ঈশ্বর কী আমাদের মস্তিষ্কের কোনো নিউরাল ডিস্টার্বেন্স অথবা জেনেটিক্যাল ফল্ট ? লিখেছেন- রিসাস। পর্ব -৯



           ঈশ্বর কী আমাদের মস্তিষ্কের কোনো নিউরাল ডিস্টার্বেন্স অথবা জেনেটিক্যাল ফল্ট ?




Earth's Magnetic North Pole Continues Drifting, Crosses Prime ...




AUB বা  ‘’Absolute Unitary being’’ থিওরি, ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাপেক্ষে একটি খুব শক্তিশালী প্রস্তাব।ক্যাথোলিক মিস্টিক ইকহার্ট টেলি বলেছিলেন, আমাদের উচিত নয় ঈশ্বরকে অনুধাবন করার চেষ্টা করা কারণ ঈশ্বরকে আমাদের আন্ডারেস্টিং দ্বারা সীমাবদ্ধ করা অসম্ভব। ক্যাথোলিক মাস্টারদের মধ্যে প্রচলিত একটি উক্তি হলো, ‘’আমার নিকট যদি এমন একজন ঈশ্বর থাকতো যাকে আমার পক্ষে বুঝা সম্ভব তবে আমি সেই ঈশ্বরকে কখনোই ঈশ্বর বলে স্বীকৃতি প্রদান করতাম না।আমি যদি ঈশ্বর সম্পর্কে কোনোকিছু বুঝি তবে তার মধ্যে অবশ্যই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই।এবং যদি তুমি ঈশ্বর সম্পর্কে কোনোকিছু বুঝার চেষ্টা করো তবে তোমাকে অবশ্যই স্মরণ রাখা উচিত যে তুমি অজ্ঞতা এবং অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছো।‘’



জুডিয়াক স্কলার ডেনিয়েল ম্যাট ঈশ্বরকে ‘’ইনসফ[En-Sof]’’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন সীমার মাঝে যার অস্তিত্ব শূন্য এবং যাকে নিয়ে কোনো কম্পারিজন তৈরি করা অসম্ভব,যা কিছু দৃশ্যমান এবং যা কিছুকে আমাদের নিউরন দ্বারা ম্যাপিং করা সম্ভব তা সীমাবদ্ধ।যা কিছু সীমাবদ্ব তা কখনো তারতম্যহীনতাকে স্পর্শ করতে পারেনা।



খ্রিষ্টিয়ান এপোলোজিস্ট সি এস লুইস তার একটি বিখ্যাত কবিতায় এক্সপ্লেইন করেছিলেন, ঈশ্বর আমাদের সকল বোধ এবং বর্ণনাকে অতিক্রম করে, এবং তার অসীম অজানা প্রকৃতিকে ইন্টারপ্রেট করার প্রচেষ্টা থেকে উদ্ভব সকল কিছু ‘’সিম্বল’’ থেকে বেশি কিছু নয়, যে সিম্বল দ্বারা গভীর এবং আরো রহস্যজনক কোনোকিছু একটাকে মানুষ পয়েন্টিং করার চেষ্টা করে।



এমনকি মুসলিম মিস্টিকদের মাঝেও আমরা একটি ইউনিটারি বিং এর অস্তিত্বের সাক্ষ্য পর্যবেক্ষণ করি।



আপনারা যারা মানুষের মস্তিষ্কের নিউরোলিজিক্যাল ফাংশনের সাথে পরিচিত নয়,

এবং যারা মানুষের মস্তিষ্কের বায়োলজি বুঝেননা তাদের মস্তিষ্কে ‘’ইনসফ’’ নামক এই ঈশ্বর প্যারাসাইটটি প্রভাব বিস্তার করতে পারে।শুনতে যতটাই নান্দনিক মনে হোক না কেনো আমরা এমন একটি রাজকীয় এবং শৈল্পিক ঈশ্বর ভাইরাসকে সমাজে বিস্তারিত হতে সাহায্য করতে পারিনা, এবং  আমার এই দাবীর সাপেক্ষে  যথেষ্ঠ কারণও আছে যা আমি আপনাদের সামনে একে একে উপস্থাপন করবো।আমাদের দেশে এমন একটি সম্প্রদায় আছে যারা রিয়েলিটিকে কম্পারিজনের ভিত্তিতে দেখতে প্রস্তুত নয়, তারা মানব সভ্যতাকে এমন একটা পরিস্থিতিতে দেখতে  আগ্রহী  যা অতুলনীয়,অদ্বিতীয় এবং অনন্য।

এমনকি এদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা দাবী করেন তারা ঐশ্বরিক সেন্টিমেন্টকে ইলেক্ট্রো-ক্যামিক্যালি অনুভব করতে পারছেন এবং তারা তাদের চেতনায় এমন একটি অবস্থাতে এটিউন হয়েছেন যা স্বপ্নাতীত,কল্পনাতীত,চিন্তাতীত এবং যেই রাজকীয় বাস্তবতাকে স্থান এবং কালের ফ্রেমওয়ার্কে কোনোকিছুতেই সীমাবদ্ব করা সম্ভব হচ্ছেনা।তারা কোনোকিছুকে ছোট,বড়,উঁচু,নিচু,ডান,বাম,ভালো বা মন্দের সীমানায় দেখতে প্রস্তুত নয়, তারা এমন একটি নিউরোলজিক্যাল সিচুয়েশনকে উপলব্দি করে যা এ ধরণের সকল কজাল এবং বাইনারী সিষ্টেমকে অতিক্রম করে।এবং ব্যাবহারিক জীবনেও তারা তাদের এই অনুভূতিকে সংরক্ষণ করতে চায়।এটি একদিকে যেমন বিভিন্ন ধর্মের মাঝে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামাতে সাহায্য  করে ঠিক তেমনি সৃষ্টি করে সামাজিক এন্ট্রপি।আমরা এবসলিউট ইউনিটারি ঈশ্বরের নেগেটিভ ইফেক্ট আলোচনা করার পূর্বে প্রথমত বিশ্লেষণ করবো কেনো এবং কোথায় থেকে এই এবসলিউট ইউনিটারি ঈশ্বর জন্মগ্রহণ করে।ওয়ার্মহোলের ভেতর দিয়ে আমরা একটি মহাবিশ্ব থেকে অন্য আর একটি মহাবিশ্বে স্পিড অব লাইট থেকেও দ্রুত গতিতে ট্রাভেল করতে পারবো,

একটি ওয়ার্মহোলের ভেতর স্থান এবং সময়ের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই কারণ সেখানে হায়ার ডায়মেনশন কাজ করে।কিন্তু আমরা সেই স্থান ও কালহীন হায়ার ডায়মেনশনাল অবস্থাকে ঈশ্বর বলিনা, একটি ঈশ্বর যাকে স্থান এবং কালের ওয়ারফেজে ম্যাপিং করা সমম্ভব তার জন্ম ঘটে আমাদের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সের অরিয়েন্টেশন এসোসিয়েশন এরিয়া থেকে, অরিয়েন্টেশন এসোসিয়েশন এরিয়া আমাদের মস্তিষ্কে মহাবিশ্বের একটি ডিফারেন্টেশিয়াল বাস্তবতা তৈরি করে।অরিয়েন্টেশন এসোসিয়েশন এরিয়ার কার্যকারিতার কারণেই আমরা অনুভব করতে পারি আনকাউন্টেবল ট্রিলিয়ন গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যে কোনটি আমি আর কোনটি আমি নই।

আমরা একটি আপেলকে বলিনা যে এটি আমি অথবা আমরা ভিটা-এন্ড্রোমিডিকে বলিনা যে এটি আমার দেহ।অরিয়েন্টেশন এসোসিয়েশন এরিয়া যদি তারতম্য নির্ধারণ করতে না পারতো যে থ্রিডায়মেনশনাল স্থান এবং কালের জিওমেট্রিতে কোনো অংশটি আমি এবং কোন অংশটি আমি নই তাহলে আমরা কখনোই আমাদের আইডেন্টিটি কোয়ান্টাইজড বা পরিমাপ করতে পারতাম না, একটি নিচক অবজেক্ট আর মহাবিশ্বের সাথে যেমন অনুভূতিগত  কোনো তারতম্য নেই ঠিক তেমনি সম্ভবত আমিও পরিণত হতাম তাদের একটিতে।নিউরোলজিক্যাল টার্ম থেকে, আমাদের মস্তিষ্কের অরিয়েন্টেশন এসোসিয়েশন এরিয়া কমপ্লিট নয়, এটি অসম্পূর্ণ, আর তাই অরিয়েন্টেশন এসোসিয়েশন এরিয়া মহাবিশ্বকে সম্পূর্ণভাবে ডিফারেন্টেশন বা তারতম্য করতে পারেনা, আর এটি কিছু কিছু মানুষকে সাবজেক্টিব বাস্তবতার অনুমোদন দেয়, তারা অনুভব করে এমন একটি মানসিক অবস্থাকে যেখানে সে নিজেই হয়ে উঠে অসীম মহাবিশ্ব,মস্তিষ্কের বাইনারী এবং কজাল অপারেটিং সিষ্টেম এখানে ডি-একটিভ হয়ে যায়।আমরা কি উল্লেখযোগ্য একটি  নিউরোলজিক্যাল ডিস্টার্বেন্সকে ঈশ্বর বলবো?যেখানে আমাদের মস্তিষ্কের কজাল এবং বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম ডি-একটিভ?এটাকে কেনোই বা আমরা একটি ট্যাকনোলজিক্যাল গোলযোগ বলবোনা


                                        
গতকিছুদিন পূর্বেও আমি একজন সূফি মিস্টিকের সাথে কনভারসেশন করেছিলাম যিনি এবসলিউট ইউনিটারি ঈশ্বরে বিশ্বাসী।একজন তরুণী যিনি ইউনিভার্সাল ওয়াননেসে বিলিফ করেন।সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে ভারচুয়াল যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি আমার সাথে একটি কন্ট্রাডিকশনে বিজড়িত হয়।আপাত হাস্যকর হলেও আমি তার বক্তব্যের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরছি,’’ মিসিও কাকুর মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রো-ক্যামিক্যাল এক্টিভিটিজের সাথে আমি কানেক্টেড, একটি ডলফিন আর আমি আসলে অদ্বিতীয়।একটি কোয়ান্টাম সুপারপজিশনাল পার্টিকেলের মতো আমার মস্তিষ্কের নিউরোলজিক্যাল ফাংশন মিসিও কাকু থেকে শুরু করে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর অতীত এবং ভবিষ্যতের প্রতিটি ঘটনার সাথে এন্ট্যাঙ্গেল, আমিই প্যারালাল ইউনিভার্স আর মেটা মহাবিশ্বের সাথে স্পিড অব লাইট থেকেও দ্রুত গতিতে কমিউনিকেট করতে পারি।‘’ যাইহোক আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম- আপনি কি শ্রডিঙ্গারের কেটস?এরপর সে আমাকে অকাট্য ভাষায় গালি দেয়, আকষ্মিত উত্তেজিত হয়ে উঠে, এবং অনেক বেশি অপ্রাসঙ্গিকআমি তাকে সেকেন্ড প্রশ্নটি করেছিলাম,যে আপনি যদি মিসিও কাকুর ব্রেন নিউরাল ফাংশনের সাথে এন্ট্যাংগেল হয়ে থাকেন তবে আপনি কি আমাকে হাইপারস্পেস থিওরি সম্পর্কে মিসিও কাকুর একটি লেকচার শুনাতে পারবেন?তার কন্ঠস্বরে?আমাদের মহাবিশ্ব ডি-কোডেড! আপনার পক্ষে কখনোই এমন কোনো বক্তব্য রাখা উচিত নয় যা সামাজিকভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ!আপনি তো শ্রডিঙ্গারের তরঙ্গ সমীকরণকে আপনার নিজস্ব সমীকরণ হিসেবে দাবি করতে পারেন না!আপনি  কখনোই একজন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে সমাজে এমন কোনো দাবী উপস্থাপন করতে পারেন না যে আপনি সেই ব্যাক্তির খুনী নন, সে সুইসাইড করেছে কারণ আপনারা দুজন অভিন্ন!তারপর তরুণীটি এগ্রেসিভ হয়ে উঠে এবং আমাকে বিক্ষিপ্তভাবে গালিগালাজ করতে থাকে, একটা পর্যায়ে বলে উঠে, যদি তার কখনো খাদ্যের অভাব দেখা দেয় তবে আমাকেই সে স্যান্ডুয়িস অথবা বার্গারের মতো খেয়ে ফেলবে!



আমরা কেনো এ মহাবিশ্বে অস্তিত্বশীল এবং কিভাবে; এই সকল প্রশ্ন আমাদের ব্রেনের যে অংশে সংঘঠিত হয় তা হলো কজাল অপারেটিং সিষ্টেম।সকল প্রকার কী,কেনো এবং কিভাবে’’ সৃষ্টি হয় কজাল অপারেটিং সিষ্টেম থেকে।আমাদের মনে হতে পারে যে কজ এন্ড ইফেক্ট একে অপরের সাথে রিলেটিভ এবং এটি স্ব-প্রমাণিত কিন্তু কোনো কিছু একটাকে আমাদের ব্রেনে স্ব-প্রমাণিত হতে হলে প্রথমত আমাদের নিউরো-লজিক্যাল মেশিনারির ভেতর দিয়ে প্রসেসিং করতে হবে।গবেষণায় দেখা গেছে কারো মস্তিষ্কের কজাল অপারেটিং সিষ্টেম যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে আমাদের ব্রেন কখনোই কোনো ঘটনার কারণ ডিটারমাইন করতে পারেনা, সেই ঘটনাটি যতই সরল হোক না কেনো।কজাল অপারেটিং সিষ্টেমই আমাদের সকল কিউরিসিটির পাইলট। এটি আমাদেরকে সকলকিছুর পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে পাইলোটিং করে যা আমাদের উৎসাহিত ও আতঙ্কিত করে।কারো মস্তিষ্কের কজাল অপারেটিং সিষ্টেম যদি ডি-একটিভ থাকে অথবা মস্তিষ্কের সিমুলেটিং সফটওয়ার যদি কোনো ভাইরাল  পোগ্রামের কারণে এটিকে ডি-একটিভেট করে দেয়,  তবে আমাদের মস্তিষ্ক বিজ্ঞান ও দর্শনের ভিত্তিতে মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ভাবন করার প্রচেষ্টা করবেনা।আমরা দেখেছি, প্যান্টাগন টাওয়ারে বোমা হামলার নৃশংস ঘটনা, এবং আমরা দেখেছি তাদেরকেও যারা দেহের সঙ্গে বোমা জুড়ে দিয়ে টুইটাওয়ারে বিমান হামলা করেছিলো।রিলিজিয়াস ভাইরাসে এডিক্টেড এ মস্তিষ্ক গুলি তাদের কজাল অপারেটিং সিষ্টেমকে ডি-একটিভ করে রাখে যার পরিণতিতে তারা কোনো ঘটনাকে  যথার্থ কার্যকারণের ভিত্তিতে যুক্তিসঙ্গতভাবে অনুধাবন করার প্রচেষ্টা করেনা।ঠিক একইভাবে মিস্টিকদের কাছেও মহাবিশ্বের যুক্তিসঙ্গত কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই,তারা কোনো ঘটনাকে কজ এন্ড ইফেক্টের ভিত্তিতে দেখতে আগ্রহী নয়,তারা মহাবিশ্বের সর্বত্র একটি কজলেস বাস্তবতাকে বাস্তবায়ন করতে চায়,যা জীবনের প্রতি এবং মহাবিশ্বের প্রতি আমাদের কজাল ইন্টারেস্ট বিনষ্ট করে, আমাদেরকে অসতর্ক আর অসাবধান করে তুলে যা জীবনকে করে তুলে অন্ধকার আর রহস্যগন।


Life — after life: Does consciousness continue after our brain ...




আর অন্যদিকে বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম যা আমাদের মস্তিষ্কের একটি শক্তিশালী ডিভাইস রিয়েলিটিকে অর্গানাইজড করার ক্ষেত্রে। যেটি আমাদেরকে কনফিডেন্টলি এবং ইজিলি  ফিজিক্যাল বিশ্বে মুভ করতে সহযোগীতা করে।এটি আমাদের মস্তিষ্ককে স্পেস এবং টাইমের সাথে জটিলভাবে সম্পৃক্ত কোনো বস্তু সম্পর্কে পরিস্কার একটি ধারণা দিতে পারে শুধুমাত্র সিম্পল বৈপরিত্য তৈরির মধ্য দিয়ে।ডানের বিপরীতে বাম,উপরের বিপরীতে নিচে,

পূর্বের বিপরীতে পরে ইত্যাদি সিম্পল অপজিশন প্রস্তুত করে এই বাইনারি অপারেটিং সিষ্টেম।

আমাদের মস্তিষ্ক যদি বিফোর ভার্সাস আফটার নামক এই সিমপ্লিফিকেশন তৈরি করতে না পারতো তবে সে কখনোই অতীত এবং ভবিষ্যতের সাথে কোনোপ্রকার তারতম্য সৃষ্টি করতে পারতোনা এবং সে বুঝতেই পারতোনা যে সে কি এখন অতীতের কোনো পৃথিবীতে জীবন যাপন করছে অথবা ভবিষ্যতে।নিউরোলজিক্যাল টার্ম থেকে, কারো ব্রেনের ইনফারিয়র প্যারেটিয়াল লোব যদি কোনো কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম ডি-একটিভ হয়ে যেতে পারে।যদি মানুষের মস্তিষ্ক এ ধরণের কোনো ক্ষতির মুখোমুখী হয় তবে তার সামনে উপস্থাপিত কোনো বস্তুকে বৈপরিত্যের ভিত্তিতে নামকরণ করতে পারবেনা।বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম সূফী মহাবিশ্বকে বৈপরিত্যের ভিত্তিতে চিন্তা করতে প্রস্তুত নয়, তারা আমাদের রিলেটিভিস্টিক জগতের সকল ঘটনাকে একটি ইউনিটারি ফাংশনের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।

তারা ডান,বাম,সামনে,পেছনে, পূর্বে এবং পরের মধ্যে কোনো প্রকার নিউরোলজিক্যাল ডিস্টেন্স প্রস্তুত করতে প্রস্তুত নয়।আমরা জানি নিউরোলজিক্যালি কারো মস্তিষ্কের বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম নষ্ট হয়ে গেলে তার পক্ষে মহাবিশ্বকে বাইনারী সিষ্টেমে দেখা পসিবল নয়।যেমন আপনি যদি তাদের সামনে একটি ফুটবল এবং একটি মার্বেল রাখেন এবং প্রশ্ন করেন এদের দুটির কোনটি মার্বেল ; তাদের ব্রেন কোনো ডিসিশনে আসতে পারবেনা কারণ তারা ছোট এবং বড়োর মধ্যখানের বাইনারী রিলেশন ফিল করতে পারেনা।মানুষের মস্তিষ্কের বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম ভাইরাল পোগ্রামের কারণেও ডি-একটিভেড মুডে থাকার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।আমরা সোফিস্ট মিস্টিকদের মধ্যে যে ধরণের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে থাকি।মস্তিষ্কের বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেমকে তারা কিছু ভাইরাল ইনফরমেশন দ্বারা হ্যাং করে রাখার একপ্রকার প্রচেষ্ঠা চালিয়ে থাকেন, কখনো কখনো নিজেকে মিসিও কাকু অথবা আইনস্টাইন বলে প্রতিষ্ঠা করেন, আবার কখনোবা তারা কিছুক্ষণ আগের করা অপরাধকেও ইউনিটারিটি ভাইরাল পোগ্রামের ভিত্তিতে ক্ষমা করে দিতে প্রস্তুত থাকেন।এদের নীতি এবং নৈতিকতাবোধ অত্যন্ত দুর্বল।এবং এরা খুবই এগ্রেসিভ স্বভাবের হয়ে থাকেন।



আপনাদের মধ্যে যারা মানুষের মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সের ভিজুয়াল এসোসিয়েশন সেন্টার সম্পর্কে স্টাডি করেছেন তারা জেনে থাকবেন কোনো কারণে যদি ভিজুয়াল এসোসিয়েশন সেন্টার ডেমেজ হয়ে যায় তবে একজন ব্যাক্তি তার ফ্যামলি,ফ্রেন্ড অথবা সোসাইটির কারো ইমেজকে চিনতে পারেনাভিজুয়াল এসোসিয়েশন সেন্টারের ট্যাকনোলজিক্যাল প্রবলেম মানুষকে কোনো বস্তুকে দেখতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তা নয়, কিন্তু কোনো ব্যাক্তি যদি ভিজুয়াল এসোসিয়েশন সেন্টারে আঘাতপ্রাপ্ত হয় তবে সে কোনো ইমেজকে মিনিংপুল কোনো কনটেক্সে প্রতিস্থাপন করতে পারবেনা এবং সেই ইমেজটিকে অতীতের মেমরির সাথে কম্পেয়ার করতে পারবেনা।এমনকি সেই ব্যাক্তি আয়নায় প্রতিফলিত তার নিজস্ব ইমেজকেও চিনতে পারবেনা।তার নিকট পৃথিবীর সকল মানুষ এবং সকল বস্তুর ইমেজই একই মনে হবে।সেরিব্রাল কর্টেক্সের ভিজুয়াল এসোসিয়েশন এরিয়া আক্রান্ত একজন ব্যাক্তির নিকটও তথাকথিত এবসলিউট ইউনিটারি ঈশ্বর প্রকাশিত হয়, এমন একটি ঈশ্বর যা একজন ব্যাক্তির নিউরো-লজিক্যাল ফাংশনের যান্ত্রিক গোলযোগ থেকে সৃষ্টি, যেই যান্ত্রিক গোলযোগ কারো মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ প্রকৃয়াটিকেই বিকল করে দেয়, যে কোনোকিছুই আর কখনো জানতে পারেনা, মহাবিশ্বের কোনোকিছুকে বুঝার যার কোনো উপায় নেই, যার নিকট মহাবিশ্ব অস্পষ্ট, অচেনা আর অপরিচিত!মস্তিষ্কের নিউরোলজিক্যাল গোলযোগ থেকে টেকনিক্যালি সৃষ্ট এই ফিজিক্যাল তারতম্যহীনতাই মানুষের সমাজে মিস্টিক্যালি ঈশ্বর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে যাকে আমাদের ফিফথ সেন্স রেঞ্জে সীমাবদ্ব করা যায়না,যে সীমাতীত, মাত্রাতীত, যার একমাত্র সিম্বল একটি স্প্রিচুয়াল ‘’শূন্যতা’’রবি আল আদওয়াইয়া,আঠার শতকের মুসলিম কবি, লিখেছিলেন-

The One Who Explain lies

How can you explain the true form of something

In whose presence you are blotted out?

In whose being you still exist. 






হাস্যকর হলেও এটি সত্য যে একটি নিউরোলজিক্যাল ডিজেজ নিয়ে যুগ যুগান্তর ধরে মাল্টি থাউজেন্ড কবিতা,গান আর প্রবন্ধ লিখা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ হিউম্যান অটোনোমিক নার্ভাস সিষ্টেমকে রিলিজিয়াস এবং স্প্রিচুয়াল ফিলিংস তৈরির জন্যে দোষী করছেন। এবং তারা মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন আমাদের ব্রেন নিউরাল ফাংশন একটি বাউন্ডলেস এন্ড আনলিমিটেড ঈশ্বরকেই ইন্টারপ্রেট করার প্রচেষ্টা করছে।বিষ্ময়কর হলেও এটি সত্য যে, একটি যান্ত্রিক গোলযোগই আজকের সমাজের একত্ববাদী ঈশ্বর।যারা কসমিক্যাল ইউনিটারিটি ফাংশনে বিলিফ করেন তাদের মধ্যে অনেকেই সিজোফ্রেনীয়া আর ম্যানিক ডিপ্রেশনে আক্রান্ত।সিজোফ্রেনীয়া আক্রান্ত রোগীরা নিজেদেরকে একটি সেন্স অফ কসমিক্যাল ইউনিটিতে অনুভব করে।মেক্সিমাম সিজোফ্রাইড ব্যাক্তি, পয়েন্ট ‘’A’’ কেই পয়েন্ট ‘’B’’ এবং পয়েন্ট ‘’B’’ কেই পয়েন্ট ‘’ ‘’A’’ মনে করেকারণ তাদের মস্তিষ্কের কজাল এবং বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেম ডি-একটিভেটেট।তারা মনে করে স্পেসের একটি পয়েন্টে ‘’এনার্জির’’ পরিমাণ স্পেসের সকল পয়েন্টের মোট শক্তির সমান।এবং মেক্সিমাম সিজোফ্রেনীয়া আক্রান্ত রোগীরাই মিস্টিজমে বিশ্বাসী।তাদের দাবী তারা একপ্রকার ফিল্ডকে অনুভব করতে পারে যেখানে শুধুই এনার্জি এবং ফ্রিকোয়েন্সি।এটি আমাদের জগতের মতো সলিড নয়।তারা একটি ওসানিক বাস্তবতার দেখা পায়।আমরা জানি আমাদের মস্তিষ্কের এসোসিয়েশন সেন্টার  ফিফথ সেন্সের মাধ্যমে সেরিব্রাল কর্টেক্সে প্রবিষ্ট ইলেক্ট্রিক্যাল ইমপালসেশন গুলিকে মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্তর থেকে  এসোসিয়েট করে বিশ্বের একটি মাল্টি-ডায়মেনশনাল ত্রিমাত্রিক প্রোজেকশন তৈরি করে।আমাদের মস্তিষ্কে এক্সটারনাল জগতের কোনো ইনফরমেশন সলিড বস্তু হিসেবে প্রবেশ করেনা,আমাদের মস্তিষ্ক নিরবিচ্ছিন্নভাবে আপডেডেড ইলেক্ট্রিক্যাল ইমপালসেশনের মাধ্যমেই ফিজিক্যাল রিয়েলিটিকে এসোসিয়েট করে।কিন্তু কোনো কারণে যদি আমাদের ব্রেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইমপালসেশন গুলিকে সঠিকভাবে এসোসিয়েট করতে না পারে তবে সে সম্ভবত শুধুমাত্র ওয়েভ এবং কালারই দেখবে কিন্তু বিশ্বের ত্রিমাত্রিক সলিড কোনো বাস্তবতা প্রস্তুত করতে পারবেনা।মিস্টিক এবং সোফিস্টরা মেডিটেশনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের নিউরোলজিক্যাল ফাংশনকে বিকৃত করে এ ধরণের সিজোফ্রাইড সিচুয়েশন তৈরি করে।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রায় ৭০ ভাগ সোফিস্ট সিজোফ্রেনীয়া আক্রান্ত।আর এবসলিউট ইউনিটারিটি ঈশ্বর হলো নিউরোলজিক্যাল ডিস্টার্বেন্সে আক্রান্ত কিছু মানুষের ট্যাকনিক্যাল গোলযোগের ফলাফল, এটাকে সিজোফ্রাইড ঈশ্বরও বলা হয়





লিখেছেন-রিসাস
তথ্যসুত্র- বায়োলজি অব বিলিফ, কোয়ান্টাম গড, হলোগ্রাফিক প্রিন্সিপ্যাল, এথিস্ট ইউনিভার্স 

Comments

Popular posts from this blog

হিগস ফিল্ড ফিবোনিশি,গোল্ডেন রেশিও সাপেক্ষে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনার একটি পরিসংখ্যান!, লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১০

I am Planck

টাইম প্যারাডক্স এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের অসম্ভাব্যতা!, লিখেছেন-রিসাস, পার্ট- ২১