ঈশ্বর কী একটি করোনা ভাইরাস?, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-33
আমরা সকলেই বিখ্যাত প্রকৃতিবিদ ডারউইনের বিবর্তনবাদের কথা জানি এবং অনেকে মানি আবার অনেক মানিনা, কথা সেইটা না, কথা হচ্ছে এই বিবর্তনবাদের মূলমন্ত্রই হচ্ছে Natural Selection যার কথা কিনা আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস প্রথম বলেছিলেন। যেকোন উপায়ে প্রকৃতিতে টিকে থাকার ক্ষমতা যার বেশি সে-ই টিকে থাকবে এবং যার কম বা নেই বললেই চলে, পৃথিবী থেকে তার বিলুপ্তি ঘটবে আর এটাই হচ্ছে Natural Selection এর মূলকথা। আর এজন্যই যেই প্রাণি ক্যামোফ্লেজের মাধ্যমে টিকে থাকতে পারবে, তার বিলুপ্ত হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কম এবং সে-ই নির্বিঘ্নে প্রজন্মের পর প্রজন্ম টিকে থাকতে পারবে। সবথেকে মজার কথা হচ্ছে, ক্যামোফ্লেজের সূত্রপাত কিন্তু আজকের কথা না বরং ডাইনোসর যুগ থেকেই প্রকৃতির এই খেলা চলে আসছে যা এখনও বর্তমান।
কিন্তু
প্রশ্ন হলো ক্যামোফ্লেজ কী?ক্যামোফ্লেজ হচ্ছে পরিবেশের সাথে প্রাণীদেহের
আকার,আকৃতি,গঠন এবং রঙকে এমনভাবে সমন্বয় করে নেয়া যাতে করে সেই বিশেষ প্রাণীটিকে
পরিবেশ থেকে কোনোকিছুতেই
পৃথক
করা সম্ভব না হয়।প্রকৃতিতে টিকে থাকার বিভিন্ন উপায়ের মধ্যে ক্যামোফ্লেজ
অন্যতম।এটি একটি ব্রেন হ্যাকিং সিষ্টেম।ক্যামোফ্লেজের মাধ্যমে প্রাণীরা শিকারী
প্রাণীদের ব্রেন হ্যাক করে , এভাবে তারা নিজেদের প্রতিরক্ষা করে এবং অনেক সময় এটি
তাদেরকে শিকার করতে সহযোগীতা করে।যেমনঃ বাঘের শরীরের ডোরাকাটা দাগ!স্বাভাবিক
দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে বাঘের শরীরকে ঈশ্বর কী সুন্দর করে ডিজাইন করেছেন, হিংস্রের
মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন স্বর্গীয় অনুভূতি!কিন্তু ঈশ্বর যে উদ্দেশ্যেই বাঘের শরীর
ডিজাইন করুকনা কেনো বাঘের উদ্দেশ্য মোটেও ভালো নয়,বাঘের দেহের ডোরাকাটা দাগ মূলত
বাঘের শরীরকে ঘাস এবং লতাপাতার মাঝে সুন্দর করে রিজোন্যাট করে দেয়।ডোরাকাটা
দাগগুলির কারণেই তাদেরকে পরিবেশ থেকে পৃথক করাটা খুবই কষ্টকর করে তোলে এবং ঠিক এ
জন্যেই হরিন গুলি তাদের উপস্থিতি অনেক সময় অনুভব করতে পারেনা, তারা নির্বিঘ্নে
ঝোপের মধ্যে ভ্রমণ করে এবং বাঘের শিকার হয়!ঠিক
একইভাবে হরিনের শিং এবং শরীরের রঙও তাদেরকে গাছের সাথে মিশিয়ে রাখতে সহযোগীতা করে
যেনো খুব সহযে এদেরকে পৃথক করা সম্ভব না হয়।জিরাপের লম্বা গলা এবং শরীরের রঙ
ক্যামোফ্লেজের একটি প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
‘’Deroplatys trigonodera’’ নামক
প্রজাতির
অন্তর্গত
এই
ম্যান্টিসটি পাতার মধ্যে
এমনভাবে
থাকে
যে
হঠাত
করে
দেখলে
এর
অস্তিত্বই
বোঝা
যাবেনা! এমনকি যখন
বাতাস বহমান থাকে তখন এরা পাতার সাথে তাল মিলিয়ে নড়াচড়া করে এবং এদেরকে ঐ সময়ে দেখে কেউই আলাদা করতে পারবেনা।এভাবে অধিকাংশ প্রজাতি আছে যাদের শরীর ন্যাচরাল
সিলেকশনের ভেতর দিয়ে শুকনো পাতার রঙ ধারণ করেছে, অথবা অনেক প্রাণীর শরীর শুকনো
কান্ডের মতো, তারা গাছের কান্ডের মাঝে এমনভাবে বসে থাকে দেখলে মনে হবে তারা
নিজেরাই যেনো গাছের এক একটি কান্ড।
Lichen Spider খুব সুন্দর করে গাছের কান্ডের সাথে মিশে যায়,
কিন্তু যখন অন্য কোন কিছু এদেরকে দেখে এবং এরা বিপদের সংকেত পেয়ে তাকে ভয় দেখাতে চেষ্টা করে।
এছাড়াও
এমন অনেক প্রজাতির প্রজাপতি অথবা পতঙ্গের
অস্তিত্ব রয়েছে যারা দেখতে অবিকল ফুলের পাপড়ির মতো, এরা ফুলের পাপড়ি হয়ে
এমনভাবে ফুলের অস্তিত্বের সাথে নিজেদের মিশিয়ে ফেলে আপনি ওদেরকে কোনোভাবেই পৃথক
করতে পারবেন না, আপনি শুধুমাত্র একটি সুন্দর ফুল দেখবেন অন্যকোনোকিছুর উপস্থিতি
অনুভব করার পরিবর্তে।এর
একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ flower mantis (Hymenopus coronatus), ওরা ফুলের মধ্যে চুপচাপ লুকিয়ে থাকে যেনো তারা শিকারকে খুব সহজে পরাস্ত করতে পারে, যে জন্যে তাদের এরকম ছদ্মবেশ। এদের চারটি পা দেখতে অনেকটাই ফুলের বৃতির মতোন যার কারনে কোন প্রাণির পক্ষে এদেরকে সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ flower mantis (Hymenopus coronatus), ওরা ফুলের মধ্যে চুপচাপ লুকিয়ে থাকে যেনো তারা শিকারকে খুব সহজে পরাস্ত করতে পারে, যে জন্যে তাদের এরকম ছদ্মবেশ। এদের চারটি পা দেখতে অনেকটাই ফুলের বৃতির মতোন যার কারনে কোন প্রাণির পক্ষে এদেরকে সনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
ফ্লাওয়ার মেন্টিস ছাড়াও ফুলের ভীড়ে হারিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে আরো একটি পতঙ্গের।যাকে বলা হয় Crab Spider।এরা ফুলের মাঝে এমনভাবে মিশে থাকে সাধারণ দৃষ্টিতে শিকারিরা এদের আইডেন্টিফাই করতে পারেনা।
Walking stick insects (Lonchodes sp.) এরা গাছের ডালের মাঝে নিজেদেরকে ডালের মতোন
করে রাখতে দুটো ডালের মাঝ বরাবর এমনভাবে আটকে
থাকে এদের দেখে মনে হয় যেনো ডালের আরেকটি শাখা বের হয়েছে!ওদেরকে
সাধারণ চোখে এমনকি মানুষের পক্ষেও পৃথক করা সম্ভব নয় !
ওয়াকিং স্টিক ইনসেক্টদের হাজার হাজার প্রজাতির অস্তিত্ব আবিষ্কার করা সম্ভব
কিন্তু ক্যামোপ্লেজের খুবই বিখ্যাত একটি উদাহরণ Gost pipefish।এটি এমন একটি মাছ
সামুদ্রিক বৃক্ষের সাথে নিজেকে একাকার করে রাখতে পারে যাতে করে শত্রুপক্ষ তাদের সনাক্ত করতে ব্যার্থ হয় এবং স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে তারা জীবন যাপন করতে পারে।গোস্ট ফিশ ছাড়াও ক্যামোপ্লেজের অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে আছে Leaf Insect Phyllium Giganteum।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় নতুন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ৷ এখন সারাবিশ্বের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের ভেতরে মিলেছে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব৷ধার্মিকরা এই করোনা ভাইরাসকে পর্যন্ত ছাড় দেয়নি, তারা করোনার মাঝেও ঐশ্বরিক মেসেজ আবিষ্কার করেছে, তারা মনে করছে করোনা ভাইরাস ঈশ্বরের প্রেরিত কোনো শাস্তি, অথবা অভিশাপ, কেউ কেউ মনে করছে জাহান্নামের বিষাক্ত প্রাণীরা পৃথিবীতে প্রবিষ্ট হয়েছে, অনেকের মতে এটি সেই দার্জাল যার ভবিষ্যতবাণী ঈশ্বর অনেক পুর্বেই করেছেন।মুসলিমদের মধ্যে অনেকে কোরান থেকে প্রত্যক্ষ আয়াত এনে উপস্থাপন করেছেন!তথাকথিত এক মুসলিম দার্শনিক যিনি নাকি বিজ্ঞানী ব্রায়ান গ্রীনের অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুও, পান্না ছৌধুরী, এমন একজন আত্মমর্জাদাসম্পূর্ণ ব্যাক্তি ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখেছেন, পেন্টাগন গ্লাসে পানি নিয়ে কপালের কাছে ধরে ' সূরা
ফাতেহার
সাথে
- সূরা
নাস
' পড়ে , পানি
পান
করো; করোনা
ভাইরাস
পটল
তুলবে!একটা ভাইরাসের মধ্যে তারা ধর্মকে
প্রোগ্রাম করছে, করোনা এখন যতটা না ডারউনীয়, তারচেয়ে বেশি ধার্মিক।
যখন সর্বপ্রথম বিশ্ব শুনলো
চীনের উহান প্রদেশ করোনা সংক্রমিত হয়েছে এবং তার অজস্র জনগোষ্ঠীকে প্রাণ হারাতে হচ্ছে তখন
করোনা ছিলো মুসলিম।কারণ স্বয়ং ঈশ্বর তার শত্রুদেরকে শায়েস্তা করার জন্যে করোনা
ভাইরাসকে পাঠিয়েছেন ঠিক যেমনিভাবে তিনি ইতিহাসের পাতায় প্রেরণ করেছিলেন আবাবিল পাখি
তার প্রতিনিধিকে রক্ষা করার জন্যে।কিন্তু একটা সময় করোনা শুধুমাত্র চীনদেশে
সীমাবদ্ধ থাকেনি এটি ক্রমশ বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলিতে ছড়াতে থাকে এবং সাম্প্রতিক
করোনায় সংক্রমিত হতে শুরু করে ইসলাম ধর্ম এবং ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ প্লানেটারি
সুপারম্যন মোহাম্মদের জন্মস্থান সোদি-আরব।সম্পূর্ণরুপে শূন্য হয়ে যায় মক্কা শরীফ, অতি-ক্ষুদ্র
এবং নগন্য একটি ভাইরাসের আতঙ্কে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ করে দেয়া হয় মুসলিমদের সকলপ্রকার ধর্মীয় কর্মসূচী!যারা
প্রথমে করোনা ভাইরাসকে মুসলিম মনে করেছে তারাই এখন সেই করোনা ভাইরাসকে মনে করছে
ইয়াজুজ মাজুজ!করোনা এখন খ্রিষ্ঠান হয়ে গেছে, করোনা চলে গেছে এখন হিন্দুদের পক্ষে!
ধর্ম
নিজেকে বিশ্বের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে ক্যামোফ্লেজ করার জন্যে এমনি অনেক
অপ-পদ্ধতি অবলম্বন করছে যার মাধ্যমে তারা তাদের অতি-মানমানবীয়তাকে বিশ্বের কাছে
প্রমাণ করতে পারে
আকৃষ্ট
করতে পারে সম্ভাব্য হোস্টদের!
গুগলের
তথ্যসুত্র থেকে এখানে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ধর্মীয় ব্যাখ্যাগুলি উপস্থাপন করা
হলোঃ
নানা সময়ে মহামারি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে একেক ধর্মে একেকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়৷ যেমন, বাইবেলের উক্তি তুলে ধরে অনেক খ্রিস্ট্রীয় অনুসারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, এমন একটি সময় আসবে ‘যখন একটি রোগে অনেক মানুষ মারা যাবেন৷’
একজন লিখেছেন, ‘‘দুঃখের দিনের শুরু’’- ম্যাথু ২৪:৩-৮৷
আরেকজন ‘যিশু ফিরছেন’ এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলের আগুন... করোনা
ভাইরাস... অপ্রচলিত জায়গায় ভূমিকম্প... বিশ্বব্যাপী হিংসা/খুন বেড়ে যাওয়া... ক্ষুধার্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া... আর তারা যারা পুনরুত্থানের কিতাবকে অবজ্ঞা করে৷’’
ইসলাম ধর্মের অনেক অনুসারীও ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন৷ অনেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শের সঙ্গে পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ার আগে ওযু করার সঙ্গে মিলিয়েছেন৷ অবশ্য বিশেষজ্ঞরা সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে বলেছেন৷
অনেকে হাদিসে বর্ণিত একটি অসুখের কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে, পৃথিবী শেষ হবার আগে একটি রোগ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে৷ অনেকে কেয়ামতের আগে কাবায় ‘তাওয়াফ’ বন্ধ হবে এই ঘটনার সঙ্গে চলমান করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কাবায় ওমরাহ বন্ধের তুলনা করেছেন৷
অনেক হিন্দু ধর্মের অনুসারীও এ নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা হাজির করেছেন৷ অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণি এই ভাইরাসকে একটি ‘রাগী দেবতা’ বলে অভিহিত করেছেন৷
‘‘করোনা ভাইরাস নয়, এটি নিরীহ প্রাণীকে রক্ষার অবতার৷ যারা এদের ভক্ষণ করেন, তাদের মৃত্যু ও সাজার শাস্তি শোনাবার জন্য এরা এসেছে,’’ বলেন তিনি৷
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের করোনার মূর্তি তৈরি করে ক্ষমা চাওয়ার দরকার ছিল বলে মনে করেন চক্রপাণি৷
আসাম বিজেপির সদস্য সুমন হরিপ্রিয় দাবি করেন যে, গোমুত্র ও গোবর করোনা ভাইরাসের দূষণ থেকে বাঁচায়৷
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা ভাইরাস প্রাণী ও মানুষের মধ্যে পারস্পরিক ছড়াতে পারে৷ এটি ভাইরাসের একটি বিশাল পরিবার যা সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্টজনিত জটিল রোগ মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (মার্স-কোভ) ও সিভিয়ার অ্যাক্যুট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (সার্স-কোভ)-এর কারণ হতে পারে৷
এই পরিবারের নতুন সদস্য নতুন করোনা ভাইরাসটি, যা কোভিড-১৯ নামের নিউমোনিয়া
সদৃশ রোগের কারণ হতে পারে৷ এই রোগ মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে৷ সার্স ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল সিভেট নামের একরকমের প্রাণী থেকে৷ মার্স ছড়িয়েছিল উট থেকে৷ তবে নতুন করোনা ভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়িয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা৷এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের প্রায় চার হাজার ৩০০ মারা গেছেন৷ এদের বেশিরভাগই চীনের হুবেই প্রদেশের৷তবে পৃথিবীতে এর আগে রোগের এর চেয়েও ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঘটেছে৷ যেমন চতুর্দশ শতকে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটায় ইউরেশিয়া অঞ্চলের কমপক্ষে সাড়ে সাত কোটি থেকে ২০ কোটি মানুষ মারা গেছেন৷ এই প্লেগকে বলা হত ‘ব্ল্যাক ডেথ'৷ এটি ইঁদুর থেকে ছড়িয়েছিল ও এক রকমের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ৷১৯১৮ সালে ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ নামে পরিচিত ইনফ্লুয়েঞ্জা ৫০ কোটি মানুষকে আক্রমণ করে এবং ১.৭ কোটি থেকে ৫ কোটি মানুষ মারা যান৷ কেউ কেউ অবশ্য বলেন তখন ১০ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলেন৷
(তথ্যসুত্র-
গুগল)
যাইহোক, করোনা ভাইরাস খুব দ্রুত তার জিন মিউটেশন ঘটায়, একটি দেহ
থেকে আর একটি দেহে সংক্রমিত হতে হতে সে মিউটেশনের মাধ্যমে তার জেনেটিক্যাল কোড
আপডেট করে!আর সেজন্যে করোনা ভাইরাস প্রতিহত করাটা বিজ্ঞানীদের কাছে অনেকটাই
দুঃস্বাধ্যের।যদিও ইতমধ্যে করোনার বিপক্ষে প্রতিষেধক আবিষ্কার করা হয়েছে বলে সংবাদ
জানা যায়।আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছিনা।শুধু একবার খেয়াল করে দেখুন,
একটি ভাইরাস কীভাবে পৃথিবীর আট বিলিয়ন মানুষের
নিউরাল সিগনালে রুপান্তরিত হয়েছে?একটি ভাইরাস কিভাবে সমস্ত প্লানেটকেই
হ্যাক করে ফেলেছে!এখন সবার মস্তিষ্কে একটাই চিন্তা, একটাই ওয়েভ সাইকেল
‘’করোনা’।বলতে গেলে এ মুহূর্তে করোনা ভাইরাসই
পৃথিবীর সাইকোলজি।‘’ইনভেডার অব বডি স্নেচার’’ মুভিতে আমরা দেখি একটি এলিয়েন
একজন মানুষের শরীরকে দখল করে নেয় এবং তার নিউরোলজিক্যাল ফাংশনকে এলিয়েনটি নিজের ইচ্ছা
অনুযায়ী পরিচালনা করতে থাকে।বডি স্নেচার মুভির সেই এলিয়েন ইনজেক্টেড ব্যাক্তিটির
মতোই করোনা ভাইরাস আমাদের মস্তিষ্কের অপারেটিং সিষ্টেম খেয়ে ফেলেছে, আমরা এখন
করোনা ছাড়া আর কোনোকিছুই চিন্তা করতে পারছিনা, আমাদের মস্তিষ্ক এখন একটি থট
ফ্রিকোয়েন্সিতেই ভাইব্রেট করছে।আমরা এখন নিজের স্বাধীন ইচ্ছা অনুযায়ী কোথাও মুভ
করতে পারছিনা।করোনা আমাদের শরীর পরিস্কার করতে ফোর্স করছে, আমাদের মুখে সার্জারী
মাস্ক পরিয়েছে, আমরা গবাদি পশু অথবা সামূদ্রিক কোনো মাছের কাছে যেতে পারছিনা, আমরা
মুক্তভাবে বাজারে যেতে পারছিনা, পৃথিবীর বড়
বড় প্রতিষ্ঠানগুলি অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ হয়ে গেছে,
যাদেরকে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে তাদেরকে তাদের
ইচ্ছার বিপক্ষে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে,মানুষজনের চলাচল সীমিত করে দিচ্ছে,
স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে রোগীদের আলাদা আলাদা করে চিকিৎসা সেবা দিতে
বাধ্য করছে, রোগীদের ভাইরাস রয়েছে কিনা তা জানতে এবং রোগীদের সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করার জন্যও গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড বা নজরদারি ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হচ্ছে, এমনকি উন্নত রাষ্ট্র গুলিতে কেউ যদি কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অনিচ্ছাপ্রকাশ
করে তবে তাকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করার আদেশ দেয়া হচ্ছে!
১৮ ই মার্চ ২০২০ সালে দৈনিক নয়াদিল্লিতে লিখা হয়েছে ‘’ ২০০৮
সালে প্রকাশিত হওয়া একটি বই ‘এন্ড অফ ডেজ’-এ ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার
ধারণ করবে নোভেল করোনা ভাইরাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য
ছড়িয়েছে। বইটির লেখক প্রয়াত সিলভিয়া ব্রাউন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বইটির ছবি শেয়ার
করেছেন কিম কার্দাশিয়ানও। বইটিতে লেখা রয়েছে, ২০২০ সালে
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে ভাইরাস।
বইটি অনুসারে, ‘২০২০ সাল নাগাদ সিভিয়ার নিউমোনিয়ার মতো একটি অসুখ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। এই রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফুসফুস, শ্বাসনালি। কোনও চলতি চিকিৎসায় এই রোগ সারবে না। এই রোগ যেমন দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে, তেমনই হঠাৎ দূর হয়ে যাবে। ১০ বছর পরে আবার ফিরে আসবে এই রোগ। তারপর এটি চিরতরে উধাও হয়ে যাবে।’
১৯৮১ সালে প্রকাশিত হওয়া অন্য একটি বইয়েও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। ‘দ্য আইজ অফ ডার্কনেস’ নামে ওই বইটির লেখক ডিন কুন্তজ। তিনি লিখেছিলেন, চিনের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে ভাইরাস। ঘটনাচক্রে ঠিক সেটাই হয়েছে। ফলে অনেকেই এটা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছেন, লেখক কীভাবে কয়েক দশক আগেই এই ভাইরাসের কথা জেনে গিয়েছিলেন!’’
বইটি অনুসারে, ‘২০২০ সাল নাগাদ সিভিয়ার নিউমোনিয়ার মতো একটি অসুখ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। এই রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফুসফুস, শ্বাসনালি। কোনও চলতি চিকিৎসায় এই রোগ সারবে না। এই রোগ যেমন দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে, তেমনই হঠাৎ দূর হয়ে যাবে। ১০ বছর পরে আবার ফিরে আসবে এই রোগ। তারপর এটি চিরতরে উধাও হয়ে যাবে।’
১৯৮১ সালে প্রকাশিত হওয়া অন্য একটি বইয়েও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। ‘দ্য আইজ অফ ডার্কনেস’ নামে ওই বইটির লেখক ডিন কুন্তজ। তিনি লিখেছিলেন, চিনের উহান শহর থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে ভাইরাস। ঘটনাচক্রে ঠিক সেটাই হয়েছে। ফলে অনেকেই এটা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছেন, লেখক কীভাবে কয়েক দশক আগেই এই ভাইরাসের কথা জেনে গিয়েছিলেন!’’
নয়াদিল্লির ডেস্ক রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে
পারছি, করোনার মেটাফিজিক্যাল রিয়েল্ম বা স্প্রিচুয়াল বাস্তবতা।সিলভিয়া ব্রাউন নামক
এক স্প্রিচুয়াল পারসোনালিটি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বহুপূর্বেই ভবিষ্যৎবাণী করেছেন
বলে।গ্রন্থটি আমি নিজেও দেখেছি।কিন্তু এর পেছনের ঐতিহাসিক সত্যতা কতটুকু তা আমাদের
জানা নেই যদি ঐতিহাসিকভাবে এটি সত্য হয় তবে যোক্তিকভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করতে পারি করোনা একটি পূর্ব পরিকল্পনা,
পৃথিবীকে ধবংসের মুখে ঠেলে দেয়ার জন্যে মানুষ এটি অনেক পূর্বেই পোগ্রাম করেছে।আবার যদি করোনা সম্পর্কিত এমন ভবিষ্যতবাণী পূর্ব থেকেই করা
সম্ভব হয় তবে সেটি হয়তোবা সম্ভব যদি আমরা মহাবিশ্বকে হলোগ্রাফিক্যালি এক্সপ্লেইন
করি,যাইহোক, আমি এখন প্যারাসাইকোলজি অথবা মেটাফিজিক্সে যেতে চাচ্ছিনা।এবং আমি
এসবের সত্যতার বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোভাবে বিশ্বাসী নয়, যদিও আমার নিজের সাথেও এমন
অনেক ঘটনা ঘটেছে যা আমি আমার গ্রন্থের প্যারাসাইকোলজি সংক্রান্ত অধ্যায়গুলিতে
আলোচনা করেছি!
পৃথিবীর কোনো মহাপুরুষের পক্ষে সম্ভব হয়নি আট
বিলিয়ন মানুষকে ধর্ম,বর্ণ, সম্প্রদায় সকল কিছুর উদ্ধে নিয়ে এসে একটি থট পয়েন্টে
সেন্ট্রালাইজ করা কিন্তু করোনা ভাইরাস সেটি পেরেছে, একটি ক্ষুদ্র ভাইরাসের কাছে
ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িক ব্যাবচ্ছেদগুলি অযোক্তিক,বানোয়াট এবং অন্তঃস্বারশূন্য প্রমাণিত হয়েছে।ফিজিক্সের
সুত্রগুলি যেমন হিন্দু,মুসলিম, বোদ্ধ অথবা খ্রিষ্ঠানকে দেখেনা , ফিজিক্সের
সুত্রগুলির নিকট যেমন এটম অথবা সাব-এটমিক পার্টিকেলদের আলাদা কোনো পরিচিতি নেই এবং
এটি মহাবিশ্বের কারো জন্যে কাজও করছেনা,
ঠিক তেমনি করোনা ভাইরাসও কাউকে সংক্রমিত
করছেনা, সে কাউকে হত্যা করছেনা,এমনকি করোনা ভাইরাস জানেওনা তাকে কেন্দ্র করে সমস্ত
প্লানেটে এত কিছু ঘটে চলতেছে!তার কাছে এখনো সংবাদ নেই একমাত্র তার জন্যেই
কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান হয়তোবা অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ হয়ে
যাচ্ছে!সে তার জ্যানেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুযায়ী একটি অটোম্যাটা রোবটের মতো এক
দেহ থেকে অন্য দেহে সংক্রমিত হচ্ছে এবং
নিজের অজান্তেই তার জিন মিউটেশন ঘটছে কারণ সে এটি করতে মেকানিক্যালি বাধ্য,
তার দেহের প্রতিটি কোষ ফিজিক্সের সুত্র মেনে কাজ করছে, তার বায়োলজিক্যাল সিষ্টেমকে
নিয়ন্ত্রণ করছে তার জেনেটিক্যাল এভুলিউশন।অতএব করোনা ভাইরাস আমাদের প্লানেটের সাথে
কিছুই করছেনা, তার পক্ষে কোনকিছু তখনই করা সম্ভব হতো যদি না তার স্বাধীন অস্তিত্ব
থাকতো, তার ইচ্ছাশক্তি থাকতো, তার সেন্স অব সেলফ থাকতো, তার সেন্স অব সেলফ তার
দেহের বায়োক্যামিকাল এক্টিভিটিজ ছাড়া কোনোকিছুই নয়। অতএব করোনার কোনো স্বাধীনতাই
নেই আমাদের কাউকে স্বেচ্ছায় হত্যা করার! যদি তাই হয়ে থাকে!যদি করোনা একটি
ম্যাকানিজমই হয়ে থাকে, তার যদি স্বাধীন কোনো ইচ্ছাই না থাকে, তবে সে কীভাবে হিন্দু
অথবা মুসলিম হয়, কিভাবে তার সম্পর্কে ধর্মগুলো অনেক আগে থেকে প্রেডিকশন করে এবং সে
সেসব প্রেডিকশন অনুযায়ী কাজ করে!!!
ফিজিক্সের সুত্র কারো ব্যাক্তিগত অধিকারে নেই,
‘’ল’’ অব গ্রেভিটি আমার দখলে নয়, এটি যদি ব্যাক্তি ক্ষমতার মধ্যে থাকতো তবে যেকেউ
অভিকর্ষ বলকে অস্বীকার করতে পারতো, এবং
যখন খুশি তখন মহাকাশে উড়ে বেড়াতো!কিন্তু ব্লাইন্ড ম্যাকানিজম যা করোনা ভাইরাসের
জিনকোড প্রোফাইলে প্লে করছে সেটি পৃথিবীতে
করোনা সংক্রমণের ভেতর দিয়ে আবারও প্রমাণ করে দিলো প্রকৃতি নিরপেক্ষ, সে কারো জন্যে
নয়, কোনকিছুর জন্যে নয়, সে একা!
আমরা জেনেছি, প্রোটোজোয়া প্যারাসাইট যখন কারো
ইদুরের মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয় তখন ইঁদুরটি অন্যসকল ঘ্রাণ ফিল করতে পারলেও
সিলেক্টিভলি বিড়ালের ফেরোমেন ফিল করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।এবং তখন বিড়ালরা তাদের
সামনে ইতস্ততভাবে ঘুরে বেড়ানো ইঁদুরদেরকে খেয়ে ফেলে।এবং ইনফেক্টেড বিড়ালরা তাদের
ড্রফিং এর মাধ্যমে এই ভাইরাসগুলিকে সর্বত্র ছড়াতে থাকে।প্রোটোজোয়া প্যারাসাইট
সংক্রমিত বিড়ালের মতোই আমরা করোনাকে ফিজিক্যালি এবং সাইকোলজিক্যালি সমস্ত পৃথিবীতে আতঙ্ক হিসেবে
ছড়াচ্ছি যার অনেকাংশই অপ্রয়োজনীয়।গবেষকরা বলেন, কোনো মানুষকে যদি প্রটোজোয়া
প্যারাসাইট সংক্রমিত করে তবে তাদের চিন্তাপ্রণালী বা আবেগে এর সরাসরি কোনো ইফেক্ট
আসবেনা যেমনঃ সেট স্কোর অথবা টেলিভিশন প্রিপারেন্স বরং তাদের বারবার চিড়িয়াখানায়
যেতে ইচ্ছে করবে, পোলার বিয়ারকে ফেন্স কিস করতে ইচ্ছে করবে!একটু লক্ষ্য করলে বুঝা
যায় করোনা ভাইরাস প্রটোজোয়া প্যারাসাইটের মতোই আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে কমন একটি
সাইকোলজি আপডেট করছে,
আমরা সবাই মাস্ক পড়ছি অথবা সন্দেহজনকদেরকে
কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে, এমনকি একটি ক্ষুদ্র ভাইরাস আমাদের আইনবিভাগ,
বিচারবিভাগ; এমনকি আমাদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রকেও প্রভাবিত করছে!
আমার মতে ধর্মগুলিও এক একটি করোনা ভাইরাস,
ইসলাম ধর্ম চায় পৃথিবীর সকল মানুষ দাঁড়ি রাখুক, টুপি পরিধান করুক এবং পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজ পড়ুক, তারা চায় মানুষ প্রোটোজোয়া প্যারাসাইট আক্রন্ত রোগীর মতো বারবার মক্কা
ভ্রমণ করুক,মদীনা ভ্রমণ করুক, পাথরে চুমু খাক!ধর্মগুলি চায় একটি কমন সাইকোলজি,
তারা সমস্ত পৃথিবীতে একটি ফ্রিকোয়েন্সি বিস্তার করতে চায়, একটি সাংস্কৃতিক
ফ্রিকোয়েন্সির ব্যান্ডউইথে বেঁধে ফেলতে চায় পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের
নিউরন।কিন্তু হিন্দুরা তা পারেনি, বোদ্ধরা তা পারেনি, খ্রিষ্ঠানরা তা পারেনি,
করোনার পক্ষে সম্ভব হয়েছে, করোনা পেরেছে, করোনা নিজেকে বিস্তার করার জন্যে
জেনেটিক্যাল যুদ্ধ করছে, তার পথের কাটা সরিয়ে দিচ্ছে, শাপলা চত্ত্বরে সে পুলিশ
অথবা র্যাবের আক্রমণে স্বীকার হচ্ছেনা, তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা
যাচ্ছেনা অথবা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনালে তার জন্যে দ্রুত বিচার প্রকৃয়া
সম্পাদন হচ্ছেনা, তাকে ট্যাকনোলজিক্যালি মোকাবেলা করতে হবে,
চিৎকার, চেঁচামেচি, হৈ হুল্লোড় অথবা সামরিক
বাহিনী দিয়ে প্রকৃতিকে কন্ট্রোল করা যায়না, প্রকৃতি ট্যাকনোলজি বুঝে, মানুষের মন
বুঝেনা, সম্ভবত করোনা আমাদের সেই কথাটিই
আবারও স্মরণ করিয়ে দিলো!
তথ্যসুত্রঃ
ক্যামোপ্লেজের আরো কিছু দৃষ্টান্তঃ
Great Horned Owl
Common Baron Caterpillar
Uroplatus Gecko
Green Sea Turtle
Wolf Spider
Leaf-Litter Toads
Comments
Post a Comment