ঈশ্বর প্যারাসাইটে আক্রান্তদের হত্যা করা কী বৈজ্ঞানিক? লিখেছেন- রিসাস, পার্ট- ৩৭



2019/10/21: The God Virus: How Religion Infects Our Lives and ...




আমাদের ইমিউন সিষ্টেম  প্রায় ৩৭ ট্রিলিয়ন সেলকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্যে টি-কিলার সেল এবং নিউট্রোফিলসের মাধ্যমে ভাইরাস আক্রান্ত কয়েক মিলিয়ন সেলকে হত্যা করে, অতএব আমাদের গ্রহটিকে নিরাপদ রাখার জন্যে ধর্মীয় প্যারাসাইট আক্রান্ত উগ্র জনগোষ্ঠীকে হত্যা করা উচিত বলেই আমার কাছে প্রাকৃতিক মনে হয়।হার্বাট স্পেন্সারের ইউজেনিক্স পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের গ্রহে  সে সকল জিনপোলেরই শুধু বিবর্তিত হওয়া উচিত যারা  মানবিক এবং অসীম মহাবিশ্বকে বৈজ্ঞানিকভাবে উপলব্দি করতে আগ্রহী। 





একটি মহাবিশ্বকে এক্সপ্লেইন করার জন্যে আমরা বিভিন্ন মডেল দেখতে পাই এবং প্রত্যেকটি মডেলই চেষ্টা করে তাদের নিজস্ব চিন্তার প্যাটার্ন অনুযায়ী একটি ওয়ার্ল্ড কমিউনিটি সৃষ্টি হোক।কমিউনিটি সৃষ্টির এই প্রবণতা অনেক প্রাচীন এবং এটি সরাসরি বিবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত।প্রকৃতিতে প্রত্যেকটি প্রাণী যুদ্ধ করছে তাদের নিজস্ব কমিউনিটিকে পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখতে, তারা চাচ্ছে নিজস্ব জেনেটিক্যাল কোডকে পৃথিবীতে ক্লোন করতে।আমরা এর পূর্বেও যা দেখেছি।একই জেনেটিক্যাল কোড সম্পন্ন প্রজাতিরা সাধারণত চায় যে তাদের পরিবারই শুধুমাত্র পৃথিবীতে টিকে থাকুক অন্যদের সাথে বিবরতনীয় প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হয়ে।আমরা সাধারণত আমাদের জেনেটিক্যাল রিলেটিভদের সমাজের অন্যান্যদের তুলনায় অত্যধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকি।কিছুকিছু ক্ষেত্র আছে যেখানে আমরা শুধুমাত্র আমাদের নিজেদের জেনেটিক্যাল কোডকেই প্রায়োরিটি দেইনা বরং আমরা বৃহৎ সমাজ ব্যাবস্থার ভারসাম্যের স্বার্থে আমাদের জেনেটিক্যাল রিলেশনশিপকেও তুচ্ছ মনে করি!

তার মানে কী আমরা উদার?তার মানে কী বিবর্তন মানবতাবাদী?আমার মতে বিবর্তন আমাদেরকে মানতার শিক্ষা দেয়নি, এবং মানুষ নিজেও জেনেটিক্যালি মানবতায় অভ্যস্ত নয় বরং আমরা জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে মানবতাবাদকে সমাজের আদর্শ হিসেবে নির্ধারণ করেছি ,আর এ মানবতাবাদ সৃষ্টিতে পরোক্ষভাবে সেলফিস জিনই ভূমিকা রাখছে।যেমনঃমানুষ তার জেনেটিক্যাল কোডকেই পৃথিবীতে দেখতে চায় আর এ জন্যে সে প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীদের হত্যা করে, মানুষের বিবর্তনবাদী মস্তিষ্ক চায়, পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণী এবং উদ্ভিদ্গুলি শুধু তাদের [মানুষের]  জিনকোডকে টিকিয়ে রাখার জন্যেই কাজ করুক, আমরা যখন একটি শামুক অথবা ব্যাঙকে ভক্ষণ করি তখন সেগুলি আমাদের শরীরের কোষে রুপান্তরিত হয়, তারাও মানুষের জেনেটিক্যাল এভুলিউশনের অংশ হয়ে যায়, তখন আমাদের শরীর ভেজিটেবল রোল অথবা একটি চিকেন ফ্রাইকে আলাদা করে সনাক্ত করেনা, আমাদের দেহের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তারাও অংশগ্রহণ করে, আর এভাবে প্রতিটি প্রজাতিই চায়, মহাবিশ্বকে তাদের শরীরের জেনেটিক্যাল এভুলিউশনে রুপান্তরিত করতে, আমরা পৃথিবীকে আমাদের শরীর হিসেবে দেখতে চাই, আমরা একটি পশু জবাই করি কারণ আমরা চাই এটি আমাদের শরীরে প্রবেশ করুক এবং আমাদের শরীরের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুক, সেটি আমার ‘’আমি’’ তে মিউটেড হয়ে যাক।এভাবে আমার সেলফিশ জিন পরিবেশের সকল কিছুর মধ্যে ‘’আমি’’ বিস্তার করছে।সমস্ত মহাবিশ্বকে সে একটি পারসনে মিউটেড করতে চাইছে, একটি জেনেটিক্যাল কোডে মিউটেড করতে চাইছে,  কিন্তু কখনো কখনো সে অন্যান্য প্রাণীদের প্রতিও সহানুভূতি প্রদর্শন করে, অন্য প্রজাতিদের লালন পালন করে, সে প্রকৃতি এবং পরিবেশের যত্ন নেয়, তারা গণতান্ত্রিকভাবে গাছ না কেটে গাছের পরিচর্চা করে, তাদেরকেও জেনেটিক্যালি উন্নত করে তোলে, কারণ মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা-জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে ইকোসিষ্টেমকে জেনেছে, তারা জেনেছে গাছ কাটলে বায়ুমন্ডলে কার্ব-ডাই অক্সাইড বেড়ে যাবে, ইকোসিষ্টেমে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, যার ফলশ্রুতিতে হিমালয়ের বরফ গলে যাবে এবং সমূদ্রের উচ্চতা বেড়ে গিয়ে, মহাসমূদ্র মানব সভ্যতার অস্তিত্বের উপরই উপচে পড়বে এবং তারা বুঝতে পেরেছে গাছ কাটার পরোক্ষ অর্থ হলো ‘’সুইসাইড’’ করা!প্লানেটারি সুইসাইড!আর এ জন্যেই তারা পরিবেশের প্রতি উদার,সচেতন এবং মানবিক হয়ে উঠেছে, তারা মানবিক হয়ে উঠেছে ইকোসিষ্টেমের অন্যান্য প্রাণীদের প্রতি, যেনো তাদের জেনেটিক্যাল কোড ‘’আমি’’ কে ক্লোন করতে গিয়ে তাকে ধবংস না করে দেয়!  


শুধুমাত্র মানুষের বায়োলজিক্যাল এক্সপ্রেসন থেকেই যে আমরা সেলফিশনেস এবং মানবতার সম্পর্ক ভিত্তিক সিন্ড্রোম খুজে পাই তা নয়, আমাদের মনস্তাত্বিক ধারণাগুলির বিকাশ,প্রকাশ এবং বিবর্তনের মধ্যেও আমরা একপ্রকার জেনেটিক্যাল ইনটেনশন আবিষ্কার করি।স্ট্রিং থিওরির প্রবক্তারা চেষ্টা করছেন তারা তাদের মডেলের ভিত্তিতে মহাবিশ্বের ম্যাকানিজমকে এক্সপ্লেইন করবেন এবং সে জন্যে তারা পৃথিবীর সকল মানুষের মস্তিষ্কে তাদের মডেলকে ক্লোন করতে চাইছেন যাতে করে তাদের একটি কমিউনিটি তৈরি হয়, যে কমিউনিটির মধ্যে একটা মডেলই কাজ করবে এবং যা তাদের মধ্যে একটি মহাজাগতিক সম্পর্ক উন্নত করবে, তাদের পারস্পরিক ভাব প্রকাশের একটি কমন সাইকোলজি তৈরি হবে, তারা তাদের সুখ,দুখ্য,আনন্দ,বেদনা এবং হতাশাগুলিকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারবে।একটি মডেল যে শুধুমাত্র
মহাবিশ্বের ম্যাকানিজমকেই ব্যাখ্যা করছে তা নয়, একইসাথে এটি সেই ম্যাকানিজমের ভেতর একটি ইউনিভার্সাল সাইকোলজি তৈরি করার চেষ্টা করছে যারা হবে একে অপরের সহযোগী,পরিপূরক এবং এসব করার জন্যে তাদেরকে প্রত্যক্ষভাবে কোনো মুভমেন্টই করতে হচ্ছেনা, শুধুমাত্র মিডিয়া এবং ইন্টারনেটের কল্যাণে পৃথিবীতে এক একসময় এক একটি মডেল এক একটি সাইকোলজি তৈরি করে দিয়ে যায়।এসব সাইকোলজির মধ্যে হয়তোবা কোনো একটি সাইকোলজি কারো মস্তিষ্কে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে এবং তারা সেটিকে খুব সহযে তাদের মনস্তত্ব এবং চিন্তার অংশ করে নেবে এবং সেটিকেই মিউটেড করবে তার ‘’আমি’’ তে।


শুধুমাত্র কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের উপরই রয়েছে কয়েকশত ডায়মেনশনের সাইকোলজি প্রত্যেকটি সাইকোলজিই জেনেটিক্যাল মিউটেশনের মতোই নিজেদেরকে ইউনিভার্সাল ব্রেনে অন্তর্ভূক্ত করে তুলতে চেষ্টা করছে, কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেনশন চায় সে পৃথিবীর মানুষের চিন্তায় মিউটেড হোক এবং হিউ-এভারেট ওয়েভ ফাংশন চায় পৃথিবীর মানুষ তাকে নিয়ে ভাবুকযেমন- এইস ভি এস ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কিছু কমন সাইকোলজি কাজ করবে।এ জন্যে তারা নিজেদেরকে খুব সহযে বুঝতে পারবে, দুজন জন্ডিস আক্রান্ত রোগীর মনের কন্ডিশন একই, একটুও পার্থক্য নেই।একজন ডাক্তার শুধুমাত্র রোগীর সাথে এক মিনিট কথা বলেই তার বায়োলজিক্যাল সিষ্টেমকে বুঝে ফেলতে পারবেন কোনোপ্রকার ফিজিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট ব্যাতীতই।এ জন্যে তাকে যেটা জানতে হয় সেটা হলো ‘’কমননেস অব সাইকোলজি’’।যেমনঃ কোনো একজন পেশেন্ট যদি বলেন আমি ট্যালিপেথিক্যালি অন্যদের মনের ভাব অনুভব করতে পারি, আমার কাছে সমস্ত মহাবিশ্বকে ওয়েভ এবং কালার মনে হয়, আমি একসাথে বিভিন্ন জগতে ভ্রমণ করতে পারি ইত্যাদি তবে ডাক্তার তার মস্তিষ্কে কোনোপ্রকার ইলেক্ট্রো এনসিপলোগ্রাম পরিচালনা করা ছাড়াই চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারবেন তার মস্তিষ্ক সিজোফ্রেনীয়া আক্রান্ত।কারণ সিজোফ্রেনীয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একটি কমন সাইকোলজি কাজ করে, এদের একজনকে জানলে, অন্যদেরকে জানার জন্যে আলাদা করে এক্সপেরিমেন্ট করার প্রয়োজন হয়নাএকই থিমসটি আপনি আবার ধর্মগুলির ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করতে পারেন, যেমন ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে
তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির দিক থেকে একতা পাওয়া যাবে, কিছুকিছু ক্ষেত্রে ব্যাতীক্রম থাকলেও, এদের সাইকোলজিক্যাল প্যাটার্ন সেইম।এরা একে অপরকে বুঝার জন্যে কোনো প্রকার দৃশ্যমান শব্দেরও প্রয়োজন নেই, একজন ডাক্তার যেমন সিজোফ্রেনীয়া নিয়ে গবেষণা করলে রোগীদের আচরণ থেকেই তাদের মস্তিষ্ককে নির্ণয় করে ফেলতে পারবেন ঠিক তেমনি মুসলিমরাও অন্য আর একজন মুসলিমের আচার আচরণ দেখেই তাকে খুব সহযে সনাক্ত করে ফেলতে পারবেন!একজন মােক পরিহিত ব্যাক্তির মাস্ক পড়ার  প্যাটার্ন দেখেই আপনি বুঝতে পারবেন সে করোনায় আক্রান্ত অথবা সুস্থ্য।এ থেকে কী বোঝা যায়?আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা সাইকোলজির প্রতি ইনটেনশন কী প্রমাণ করে?আমরা এখানে দৃশ্যমানভাবে দেখতে পারছি জেনেটিক্যাল এভুলিউশন আমাদের সাইকোলজিতেও কাজ করছে।আমাদের মাইন্ড নিজেই জেনেটিক্যাল।আমাদের সম্পূর্ণ মনটাই আমাদের ডি এন এ।যেটাকে রিচার্ড ডকিন্স মিমকোড প্রোফাইল বলেছিলেন।আমরা যেমন আমাদের জেনেটিক্যাল অর্গানদের প্রতি মায়া,মমতা এবং স্নেহ অনুভব করি ঠিক তেমনি আমরা আমাদের মতাদর্শ এবং ধর্মের প্রতিও ভালোবাসা অনুভব করি, এবং সেটিকে ক্লোন করতে চাই, যাতে করে ইউনিভার্সালি আমার একটি কমিউনিটি তৈরি হয়, যারা আমাকে কোনো শব্দ ছাড়াই রিয়েলাইজ করতে পারে, যারা আমাকে তার নিজের অস্তিত্বের মতোই ভালোবাসে!এটি একটি বিশ্বজনীন বিশ্বাসযোগ্যতা! 


কিন্তু ধর্মগুলির মাঝে কেনো যুদ্ধ হয়?কেনো শুধু তারা নিজেরাই সমাজে একা প্রতিষ্ঠিত হতে চায়; তার কারণ আমি বিগত অধ্যায়গুলিতে আলোচনা করেছি।
করোনা ভাইরাস আমাদের দেহে সংক্রমিত হওয়ার পর সে ক্লোনিং এর মাধ্যমে সমস্ত দেহের প্রত্যেকটি সেলকে দখল করে নিতে থাকে, বিশেষ করে আমাদের ফুসফুসের অ্যাপিথিলিয়াল সেলে সে তার জেনেটিক্যাল ইনফরমেশন ইনপুট করে এবং সেলটি বিস্ফোরিত হয়ে দেহের অন্যান্য সেলগুলিতে সংক্রমিত হয়, এভাবে আমাদের দেহের প্রতিটি সেল একে একে ইনজেক্টেড হয়, যখন আমাদের ইমিউন সিষ্টেম রক্তের লিম্ফোসাইট সেলগুলির মাধ্যমে আক্রান্ত কোষগুলিকে হত্যা করতে আসে তখন করোনা ভাইরাস অনেক সময়  লিম্ফোসাইটকেও সংক্রমিত করে তোলে আর এভাবে সে অন্যান্য ভাইরাসের সাথে প্রতিযোগীতা করে আমাদের সম্পূর্ণ দেহটিকে তার জেনেটিক্যাল হোমটাউন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, ঠিক তেমনি ধর্মগুলিও
প্রত্যেকটি মানুষের ব্রেনে নিজেদেরকে ইনপুট করে দেয়, অন্যান্য ধর্মগুলির বিপক্ষে এন্টিবডি তৈরি করে যাতে করে ইউনিভার্সাল মাইন্ড ফাংশনে একমাত্র তারাই প্রতিষ্ঠিত হয়, আমাদের দেহ যেমন চিকেন ফ্রাই এবং ভেজিটেবল রোল খেয়ে সেটিকেই তার দেহের সেলে পরিণত করে ঠিক তেমনি ধর্মগুলিও অন্যান্য ধর্মগুলিকে তাদের নিজেদের মন মতো করে ব্যাখ্যা করে, তাদের মেন্টাল কোষে রুপান্তরিত করতে থাকে, শুধু তাই নয়, এমনকি বিজ্ঞান যদি আজ করোনা ভাইরাসের বিপক্ষে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করে, মুসলিমরা সাথেসাথেই মিডিয়ার মাধ্যমে সমস্ত পৃথিবীকে বলে দেবে, কোরানের কোন সুরার কত নাম্বার আয়াতে ঈশ্বর করোনার প্রতিষেধকের কথা ১৫০০ বছর পূর্বেই বলে গিয়েছেন, এটা পুরোপুরিভাবে ইকোসিষ্টেমের মতোই যেখানে প্রতিটি প্রাণী একে অপরকে খেয়ে তাদের নিজদের বডি সেলে মিউটেড করে দেয়।বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত এমন কোনোকিছু আবিষ্কার করেনি যা কোরানে নেই কারণ ধর্মগুলি করোনা ভাইরাসের মতোই বিজ্ঞানের তথ্যগুলিকে খেয়ে তাদের মেন্টাল কোষে পরিণত করে, যেনো বিজ্ঞানীদের সাইকোলজি রিলিজিয়াস সাইকোলজিতে কনভার্টেট হয়ে যায়, এবং এতে করে ধর্মগুলি যুগ যুগ ধরেই টিকে থাকে!প্রায় প্রত্যেকটি ধার্মিক বিজ্ঞানীদের ঈশ্বরে বিশ্বাসী প্রমাণ করতে চায়, তারা প্রমাণ করতে চায় মূলত বিজ্ঞানীরা তাদের ধর্মগ্রন্থের তথ্যগুলিকে নকল করেই রকেট,বিমান এবং কম্পিউটার তৈরি করেছে, তারা বলে বেড়ায়ঃ বিজ্ঞানের জন্মভূমিই কোরান আর মোহাম্মদ।করোনা ভাইরাসের মতোই বৈশ্বিক ইউমিউন সিষ্টেমকে হ্যাক করে ধর্মগুলি গোটা বিশ্বকে একটি মাইন্ডে পরিণত করতে চায়, একটি কমন কমিউনিটিতে তাদের মাঝে কাজ করে শুধুমাত্র টিকে থাকার অন্ধ প্রবণতা!এবং এ জন্যে অনেক সময় তারা বিভিন্ন জঙ্গী সংঘঠন গড়ে তোলে এবং সে সকল জঙ্গী সংঘঠন অন্যান্য ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের উপর আঘাত হানে।এমতাবস্থায় তাদের প্রতিরোধ করার জন্যে বৈশ্বিক প্রতিষেধক টিকা জরুরী হয়ে উঠে।এবং অন্তত আমরা যদি হিউম্যান বায়োলজিক্যাল টার্ম থেকেও চিন্তা করি, ধার্মীকদেরকে হত্যা করাটা পুরোপুরিভাবে যোক্তিক এবং মানবিক।মানব সভ্যতার দেহকে ভাইরাস মুক্ত করার জন্যে গ্লোবাল ইমিউন সিষ্টেমকে অবশ্যই যথাযথভাবে বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে এবং ট্যাকনোলজিক্যালি শক্তিশালী ; যাতে করে এই অবৈজ্ঞানিক,অযোক্তিক এবং অমানবিক ধার্মিক সম্প্রদায়কে পৃথিবী থেকে চিরতরে মুছে দেয়া সম্ভবপর হয়ে উঠে।এবং এই বৈশ্বিক ইউমিনিউ সিষ্টেম ধার্মিকদের আক্রমণ করবে সম্ভাব্য দুটি পদ্ধতিতেঃ

১. সাইকোলজিক্যাল
২.ফিজিক্যাল।


সম্প্রতি অস্ট্রিয়ার গ্রাজে এক মেডিকেল ইন্সটিটিউশনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে করোনা ভাইরাস আমাদের পাকস্থলীকে সংক্রমিত করতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে জ্বর কিংবা সর্দি-কাশি এ ধরণের কোনও উপসর্গ ছাড়াই আক্রান্ত ব্যক্তি সরাসরি পেটে ব্যথা এবং পরিপাকজনিত জটিলতার শিকার হতে পারেন।ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বড় মাপের বিজ্ঞানীরা দৃশ্যমানভাবে ধর্মীয় সংস্কৃতি চর্চা না করলেও, এমনকি টুপি বা দাড়ির মতো, তাদের মধ্যে ধার্মিকতার কোনো উপসর্গ না থাকলে, মনস্তত্বের গভীরে ধর্মীয় প্যারাসাইটে আক্রান্ত হওয়ার তীব্র ঝুঁকি থাকে।আর এ জন্যেই বৈশ্বিক ইমিউন সিষ্টেম পৃথিবীর স্কুল-কলেজ এবং  ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদেরকেই সর্বপ্রথম আক্রমণ করতে হবে, এবং বিভিন্ন দেশের প্রাইমিনিস্টারকে যারা ধর্মীয় প্যারাসাইটে সুকঠিনভাবে বিশ্বাস করে এবং তাদের উপর সাইকোলজিক্যাল এবং বায়োলজিক্যাল উভয় অবস্থা থেকেই প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদেরকে হত্যা করতে হবে!কারণ এরাই জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের অন্যতম বাহক।


কিন্তু একজন ব্যাক্তি ধর্ম বা ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেই তাকে খুন করতে হবে কেনো, তাকে কেনো ধবংস করে ফেলতে হবে, তাদেরকে হত্যা করাটা ঠিক কতটা জরুরী?
প্রকৃতি কী মানুষের এ অমানবিকতা সাপোর্ট করবে?এভাবে অনেকেই আমাকে ইমোশনালি ব্লাকমিল করতে পারেনএবং তাদের প্রশ্নের উত্তরে আমি শুধুমাত্র হিউম্যান বায়োলজিকেই দৃষ্টান্ত স্বরুপ উপস্থাপন করবো।



আমরা জানি, নির্দিষ্ট পোষকদেহের বাইরে ভাইরাস জড় এবং নিষ্ক্রিয়। তাই কেবলমাত্র একটি জীবিত কোষে প্রবেশ করলেই ভাইরাস সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের ফুসফুস কয়েক মিলিয়ন অ্যাপিথিলিয়াল কোষ দ্বারা গঠিত, অ্যাপিথিলিয়াল কোষ মূলত: আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ ও মিউকাসের বহিরাবরণ হিসেবে কাজ করে।

করোনাভাইরাস এই আবরণের একটি নির্দিষ্ট গ্রাহক কোষের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং অন্যান্য ভাইরাসের মতোই একই প্রকৃয়ায় করোনা তার জেনেটিক্যাল মলিকিউল কোষটির ভেতরে ইনজেক্ট করে যার প্রভাবে কোষটির ভেতরে এ জেনেটিক উপাদানের ক্লোন তৈরি হয় ও তা পূর্নবিন্যাসিত হতে থাকে। অচিরেই এ কোষটি মূল ভাইরাসের অসংখ্য অনুলিপিতে ভরে উঠে এবং একটি ক্রান্তিক মুহূর্তে এসে মূল কোষকে বিদীর্ণ ভাইরাস বেরিয়ে আসে এবং আশেপাশের কোষগুলোকে একইভাবে সংক্রমিত করতে থাকেতএ প্রক্রিয়াকে রেপ্লিকেশন প্রক্রিয়া বলা হয়। আক্রান্ত কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে।

দেখা যায় যে এক সপ্তাহ কিংবা ১০ দিনেই এ ভাইরাস আমাদের ফুসফুসের কয়েক মিলিয়ন কোষকে আক্রান্ত করতে পারে। যার প্রভাবে আমাদের ফুসফুস কয়েক কোটি ভাইরাসে পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যদিও অনেক সময় এ মুহূর্তে এসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ বলে মনে হতে পারে কিন্তু তা তার ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর বিশেষ প্রভাব ফেলে।যখন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক কোষগুলো কিংবা আমাদের রক্তে থাকা লিম্ফোসাইট আমাদের শরীরের ফুসফুসে এসে পৌঁছায় তখন করোনা ভাইরাস সেই কোষ এবং লিম্ফোসাইটকেও সংক্রমিত করে এবং তারা তাদের কার্যকারীতা হারাতে থাকে।


সমস্ত প্লানেট যেমন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত তেমনি আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষগুলোও সাইটোকাইনস নামক এক ক্ষুদ্র প্রোটিনের মাধ্যমে একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। তাই প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়াই এর প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে আমাদের এ  ইমিউন সেলগুলি ওভার এক্সাইটেড হয়ে উঠে যার ফলে কোষগুলোর মাঝে অতিরিক্ত উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় এবং আমাদের ইমিনিউ সেলগুলি অনেকটা সাইকো হয়ে যায়

কিছু কিছু বিজ্ঞানীদের মতে এ উন্মাদনার ফলে মানব মস্তিষ্কের তাপ নিয়ন্ত্রণকারী অংশটি অর্থাৎ হাইপোথ্যালামাস অংশটি উদ্দীপ্ত হয় যার প্রভাবে জ্বর আসে। দুই ধরণের সেল সাধারণত এ ধরণের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাদের মধ্যে একটি  নিউট্রোফিলস এবং অন্যটি টি কিলার সেল।যখন কোন একটি সেলে ভাইরাস তার নিজের জেনেটিক্যাল ইনফরমেশন ইনপুট করে হ্যাক করে তখন
আমাদের ইমিউন সিষ্টেম নিউট্রোফিলসকে ফুসফুসে সেন্ড করে,  ফুসফুসের সেই হ্যাকড এপিথিলিয়াল সেলগুলিকে হত্যা করার জন্যে, নিউট্রোফিলস আক্রান্ত কোষ গুলিকে এনজাইম নিঃস্বরণের মাধ্যমে হত্যা করে এবং অনেকসময় তারা ওভার এক্সাইটেশনের মাধ্যমে সুস্থ্য কোষগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে।  


আরেক ধরণের ইমিউন সেল  হচ্ছে কিলার টি-সেল যারা মূলত অটোফেগি প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রিতভাবে আক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস হওয়ার নির্দেশ দেয় কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে এরা এতো বেশি এক্সাইটেড থাকে যে  তারা আশেপাশের সুস্থ কোষগুলোকেও আত্মহত্যার জন্য নির্দেশ দেয়। যত বেশি প্রতিরোধক কোষ ছুটে আসে, ক্ষতির পরিমাণ ততই বৃদ্ধি পায়, আর তত বেশি সুস্থ ফুসফুস টিস্যু তারা মেরে ফেলে। এ প্রক্রিয়াটি এতোটাই গুরুতর হতে পারে যে মাঝে-মধ্যে ফুসফুসে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে যা ফাইব্রোসিস নামে পরিচিত।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ আবার তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফিরে পেতে আরম্ভ করে যার প্রভাবে সংক্রমিত কোষগুলো মারা যেতে থাকে এবং ভাইরাসের নতুন করে সংক্রমণের সম্ভাবনা নস্যাৎ হতে শুরু করে। যাদের ইমিউন সিস্টেম অত্যন্ত শক্তিশালী তাঁদের অনেকে এ পর্যায়ে এসে সুস্থ হয়ে গেলেও যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কমে যায়বিশেষ করে কারও যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে অথবা কারও যদি শ্বাসজনিত কোনও সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করে।


যাইহোক এটা লক্ষনীয় যে, আমাদের ইউমিন  সিষ্টেম নিজেই ভাইরাল সেল গুলিকে নিউট্রোফিলস এবং টি-কিলার সেলের মাধ্যমে অটোফ্যাগি প্রকৃয়ায় হত্যা করছে, আমাদের ইমিউন সিষ্টেম যদি দেহের সাইত্রিশ ট্রিলিয়ন সেলের উপকারের কথা ভেবে কয়েক লক্ষ সেলকে হত্যা করতে পারে তবে কেনো প্লানেটারি ইমিউন সিষ্টেম সমস্ত মানব সভ্যতার কথা ভেবে ধর্মীয় প্যারাসাইট আক্রান্ত উগ্রবাদী মানুষগুলিকে হত্যা করবেনা?

দক্ষিন কোরিয়ায় ৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো ঠিক যেমনি আমাদের ইমিউন সিষ্টেম ৩৭ ট্রিলিয়ন সেলের জন্যে করোনা আক্রান্ত কিছুসংখ্যক সেলকে হত্যা করে।যদি স্বয়ং প্রকৃতির মাঝেই এমন দৃষ্টান্ত থাকে, যদি সমগ্রের জন্যে আমাদের ইমিউন সিষ্টেম একটি নির্দিষ্ট অংশকে খুন করতে পোগ্রামড হয় তবে কেনো আমরা আমাদের গ্রহকে প্রোটেক্ট করার জন্যে আমাদের ইমিউন সিষ্টেমকে ধর্মীয় প্যারাসাইট আক্রান্ত ব্যাক্তিদের বিপক্ষে ব্যাবহার করবোনা?কেনো আমরা প্রতিষেধক মূলক নিউট্রোফিলস এবং টি-কিলার সেল ব্যাবহার করবোনা?


অনেকে প্রশ্ন করবেন, হয়তো, কেনো আমি শুধু ধার্মিকদের বিপক্ষে কথা বলছি?শুধুমাত্র কোয়ান্টাম ফিজিক্সের উপরই তো কয়েকশত কমন সাইকোলজি রয়েছে এবং তারাও বিশ্বের মানুষের মস্তিষ্ককে সংক্রমিত করছে, কেনো আমরা তাদের বিপক্ষে ধর্মকে প্রয়োগ করবোনা?তাদের জন্যে বলবো, বৈজ্ঞানিক মডেলগুলির মধ্যে সম্পর্কটা ঠিক সাম্প্রদায়িক নয়, তারা একে অপরের সাথে রেসিপ্রকাল সম্পর্ক বজায় রেখেছে, স্ট্রিং থিওরিকে ব্যাখ্যা করার জন্যে কোয়ান্টাম ফিজিক্স এবং আপেক্ষিকতার যেমন প্রয়োজন আছে ঠিক তেমনি কোয়ান্টাম ফিজিক্সকে ব্যাখ্যা করার জন্যেও প্রয়োজন আছে স্ট্রিং সাইকোলজির।তারা একে অপরের সাথে দ্বন্ধের মাঝেও সহযোগীতার সম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং হয়ে উঠেছে একে অপরের পরিপূরক।

Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১

I am Planck