প্যারা সাইকোলজি এবং হলোগ্রাফিক ব্রেন, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-২৮



          
            

এবার আমরা আলোচনা করবো মানুষের সাইকোলজির গভীর থেকে গভীরতর মাত্রা নিয়ে। প্যারানয়েড সিজোফ্রেনীয়া, ম্যানিক ডিপ্রেশন, মাল্টিপল ক্যারেক্টারিস্টিক ডিজ-অর্ডার এবং লুসিড ড্রিম যার মধ্যে অন্যতম।আমরা হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপ্যাল এবং কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো সকল পেনোমেননের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ।সাধারণত বিজ্ঞানীরা মনে করেন আমাদের মস্তিষ্কের ইনফরমেশনগুলি  বিভিন্ন নিউরাল সেক্টরে বিভক্ত থাকে যেমন আমরা জানি, নিও কর্টেক্স অথবা এসোসিয়েশন অপারেটিং সিষ্টেম সম্পূর্ণ আলাদা ইনফরমেশন নিয়ে কাজ করে।কিন্তু হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপালের সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম একজন কার্ল পিব্রাম ইঁদুরের মস্তিষ্কের উপর গবেষণা পরিচালনা করে প্রমাণ করেছিলেন যে মস্তিষ্কের ইনফরমেশন অথবা মেমরি আলাদা কোনো লোকেশনে সীমাবদ্ধ থাকে না, মেমরি একটি গ্লোবাল প্রোপার্টি ,এটি নির্দিষ্ট কোনো নিউরন সেলে লোকেটেড নয়।তিনি একটি ইঁদুরকে পার্টিকুলার একটি গেমস শিক্ষা দিয়েছিলেন, এবং যে নিউরন গুলিতে ইনফরমেশন সংরক্ষিত আছে বলে মনে করা হতো সেই নিউরন সেলগুলি অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করেন কিন্তু যখন ইঁদুরটি সুস্থ্য হয়ে উঠে পিব্রাম লক্ষ্য করলেন ইঁদুরটি আগের মতোই পারফর্ম করতে পারছে, সে কোনো ইনফরমেশনই ভুলে যায়নি।এরপর পিব্রাম একে একে ইঁদুরের মস্তিষ্ক থেকে প্রায় সবগুলি নিউরন অপসারণ করেন কিন্তু তিনি বিষ্ময়ের সাথে উদ্ভাবন করেন, নিউরনের অনপুস্থিতি
ইঁদুরটি অনুভব করতে পারছেনা, সে ঠিক আগের মতোই গেমসটি পারফর্ম করতে পারছেএভাবে কিছুকিছু বিজ্ঞানী গবেষণার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে এসেছিলেন, ইনফরমেশন নিউরনে নয়, ইনফরমেশন থাকে এনগ্রামে, তারা আমদের মস্তিষ্কের মেমরিকে হলোগ্রাফিক্যালি ব্যাখ্যা করেন!হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপ্যাল সম্পর্কে যারা বিস্তারিত জানতে চান তারা আমার অনুবাদকৃত দ্যা হলোগ্রাফিক ইউনিভার্স গ্রন্থটি অনুসরণ করতে পারেন।


The Holographic Universe: The Revolutionary Theory of Reality ...


যাইহোক প্যারানয়েড সিজোফ্রেনীয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পর্যবেক্ষিত একটি কমন সিন্ড্রোম ছিলো তারা যখন সূর্যের দিকে তাকায় তখন তারা সূর্যের নিচে একটি টিউব দুলতে দেখে এবং তারা বিশ্বাস করে যখন টিউবটি দুলতে থাকে তখনই পৃথিবীতে বাতাস প্রবাহিত হয়।১৯০৬ খ্রিষ্ঠাব্দে বিজ্ঞানী কার্ল জাং একদিন রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন।তিনি আকষ্মিক লক্ষ্য করেন একজন ব্যাক্তি জানলার ভেতর দিয়ে অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক দৃষ্টিতে আকাশ দেখছেন এবং যখন জাং তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করেন সে একটি বিষ্ময়কর উত্তর প্রদান করেন সেটি ছিলো, সে সূর্যের পেনিস দেখছে।সে যখন তার মাথাটাকে এদিক ওদিক দোলায় তখন পেনিসটাও দুলতে থাকে।জাং অনুভব করতে পেরেছিলেন এটি একটি হেলিওচুনেশন।কিছুদিন পর জাং দুই হাজার বছর পূর্বের একটি পার্সিয়ান রিলিজিয়াস গ্রন্থ অনুবাদে মনযোগী হয়ে উঠেন।তিনি দেখেন অসংখ্য রিলিজিয়াস ভিশনের মধ্যে একটি ছিলো যখন একজন পার্টিশিপেন্ট সূর্যের দিকে তাকায় তখন সে একটি টিউব দেখে, যেটি এদিক ওদিক দুলতে থাকে এবং সেজন্যেই বাতাস প্রবাহিত হয়!প্যারাসাইকোলজিতে একটি টার্ম আছে ‘’কালেক্টিভ কনসাস’’জাং এর অভিমত ছিলো, এটি মানব জাতীর সামগ্রিক আন-কনসাস মাইন্ড থেকে উঠে আসা একটি তথ্য।সমূদ্রের বাবলের মতো।দুই মিলিয়ন বছর প্রাচীন সংবাদ বা ইমেজ যা অবচেতন মনের গভীরে গেঁথে গেছে, সেই সংবাদ বা ইমেজটির সাথেই সাইকির মস্তিষ্ক ইন্টারেক্ট করেছিলো।হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপ্যাল এবং কোয়ান্টাম ফিজিক্স অনুসারে, আমাদের মস্তিষ্কের পার্টিকেলগুলি নন-লোকাল, সেখানেও কোয়ান্টাম এন্ট্যাংগেলমেন্ট কাজ করে, একই ওয়েভ ফাংশনে টিউন দুটি এন্ট্যাংগেল পার্টিকেলদের একটিকে যদি পনের বিলিয়ন বছর পূর্বে রেখে আসা হয় এবং অন্যটি বর্তমানে তবুও দুটি পার্টিকেল এমনভাবে কোয়ান্টাম নট-লোকালিটিতে একে অপরের সাথে ইন্টারেক্ট করবে মনে হবে তাদের মাঝখানে কোনো সময়ের অস্তিত্বই নেই।কার্ল জাং মনে করতেন, এটি ছিলো পার্টিশিপেন্টের
কোয়ান্টাম কোয়ালিটি।আমার রচিত গ্রন্থ ভার্চুয়াল ব্যাংস্পেসে মাইক্রোস্কোপিক ব্রেনের একটি ধারণা উন্নয়ন করার চেষ্টা করা হয়েছে।সেই গ্রন্থটিতে আমি বলেছিলাম, বিগব্যাং এর ভেতর দিয়ে বিস্ফোরিত আটাশ গিগাপার্সের আয়তনের মহাবিশ্বের ব্যাসার্ধ দ্বারাও যদি দুটি এন্ট্যাঙ্গেল পার্টিকেলকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় তবুও তারা একইসময় এবং একইসাথে এমনভাবে একে অপরের সাথে কমিউনিকেট করবে যেনো তাদের মাঝখানে কোনো স্পেসই নেই, এবং তারা পনের বিলিয়ন বছর সময় দ্বারা বিচ্ছিন্নই নয়।তাহলে কেনো তাদের কাছে  আটাশ গিগাপার্সের আয়তনের এই জগতকে এক কিউবিক সেঃমি মনে হবেনা?তারা এই দূরত্বটাকে কিছুই মনে করবেনা!সম্পূর্ণ ইউনিভার্সকে তারা টাইমলেস প্রেজেন্ট মনে করবে!বর্তমানে অনেক বিজ্ঞানীই মনে করছেন,বিশেষ করে বিজ্ঞানী রবার্ট লাঞ্জা এবং জনহুইলার, তাদের মতে ডি-কোডেট মহাবিশ্বেও কোয়ান্টাম বাস্তবতা সক্রিয়।যাইহোক, আপাতত আমি কোনো ডিশিসনে উপনিত হচ্ছিনা, আমি শুধুমাত্র স্প্রিচুয়াল এবং প্যারানরমাল পরিঘটনাগুলি উপস্থাপন করবো এবং সেই সাথে সেগুলির সাথে সম্পৃক্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্তআমার উদ্দেশ্য কোনো একটি নির্দিষ্ট ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করা নয়।আমি শুধু মাত্র তথ্য, উপাত্ত গুলি বিশ্লেষণ করে একটি আপাত ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করবো যা পাঠকদের গবেষণা এবং বিচার বিশ্লেষণের পথকে সহযতর করে তুলবে।যাইহোক হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপাল আমাদের এমন একটি মডেল উপহার দেয় যা আমাদের বলে মহাবিশ্বের সবকিছু ইন্টারকানেক্টেড এবং ইন্টারকানেক্টেড সকল কনসাসনেস।আমরা যদি মানব জাতীর কালেক্টিভ আনকনসাস নলেজে প্রবেশ করতে পারি তবে আমরা ভ্রমন করবো একটি এনসাইক্লোপিডিয়া!


তথ্যসুত্রঃ
https://www.youtube.com/watch?v=kFEbJQY16Io
 https://youtu.be/aNP4HiS9m6I
https://youtu.be/wgSZA3NPpBs

 https://www.google.com/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=11&cad=rja&uact=8&ved=2ahUKEwiL1qjEgP3oAhUlzzgGHaz2A_wQFjAKegQIBhAB&url=https%3A%2F%2Fwww.crystalinks.com%2Fholographic.html&usg=AOvVaw1GoYfsaKGnn3VhIk9G95Tn

https://futurism.com/the-holographc-universe-principle-what-is-what-should-never-be

Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

I am Planck

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১