ইনভ্যাসন অব দ্যা প্লানেট, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট-৩৪




Over 260,000 people recover from coronavirus infection in the ...







ইনভ্যাসন অব বডি স্ন্যাচার মুভিতে আমরা দেখেছি কিভাবে একটি এলিয়েন একজনমানুষের নিউরোলজিক্যাল ফাংশনকে হ্যাক করে তাকে অটোম্যানে রুপান্তরিত করেছিলো এবং সেই ইনজেক্টেড হোস্টটি  শুধু মাত্র একটি পোগ্রাম হিসেবে কাজ করেছিলো যাকে আমরা ভেক্টর বলতে পারি।ভেক্টর হলো সে সকল হোস্ট যারা ভাইরাসের প্রতিনিধিত্ব করে এমনকি নিজের জীবন ডেডিকেট করে হলেও সে ভাইরাসটিকে ছড়াতে ম্যাকানিকালি বাধ্য থাকে।নেমাটোমর্প হেয়ারওয়ার্ম প্যারাসাইটটি ঘাসফড়িংদের ব্রেন একটিভিটিজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা পানিতে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড করে তারা বুঝতেই পারেনা তারা একটি ভাইরাস দ্বারা ইনজেক্ট হয়েছিলো।গড ভাইরাস গ্রন্থটিতে ডেনিয়েল ডেনেট দেখিয়েছিলেন কীভাবে ধর্মীয় প্যারাসাইট আক্রান্ত ব্যাক্তিরা সাইকোলজিক্যালি হ্যাকড হয়ে টুইনটাওয়ারে বিমান হামলা করেছিলো অথবা প্যান্টাগন টাওয়ারে শত শত মানুষের জীবনকে নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে ধবংস করে দিয়েছিলো!


Hijacked Planes Smash into World Trade Center - YouTube


Pentagon | The Day America Was Punked

চিত্রঃ টুইন টাওয়ার এবং প্যান্টাগন টাওয়ারে রিলিজিয়াস প্যারাসাইটদের বিমান হামলা।


ঘাস ফড়িংটির জীবনের অবসান হলেও প্যারাসাইট পানিতে নির্বিঘ্নে বংশবিস্তার করে যায়, ঠিক তেমনি হোস্ট এবং ভেক্টরদের জীবন ধবংস হয়ে গেলেও ধর্মীয় প্যারাসাইট গুলি যুগযুগান্তর ধরে বিশ্বের নিউরোলজিক্যাল ফাংশনে সারভাইব করে।প্যারাসাইটগুলি কারো মস্তিষ্কে ইনফেক্ট হয়ে যেমন তার মস্তিষ্ককেই নিজের সাইকোলজি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ঠিক তেমনি ধর্মগুলিও মানুষের নিউরোলজিক্যাল পালসেশনের মধ্য দিয়ে স্বয়ং হিউম্যান সাইকোলজিতে রুপান্তরিত হয়।ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয় এটি একটি সম্প্রদায়ের নিউরোলজিক্যাল এক্টিভিটিজ, একটি সম্প্রদায়ের সাইকোলজি, এটি জীবন্ত একটি মানুষে মিউটেট হয়ে যায় এবং তার বায়োলজিক্যাল একশনের ভেতর দিয়ে নিজেকে বিস্তার করতে থাকে, যেমনঃ খ্রিষ্ঠান ধর্মে অনেক পাদ্রি আছেন যারা জেনেটিক্যাল সুইসাইড করে,মুসলিমরা দৈনিক পাচওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজার সময় উপোস থাকে,সূফিরা বিয়ে করার পর নিজের স্ত্রীকে ফুলসজ্জার দিন গুরুর কাছে রেখে আসে,স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর চল্লিশ দিন তাকে অন্য পুরুষের সাথে সংসার করতে হয়, পেনিসের একটি অংশ কেটে ফেলে,

Blood-Shedding Religious Ritual Self-Flagellation Can Spread ...


                               চিত্রঃ রিলিজিয়াস প্যারাসাইট আক্রান্ত শিয়ারা নিজেদের শরীর নিজেরাই ক্ষত বিক্ষত করছে। '



হিন্দুরা মূর্তি-পূজা করে, শিব লিঙ্গে পানি দেয়, মুসলিমরা বছরের বিশেষ বিশেষ দিন সিয়াম পালন করে, এতেকাফ করে, একজন নারীর দিকে তিন বারের বেশি তাকানো যায়না,মেয়েদেরকে হিজাব পড়তে  বাধ্য করে, তাদের উপর বিভিন্ন বিধি নিষেদ কার্যকর থাকে, পুরুষদেরকে টুপি পড়তে বলে, তারা দাড়ি রাখে, টাকনুর উপর লুঙ্গি পরিধান করে।এভাবে


Religious gatherings banned after COVID-19 infection surges ...
                       চিত্রঃ প্যারাসাইট কিভাবে হোস্টদের শারীরীক নির্যাতন করে তার একটি জীবন্ত উদাহরণ।





ধর্ম একটা মানুষের সাইকোলজিতে রুপান্তরিত হয়ে তার বায়োলজিক্যাল একটিভিটিজ এবং মুভমেন্টগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে, যেনো তারা এক একটি অটোম্যাটা রোবট, তাদেরকে যদি রিলিজিয়ন ডানে যেতে বলে তারা ডানে যায়, বামে যেতে বললে বামে যায়, এরা এক একটি যন্ত্রে রুপান্তরিত হয়েছে, যাদের কোনো স্বাধীন অনুভব শক্তি নেই!গান শোনা যাবেনা, নৃত্ত করা যাবেনা,মুভি দেখা যাবেনা, সেক্স করা যাবেনা, মেডিটেশন করা যাবেনা, বিজ্ঞান পড়া যাবেনা এভাবে তাদের হোল বায়োলজিক্যাল সিষ্টেমটাই ধর্মের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, ধর্ম রুপান্তরিত হয় এক একটি ব্যাক্তিতে।এটা দৃশ্যমান যে একটি নির্দিষ্ট ধর্ম একটি সম্প্রদায়ের নিউরোলজিক্যাল ফাংশনে এমন একটি কমন এলগোরিদম প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সবাইকে সেইম ফর্মেটে নিয়ে আসতে চায় যা তাদের বায়োলজিক্যাল সিষ্টেমের ভেতর দিয়ে সমাজে প্রকাশিত হয়।কিন্তু কোনো ধর্মই অন্য কোনো ধর্মকে তাদের নিজস্ব ফ্রেমওয়ার্কে সমন্বয় করতে চায়না।তারা তাদের স্বতন্ত্রতা রক্ষা করতে চায়, তারা তাদের অনন্যতা রক্ষা করতে চায়।একটি র‍্যাবিস ভাইরাস যখন মামেলের মস্তিষ্কের স্পেসিফিক কিছু নিউরন  সংক্রমিত করে তখন মামেলটি এগ্রেসিভ হয়ে উঠে এবং সে অন্যান্য প্রাণীদের কামড় বসায় আর এভাবে র‍্যাবিস ভাইরাস অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং মামেলটি একসময় মারা যায়।ঠিক তেমনি ইসলামী প্যারাসাইট সংক্রমিত ব্যাক্তিরা বিশ্বের সকল মানুষকে সাইকোলজিক্যালি কামড় বসাতে থাকে, তারা মুক্তমনাদেরকে সহ্য করতে পারেনা, তারা নারীবাদীদেরকে সহ্য করতে পারেনা, তারা নাস্তিকদের সহ্য করতে পারেনা, তারা আজ্ঞেয়বাদীদেরকে সহ্য করতে পারেনা, তারা স্প্রিচুয়ালিস্টদের সহ্য করতে পারেনা, তারা বিজ্ঞানীদেরকে সহ্য করতে পারেনা; মামেলদের মতোই তারা সবাইকে কামড় দিতে চেয়, সবাইকে আক্রমণ করে, সবার মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে চায়, তারা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করে অন্যদের মাঝে ভাইরাস ছড়ানোর জন্যে, ওয়াজ, মাহফিল, তাবলিগ, এস্তেমা অথবা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান রচনা করে অথবা তৈরি করে জঙ্গি সংঘন।তাদের একমাত্র কাজ অন্যদের মস্তিষ্কে কামড় দেয়া, অন্যদের মধ্যে সেই নির্দিষ্ট ধর্মের তথ্য গুলি পোগ্রাম করা,একটি কমন ভাইরাস বিস্তার করা, একটি কমন সাইকোলজি তৈরি করা!



Minister says no coronavirus risk at religious gathering of a million women
              চিত্রঃ করোনার সংক্রমণ বাড়বে যেনেও হিন্দুরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে।

অনেক সময় তারা শুধুমাত্র সাইকোলজিক্যাল সংক্রমনের মধ্যে সীমিত থাকেনা, তারা নাস্তিকদের প্রতি এগ্রেসিভ হয়ে উঠে, তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করে, তাদের পরিবারকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে, ঠিক যেমনি তারা

হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করেছিলো, জাফর ইকবালকে চোরা দিয়ে আঘাত করেছিলো অথবা তারা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছিলো অভিজিত রায়কে।এভাবে একটা সময় মামেলদের মতোই তাদের জীবন শেষ হয়ে যায় কিন্তু টিকে যায় তাদের দ্বারা সংক্রমিত ভাইরাস গুলি।

একটা সময় অজস্র ব্রেন একটি চিন্তা ফ্রিকোয়েন্সিতে এটিউন হয়ে যায়, একটি থট পয়েন্টে সেন্ট্রালাইজ হয়, এবং করোনা ভাইরাসের মতোই নিজেকে সমস্ত প্লানেটে ছড়াতে থাকে!এই প্যারাসাইটিক ব্রেন গুলি সক্রেটিসকে হ্যামলক পান করিয়ে হত্যা করেছিলো, দার্শনিক ব্রুনোকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলো এবং এরাই গ্যালেলিওকে আজীবন কারাবাসে দন্ডিত করেছিলো।এরিস্টটলের সম্প্রদায় চেয়েছিলো পৃথিবীব্যাপী একটাই সাইকোলজি প্রতিষ্ঠিত হোক, এরিস্টটলিয় এলগরিদমে কাজ করুক সকলের মস্তিষ্ক, প্রায় চারশত বছর তারা একটি কমন সাইকোলজি বিস্তার করে চলছিলো পৃথিবীব্যাপী।নেমাটোমর্প হ্যায়ারওয়ার্ম অথবা ল্যাংসেট ফ্ল্যাকের মতোই এরা পৃথিবীতে একটি সাইকোলজি বিস্তার করতে চেয়েছিলো।কিন্তু এরা কখনোই কারো সাথে সমযোতায় আসেনি, তারা কখনোই নিরপেক্ষভাবে কেউ কাউকে বুঝার চেষ্টা করেনি।হিন্দুরা গরুর মাংস খায়না, মুসলিমরা শুকরের মাংস খায়না।প্রত্যেকের আলাদা সাইকোলজি।প্রত্যেকেই চায় সবাই তাদের মতো হোক, তাদের ফর্মেটে আসুক।কিন্তু কেনো?কারণটা কী?





আমরা যদি বায়োলজিক্যাল টার্ম থেকে চিন্তা করি তবে আমরা দেখি একটি ভাইরাস যখন কোন ব্যাক্তিকে ইনফেক্ট করে তখন সে প্রতিযোগী ভাইরাসদের বিপক্ষে এন্টিবডি তৈরি করে।একটি শিশুর মস্তিষ্কে খ্রিষ্ঠীয় ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর সে অন্যান্য ধর্মের বিপক্ষে এন্টি-বডি তৈরি করবে, আবার একটি শিশু যখন ইসলামিস্ট প্যারাসাইটে আক্রান্ত হয় তখন সে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধাচারণ করবে।সে সবসময় তার আচার আচরণ এবং সামগ্রিক কর্মবিধির ভেতর দিয়ে অন্য ধর্মের বিপক্ষে স্ট্রং একটি সেল্টার তৈরি করবে, প্রোটেকশন তৈরি করবে,যাতে অন্যকোন ধর্ম তাদেরকে চিন্তাচেতনাকে প্রভাবিত করতে না পারে।একজন হিন্দু শিশুর ব্রেনকে এমনভাবে পোগ্রাম করা হয় যেনো সে মুসলিমদের প্রতি রিয়েক্ট করে, একজন মুসলিম শিশুর ব্রেনকে এমনভাবে পোগ্রাম করা হয় যেনো সে হিন্দুদের বিপক্ষে রিয়েক্ট করে।একজন খ্রিষ্ঠানের মস্তিষ্ক এমনভাবে পোগ্রাম করা হয় যেনো তারা অন্য ধর্মের প্রতি রিয়েক্ট করে।

How coronavirus spread through the Shincheonji religious group in ...

     চিত্রঃপ্যারাসাইট আক্রান্ত কোরিয়ানরা  করোনায় গণ মৃত্যুর মধ্যেও ধর্মীয় সভা ডেকেছে।

একজন সূফি অথবা বাউলের মস্তিষ্ক এমনভাবে পোগ্রাম করা হয় যেনো তারা ধর্মগুলির কট্টর সমালোচনা করে, এগ্রেসিভ আচরণ করে।সূফি সম্প্রদায়কে এমনভাবে পোগ্রাম করা হয় যেনো তারা বিজ্ঞানের বিপক্ষে রিয়েক্ট করে!এভাবে প্রতিটি ধর্ম একে অপরের বিপক্ষে প্যারাসাইটদের মতোই এন্টিবডি তৈরি করতে থাকে!একটি শিশুর ব্রেনকে এমনভাবে এন্টিবডি তৈরির জন্যে পোগ্রাম করা হয় যে তার অন্যকোনো ধর্মের মানুষকে কিছুই মনে হবেনা, তার কাছে যুক্তি-বিজ্ঞান-দর্শন-মানবতা সবকিছুই নাথিং মনে হবে, অর্থহীন মনে হবে, হিন্দুরা যতই মানবিক হোক,তারা যতই উদার হোক, নাস্তিকরা যতই যৌক্তিক হোক;

তাদের মস্তিষ্ক কোনোকিছুকেই দেখবেনা, সবকিছু তার কাছে এম্পটি মনে হবে!মাল্টি কালচারাল সমাজে সাধারণত ভাইরাস দুটি সংস্কৃতির মধ্যে কমিউনিকেশন থামাতে পারেনা।এ জন্যে তাদের মস্তিষ্কে প্রতিষেধক দেয়া হয়, তাদের অন্তরকে বিষিয়ে তোলা হয় এবং এভাবে সংস্কৃতিগুলি আলাদা আলাদা সাইকোলজিক্যাল ফাংশনে বিভক্ত থাকে।এবং প্রত্যেকটি সাইকোলজিক্যাল ফাংশনই চায় তাদের ধর্মকে সকলের মাঝে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে, বিশ্বজনীন করে তুলতে!মুসলিমরা হিন্দুদের হামলা করে, হিন্দুরা মুসলিমদের হামলা করে, মুসলিমরা বুদ্ধদের হামলা করে, বোদ্ধরা মুসলিমদের হামলা করে, যার একটি প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ-রোহিঙ্গা!



এখন বাংলাদেশের মানুষ মনে করছে রোহিঙ্গারা মুসলিম, তাদের ভাই, অতএব তাদেরকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেয়া উচিত, কমন সাইকোলজির প্রতি উদারতা প্যারাসাইটিক চিন্তার আর এক অন্যতম দৃষ্টান্ত।আপনি যদি একটি হাসের ডিম মুরগির মাধ্যমে ফোটান তবে বাচ্ছাটি জন্ম হওয়ার পর মুরগীকেই তার মা মনে করবে।আর এ জন্যেই শিশুদের ব্রেন থেকে খুব সহযে ধর্মীয় প্যারাসাইট রিমুভ করা সম্ভব হয়না!





এডাল্ট মুসলিমদের প্রায় ৭০ পার্সেন্ট ধর্মীয় বিধিবিধান মানেনা, তারা নামাজ পড়েনা, দাড়ি রাখেনা, টুপি ব্যাবহার করেনা, নিজের ওয়াইফের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনা, পরক্রিয়া করে, অনেক সময় ছোট শিশুদের সাথে সেক্স করে, বাচ্ছা মেয়েদের হ্যারাস করে, অনেকে আপন বোনের সাথে আপত্তিকর আচরণ করে, পরক্রিয়া করে; মুসলিম সমাজে পরক্রিয়া বর্তমানে কমন একটি সাইকোলজি।শুধু তাই নয়, ধর্মে নিষেদ জেনেও প্রায় ৭০ ভাগ ধর্মীয় ভেক্টর মাদরাসার ছাত্র ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করে, সোনাগাজীর নুসরাত হত্যাকান্ড সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্টের এক ভয়াভহ দৃষ্টান্ত, যাকে ধর্মগুরু আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলো, এভাবে প্রতিদিন অজস্র ঘটনা নিউজ পেপারগুলিতে প্রকাশিত হচ্ছে, মিডিয়াতে প্রকাশ হচ্ছে, অনেক ঘটনা অজ্ঞাত থেকে যাচ্ছে।ধর্মের কোনো বিধিবিধানই এরা মেনে চলেনা কিন্তু যখন এদেরকে কেউ মনে করিয়ে দেবে তখন তাদের মধ্যে প্যারাসাইটগুলি আবার রিভাইভ হবে, তারা অনুশোচনা অনুভব করবে, আবার মসজিদে ছুটে যাবে, মন্দিরে ছুটে যাবে।তাত্বিকভাবে এরা সবাই অধার্মিক কিন্তু এরা তাদের জন্মগত ভাইরাস ইনফেকশনকে পুরোপুরিভাবে অবদমন করতে পারছেনা, ভুলে যেতে পারছেনা।মুরগীর ফক্স ভাইরাসের মতোই, রোগ ভালো হওয়ার পরেও ফক্স ভাইরাস চলমান ও শান্তভাবে মুরগীর দেহে থেকে যায় ঠিক তেমনি ধর্মও এই হোস্টদের মাঝে সাইলেন্টলি ঘুমিয়ে থাকে যতক্ষণ না  কেউ সেগুলিকে জাগ্রত করে দেয়।আমি দেখেছি আমার ইউনিভার্সিটির বন্ধুরা আমার মতোই ধর্মীয় কোনো বিধিবিধান আদৌ মেনে চলেনা কিন্তু তারা আমাকে নাস্তিক বলে, একই ধর্মীয় বিধিবিধান লঙ্গন করার কারণে তারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলেনা কারণ ফক্স ভাইরাসের মতোই তাদের মধ্যে গড ভাইরাস শান্ত এবং সমাহিতভাবে রয়ে গেছে! তারা নিজের অজান্তে আমার চেয়েও আরো অধিক অধার্মিক, আমার মাঝে নৈতিক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে কিন্তু তাদের কাছে তার লেশমাত্রও নেই।অনেকেই মদ পান করে ,গাজা পান করে,ইয়াবা সেবন করে, অনেকে আছে পরক্রিয়ায় আক্রান্ত, নিজের আপন বোনের প্রতি আসক্ত, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নিমগ্ন, সিন্ডিকেট করে, শিক্ষকদের গালিগালাজ করে কিন্তু ইউনিভার্সিটির প্যারাসাইটিক শিক্ষকদের কাছে তারা পবিত্র, তারা সুন্দর, তারা আকর্ষণীয় এবং সম্ভাব্য সকল সুবিধা তাদের পক্ষে।দৃশ্যত ফক্স ভাইরাসের মতোই গড ভাইরাস এদেরকে পুরোপুরিভাবে ছাড়েনি।তাই এরা বুঝতে পারছেনা এরা শুধু আধার্মিক না, পৃথিবীতে যদি সবচাইতে নিকৃষ্ঠ কোন বাস্তবতা থাকে তারা সেটাই।নাস্তিক্যের পবিত্রতা তাদের জন্যে আসেনি, তারা নাস্তিক্যের শুদ্ধতার সুধা কখনোই পান করতে পারবেনা!এরা মিউজিক শুনে, এরা ব্যাশ্যাবৃত্তি করে, এরা সমকামীতা করে, এরা সেক্স ভিডিও দেখে, এরা রাতের অন্ধকারে নিজের মাকে পর্যন্ত কামনা করে, এরা চরমভাবে অজাচারে লিপ্ত; কিন্তু যখন কেউ তাদের সামনে সেক্স ভিডিওর পক্ষে কথা বলে,ব্যাশ্যার পক্ষে কথা বলে, পর্ণস্টারের কথা বলে, সমকামীতার পক্ষে কথা বলে তখন সে অধার্মিকের মর্জাদা পায়, সে নাস্তিক হয়ে যায়, সে মুর্তাদ হয়ে যায়, সে জাহান্নামী হয়ে যায়, সে ঈশ্বরের শত্রু হয়ে যায়!

মুসলিমদের  মধ্যে প্রায় ৬০ পার্সেন্ট তরুণ বিধর্মিদের পর্ণ দেখে মাস্টারবেট করে, হিন্দু মেয়েদের প্রতি অত্যাধিক আসক্তি অনুভব করে কিন্তু যখন হিন্দু মেয়েদেরকে সাপোর্ট করে তাদের সামনে কেউ কোনো কথা বলে, তাদের নৈতিক ভিত্তি নিয়ে কথা বলে, তাদের ধর্মের যৌক্তিকতা নিয়ে কথা বলে তখন এরা কোনোকিছুতেই এটা মেনে নিতে পারেনা, তাদের মেনে নিতে ব্যাথা হয়, তখন তাদের মনের মধ্যে ছোটবেলার ঈশ্বর ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠে, ছোটবেলার ইসলাম সক্রিয় হয়ে উঠে,হাদিস-কোরান সক্রিয় হয়ে উঠে।ভারতের নারেন্দ্র মোদি অসহায় মুসলিমদের প্রতি যে অত্যাচার করছে , যে অনাচার করছে

হাজার হাজার মুসলিম নরনারীকে তারা যেভাবে হত্যা করছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে খুবই বিরল!মায়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি যা করেছে অথবা চাইনিজরা যা করছে তা চিন্তাতীত,ভাষাতীত, কল্পনাতীত;  এদের নৃশংসতা ব্যাখ্যার করার জন্যে কোনো শব্দ,বর্ণ,দাড়ি, কমা অথবা হাইফেন, হ্যাসট্যাগ  কিছুই নাই!তারা সাম্প্রতিক সময়ের সকল মর্মান্তিতকতাকে অতিক্রম করেছে, সমস্ত পৃথিবী শুধু নিরব এবং নিস্তব্দভাবে মানবতার এ চরম অবমাননা অবলোকন করে গেছে, আমরাও করছি, রোবটের মতো!কিছুই করার নেই!কারণ ধার্মিকরা কখনোই আইনস্টাইনের কথা শুনেনি, কখনো তারা  হাইসেনের কথা শুনেনি, তারা রাসেলের কথা শুনেনি, তারা ডকিন্সের কথা শুনেনি, তারা অভিজিতের কথা শুনেনি, তারা স্টিফেন হকিংসের কথা শুনেনি, তারা রবীন্দ্রনাথের কথা শুনেনি, তারা সক্রেটিসের কথা শুনেনি, তারা মহাবিশ্বের কথা শুনেনি, তারা নিরপেক্ষতার কথা শুনেনি, তারা বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা শুনেনি!তারা সবসময় এন্টি-বডি তৈরি করছে, তারা সবসময় মামেলদের মতো নিজেদের ভাইরাল চিন্তাকে বিশ্বজনীন করতে চেয়েছে।এদের কেউই কাউকে দেখেনি, দেখার চেষ্টা করেনি, এরা এখনো দেখছেনা আমরা একই মহাবিশ্বের অংশ, একই ‘’ল’’ অব ফিজিক্স আমাদের মাঝে কাজ করছে, এরা দেখছেনা আমরা সবাই একটি অসীমের যাত্রী।





প্রোটাজোয়া প্যারাসাইট যখন একটি ইদুরের মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয় তখন  সিলেক্টিভলি সে বিড়ালের ফেরোমেন অনুভব করতে পারেনা, আর এই সুযোগে বেড়ালরা এসে তাদের খেয়ে ফেলে।ঠিক তেমনি ধর্মগুলি মানুষের মাঝে ইউনিভার্সাল ইউনিটিকে দেখছেনা, তারা বুঝতে পারছেনা আমরা সবাই একই বিগব্যাং বিন্দু থেকে বিস্ফোরিত!প্রত্যেকটি ধর্মের মাঝে বিদ্যমান সামঞ্জস্যগুলি তারা দেখছেনা, ধর্মগুলি ঘুরিয়েপেছিয়ে একই কাজ ভিন্নভাবে করছে তারা সেটা অনুধাবন করতে পারছেনা!


তথ্যসুত্রঃ সেলফিস জিন, ভাইরাস অব দ্যা মাইন্ড, গড ভাইরাস, দ্যা গার্ডিয়ান

Comments

  1. ১০০০%যুক্তিযুক্ত কথা
    ভালো লাগলো পরে।
    "আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ "

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১

I am Planck