হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০
ঈশ্বরের অস্তিত্বের
অসম্ভাব্যতা
ডি এন এর দৈর্ঘ ৩৪ এংগ্রেস্টম এবং প্রস্থ ২১ এংগ্রেস্টম।এই
দুটি সংখ্যাই ফিবোনিশি এবং এদেরকে ভাগ করলে দাঁড়ায় ১.৬১৯০৪৭৬।এটি একটি গোল্ডেন
রেশিও।মিশরের পিরামিড এবং গ্রীকের পার্থানন গোল্ডেন রেশিও দ্বারা তৈরি।পাই এর
সিম্বোল হলো বৃত্ত।যেটি শূন্যের ভেতর এককে অংকন করে।জিরো প্রতিনিধিত্ব করছে ‘’নাথিংনেসের’’ এবং ‘’ওয়ান’’ হলো দ্যা
ইউনিটি অব পসেবিলিটি বা ঈশ্বর। ঈশ্বর শূন্য থেকে মহাবিশ্বকে ক্রিয়েট করেছেন।এখানে ‘’০’’ এবং ‘’১’’ দুটোই ফিবোনিক্কি।জেনেসিস
১.১ এ বলা হয়েছে, ঈশ্বর
প্রথমে তার সম্ভাবনাময় ব্রেন থেকে স্বর্গ আর পৃথিবী তৈরি করেছেন বা মেনিওয়াল্ডস বা
প্যারালাল ইউনিভার্স,
এখানে প্রতিটি হেভেন আলাদা আলাদা ডায়মেনশন আর কনস্ট্যান্টের কথা বলছে।নিউ
টেস্টামেন্টের জন ১.১ এ বলা হয়েছে,
প্রারম্ভে শব্দ ছিলো,শব্দ
ছিলো ঈশ্বরের সাথে আর ঈশ্বরই ছিলো শব্দ।এখানে প্যারালাল মহাবিশ্বগুলির ডায়মেনশনলেস
কন্ডিশনের কথা বলা হয়েছে বা বলা হয়েছে মহাবিশ্বগুলি ডায়মেনশনলেস পজিশনে
এক্সট্রা-ডায়মেনশনাল কনস্ট্যান্ট ম্যানটেইন করেনা তখন তাদের কনস্ট্যান্ট এক হয়ে
যায়।আর সেই ডায়মেনশনলেস কনস্ট্যান্ট থেকেই বিশাল সংখ্যক কনস্ট্যান্ট তৈরি হয় আর
তার একটি হলো ‘’পাই
বা ৩.১৪।পাঠক!এভাবে কিন্তু যেকোনো একটি উক্তিকে রুপক ধরে নিয়ে মাল্টিপল ডায়মেনশনে
এক্সপ্লেইন করা যায়।অতএব আমরা নিউটেস্টামেন্টকে কখনো সুপারন্যাচরাল কোনো গ্রন্থ
বলতে পারিনা।।
নেপারিয়ান লগোরিদমও
কমান ইন্টালেকচুয়ালির সাপেক্ষে একটি বিরাট অটোগ্রাফ যার মান ২.৭। ঈশ্বর সবকিছু তৈরি করেছেন আর সবকিছুর
মাঝেই সে আছে তার প্রমাণ ২.৭ এবং ৩.১৪।অবাক হচ্ছেন?না অবাক হওয়ার কিছু নেই! পাই এর মান আর নেপোরিয়ান লগোরিদম
গ্যালাক্টিক এবং ইন্টারগ্যালাক্টিক স্পেসের সকল প্লেসে ঈশ্বরের মতোই অখন্ডভাবে
বিদ্যমান।সমস্ত ইউনিভার্সে কমান কনস্ট্যান্টের অস্তিত্ব একটি কমান ইন্টিলিজেন্টের
অস্তিত্বের সাক্ষ্য প্রদান করে,যে
মহাবিশ্ব থেকে তার সিগনেচার রিমুভ করতে পারেনি, আমরা যেনো একটি কমান ইন্টিলিজেন্টেরই শিল্পকর্ম!হ্যা!আপাত দৃষ্টিতে
এটাকে কমান ইন্টেলেকচুয়ালিটির শিল্পকর্ম মনে হতে পারে, আমরা যেটাকে
এভুলিউশন বলি সেটাকে যেকোনো রিলিজিয়াস অথবা স্প্রিচুয়াল মাইন্ড কমান
ইন্টালেকচুয়ালিটি অথবা কমান কনসাসনেস বলতে পারে কিন্তু এটা যে শ্রডিঙ্গারের কেটস
বলা যাবেনা তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই!কমাননেস এটা কোনো ঈশ্বরের সিগনেসার হতে পারেনা, এটা এই
জন্যেই আমাদের নিকট ঐশ্বরিক সিগনেচার মনে হচ্ছে কারণ এভুলিউশন মানব সভ্যতার মাঝে
এমন একটি স্থান-কালহীন রিয়েলিটির অস্তিত্বের জন্ম দিয়েছে যার নামটি ‘’কমান’’।কারণ
এভুলিউশন স্থান অথবা কেলের ফ্রেমওয়ার্কে সীমাবদ্ব কোনো বাস্তবতা নয়।তাই তার মাঝে
সেলফ রেপ্লিকেটিং অথবা সেলফ ক্লোনিং একটি ফ্যাক্টর কাজ করে এই কমাননেসকে কমাননেস
না বলে ঈশ্বর বলাটা মোটেও যুক্তিসংগত নয়!পরা গ্রেভিটি এবং অপরা গ্রেভিটি একে অপরকে
নির্ভুলভাবে কেটে দিয়ে প্রমাণ করে মহাবিশ্বের মোট এনার্জি শূন্য।আর শূন্য থেকে
সৃষ্ট একটি মহাবিশ্বে অবশ্যই সেই শূন্যতা একটি কমান ফ্যাক্টর হয়ে ইন্টেলেকচুয়াল
ডায়মেনশনে প্রতীয়মান হয়ে উঠতে পারে,তাই
বলে আমরা এই কমাননেসে কোনো ঈশ্বরকে স্থান প্রদান করতে পারিনা!
নোহার আর্কের দৈর্ঘ তিনশত কিউবিট এবং তার প্রস্থ হলো ফিফটি
কিউবিট। ৫ এবং ৩ এর রেশিও ১.৬৬৬।নোহার আর্কে আমরা ফিবোনিশি এবং গোল্ডেন রেশিও
দুটোই আবিষ্কার করছি!
এটিও কমান ইন্টেলেকচুয়ালিটির সাপেক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ
সাক্ষর!আমি এখন দেখানোর চেষ্ঠা করছি কেনো ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকা খুবই সম্ভব!তাই
তার বিপরীতে আপাতত কোনো প্রতিযুক্তি প্রদর্শন করবোনা।
প্রশ্ন হলো,
এটা কি কোনো এক্সট্রা-টেরিস্টিয়াল ইন্টিলিজেন্টের সাক্ষর?নোহার একটি
কাল্পনিক গল্প।এই কাল্পনিক গল্পে ফিবোনিশি এবং গোল্ডেন রেশিও কিভাবে এন্টার করলো?আমাদের
ইউনিভার্স কি একটা সময় ইউ এফ ও এর মতো কোনো এক্সট্রা-টেরিস্টিয়াল ইন্টিলিজেন্টই
ডোমেইন করতো?আমাদের
জেনেটিক্যাল কোড কি তাদেরই তৈরি?আমাদের
ডি এন এর সিকোয়েন্স কি তারাই তৈরি করেছে।একটা ডলপিনের জেনেটিক্যাল কোডের সাথে
পৃথিবীর সকল প্রাণীর জেনেটিক্যাল কোডের কোনো না কোনোভাবে সিমিলারিটি আছে, সবার ডি এন এ
একটা সিমিলার কোড শেয়ার করেছে,এটা
কি ন্যাচরাল সিলেকশনের কারণেই হয়েছে?নাকি পৃথিবীর সকল প্রাণীর মাঝে একটা কমান
ইন্টেলেকচুয়ালিটি কাজ করছে?সেটাকি
পিটার হিগসের হিগস বোসন ফিল্ড যা স্থান এবং কালের জিওমেট্রিক্যাল ডিস্টেন্স দ্বারা
প্রভাবিত নয়?হিগস
ফিল্ড একটি পটেনশিয়ালিটি, স্পেসের কোনো প্লেসে এটি লোকেটেড নয়,টাইম
ডায়মেনশনেও একে লিমিট করা পসিবল
হয়না।হিগসফিল্ড সমস্ত মহাবিশ্বে একটি মাইন্ড ফাংশনের মতো বিস্তারিত, একটি কমান
বাস্তবতা।একে মাইন্ড বলছি কারণ অন্যকিছু বলে আমরা আপাতত তাকে এক্সপ্লেইন করতে
পারছিনা।এটিই কি সেই কমান ইন্টিলিজেন্ট?
ঈশ্বরের ফসিল এবং তার
অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা
শিম্পাঞ্জির জেনেটিক্যাল কোডের সাথে মানুষের মিল আছে কিন্তু
শিম্পাঞ্জি আর মানুষ এক নয়,
পাই এর মান,ফিবো
আর গোল্ডেন রেশিওই তাদের জেনেটিক্যাল কোডের মাঝে একটি কমান ইন্টেলেকচুয়ালিটির
সিগনেচার রেখেছে, সম্ভবত কমান ফ্যাক্টর
প্রাইম ইন্টিলিজেন্টের অস্তিত্বের নিশ্চয়তার একমাত্র ফসিল।কোরানের
মেক্সিমাম ভার্সেসে ঈশ্বর নিজেকে ‘’আমরা’’ সিম্বল দিয়ে
সম্বোধন করেছেন।একজন গ্রেন্ড সিঙ্গুলার ঈশ্বর যে ব্যাতীত ইউনিভার্সে একটি
পার্টিকেলও নেই, যে
শুধু আমিই আমি সে কেনো রহস্যজনকভাবে নিজেকে ‘’নাহনু’’ বলে সম্বোধন
করলো?এর
একটি ম্যাথমেটিক্স আছে।ঈশ্বর নিজেকে কোরানের কোনো কোনো ভার্সেসে ‘’আমি’’ বলেছেন আবার
কোনো কোনো ভার্সেসে বলেছেন ‘’আমরা’’।বা ‘’আমরা’’ হলো মাল্টিপল
বা অসীম সংখ্যক মহাবিশ্বের ডায়মেনশন যাদের কনস্ট্যান্ট এবং ফিজিক্স আলাদা আলাদা
অথচ তারা একটি ‘’আমি’’ বা কমান
ইন্টেলেকচুয়ালিটির সেলফ ক্লোনিং বা সিগনেসার।কিন্তু ম্যাথমেটিক্সটা কি?কিভাবে এই
উক্তিটিকে ম্যাথমেটিক্যালি সত্যায়িত করা সম্ভব?হ্যা!ফিবোনিসি,গোল্ডেন
রেশিও অথবা পাই এর মানের কমাননেসের দিক থেকে ঈশ্বর যখন নিজেকে ‘’আমি’’ বলে সম্বোধন
করে তখন সে ‘’আমরা’’ বা
আনকাউন্টেবল ট্রিলিয়ন গ্রহ নক্ষত্রের বৈচিত্রতায় নেপোরিয়ন লগোরিদম ‘’২.৭ এর মতো।আমি=নেপোলিয়ন
লগোরিদম ২.৭ অথবা পাই ৩.১৪।‘’আমরা’’ হলো একটি
কমান কোড বা আমি’র মিরর ইমেজ অথবা কপিপেস্টেশন।
ফিবোনিশি কোড ০,১,১,২,৩,৫,৮.........N সংখ্যাগুলি
কখনো একে অপরের মতো নয়, তারা
প্রত্যেকে আলাদা আলাদা,
তাই ঈশ্বর যখন নিজেকে আমরা বলেন তখন তিনি আলাদা আলাদা ফিবোনিশি সংখ্যার কথাই
বলেন কিন্তু যখন তিনি বলেন ‘’আমি’’ তখন তিনি একটি
কমান ফ্যাক্টরের কথা বলেন,
যে কমান ফ্যাক্টর ‘’আমরা’’ বা আলাদা
আলাদা ফিবোনিক্কির মধ্যেই বিদ্যমান। যেমন-১+১=২ এরপর দুইকে পূর্বের সংখ্যা দিয়ে
যোগ করলে ২+১=৩ আবার তিনকে পূর্বের যোগফলটি দ্বারা যোগ করলে ৩+২=৫ এভাবে একটি সেলফ
সিমিলারিটি ক্লোনিং হতে থাকবে।আবার অন্যদিকে প্রতিটি ফিবোনিক্কিকে তার পূর্বের
সংখ্যাটি দ্বারা ভাগ করলে প্রতি ক্ষেত্রে একটি কমান ফ্যাক্টর ক্লোনিং হবে যেমন
৫/৩=১.৬ অথবা ৮/৫ =১.৬ আর এ জন্যেই এই কমান ইন্টিলিজেন্ট সম্ভবত কোরানে ‘’আমি’’ এবং ‘’আমরা’’ সিম্বল দিয়ে
অসংখ্যের মাঝে একটি সিঙ্গুরিটির প্রমাণ রেখে গেছেন।যেকোনো অপরাধীর প্রতিটি অপরাধের
এমন একটা ফ্যাক্টর থাকবে যেটা ‘’কমান’’।
আবার প্রত্যেকটি ধর্মগ্রন্থেই ঈশ্বর একইসাথে এবং একইসময়
দুটি স্থানে একটি কমান ফ্যাক্টরকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।একটি সুপারপজিশনাল
পার্টিকেল যেমন একইসাথে এবং একইসময় দুটি লোকেশন অথবা টাইমে প্রতীয়মান হয়ে উঠতে
পারে ঠিক তেমনি ঈশ্বরও ফিবোনিশি রাশিমালায় অসংখ্য গোল্ডেন রেশিওর কমাননেসের মাঝে সেই সুপারপজিশনাল
মেটা ভার্সিক্যাল ওয়াননেসকে রিপ্রেজেন্ট করেছে।এক্ষেত্রে ঈশ্বর যেনো একটি হিগস
ফিল্ড!
বুক অব জেনেসিসে ঈশ্বর যেমনি ভাবে তার দুটি ডায়মেনশন
দেখিয়েছেন ঠিক একইভাবে
নিউ টেস্টামেন্টেও আমরা ঠিক একই ফ্যাক্টরের রিপিটিশন দেখতে
পাই।প্রত্যেকটি ধর্ম গ্রন্থেই এলিয়েনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা দেখানো হয়েছে।এবং বলা
হয়েছে কিছু কিছু এলিয়েন ঈশ্বরের মতোই।এমন একটি সম্ভাবনা আছে যে ধর্মগ্রন্থ গুলিতে ‘’আমরা’’ বলতে
এলিয়েনদের কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে, সে সকল
এলিয়েন যাদের মধ্যে ঈশ্বর উচ্চতর মাত্রায় বাস্তবায়িত এবং সম্ভবত সেই সকল এলিয়েনই
আমাদের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার!’’আমরা’’ শব্দটি দ্বারা
ঈশ্বর হায়ার ডায়মেনশনাল একটি কমিউনিটির
সিগনেসারও করতে পারেন!যাই হোক আমরা সম্ভাবনাকে আপাতত অস্বীকার করছিনা!
প্রাচীন চাইনিজ এবং ব্যাবলিয়ন সভ্যতায় এক ধবংসাত্মক
মহাপ্লাবনের কথা বলা হয়েছে চ্যালডিয়ন,ইন্ডিয়া
এবং গ্রীসে ঠিক একই মহাপ্লাবনের ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে।মেক্সিকো,নর্থ আমেরিকা
এবং ইনকা সভ্যতা যে মহাপ্লাবনের তথ্য প্রদান করে।প্রতিটি মহাপ্লাবনই যেনো নোহার
আর্কের কপিপেস্টেশন বা সেলফ রিপিটিশন।শিম্পাঞ্জি আর মানুষের বায়োলজিক্যাল
আর্কিটেকচার সেইম টু সেইম না হলেও শিম্পাঞ্জির জিনেটিক্যাল কোড মানুষের জিনকোড
প্রোফাইলের খুব কাছাকাছি ঠিক একইভাবে মেক্সিকোর মহাপ্লাবনের প্রেক্ষাপট আর নোহার
মহাপ্লাবনের প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও তারা মিমেটিক্যালি খুবই কাছাকাছি।গোল্ডেন রেশিও
বা পাই এর মানের মতো এই বিক্ষিপ্ত গল্পগুলির মধ্যেও একটি কমান ইন্টেলেকচুয়ালিটির
সিগনেচার আছে!যেকোনো ভাবেই আমরা এখন ডিসিশনে আসতে পারি এভুলিউশন একটি সেলফ
রেপ্লিকেটর,সেলফ
ক্লোনার এবং সেলফ কারেক্টিং প্রসেস,
এভুলিউশন শুধু জেনেটিক্যাল দিক থেকেই নয় মিমেটিক দিক থেকেও একটি কমান
ইন্টেলেকচুয়ালির অটোগ্রাফ ক্রিয়েট করে এটি একটি সেলফ সিমুলেটিং সফটওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ার।ওয়াও!ইন্টারেস্টিং!
পৃথিবীতে এমন কিছু মস্তিষ্ক আছে যারা স্বয়ং এভুলিউশনাল
ইন্টালেকচুয়াল ডায়মেনশন থেকে চিন্তা করতে পারে অথবা বলতে পারেন তারা ঈশ্বরের চিন্তা মিররিং করতে পারে!তাদের মস্তিষ্কের
সফটওয়্যার এস্টাবলিসড হয় একটি কমান ইন্টেলেকচুয়ালিটিকে ফলো করে।আর তাই তাদের
প্রতিটি চিন্তার সাথে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তার নিজের মনের সামঞ্জস্য খুঁজে পায়,মনে হয় যেনো
ঐ ব্যাক্তিটি তার মাথার খুলি থেকে তার গুপ্ত চিন্তাটিই হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছে।এসব
মানুষ পাই এর মান ৩.১৪ অথবা গোল্ডেন রেশিও ১.৬ এর মতোই কমান, আর তাই
তাদের চিন্তাগুলিকে মানুষ খুব দ্রুত কপিপেস্ট করে ফেলতে পারে, এবং এটি
এক্সিডেনশিয়ালি ওয়াল্ড ওয়াইড স্প্রেড হয়ে যায়।যা ঐ গ্লোবাল মাইন্ড বা স্বয়ং কমান
ইন্টেলেকচুয়ালি হয়ে যায়,
দ্যা এভুলিউশনাল মাইন্ড!
কিন্তু পৃথিবী সেই কমান বা প্রাইম মানুষটাকে কখনোই চিহ্নিত
করতে পারেনি এবং পারবে বলে অনেকে মনেও করেনা।কারো কারো মতে, আমরা নিউটন
আর আইনস্টাইনকে পেয়েছি এক একটি সেকেন্ড হ্যান্ড এন্ড্রয়েড হিসেবে।কিন্তু আমরা সেই
প্রাইম ইন্টেলেকচুয়ালিটিকে আবিষ্কার করতে পারিনি যে তাদের স্রষ্টা।কমান
ইন্টেলেকচুয়ালিটিকে আন-এফেক্টেড রাখাটাও সম্ভবত কমান ইন্টেলেকচুয়ালিটিরই একটি
প্যাটার্ন।
আইনস্টাইনকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো,আপনার স্বপ্ন
কি?আইনস্টাইন
উত্তর দিয়েছিলেন আমি ঈশ্বরের মতো করে চিন্তা করতে চাই।নিউটনের থার্ড ‘’ল’’ এর কথাই
চিন্তা করুন।এটি গ্যালাক্সির সকল গ্রহ নক্ষত্রেই উপস্থিত আছে, সব গ্রহ
নক্ষত্রেই নিউটনের তৃতীয় সুত্র কাজ করে।নিউটনের তৃতীয় সুত্র মহাবিশ্বে গোল্ডেন
রেশিওর মতোই কমান।আর সে জন্যে পৃথিবীর কোনো ব্রেন কখনোই এই সুত্রটিকে অস্বীকার
করতে পারবেনা।যারা ফিজিক্স নিয়ে পড়াশুনা করবে তারা সবাই এই সুত্রের সাথে পরিচিত
হবে।ফিজিক্সের সকল সুত্রই মহাবিশ্বের সকল গ্রহ নক্ষত্রে কমান!যারা এই কমাননেসকে
নিউরোলজিক্যালি ফিল করতে পারে তারা হলো সেই ঈশ্বরের চিন্তার মিরর যার
ইন্টেলেকচুয়ালিটিই ফিজিক্সের সুত্র গুলোকে স্থান এবং সময়ের তারতম্যে অভিন্ন করে
রেখেছে বা সিমিলারিটি ক্লোনিং করেছে।আমরা এই কমাননেসকে কখনোই অস্বীকার করতে পারিনা
আর তাই আমরা ডিসিশনে উপনিত হতে পারি যে খুব সম্ভব কোনো ইন্টিলিজেন্টেরই চিহ্ন!অনেকে
ভাবতে পারেন, নিউটন
বা আইনস্টাইন ঈশ্বরের মস্তিষ্ক ছিলেন আর তাই তাদের চিন্তাগুলিও ছিলো অমর,অক্ষয় এবং
অব্যয়, একটি
কমান সিষ্টেমে তারা নিজেদের মস্তিষ্ককে ঈশ্বরের চিন্তার নিউরোলজিক্যাল ফাংশনে
উপনিত করেছেন।মাল্টি বিলিয়ন বছর পরও নিউটনের ‘’ল’’
অব ফিজিক্স মহাবিশ্বের গ্রহ-নক্ষত্র এবং ছায়াপথে প্রেজেন্ট থাকবে আর তার
চিন্তার যে অংশগুলি ঈশ্বরের সেই সিমিলারিটিকে পুরোপুরিভাবে রিপ্রেজেন্ট করতে
পারেনি সেগুলি ধবংস হয়ে যাবে।প্রশ্ন হলো একজন ফিজিক্সের ছাত্র আইনস্টাইনের
রিলেটিভিটির সুত্রের সত্যতাকে অস্বীকার করতে পারেনা বলে কি আমরা তাকে বলতে পারি সে
আইনস্টাইনের কপিপেস্টার?সে
একটি কমান ইন্টেলেকচুয়ালিটির প্রকাশ?না!আমরা
সেটা কখনোই বলবো না।
সে এটিকে অস্বীকার করতে পারেনি এ জন্যে নয় যে এটি কমান অথবা
এটি একটি ঈশ্বর বরং সে এ জন্যেই অস্বীকার করতে পারেনি এটি একটি গাণিতিক অনিবার্যতা, আর সেজন্যে
এটি তার নিকট সিম্পল,
কমান, আর
তারতম্যহীন একটি ফ্যাক্টর হিসেবেই আভির্ভূত হয়েছে!এটি ঈশ্বর নামক বিমূর্ত
বাস্তবতার সাপেক্ষে কোনো লজিক্যাল যুক্তি হতে পারেনা!
লিখেছেন- রিসাস
( তথ্যসুত্র- কোয়ান্টাম গড)
Comments
Post a Comment