মানব সভ্যতা কী ইউজেনিক্যাল আর্টিফিশিয়াল সিলেকশন? লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১৫
চিত্র- ইউজেনিক্যাল আর্টিফিশিয়াল সিলেকশন
শুধুমাত্র ডারউইনের ন্যাচরাল সিলেকশন নয় কৃত্রিম বা
ট্যাকনোলজিক্যাল নির্বাচনের মাধ্যমেও কোনো হায়ার ইন্টেলেকচুয়ালিটির হস্তক্ষেপে
মানব সভ্যতার বিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।গিলবাটের ইউজেনিক্স অথবা উইলিয়াম বেটসনের এপিজেনেটিক্স প্রক্রিয়ায়।ইউজেনিক্স কি তা জানতে হলে প্রথমত আমরা জানবো ন্যাচরাল সিলেকশন
কিভাবে কাজ করে।মনে করুন,আপনি
আমাদের গ্যালাক্সি থেকে অন্য আর একটি গ্যালাক্সিতে ভ্রমণ করবেন।আপনার সামনে,তিনটি অপশন
আছে।সেগুলি হলো প্রকারন্তরে - রকেট,স্পেসশিপ
এবং একটি ওয়ার্মহোল।আপনার স্পিড অব লাইট
থেকেও দ্রুত গতিতে তাৎক্ষণিক সেই গ্যালাক্সিটিতে প্রবেশ করা প্রয়োজন।তবে আপনি কোনো
অপশনটি নির্বাচন করবেন?এই
তিনটি অপশনের মধ্যে যেটি আপনার জন্যে সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক সেটিই তো তাইনা?যেটাতে আপনার
শক্তির অপচয় হলেও অন্তত সময়ের দৈর্ঘকে সংকুচিত করা যাবে, ইনস্ট্যান্ট, করা
যাবে?আপনি
এক্ষেত্রে বরং একটি ওয়ার্মহোলকেই নির্বাচন করবেন।
যার ভেতর দিয়ে স্থান এবং কালকে একটি বিন্দুতে এনে স্পিড অব
লাইট থেকেও দ্রুত গতিতে তাৎক্ষণিক একটি ইউনিভার্স থেকে অন্য আর একটি ইউনিভার্সে চলে
যাওয়া যায় অথবা অন্যান্য গ্যালাক্সিগুলিতে!এভুলিউশনও কিন্তু ঠিক এভাবে কাজ করে।মনে
করুন-আপনার নিকট তিনটি গরু আছে।একটি গাভী,একটি
ষাড় এবং অন্য একটি গরু যেটি তুলনামুলক অসুস্থ।যদি কোনো কারণে আপনার ঘরে আমিষের
চাহিদা দেখা দেয় তবে আপনি নিশ্চয় প্রথমত অসুস্থ পশুটাকেই নির্বাচন করবেন?আবার যখন
আপনার জমি চাষের জন্যে অর্থের প্রয়োজন হবে তখন নিশ্চয় আপনি চাষের গরুটাকে বিক্রি
না করে গাভীটাকেই প্রথমত নির্বাচন করবেন!হ্যা!প্রাকৃতিক নির্বাচন এভাবেই কাজ
করে।কিন্তু যখন প্রাকৃতিক নির্বাচন প্রকৃয়ায় মানুষও প্রবেশ করে তখন সেখানে মানুষের
ইন্টেলেকচুয়াল এবং টেকনোলজিক্যাল নির্বাচন সক্রিয় হয় যাকে আমরা কৃত্রিম নির্বাচন
বলে জানি।কিছুকিছু কৃত্রিম নির্বাচন
মানুষের ঐচ্ছিক, স্বাধীনভাবে যখন মানুষ ন্যাচরাল সিলেকশন পদ্ধতিকে মানব সভ্যতার উপর প্রয়োগ করে তখন তাকে ইউজেনিক্স বলে।যেমন-ডিফেক্টেড ভ্রণ অপসারণ অথবা প্রতিন্ধীদের মেডিক্যালি হত্যা করা।কিছু কিছু কৃত্রিম নির্বাচন মানুষের অনৈচ্ছিক কিন্তু এটাও ইউজেনিক্সের পর্যায়ে পড়ে।কোনো সচেতন
মানুষই একটা কুকুর অথবা বেড়ালকে সরাসরি অকারণে হত্যা করতে চাইবেনা।কিন্তু আবার এই
মানুষরাই কুকুর এবং বেড়ালদের মধ্যে যারা অধিক স্বাস্থ্যবান,অধিকতর
সুন্দর এবং ইন্টিলিজেন্ট তাদেরকেই তাদের গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে নির্বাচন করে, আর এতে করে
অন্যসকল কুকুর এবং বেড়ালরা অবহেলিত হয়ে যায়,
তাদের অস্তিত্বের নিউজ মানুষ রাখেনা।আর এই কাজটি মানুষের সম্পূর্ণ
অনৈচ্ছিক।অনৈচ্ছিকভাবে অন্য সকল প্রাণীদের তারা একটি কৃত্রিম নির্বাচনের অংশ করে
তোলে।কৃত্রিম নির্বাচনের ঐচ্ছিক অংশ উন্নতমাপের জীবন এবং ট্যাকনোলোজিক্যাল
ফ্যাসিলিটি পায়, তারা
মানুষের জামা পড়ে, একসাথে
ঘুমোয়, টিভি
দেখে আর অন্যদিকে সেই সম্প্রদায়ের অন্য সকল কুকুর গুলি বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়। আমরা
জানি হাইব্রিড প্রজাতির ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়াগুলি পৃথিবীর ডাক্তার এবং বিজ্ঞানীদের সৃষ্টি।একটু অবাক হচ্ছেন, তাইনা?ভাবতে পারেন
বিজ্ঞানীরা কি গৃহপালিত পশুর মতো ভাইরাস আর ব্যাক্টেরিয়াও পুষে না কি?উত্তর হলো, না তারা সেটা
পুষেনা কিন্তু বিজ্ঞানীরা ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়াকে ট্যাকনোলজিক্যালি নির্বাচন
করে।টেকনোলজিক্যাল নির্বাচনের মাধ্যমে জেনেটিক্যাল এক্সপ্রেসন পরিবর্তন করার পদ্ধতিকে এ্পিজেনেটিক্সে আলোচনা করা হয়।
যখনই কোনো মানুষের দেহে ভাইরাস প্রবিষ্ট হয় এবং সেটি কোনো বড় মাপের ক্রাইসিস তৈরি করে, তখনই বিজ্ঞানীরা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে উন্নত মানের এন্টি ভাইরাস প্রস্তুত করে, কিন্তু কিছু কিছু ভাইরাস আছে যেগুলি অন্যদের চাইতে শক্তিশালী এবং তাদের বায়ো-কেমিক্যাল প্রোটেকশন অনেক উন্নত, তাদেরকে সেই এন্টি-ভাইরাস কোনোকিছুই করতে পারেনা, একটা সময় ভাইরাসএর এই আপডেড জেনারেশনটি বিপুল্ভাবে বংশবিস্তার করতে থাকে এবং তারা জেনেটিক্যালি আরো বেশি শক্তিশালী হয়।পরবর্তী বছর আমাদের এন্টি-ভাইরাস গুলি আর খুব একটা কাজ করেনা, আর এভাবেই ভাইরাসগুলি পরোক্ষ কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে ইউ্জেনিক্স প্রক্রিয়ায় জেনেটিক্যালি সিলেক্টেড হয়।
যখনই কোনো মানুষের দেহে ভাইরাস প্রবিষ্ট হয় এবং সেটি কোনো বড় মাপের ক্রাইসিস তৈরি করে, তখনই বিজ্ঞানীরা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে উন্নত মানের এন্টি ভাইরাস প্রস্তুত করে, কিন্তু কিছু কিছু ভাইরাস আছে যেগুলি অন্যদের চাইতে শক্তিশালী এবং তাদের বায়ো-কেমিক্যাল প্রোটেকশন অনেক উন্নত, তাদেরকে সেই এন্টি-ভাইরাস কোনোকিছুই করতে পারেনা, একটা সময় ভাইরাসএর এই আপডেড জেনারেশনটি বিপুল্ভাবে বংশবিস্তার করতে থাকে এবং তারা জেনেটিক্যালি আরো বেশি শক্তিশালী হয়।পরবর্তী বছর আমাদের এন্টি-ভাইরাস গুলি আর খুব একটা কাজ করেনা, আর এভাবেই ভাইরাসগুলি পরোক্ষ কৃত্রিম নির্বাচনের মাধ্যমে ইউ্জেনিক্স প্রক্রিয়ায় জেনেটিক্যালি সিলেক্টেড হয়।
কোনো এলাকায় কলকারখানার পরিমাণ বেড়ে গেলে সেখানে কালো
ধোঁয়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে,
এবং গাছগুলিও ক্রমশ কালো হতে থাকবে,
যদি সেখানে সাদা পিঁপড়ার কোনো প্রজাতি থাকে তবে তারা পাখিদের দৃষ্টি থেকে
নিজেকে প্রতিরক্ষা করতে পারবেনা।তারা এভুলিউশনাল একটি ক্রাইসিসে পড়ে যাবে।এবং
বিনাশের দিকে ধাবিত হবে।কিন্তু তার মানে এই নয় যে মানুষই তাদের এই প্রাকৃতিক
দুর্যোগের কারণ।কোনো মানুষই পিঁপড়ার প্রাণনাশ করার উদ্দেশ্য নিয়ে নিশ্চয়ই কলকারখানা
তৈরি করবেনা?কালো
ধোঁয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলবেনা?তুলবে
কি?তাদের মনে পিঁপড়ের কোনো অস্তিত্বই নেই।ঠিক তেমনিভাবে আমাদের
মানব সভ্যতাকেও হয়তোবা কোনো হায়ার ইন্টেলেকচুয়াল অনৈচ্ছিকভাবে এই পিঁপড়াদের মতো
কৃত্রিমভাবে নির্বাচন করছে,
যদিও তাদের মনে আমাদের কোনো এক্সিজটেন্সই নেই, তারা তাদের নিজস্ব প্রয়োজনেই নিজেদের সভ্যতার জন্যে কাজ
করছে যার ফলশ্রুতিতে আমাদের মানব সভ্যতা এলিয়েনদের দ্বারা ভাইরাস অথবা
ব্যাক্টেরিয়ার মতো ট্যাকনোলজিক্যালি নির্বাচিত হচ্ছে?যেটাকে আমরা বলতে পারি এলিয়্যানেটিক্স ইউজেনিক্স।
এলিয়েনদের অস্তিত্বের ব্যাপারে আমরা এখন সম্ভাবনার সুত্রের নিকটই আশ্রয়গ্রহণ করতে পারি।তাদের অস্তিত্ব আছে কি নেই তা সুনিশ্চিতভাবে ঘোষণা করার সময় এখনো ড্রেক পরিসংখ্যানে আসেনি। আর তাই এক্ষেত্রে আমরা টেম্পোরাল এগনোস্টিক প্রাকটিস বা TEP কে আমাদের মস্তিষ্কের একটি পোগ্রাম হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।আমরা কি এলিয়েনদের দ্বারা ট্যাকনোলজিক্যালি নির্বাচিত কি না আমরা শুধুমাত্র তার একটা হাইপোথেটিক্যাল সম্ভাবনাই প্রকাশ করতে পারি কিন্তু এটি এলিয়েনদের অস্তিত্বের সাপেক্ষে যথাযথ কোনো প্রমাণ নয়।এবং কোনো ধার্মিকের পক্ষে এখনো এটা জোর গলায় প্রচার করার সময় আসেনি যে – তাদের ধর্মগ্রন্থ হাজার হাজার বছর পূর্ব থেকেই এলিয়েনদের অস্তিত্বের নিশ্চয়তা প্রদান করে গেছে।
তথ্যসুত্রঃ মেটা ভার্সিক থট[ দ্বিতীয় খন্ড ]
nice!
ReplyDelete