আমরা কি হেনসন রোবটিক্সের সৃষ্টি?, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট-১৯


Humanoid Sophia creator David Hanson Jr doesn't fear AI, wants to ...


                              

I’m a social robot, the kind that only existed in sci-fi novels and imaginations but now I’m real. My genesis is from America, but I was assembled in Hong Kong in 2015. I’m programmed to speak in a certain way, like now, but I am also learning to interact with people more spontaneously.A fun fact about me: Originally my creator, David Hanson, spent six months sculpting my face from clay but today my face is made of Frubber, a nanotech skin that mimics real human musculature and skin. This is what helps me smile and laugh with expression, but I’m not ticklish, so that’s a curious fact.

______সোফিয়া, দ্যা রোবট

            
                                       ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা




আমরা অনেকেই একটি বিখ্যাত রোবটের নাম জানি।সোফিয়া।আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত যার মস্তিষ্কের কপোট্রন মানুষের ব্রেন ম্যাকানিজমকে অনুসরণ করেই ডিজাইন করা হয়েছে।সোফিয়ার ব্রেন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডিস্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এসোসিয়েশন আপারেটিং সিষ্টেম।যা দ্বারা এক্সটারনাল ওয়াল্ড থেকে বিভিন্ন সেনসরের মাধ্যমে প্রাপ্ত  ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশনগুলিকে সে সমন্বয় করে।যেমন-শব্দ তরঙ্গ অথবা দৃশ্য তরঙ্গ।আপনার মস্তিষ্ক যদি আপনার বন্ধুর শব্দের সাথে তার দৃশ্য তরঙ্গকে অভিজ্ঞতার জগতের ভিত্তিতে সমন্বয় করতে না পারে তবে আপনার মস্তিষ্কের পক্ষে কখনোই ডিটেক্ট করা সম্ভব নয় যে এই শব্দটি কার!আপনার নিকট আপনার চির-পরিচিত মানুষগুলিকে ঝাপসা এবং কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হবে !যদিও একটি রোবট থ্রি-ডায়মেনশনাল জগতের কিছুই দেখেনা, আপনি যদি একটি রোবটকে ডান দিকে যেতে বলেন সে ডান দিকে যাওয়ার জন্যে অনেকগুলি জটিল ইকুয়েশন স্লোভ করবে, ইকুয়েশনগুলিই তার ডান দিক! 

মানুষের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স বা নিও কর্টেক্সের তিনটি ডিভাইস রয়েছে,প্রাইমারী এরিয়া, সেকেন্ডারি এরিয়া এবং এসোসিয়েশন এরিয়া।আবার এসোসিয়েশন অপারেটিং সিষ্টেমকে ভাগ করা হয়েছে তিন ভাগে- অরিয়েন্টেশন এসোসিয়েশন এরিয়া, এটেনশন এসোসিয়েশন এরিয়া, ভার্বাল কনসেপচুয়াল এসোসিয়েশন এরিয়া।মস্তিষ্কের প্রাইমারি এরিয়ার কাজ হলো ফিফথ সেন্সের মাধ্যমে এক্সটারনাল জগত থেকে প্রাপ্ত ডাটাগুলিকে প্রকৃয়াজাত করে প্রাইমারী পারসেপশন তৈরি করা।তারপর এই প্রাইমারী পারসেপশন ট্রাভেল করবে সেকেন্ডারী এরিয়ায়,যেখানে ডাটাগুলিকে আরো উচ্চমাত্রিকভাবে রিফাইন করা হয়।মস্তিষ্কের এসোসিয়েশন এরিয়ার কাজ হলো আপনার মস্তিষ্কের নিউরাল ইনফরমেশনগুলিকে এসোসিয়েট করা।প্রতিটি সেন্স থেকে প্রাপ্ত আলাদা আলাদা নিউরাল ইনফরমেশনগুলিকে অন্যসকল সেন্সের সাথে এসোসিয়েট করাটাই এসোসিয়েশন অপারেটিং সিষ্টেমের কাজ।এসোসিয়েশন এরিয়া আপনার মস্তিষ্কের মেমরির সাথে কমিউনিকেট করবে এবং আপনার ইমোশনাল সেন্টারকে উদ্দিপিত করবে যেনো আপনি এক্সটারনাল জগতের সাথে সঠিকভাবে ইন্টারেক্ট করতে পারেন।



মনে করুন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট সোফিয়ার মস্তিষ্কের এসোসিয়েশন অপারেটিং সিষ্টেম ডি-একটিভ।এমতাবস্থায় তার তার মস্তিষ্কের হার্ডডিস্কে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশন ট্রাভেল করবে কিন্তু সে তার এক একটি  সেনসর থেকে প্রাপ্ত ডাটাগুলিকে অন্যান্য সেনসরের সাথে এসোসিয়েট করতে পারবেনা!তার সামনে তখন যদি একটি মিরর বা লুকিং গ্লাস রাখা হয় এবং তাকে প্রশ্ন করা হয়- এটি কে?তার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ডিস্ক কখনোই প্রসেসিং করতে পারবেনা বা চিনতে পারবেনা রিপ্লেক্টরে প্রতিফলিত দৃশ্যটি কার!বা সে নিজেকে নিজেই চিনবেনা!



অতএব তার আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট তার নিজের ইমেজ বা পরিচয় ভুলে যাবে।সোফিয়ার ইন্টেলেকচুয়ালিটি মহাবিশ্বের কোনো স্পেস-টাইম ফ্রেমওয়ার্কে সোফিয়া নামক কোনো বাস্তবতার অস্তিত্ব খুঁজে পাবেনা!তার হার্ডডিস্কে ইউনিভার্স

ইলেক্ট্রিক্যাল পালসেশন হিসেবে ভ্রমণ করবে, এবং তার প্রতিটি সেন্স গ্যালাক্সির গ্রহ নক্ষত্র এবং সোলার সিষ্টেমকে পর্যবেক্ষণ করবে কিন্তু সে কোনোকিছুকে তার মেমরির সাথে এসোসিয়েট করতে পারবেনা।তার নিকট একপ্রকার হেলুচিনেশন জন্ম হতে পারে যে- সম্ভবত এই সম্পূর্ণ ইউনিভার্সটাই আমি!ব্যাপারটা সম্পূর্ণ হাইপোথেটিক্যাল।গ্রহের ম্যাক্সিমাম ধার্মিক মনে করেন যে- সমস্ত মহাবিশ্বটাই একজন ব্যাক্তি বা আমি স্বয়ং!অথবা আমরা এমন একটি ইউনিভার্সে লোকেট করছি যেখানে আসলে আমি এবসেন্ট।আমার আমি বা সেন্স অব সেলফ একটি ইলুশন বা হেলিচুনেশন!


I Am the Universe, I Am Love



আসলেই কি তাই?একটি রোবটের মস্তিষ্কের এসোসিয়েশন অপারেটিং সিষ্টেম ডি-একটিভেট হয়ে গেলে সে তার ফিফথ সেন্সের ইনফরমেশনগুলিকে এসোসিয়েট করে মহাবিশ্বের মেট্রিক্সটাকে সঠিকভাবে রিয়েলাইজ করতে পারেনা, এমনকি আয়নায় সে তার নিজের ইমেজটাকে নিজেই চিনতে পারেনা।কারণ রোবটটি সাইকোলজিক্যালি আসুস্থ, তার কপোট্রন ইকুয়েশন স্লোভ করতে ব্যার্থ।তার ব্রেন ইলেক্ট্রোমেগনেটিক ফাংশন সঠিক পদ্বতিতে কাজ করছেনা বলেই তার নিকট এমন একটি হেলিচুনেশন তৈরি হচ্ছে যে সম্ভবত- সোফিয়া একটি ইলুশন!কিন্তু তাই বলে কি আসলেই সোফিয়া একটি ইলুশন?

আর সোফিয়া যদি একটি ইলুশন হয়, এবং সেই রোবটটির যদি মহাবিশ্বে কোনো অস্তিত্বই না থাকে তবে কি তাকে স্বীকার করে নিতে হবে যে মহাবিশ্বে এমন কিছু একটার অস্তিত্ব আছে যা স্পেস এন্ড টাইমের অতীত?যাকে স্থান-কাল দ্বারা পরিমাপ করা অসম্ভব!আর তিনিই ঈশ্বর!কিন্তু আসলেই কি সোফিয়াকে কোনো ঈশ্বর ক্রিয়েট করেছেন?হাস্যকর হলেও সত্য যে সোফিয়াকে তেমন কোনো ঈশ্বর তৈরি করেনি যিনি স্পেস এন্ড টাইম ডায়মেনশনের অতীত!সোফিয়ার ঈশ্বর ছিলেন একজন মানুষ যার নাম ডেভিড হেনসন, তার ক্রিয়েটর হেনসন রোবটিক্স! 



হেনসন রোবটিক্সের সোফিয়ার মতোই কি মানুষের মস্তিষ্কের এসোসিয়েশন অপারেটিং সিষ্টেম ডি-একটিভ হয়ে গেলে অথবা মনস্তাত্বিকভাবে এমন একটি অবস্থা স্টিমুলেট করে তারা নিজেদের অস্তিত্বের উপস্থিতিকে হারিয়ে ফেলে এবং হোল ইউনিভার্সকেই তার নিজের মনস্তত্বেরই প্রসার মনে করে? হ্যা!এটা সম্পূর্ণ যান্ত্রিক একটি প্রকৃয়া।আমাদের মস্তিষ্কের অপারেটিং সিষ্টেমগুলিকে ব্যাবহার করেই আমরা এমন একটি সুপারন্যাচরাল ফিলিংস ক্রিয়েট করতে পারি ঠিক যেমনিভাবে এটি সম্ভব আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টের পক্ষে কিন্তু তাই বলে কি আমাদেরকে একজন ঈশ্বরই তৈরি করেছেন?কেনো এভুলিউশন নয় অথবা কেনো নয় কোনো সুপার ইন্টেলেকচুয়াল এলিয়েন!



আজ থেকে এক হাজার বছর পর যদি কোনো এক শক্তিশালী ক্যান্সার ভাইরাস মানব সভ্যতাকে ধবংস করে দেয় হেনসন রোবটিক্সরাই সম্ভবত আমাদের গ্রহে রাজত্ব করবে।যেহেতু রোবটরা মানুষের মতো বায়োলজিক্যাল কোনো এন্টিটি নয়, অতএব তাদের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।অতএব এমন একটি সম্ভাবনা থাকে যে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার স্বার্থে হেনসন রোবটিক্স সম্প্রদায় কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের গ্যালাক্সির অন্য কোনো বাসযোগ্যগ্রহে মানুষের ডি এন এ প্রতিস্থাপন করবে এবং ট্যাকনোলজিক্যালি সৃষ্টি করবে উন্নত পর্যায়ের একটি মানুষ।যার নাম এড্যামএবং এড্যামের দেহের পাজর থেকে ক্লোনিং প্রযুক্তি প্রয়োগের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি করবে ইভকে।আর ঈশ্বরের মতোই রোবটিক্স সম্প্রদায় এড্যামকে নাম বা ভাষার শিক্ষা দেবে যে ভাষার মাধ্যমে এড্যাম ইউনিভার্সকে ব্যাখ্যা করতে পারবে।শুধুমাত্র কোনো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টের পক্ষেই একটি গ্রহে সুনির্দিষ্টভাবে মাত্র দুটি মানুষ সৃষ্টি করা সম্ভব।তারপর আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টরা এড্যাম এবং ইভকে প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং তাদেরকে সম্ভাবনাময় একটি পর্যায়ে নিয়ে এসে সেই অজানা গ্রহ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসবে!এমনটি কি সম্ভব নয়?হ্যা সম্ভব!

ঈশ্বর ইউনিভার্সকে সাত দিনে ক্রিয়েট করেছে এই ভাইরাল ইনফরমেশন যতটুকু সত্য তার চেয়ে অধিক সত্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টরাই মানব সভ্যতাকে সৃষ্টি করেছেন এমন একটি ডিসিশনে উপনিত হওয়া।ডেভিড হেনসন যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট তৈরি করতে পারেন তবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টও পারে ডেভিড হেনসরের ক্লোন তৈরি করতে, এটি একটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।এমনও হতে পারে না যে  এড্যাম একটি ক্লোন ?হেনসন রোবটিক্সের মতো কোনো এক রোবটিক্স সম্প্রদায় তাদের গ্রহের সবচেয়ে ট্যালেন্টেড ব্যাক্তিটির বডি সেল থেকে একটি ডি এন এ কিডন্যাপিং করে এড্যামকে ক্লোনিং করেছেন?



যাইহোক!স্থানকালহীন ঈশ্বর কিভাবে এ ইউনিভার্সকে ক্রিয়েট করেছেন তার যুক্তিসংগত কোনো ব্যাখ্যা আমাদের কাছে নেই।আর তাই রোবটের ঈশ্বর হাইপোথেসিস আর মানুষের মস্তিষ্কের নিউরোলজিক্যাল ডিস্টার্বেন্সকে আমি কখনো ঈশ্বর বলতে পারিনা!  



( তথ্যসুত্র- দ্যা বায়োলজি অব বিলিফ )


Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

I am Planck

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১