একমাত্র ঈশ্বরের পক্ষেই কী কোয়ান্টাম ফিজিক্স রিয়েলাইজ করা সম্ভব?, লিখেছেন, রিসাস, পার্ট- ১৬
হিগস ফিল্ড থিওরি বিজ্ঞানীদের এমন একটি ম্যাকানিজম উপস্থাপন করে যে ম্যাকানিজমের মাধ্যমে পার্টিকেলগুলি তাদের ভর অর্জন করে শুধুমাত্র একটি ফিল্ডের ভেতর প্রবাহিত হওয়ার মধ্য দিয়ে।আলোর গতির চাইতেও দ্রুত গতির ঘটনা এটি ব্যাখ্যা করতে পারে।যখন সার্নের বিজ্ঞানীরা গড পার্টিকেল আবিষ্কার করেছিলো তখন তারা হিগস ফিল্ডের উপর গভীর বিশ্বাস
আরোপ করে।কিন্তু এটি এমন একটি ফিল্ড যা গ্রেভিটেশনাল ফিল্ড
থেকে বিশাল, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক
ফিল্ড থেকেও বিরাট এবং যেকোনো ফোর্স ফিল্ড থেকে, প্রকৃতপক্ষে এটি সমস্ত ইউনিভার্সে বিস্তারিত। হিগস থিওরি
প্রতুশ্রুতি দেয় সকল ফোর্সকে ইউনাইটেড করার জন্যে,কোয়ান্টাম,
পার্টিকেল এবং ওয়েভকে সকল স্থানে উপস্থিত একটি মহাবিশ্বজনীন ফিল্ডে সুইপ করার
মধ্য দিয়ে।
হিগস ফিল্ড থিওরি অনুসারে, মহাবিশ্বের প্রতিটি পার্টিকেল এই ফিল্ডের ভেতর দিয়ে ভ্রমণ
করে এবং এই ফিল্ডের ভেতরেই কমিউনিকেশন করে, কিছুকিছু পার্টিকেল যেমন- কোয়ার্ক এবং ইলেক্ট্রন ভর অর্জন
করে, কিছু
ভরহীন পার্টিকেল আছে যারা হিগস ফিল্ডের সাথে
কোনো ইন্টারেকশন করেনা, তারা মহাবিশ্বের ভেতর দিয়ে স্পিড অব লাইট থেকেও দ্রুত গতিতে
ভ্রমণ করতে থাকে।বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে হিগস
পার্টিকেল অন্যান্য পার্টিকেলের চেয়ে আচরণের দিক থেকে আলাদা, অন্যসকল
পার্টিকেল একটি যথার্থ হারে স্পিন করে কিন্তু একমাত্র হিগস পার্টিকেল স্পিনলেস।
আমরা এখন জানবো কিভাবে হিগস ফিল্ডের মহাবিশ্বজনীনতা এবং
কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ইন্টারপ্রিটেশনগুলি একটি ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অপরিহার্য করে
তোলে।ডঃ কোয়ান্টাম বলেছিলেন যদি কেউ কোয়ান্টাম ফিজিক্স থিওরি বুঝতে চায় তবে তাকে
অবশ্যই তিনটি জিনিস
মাথায় রাখতে হবেঃ ডাবল স্লিট, লাইট বাল্ব এবং শ্রডিঙ্গার কেটস।
ডাবল স্লিটঃ আপনি যদি একটি আলোকিত লাইট বাল্বকে দুটি
ছিদ্রের মাঝে ধরে আয়নায় দেখেন তবে আপনার মনে হবে যে একটি সিঙ্গেল ফোটন নিজের সাথে
নিজেই ইন্টারফিয়ারেন্স প্যাটার্ন তৈরি করেছে এবং দুটি ছিদ্র দিয়ে একইসময় একসাথে
প্রবেশ করেছে।
লাইট বাল্ব- মনে করুন,বাল্বের
ফিলামেন্ট থেকে একটি সিঙ্গেল ফোটন নিসৃত হলো,
র্যান্ডম ডিরেকশনে,
শ্রডিঙ্গার একটি ইকুয়েশনের মাধ্যমে
সেই বিক্ষিপ্ত ফোটনটিকে যেকোনো পয়েন্টে পাওয়ার নির্ভুল একটি প্রেডিকশন আবিষ্কার
করলো।তিনি একপ্রকার তরঙ্গকে কল্পনা করলেন ঠিক যেমনি পানিতে নুড়ি পাথর ছুঁড়লে তৈরি
হয়, ফিলামেন্ট
থেকে যেটি ছড়িয়ে পড়ে,
আপনি যখন ফোটনটির দিকে তাকাবেন তখন ওয়েভ ফাংশন একটি সিঙ্গেল ফোটন হিসেবে কলাফস
হয়, ফোটন
বাস্তবে যা।
শ্রডিঙ্গার কেটসঃ এই এক্সপেরিমেন্টে আমরা একটি কেটসকে এক
বোতল সায়ানাইড সহ বাক্সে রাখি।আমরা
সাধারণত এই এক্সপেরিমেন্টকে ব্যাবহার করি ডিটেক্টর দ্বারা পার্টিকুলার একটি
পার্টিকেলের স্পিন নির্ধারণ করার জন্যে যে এটি আসলে এখন কোন ডিরেকশনে স্পিন করছে
আপ অথবা ডাউন।যদি স্পিন আপ হয় তখন সায়ানাইডের বোতলটি খুলবে
এবং বেড়ালটি সায়ানাইডকে পর্যবেক্ষণ করবে।দশমিনিট পর যদি আপনি বাক্সটি খুলেন তখন
পঞ্চাশ পার্সেন্ট সম্ভাবনা আছে যে আপনি সেটিকে জীবিত অথবা মৃত যেকোনো একটি অবস্থায়
খুঁজে পাবেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কি ঘটবে ডিটেক্টর একটিভেট হওয়ার পূর্বে
এবং যদি আপনি বাক্সের ডোরটি ওপেন করে না দেখেন?যদিও এ ধরণের এক্সপেরিমেন্ট কেউ এখনো পর্যন্ত
করেনি
কিন্তু এই কাল্পনিক এক্সপেরিমেন্ট একপ্রকার প্যারাডক্স
সৃষ্টি করে যা বিভিন্ন ইন্টারপ্রিটেশনে প্রকাশিত হয়।
এখন অনেকে সাহস করে চিন্তা করতে পারেন যে, আপনার
কনসাসনেস সাব-এটমিক ডায়মেনশনের আচরণে এফেক্ট করতে পারে,পার্টিকেল
গুলি সময়ের অতীতে এবং ভবিষ্যতে এবং একইসময় মহাবিশ্বের সকল সম্ভাব্য প্লেসে উপস্থিত
থাকতে পারে।কারণ যেহেতু আপনি বাক্সের ভেতরের কেটসটির প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে এখনো
জানেন না আপনার চেতনায়
কেটসটি সময়ের যেকোনো ডিভিশন অথবা প্লেসের যেকোনো ডায়মেনশনেই
প্রেজেন্ট থাকতে পারে অথবা আপনার মস্তিষ্ক যেহেতু বাক্সের ভেতরের নির্দিষ্ট কোনো
অবস্থা প্রেডিক্ট করতে পারছেনা অতএব আপনার নিউরোলজিক্যাল এক্টিভিটিজ সেই কেটসটিকে
সম্ভাবনাময় স্পেস
এন্ড টাইমে শুধুমাত্র
একটি চেতনাময় অবস্থায় উপলব্দি করতে
পারবে যেটাকে বলা যায় সাব-এটমিক পার্টিকেলদের আচরণে পর্যবেক্ষকের ইন্টারেকশন বা
অবজারভার এফেক্ট।শ্রডিঙ্গারের
এই সেনসিবল ইন্টারপ্রিটেশন দেখে যার পুরোটাই
মস্তিষ্ককে উন্মাদ করে দেয়ার মতো।আর তাই
প্রতি মাসেই নতুন নতুন ইন্টারপ্রিটেশন আসতে শুরু করলো এবং এদের মধ্যে কিছুকিছু
ইন্টারপ্রিটেশন মুল ক্যাটাগরির অন্তঃর্ভুক্ত হয়েছিলো।
কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশনঃ আপনি যদি একটি পার্টিকেলকে
পর্যবেক্ষণ না করেন তবে পার্টিকেলটির বিহেভ হবে আনকাউন্টেবল বা পটেনশিয়াল এটাই
কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশনের মূল কথা।কোপেনহেগেনের ইন্টারপ্রিটেশন অনুসারে, একটি
সাব-এটমিক পার্টিকেল যেকোনো পটেনশিয়াল ডায়মেনশনেই থাকতে পারে বা এটি অনির্ণেয়
মাত্রা রিপ্রেজেন্ট করে ততক্ষণ যতক্ষণ না আপনি তার দিকে দৃষ্টিপাত করছেন।আপনি যদি
কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশনকে সিরিয়াসলি দেখেন তাহলে আপনি উপলব্দি করতে পারবেন যে
কনসাসনেস এবং পার্টিকেল ফিজিক্স ইন্টার-রিলেটেড।
চিত্রঃ কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন
চিত্রঃ কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন
১৯৯৭
সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার হ্যানরি স্টাপ ‘’অন কোয়ান্টাম
থিওরি অব দ্যা মাইন্ড’’
গ্রন্থে লিখেছিলেন,
মানুষের মস্তিষ্কের সাইনাপ্স এতটাই ক্ষুদ্র যে সেখানে কোয়ান্টাম এফেক্ট তাৎপর্যবাহী
হয়ে উঠে।তার মানে এই যে আমাদের মস্তিষ্কের নিউরন সেল ফায়ার হবে কি হবেনা; সেক্ষেত্রে
কোয়ান্টাম আনসারটেইনটি কাজ করে।এই মাত্রার স্বাধীনতা থেকে এটা সহযেই অনুমান করা
যায় যে প্রকৃতি মাইন্ড এবং ম্যাটারের ইন্টারেকশন অনুমোদন দেয়।কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় শ্রডিঙ্গারের সেই বেড়ালটির সাথে কি
হলো?কিন্তু
দুর্ভাগ্য এ ব্যাপারে আপনার প্রশ্ন করার অধিকার নেই।
মেনি ওয়াল্ডস ইন্টারপ্রিটেশন [ MWI ]: কোপেনহেগেন
ইন্টারপ্রিটেশন শ্রডিঙ্গারের কেটস থিওরি
নিয়ে অনেক প্যারাডক্সেরই জন্ম দিয়েছিলো আর যেজন্যে প্রয়োজন ছিলো আরো উন্নত
মাপের ইন্টারপ্রিটেশন।১৯৫৭ সালে একজন ছাত্র যার নাম হিউ এবারেট তিনি বলেছিলেন, শ্রডিঙ্গারের
কেটস ইকুয়েশন কলাফস করেনা।তার কথা শুনে সেদিন সবাই হেসেছিলো কারণ তারা জানতো, আমরা যখন
একটি ফোটনের দিকে তাকাই তখন সে সম্ভাব্য
সকল প্লেসে নয়, একটি
প্লেসে ফিক্স হয়।তার মানে যখন পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষণ করে তখন শ্রডিঙ্গারের ইকুয়েশন
সম্ভাব্য সকল প্লেসকেই ডিলিট করে দেয়।কিন্তু এক দশক পর কোয়ান্টাম ডিকোহারেন্স তত্ব
দ্বারা এই সমস্যাটির সামাধান হয় ,
কোয়ান্টাম ডিকোহারেন্স হলো এমন একটি প্রকৃয়া যেখানে ইউনিভার্স গুলি সেকেন্ডের
অতি-ক্ষুদ্র ভগ্নাংশের মধ্যেই ব্রাঞ্চ আউট হয়ে যায় এবং এদের মধ্যকার ইন্টারেকশন
হয়ে উঠে দুর্বল।বর্তমানে এটি খুবই জনপ্রিয় ইন্টারপ্রিটেশন যা আমাদের বলে যে
সেকেন্ডের অতি-ক্ষুদ্র ভগ্নাংশের মধ্যেই আপনি বিলিয়ন বিলিয়ন
ডিস্ক্রিট ইউনিভার্সে স্প্লিটিং বা ছড়িয়ে যাচ্ছেন, আর সেজন্যে সম্ভাব্য সকল কিছুই হচ্ছে কোনো না কোনো
মহাবিশ্বে, কোনো
কোনো মহাবিশ্বে হয়তোবা আপনার বয়স এক হাজার বছর অথবা কোথাও আপনি জন্মের পূর্বেই
মৃত্যুবরণ করেছেন।
চিত্র- কোয়ান্টাম রিয়েল্ম
চিত্র- কোয়ান্টাম রিয়েল্ম
১৯৯৭ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ম্যাক্স ট্যাগমার্ক একটি
এক্সপেরিমেন্ট প্রস্তাব করেছেন যা প্রমাণ করে যে ‘’ম্যানি ওয়াল্ডস ইন্টারপ্রিটেশন’’ সত্য।মনে
করুন আপনার মাথায় একটি বন্ধুক তাক
করা হলো, যেসকল মহাবিশ্বে সেই বন্ধুকের গুলি মিসফায়ারিং হচ্ছে শুধু সেসকল মহাবিশ্বেই আপনি ‘’আছেন’’।
করা হলো, যেসকল মহাবিশ্বে সেই বন্ধুকের গুলি মিসফায়ারিং হচ্ছে শুধু সেসকল মহাবিশ্বেই আপনি ‘’আছেন’’।
কিন্তু শ্রডিঙ্গারের কেটস থিওরির কি হলো?এটি কি কি
কিছু মহাবিশ্বে জীবিত এবং কিছু মহাবিশ্বে এখনো খানিকটা মৃত থাকবে?
পাইলট ওয়েভ,হিডেন
ভেরিয়েবল, ইমপ্লিকেট
অর্ডারঃ বিখ্যাত মেথম্যাটিশিয়ান এবং তাত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী ডেভিড বোম একই সমস্যা
সামাধান করার জন্যে নিয়ে এসেছেন অত্যন্ত নমনীয় কিন্তু জটিল একটা বিষয়।বোমের থিওরি
অনুসরণ করেছিলো প্রিন্স লুই ব্রগলীর কিছু মূল অন্তঃদৃষ্টি যিনি ১৯২৪ সালে প্রথম
পার্টিকেলদের ওয়েভ লাইক রিয়েলিটি পর্যবেক্ষণ করেন।
ডি ব্রগলি পরামর্শ দিয়েছিলেন, কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশনের নরমাল ওয়েভ ফাংশন ছাড়াও আরো
একটি সেকেন্ডারি ওয়েভ আছে যেটি সুনির্দিষ্ট একটি সময়ে পার্টিকেলদের সুনির্দিষ্ট
পজিশন নির্ধারণ করে।এই থিওরি অনুসারে,
প্রকৃতিতে রয়েছে হিডেন ভেরিয়েবল যা একটি ফোটনের পজিশন ডিটারমাইন করে।১৯৩২ সালে
বোন নিউম্যান একটি পেপার লিখেন যেখানে তিনি প্রমাণ করেন যে হিডেন ভেরিয়েবল থিওরি
ইম্পসিবল,তিনি
এত বিরাট মাপের গণিতবিদ যার সিদ্বান্ত অলঙ্গনীয়।কিন্তু ১৯৬৬ সালে জন বেল আবার
প্রমাণ করেন ‘’হিডেন
ভেরিয়েবল’’ সম্ভব
যদি পার্টিকেল্গুলি স্পিড অব লাইট থেকেও দ্রুত গতিতে কমিউনিকেশন করে বা তাদের
কমিউনিকেশন যদি নন-লোকাল হয়।বোমের থিওরি অনুসারে, সেকেন্ড ওয়েভ ছিলো স্পিড অব লাইট থেকেও দ্রুতগতি সম্পর্ণ আর
এটি দূরত্ব বৃদ্ধির সাথে দুর্বল হয়ে উঠেনা,
তাৎক্ষণিক এটি সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি ফোটনের মুভমেন্ট গাইড করে আর এ
জন্যেই একে বলা হয় পাইলট ওয়েভ।কোয়ান্টাম ফিজিক্সের প্যারাডক্সগুলি সম্ভবত এই থিওরি
স্লোভ করেছিলো কিন্তু এটি আলোর গতির চাইতেও দ্রুত গতির নতুন একটি ওয়েভের প্রস্তাব
করলো যা ইমপ্লিকেট অর্ডার তৈরি করে।পরে বোম নিজেই মিস্টিক হয়ে উঠে, ইমপ্লিকেট
অর্ডারকে ব্যাখ্যা করার জন্যে।
কনসিস্টেন্ট হিস্টরি থিওরিঃ এ থিওরি অনুসারে কিছু নতুন
সম্ভাব্য ইতিহাস কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের সাথে কনসিসটেন্স কিন্তু এটি ব্যাখ্যা
করতে পারেনা কিভাবে পার্টিকেল গুলি স্লিটের ভেতর প্রবেশ করে এবং নিজেই নিজের সাথে
ইন্টারফেয়ার করে।
অলটারনেটিভ হিস্টরি থিওরিঃ এটি অন্যান্য ইন্টারপ্রিটেশন
থেকে একেবারে আলাদা,কিন্তু বহুবিশ্বের সাথে সম্পৃক্ত।এই থিওরি অনুসারে, শুধুমাত্র
একটি আউটকামই সত্য আর সম্ভাব্য অন্যসকল ইতিহাস অস্তিত্বহীন।কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো
এটি আবার সেই পূর্বের ইন্টারপ্রিটেশনে ফিরে যায় যা ওয়েভ ফাংশন কলাফসের সাথে
বিজড়িত।
এছাড়াও আছে টাইম রিভার্সিবিলিটি এবং ট্রানজেকশনাল
ইন্টারপ্রিটেশন কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে কোনো সিঙ্গেল ইন্টারপ্রিটেশনই
স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে এক্সপ্লেইন করতে পারছেনা।
প্রতিটি ইন্টারপ্রিটেশনেই কিছু না কিছু সীমাবদ্বতা আছে যার
ফলশ্রুতিতে কোনো সিঙ্গেল ইন্টারপ্রিটেশন ইউনিফাইড কোনো ডিসিশনে উপনিত হতে পারছেনা, এটি আমাদের
থিওরিটিক্যাল দূর্বলতা,
অতএব মহাবিশ্বকে কোনো থিওরি দিয়ে আমরা এক্সপ্লেইন করতে পারবোনা, এটি থিওরিটিক্যাল
সাইন্সের সীমানায় আবদ্ধ নয়,আর
অবশ্যই আমরা এখন এমন একজন ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুজে পাচ্ছি একমাত্র তার পক্ষেই
কোয়ান্টাম ফিজিক্স বুঝা সম্ভব, একমাত্র
তার পক্ষেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব কোয়ান্টাম ম্যাকানিজম।।আর এভাবেই ম্যাক্সিমাম কোয়ান্টাম ফিজিসিস্ট একজন কোয়ান্টাম ঈশ্বরকে
আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন যিনি ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টে নিজেই নিজের সাথে
ইন্টাফিয়ারেন্স তৈরি করেন,
আর সে জন্যেই মহাবিশ্বে আমরা কিছু কমান কোড দেখতে পাচ্ছি,নেপোলিয়ন
লগোরিদম অথবা পাই এর মানের যেই বিশ্বজননীনতা সেই বিশ্বজনীনতা শুধুমাত্র একটি কমান
ইন্টেলেকচুয়ালিটির পক্ষেই তৈরি করা সম্ভব যে ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টে নিজেই
নিজের সাথে ইন্টারফেয়ার করেছিলো।
আমাদের থিওরিটিক্যাল সীমাবদ্ধতাই কি ঈশ্বরের অস্তিত্বের
সাপেক্ষে জোরালো কোনো সম্ভাবনা?অনেকে
মনে করতে পারেন ‘’হ্যা’’ আমাদের
সীমাবদ্ধতাই একটি অসীম ঈশ্বরের সম্ভাবনা প্রকাশ করছে।কিন্তু পাঠক একটু খেয়াল করুন, আমাদের
মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সের প্রাইমারী এরিয়ায় এক্সটারনাল ওয়াল্ডের তথ্য
ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক পালসেশন হিসেবে প্রবেশ করে এবং এই বিক্ষিপ্ত পালসেশনগুলিকে
প্রাইমারী বা ক্যাপটিভ এরিয়া প্রাথমিক ভাবে প্রকৃয়াজাত করে কিন্তু তার পক্ষে তখনও
ইলেক্ট্রিক্যাল পালস গুলিকে সঠিকভাবে রিজোন্যাট করা সম্ভব হয়না আর এটি ক্যাপটিভ
এরিয়ার একটি সীমাবদ্বতা,ক্যাপটিভ
এরিয়া তার এই সীমাবদ্বতা বা প্রাথমিকভাবে প্রকৃয়াজাত তথ্যগুলি সেকেন্ডারী ভিজুয়াল
এরিয়ায় সেন্ড করে এবং সেকেন্ডারী ভিজুয়াল এরিয়া পালসেশনগুলিকে আরো উচ্চমাত্রিকভাবে
অর্গানাইজড করে কিন্তু তখনও তার পক্ষে মহাবিশ্বের পরিপূর্ণ কোনো বাস্তবতার মডেল
তৈরি করা সম্ভব হয়না,
এটি সেকেন্ডারী ভিজুয়াল এরিয়ার একটি সীমাবদ্ধতা , সেকেন্ডারী ভিজুয়াল এরিয়ার এই লিমিটেশন ইলেক্ট্রিক্যাল পালস
আকারে এসোসিয়েশন এরিয়ায় পাঠানো হয় আর মস্তিষ্কের এসোসিয়েশন এরিয়া মস্তিষ্কের বিভিন্ন
প্রান্তের বিক্ষিপ্ত ডাটাগুলি এসোসিয়েট বা বিন্যস্ত করে মহাবিশ্বের
মাল্টি-ডায়মেনশনাল একটি ত্রিমাত্রিক মডেল প্রস্তুত করে।একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন
সেরিব্রাল কর্টেক্সের প্রত্যেকটি এরিয়ার কাজের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন প্যাটার্নের
হলেও এবং তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতির মাঝে কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও তারা
প্রত্যেকে ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশনের মাধ্যমে একটি কমান মহাবিশ্বের মডেল প্রস্তুত
করার উদ্দেশ্যে সামগ্রিকভাবে কাজ করছে।সামগ্রিকভাবে তাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন এবং
হোল সিষ্টেমের মাঝে টেকনোলজিক্যালি কোনো ফল্ট নেই।মস্তিষ্কের প্রত্যেকটি এরিয়াকে যদি আমরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দেখি এবং তাদের
সীমাবদ্ধতাকে আলাদা আলাদা ভাবে মূল্যায়ন করি তবে সম্ভবত আমরা আমাদের
মস্তিষ্কের নিউরোলজিক্যাল সিষ্টেমের ভেতরেও একটি ঈশ্বরকে আবিষ্কার করতে সক্ষম হবো
কিন্তু ব্যাপারটি আসলেই হাস্যকর!কোয়ান্টাম ফিজিক্স সম্পর্কে আমাদের নিকট পৃথকভাবে
স্বয়ংসম্পূর্ণ কোনো মডেল নেই,
এবং প্রতিটি মডেলই কোনো না কোনো সীমাবদ্ধতায় আক্রান্ত এবং কিছুকিছু ক্ষেত্রে
এই সকল দুর্বলতা অত্যন্ত ভয়ানক।আমাদের মস্তিষ্কের প্রাইমারি ভিজুয়াল এরিয়া ডেমেজ হয়ে গেলে
আমরা চোখে দেখিনা কিন্তু তাই বলে এটি কোনো ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাপেক্ষে জোরদার
প্রমাণ হতে পারেনা ঠিক একইভাবে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কোনো একটি ইন্টারপ্রিটেশন
অসম্পূর্ণ হলেই যে আমরা সেটিকে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাপেক্ষে একটি রিজন হিসেবে
কন্সিডার করবো তা মোটেও কাজের কথা নয়।থিওরিটিক্যাল লিমিটেশনই শেষ কথা নয় আর সেটি
ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাপেক্ষে কোনো সম্ভাবনাও নই। অতএব আমাদের থিওরিটিক্যাল মিসিং
লিংক গুলিকে গড অব দ্যা গেপ হিসেবে বিবেচনা করাটা খুবই অযোক্তিক।
লিখেছেন-রিসাস
(
তথ্যসুত্রঃ কোয়ান্টাম গড,ভার্চুয়াল ব্যাংস্পেস )
Comments
Post a Comment