহার করার পরিবর্তে পরীক্ষকরা কোয়েসারকে ব্যাবহার করে!






কিন্তু প্রশ্ন হলো কোয়েসার কী?কোয়েসার হলো উজ্জ্বল আলোর শিখা যা সুপারমেসিভ ব্লাকহোল থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত দূরবর্তী গ্যালাক্সির কেন্দ্র।নিকটবর্তী কোয়েসার থেকে আমাদের পৃথিবীতে আলো আসতে সময় প্রয়োজন হয় ১৫০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ, তার মানে আমরা বর্তমানে কোয়েসারের যে আলোক তরঙ্গকে পর্যবেক্ষণ করছি তা ১৫০ মিলিয়ন বছর অতীতের মহাবিশ্ব থেকে ছুটে আসা।মানব সভ্যতা পৃথিবীতে এসেছে মাত্র এক লক্ষ বছর পূর্বে, তার মানে মানব সভ্যতার সৃষ্টির মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পূর্বে কোয়েসার থেকে পৃথিবীর দিকে এ আলোক তরঙ্গগুলি যাত্রা শুরু করেছিলো।অতএব আমরা কোয়েসারে বর্তমানে যে আলোক তরঙ্গগুলি দেখছি সেগুলি ১৫০ মিলিয়ন বছর অতীত সময়ের, যে সময় এক্সপেরিমেন্টার,ল্যাবরেটরি অথবা মানব সভ্যতা কোনোকিছুই ছিলোনা।যদি এক্সপেরিমেন্টাররা কোয়েসারের লাইট ফ্লাকচুয়েশন দিয়ে ফোটনের অরিয়েন্টেশন পরিমাপ করে তবে এক্ষেত্রে এক্সপেরিমেন্টটি ল্যাব,এক্সপেরিমেন্টার বা এনভায়রণমেন্ট কোনোকিছু দ্বারাই প্রভাবিত হবেনা কারণ সেখানে এদের অস্তিত্বই নেই।কোয়েসারের আলোর ফ্লাকচুয়েশন ঘটেছিলো মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পূর্বে যেখানে এক্সপেরিমেন্টটি সংঘঠিতই হয়নি!অতএব কোনভাবেই এর পক্ষে ই পি আর এক্সপেরিমেন্টের সাথে এন্ট্যাংগেল হওয়া সম্ভব না!

অতএব পার্টিকেলটির অরিয়েন্টেশন নির্ধারণে ল্যাব,যন্ত্রপাতি বা এক্সপেরিমেন্টার কারোই কোনো ইন্টারকানেক্টিভিটি থাকবেনা, স্বাধীন পর্যবেক্ষণ ব্যাতীত! সম্ভবত এটি কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগেলমেন্টই স্বাধীন ইচ্ছার অস্তিত্বের সাপেক্ষে অন্যতম একটি সম্ভাবনা যে জন্যে আমরা আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের প্রতিটি প্রদক্ষেপের মাঝে ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে উপলব্দি করতে পারি এবং গর্ববোধ করতে পারি আমাদের প্রতিটি স্বাধীন সিদ্ধান্তের জন্যে। 





তথ্যসুত্রঃ


: The Virtual Multiverse Theory of Free Will [Ben Goertzel], What Does Quantum Theory Tell us About Free Will?[By Chris Fields and Chris Fields, Helix]


·        Borges, Jorge Luis (1999).  Collected Fictions.  Viking.
·        Chalmers, David (1997).  The Conscious Mind.  Oxford University Press.
·        Dennett, Daniel (1992).  Consciousness Explained.  Back Bay Books.
·        Dennett, Daniel (2003).  Freedom Evolves.  Viking.
·        Devaney, Robert (2003).  An Introduction to Chaotic Dynamical Systems.  Westview Press.
·        Dewitt, Bryce and C. Seligman (1974).  The Many-Worlds Interpretation of Quantum Mechanics.  Princeton University Press.
·        Gazzaniga, Michael (1989). "Organization of the Human Brain," Science, Sept., pp. 947-956
·        Libet, B., A. Freeman and K. Sutherland (2000).  The Volitional Brain: Towards a Neuroscience of Free Will.  Imprint Academic.
·        Maturana, Humberto and Francisco Varela (1992).  The Tree of Knowledge.  Shambhala.
·        Peirce, Charles S. (1982).   Collected Works Volume 5. Indiana University Press.


https://www.google.com/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=4&cad=rja&uact=8&ved=2ahUKEwia1bKKt8joAhUfyzgGHb6dAAUQFjADegQIBhAB&url=https%3A%2F%2Fgoertzel.org%2Fdynapsyc%2F2004%2FFreeWill.htm&usg=AOvVaw03jL8dR9PTIipuDcI8CFOU


Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

I am Planck

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১