মহাবিশ্ব কেনো ফাউন টিউন? লিখেছেন-রিসাস, পার্ট-২০
আমাদের মহাবিশ্বকে দেখলে মনে হয় এটি মানব সভ্যতার উৎপত্তির প্রতি লক্ষ্য রেখে ডিজাইন করা হয়েছে, এটি কোনো র্যান্ডমনেসের ফলাফল নয়।শুধুমাত্র মাইক্রোস্কোপিক মাত্রায় নয় মেক্রোস্কোপিক জগতেও এটি সুস্পষ্ট।বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন এটম থেকে গ্যালাক্সি, সম্পূর্ণ ইউনিভার্স এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যেনো এটি ‘’ইন্টেলেকচুয়ালিটির’’ অস্তিত্বকে অনুমোদন দেয়।
অনেকে এই রিভেলিশনকে ‘’গোল্ডিলক্স প্রিন্সিপ্যাল’’ বলে যা আমাদের বলে মহাবিশ্ব অন্যরকম না হয়ে এরকম হয়েছে কারণ এটি জীবনের প্রতি লক্ষ্য রেখেই বিবর্তিত হয়েছে।অনেকে এটিকে বলে থাকেন ‘’ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন’’।আবার অনেকে বলেন এই ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনার আর কেউ নয়, তিনি ঈশ্বর কিন্তু তারা তাদের বক্তব্যের সাপেক্ষে সুস্পষ্ট কোনো যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন নি।কিন্তু আমরা কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বায়োসেন্ট্রিক ভিউ থেকে জানবো কিভাবে এবং কোনো ঈশ্বরের সহযোগীতা ব্যাতীতই এ মহাবিশ্বের ডিজাইন প্রস্তুত করা সম্ভব, একে বারে কোনোকিছু ‘’না’’ থেকে।
আমরা জানতে পেরেছি, মহাবিস্পোরণের পাওয়ার অব স্পিড যদি এক মিলিয়ন ভাগের এক ভাগও বেশি হতো, তবে গ্রহ ,নক্ষত্র গুলি খুব দ্রুত গতিতে তৈরি হতো যার ফলাফলে, আমাদের অস্তিত্ব ছিলো ‘’অসম্ভব’’।সমসাময়িকভাবে প্রকৃতির ফান্ডামেন্টাল চারটি ফোর্স এবং অন্য সকল কনস্ট্যান্ট এটমিক ইন্টারেকশনের জন্যে অত্যন্ত পারফেক্টলি সেট আপ করা হয়েছে।অথবা পরমাণু,গ্রহ,পানি এবং জীবন কোনোকিছুই প্রস্তুত হতোনা।
নিউটোনিয়ান কনস্ট্যান্ট অব গ্রেভিটেশন যদি 6.67408 × 10-11
m3 kg-1 s-2 এর চাইতে বেশি হতো অথবা যদি স্টিফেন বোলজম্যান কনস্ট্যান্ট 5.67 x 10 -8 watt তুলনায় কম হতো তবে আমাদের ইউনিভার্সে মানব সভ্যতার বিবর্তন কখনোই সম্ভব হতোনা!প্রোটন ম্যাস, প্লাঙ্ক ম্যাস, নিউট্রন ম্যাস, নিউক্লিয়ার মেগাট্রন অথবা হাইড্রোজেন গ্রাউন স্টেটের মান এমনভাবে টিউন করা হয়েছে যে মানব সভ্যতার উৎপত্তি ব্যাতীত যেনো এ ইউনিভার্সের অস্তিত্বই অসম্ভব, অথবা আমাদের মহাবিশ্ব যেনো মানব বান্ধব বা এটি আমাদের অস্তিত্বের জন্যে খুবই ফ্রেন্ডলি একটি মেট্রিক্স, যেনো এখানে এ মহাবিশ্বে এই কনস্ট্যান্টগুলি আমাদের অস্তিত্বশীল হতে বাধ্যই করেছে, অথবা এই কনস্ট্যান্টগুলি একমাত্র আমাদের জন্যেই, ঠিক যেমনিভাবে এক একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি এক একটি স্পেসিফিক চ্যানেলের জন্যে!এইস বি ও চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সির রেঞ্জ 12480.00 MHz । এই ফ্রিকোয়েন্সিতে অন্যকোনো চ্যানেলের পক্ষে অস্তিত্বশীল হওয়া সম্ভব নয়, আমাদের ইউনিভার্সের কনস্ট্যান্টগুলি এতটাই পারফেক্টলি এটিউন করা হয়েছে যে যেনো এই চ্যানেলে আমাদের অস্তিত্বশীল হতেই হবে!
জোসেফসন কনস্ট্যান্ট 483 597.848 4... x 109 Hz V-1 আবার রাইভার্গ কনস্ট্যান্ট 1.097 x 107 m− যা এটমিক স্পেক্ট্রার ওয়েভ নাম্বারে প্রতীয়মান হয়।ভ্যাকুয়ামে স্পিড অব লাইট, প্লাঙ্ক টাইম, প্লাঙ্ক ল্যাংথ এমনভাবে এত সুক্ষতার সাথে টিউন করা হয়েছে যে সুক্ষতার মান যদি এক ট্রিলিয়ন ভাগের এক ভাগও এদিক ওদিক করতো তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো বাস্তবতার জন্ম নিতো, এমন একটি মহাবিশ্ব তৈরি হতে পারতো যে মহাবিশ্বে হয়তোবা আমরা নেই!
কিন্তু কেনো এবাগাড্রো নাম্বার, ডিউট্রন ম্যাস অথবা কোম্পটন ওয়েভ ল্যাংথ আমাদের অস্তিত্বের জন্যে এত পারফেক্টলি এটিউন?আমাদের মহাবিশ্বের এ কনস্ট্যান্টগুলি কে ডিটারমাইন করেছে?নাকি আমাদের অস্তিত্বের পেছনে কোনো ইন্টেলেকচুয়ালিটি নেই, আমরা শুধুমাত্র র্যান্ডম পসিবিলিটি থেকে এসেছি!কেউ কেউ মনে করেন আমাদের মহাবিশ্বের একজন ডিজাইনার রয়েছেন যিনি এ মহাবিশ্বকে ম্যাথমেটিক্যালি শুধুমাত্র আমাদের মানব সভ্যতার অস্তিত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখে ডিজাইন করেছেন!কিন্তু ফিজিক্সে- স্ট্রং এবং উইক এনথ্রেইপিক প্রিন্সিপ্যাল নামক দুটি কনসেপ্ট রয়েছে!
রবার্ট ড্রিক এনথ্রেইপিক প্রিন্সিপ্যালের উদ্ভাবক।তিনি বলেছিলেন যদি গ্রেভিটেশন আরো শক্তিশালী হতো তবে আমাদের ইউনিভার্স বিস্পোরিত হওয়ার সাথেই সংকোচিত হয়ে যেতো, অতএব আমাদের অস্তিত্ব থাকতোনা এ মহাবিশ্বে,অতএব মহাবিশ্ব মানব সভ্যতাকে অনুমোদন দেয় এমনকিছু ফিজিক্স দ্বারাই সীমাবদ্ব।এটি এখন উইক এনথ্রেইপিক প্রিন্সিপ্যাল হিসেবে পরিচিত।
কিন্তু ফিজিসিস্ট জন হুইলার যিনি ব্লাকহোলের স্বীকৃতি প্রদান করার জন্যে বিখ্যাত তিনি এনথ্রেইপিক প্রিন্সিপালকে সমর্থন করেছেন, যাকে বর্তমানে বলা হয় পার্টিসিপেটরি এনথ্রেইপিক প্রিন্সিপ্যাল, জন হুইলারের মতে, মহাবিশ্বকে অস্তিত্বশীল করে তুলতে একজন পর্যবেক্ষক প্রয়োজন, হুইলার বলেন, পৃথিবীর যেকোনো অতীতের ইতিহাস শুধুমাত্র আন-ডিটারমিনেস্টিক স্টেটে অস্তিত্বশীল থাকতে পারে, অথবা একইসাথে এবং একইসময় সম্ভাব্য সকল ইতিহাসে, শ্রডিঙ্গারের কেটসের মতো, যখন একজন অবজারভার আসে, মহাবিশ্ব তার অবজারভেশনের আওয়তায় যেকোনো একটি ইতিহাসে এটিউন হতে বাধ্য হয়। এর মানে হলো মহাবিশ্বের অতীতের ইতিহাস কনসাসনেসের পরেই তৈরি হয়।
কারণ জনহুইলারের মতে , বিফোর এবং আফটার আমাদের মস্তিষ্কের বাইনারী অপারেটিং সিষ্টেমের তৈরি, এছাড়া আমাদের মাইন্ড রিয়েলিটিকে বুঝতে পারেনা।
অতএব মহাবিশ্বের পনের বিলিয়ন বছরের বিবর্তন তখনই ফিক্স হয়েছে যখন একজন পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষণ করেছে।আমরা জানি পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণ ব্যাতীত একটি পার্টিকেল ইনফিনিট ট্রিলিয়ন এনার্জি স্টেটে বাউন্স করে, যদি তাই হয় তবে আমাদের মহাবিশ্বের পনের বিলিয়ন বছর বিবর্তন প্রকৃয়াও ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডায়মেনশনে বাউন্স করেছিলো, হয়তোবা কোনো কোনো ডায়মেনশনে এই ইতিহাসের স্থায়িত্ব থাকতে পারতো বিশ বিলিয়ন বছর অথবা কোথাও পঞ্চাশ হাজার বিলিয়ন বছর কিন্তু যখনই আমরা মহাবিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করেছি তখনই এটি পনের বিলিয়ন বছরের একটি বিবর্তন প্রকৃয়া নিয়ে অন্যসকল সম্ভাবনা পরিত্যাগ করে শ্রডিঙ্গারের বেড়ালের মতো আমাদের অবজারভেশনে ফিক্স হয়েছে।
বিজ্ঞানী হাইসেনবার্গ বলেছিলেন, পর্যবেক্ষণের পূর্বে পার্টিকেলগুলি অনির্ধারিত মাত্রায় দোদুল্যমান থাকে, যদি তাই হয় তবে আমাদের মহাবিশ্বও পার্টিকেলদের তৈরি, একমাত্র পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণেই এ ইউনিভার্স প্রবাবিলিস্টিক্যাল ব্লারিনেস অতিক্রম করে পনের বিলিয়ন বছর সময়ের ডিউরেশনে অস্তিত্বশীল একটি অতীতে নিশ্চিত হয়েছে।
যদি ইউনিভার্স পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণের বলপ্রয়োগ ব্যাতীত আনপ্রেডিক্টেড স্টেটে থাকে, তবে পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণেই সেই পসিবিলিস্টিক্যাল ফাংশন ব্রেকাফ করবে এবং সৃষ্টি হবে ডিটারমিনিজম, আর এভাবে মহাবিশ্বের ৩৬ টি ফান্ডামেন্টাল কনস্ট্যান্ট নির্ধারিত হওয়া শুরু করবে, অতএব এর রি-সলিউশন এমভাবে পতিত হবে যেনো সেটি পর্যবেক্ষকের অস্তিত্বকেই পারমিট করে।জোসেফসন কনট্যান্ট অথবা এবাগ্যাড্রো নাম্বার পর্যবেক্ষণের পর্যবেক্ষণেই পসিবিলিস্টিক্যাল স্টেট থেকে সুনির্ধারিতভাবে মহাবিশ্বে রেগুলেট হয়েছে যেনো ফান্ডামেন্টাল কনস্ট্যান্টগুলি পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণে অস্তিত্বশীল হয়ে উঠতে পারে!অতএব প্লাঙ্ক কনস্ট্যান্ট, রাইভার্গ কনস্ট্যান্ট, কোম্পটন ওয়েভ ল্যাংথ অথবা ডিউট্রন ম্যাস কোয়ান্টাম পসিবিলিটি থেকেই আমাদের মহাবিশ্বে পর্যবেক্ষণ প্রকৃয়ার ভেতর দিয়ে সুনির্দিষ্ট হয়েছে যেনো পর্যবেক্ষক তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করতে পারে!
ফিলোসফার জন লেসলি ১৯৮৯ সালে তার গ্রন্থ ইউনিভার্সে লিখেছিলেন, একজন ব্যাক্তি যাকে একসাথে একশত জন বন্ধুকধারী ফায়ার করছে কিন্তু তারপরেও যদি লোকটি এক্সিডেন্সিয়ালি বেঁচে যায় তবে সে অবশ্যই বলবে- প্রতিটি বন্ধুকের ফায়ারিং তাকে ‘’মিস’’ করেছে কিন্তু তাই বলে তার বেঁচে থাকার কারণ ফায়ার মিস্টেক; এই ভেবে সে সন্তুষ্ট থাকবেনা, সে ফায়ার মিস্টেক হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করবে অথবা সে এই এক্সিডেন্টের যুক্তিসঙ্গত কারণ অনুসন্ধান করবে!
কিন্তু থিওরি অব বায়োসেন্ট্রিজম ফায়ারিং মিস্টেক হওয়ার পেছনে একটি ভিন্ন রকম এক্সপ্লেইনেশন প্রদান করেছে।এ থিওরি- অনুসারে মহাবিশ্ব যদি জীবন দ্বারাই তৈরি হয় তবে এমন কোনো মহাবিশ্বের অস্তিত্ব নেই যা জীবনকে অনুমোদন দেয়না তা সম্ভবত সম্ভাবনার জগতেই অস্তিত্বশীল।জন হুইলারের পার্টিশিপেটরি ইউনিভার্স প্রিন্সিপ্যাল অনুসারে, একজন পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন মহাবিশ্বকে অস্তিত্বশীল করে তুলতে, পর্যবেক্ষকের যদি প্রেজেন্ট না হয় তবে ইউনিভার্স
আন-ডিটারমিনেস্টিক প্রবাবিলিস্টিক্যাল স্টেটে থাকে যখন অবজারভার প্রেজেন্ট হয় তখনই ইউনিভার্স রিয়েল স্টেটে কলাফস করে, এটি অনিবার্যভাবে সেই স্টেটেই কলাফস করে যে স্টেট পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয় ইউনিভার্সকে কলাফস করার জন্যে!কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বায়োসেন্ট্রিজম গোল্ডিলকস ইউনিভার্সকে বিদায় দিয়েছে এবং মহাবিশ্বের উদ্ভবে জীবন এবং চেতনার ক্রিটিক্যাল ভূমিকাকে করে তুলেছে পরিচ্ছন্ন!
কোয়ান্টাম ফিজিক্সের পর্যবেক্ষক বেসিস ইউনিভার্স ফান্ডামেন্টাল কনস্ট্যান্টগুলিকে ঈশ্বরের ইন্টারফেয়ারেন্স হিসেবে না দেখে একজন পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণ হিসেবেই দেখছে, অতএব আমরা মহাবিশ্বের সৃষ্টিতে এমন কোনো ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছিনা যিনি সুপার ইন্টিলিজেন্ট, অথবা গ্রেন্ড ডিজাইনার অথবা এমন কাউকে যিনি মহাকাশে উপস্থিত এবং সময়ের একটি বিন্দুতে তিনি আমাদের পাপ এবং পূর্ণের বিচার করবেন এবং নির্ধারণ করবেন স্বর্গ অথবা নরক!
(
তথ্যসুত্র- আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী, ইউনিভার্স )
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post.html পার্ট-১
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_15.html পার্ট-২https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post.html পার্ট-১
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/part-3.html পার্ট-৩
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_16.html [৪]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_71.html [৫]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_51.html [৬]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_83.html [৭]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_17.html [৮]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_18.html [৯]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_19.html [১০]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_44.html [১১]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_45.html [১৪]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_12.html [১৫]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_80.html [১৬]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_27.html [১৭]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_21.html [১৮]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_62.html [১৯]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_83.html [৭]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_17.html [৮]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_18.html [৯]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_19.html [১০]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_44.html [১১]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_45.html [১৪]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_12.html [১৫]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_80.html [১৬]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_27.html [১৭]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_21.html [১৮]
https://matavarsic.blogspot.com/2020/04/blog-post_62.html [১৯]
Comments
Post a Comment