কোয়ান্টাম ফিজিক্সের মেনি-ওয়ার্ল্ডস থিওরি কী পরকালের অস্তিত্বকে প্রমাণ করে? , লিখেছেন- রিসাস, পার্ট-১৬
কেমব্রিয়ান থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক মানব সভ্যতা পর্যন্ত কোনো প্রাণীর পক্ষেই সম্ভবত মৃত্যুকে অতিক্রম করা সম্ভব হয়নি।অনেকে ক্যান্সার কোষকে অমর একটি প্যারাসাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন, তার ক্ষেত্রে মৃত্যুর ডেফিনিশনটা সম্ভবত কিছুটা আলাদা।কোষ বিভাজন পদ্বতিতে যে সকল প্রাণী বংশবিস্তার করে তাদের ফিজিক্যাল সিকোয়েন্স পরিবর্তন হলেও তারা যুগ যুগান্তর ধরে একটি দেহকেই কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।তারা না একটি বায়োলজিক্যাল স্টেটে অনন্তকাল বেঁচে থাকে অথবা না সেই বায়োলজিক্যাল দেহ থেকে মৃত্যুবরণ করে।কম্পিউটার কোডের মতোই তাদের জীবন অফ এবং অন বিটে দোদুল্যমান।কিন্তু মানুষের জীবনে মৃত্যু মানেই একটি বায়োলজিক্যাল দেহের সমাপ্তি।যে দেহে কোনো নিউরোলজিক্যাল ফাংশন জীবিত নেই সেই দেহে কোনো মন নেই আর যে দেহে কোনো মন নেই সেই দেহের পক্ষে স্পেস এবং টাইমকে অনুভব করা সম্ভব নয়!
একটি মৃত মস্তিষ্কের পক্ষে কখনোই সময়কে উপলব্দি করা সম্ভব হয়না।আর যে সময়কেই উপলব্দি করতে পারেনা তার আবার পরকাল বা মৃত্যুপরবর্তী জীবনের বাস্তবতা কিসের?কিন্তু তবুও আমাদের এই গ্রহে এমন অজস্র মানুষ আছেন যারা মৃত্যু পরবর্তী জীবনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন।জেনরা বলে থাকেন-
মস্তিষ্কের নিউরোলজিক্যাল একটিভিটিজ ছাড়া কোনো মনের অস্তিত্ব নেই আবার যার কোনো মানসিক উপলব্দিই নেই তার পক্ষে কখনোই এটা বলা সম্ভব নয় যে আমার মন আমার মস্তিষ্কের নিউরো ইলেক্ট্রিক্যাল কারেন্ট থেকেই ক্রিয়েট হয়েছে,
যার মন নেই তার কোনো নিউরোইলেক্ট্রিক্যাল কারেন্টও নেই।তাদের মতে, মাইন্ড এবং ম্যাটার এক নয় কিন্তু তারা একে অপরের থেকে কোনোভাবেই আলাদা নয়, এদের একটিকে অপরটি থেকে আলাদা করে আমরা কখনোই অস্তিত্বকে উপলব্দি করতে পারিনা।ঠিক একইভাবে জেনরা মনে করেন- মৃত্যু মানব জীবনের একটি অলঙ্গনীয় সত্য কিন্তু মৃত্যু মানব জীবনের শেষ কথা নয়।আমরা মন থেকে ব্রেনকে আলাদা করে অথবা ব্রেন থেকে মনকে আলাদা করে যেমন এদের কোনোটির অস্তিত্বকেই জানতে পারিনা ঠিক তেমনিভাবে আমরা মৃত্যুকে অস্বীকার করতে পারিনা অথবা মৃত্যুকেই স্বীকার করে নিতে পারিনা মানুষের জীবনের সমাপ্তি!
মার্কটোয়েন
বলেছিলেন, আমি মৃত্যুকে ভয় করিনা কারণ
জন্মের পূর্বে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর সময় আমি মৃত ছিলাম।কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্সে
রয়েছে মৃত্যুর কিছুটা অন্যরকম একটি ব্যাখ্যা।বায়োসেন্ট্রিজম মৃত্যুকে জীবনের
সমাপ্তি না ধরে মৃত্যুকে দেখে অনন্ত জীবন প্রবাহের একটি সিকোয়েন্স হিসেবে।আমরা যখন
কোনো বস্তুকে স্পর্শ করি তখন আমরা তার সলিডিটি ফিল করি।কিন্তু বস্তু কি আসলেই
সলিড?পাথর কি সত্যিকার অর্থেই শক্ত অথবা পানি কি সত্যিকার অর্থেই নরম?শক্ত নামক এই
অনুভূতিটাকে আমরা দেখিনা, তার কোনো কালার নেই অথচ আমরা তাকে অনুভব করি এবং বলি পাথরটি
খুবই শক্ত!কিন্তু আসলেই কি পাথরে শক্ত নামক কোনো বাস্তবতার অস্তিত্ব আছে?আমরা যখন
কোনো বস্তুকে স্পর্শ করি তখন আমাদের দেহের নেগেটিভ চার্জ যুক্ত ইলেক্ট্রন এবং
বস্তুর নেগেটিভ চার্জ যুক্ত ইলেক্ট্রন একে অপরকে বিকর্ষণ করে।আপনি যখন একটি পাথর
অথবা একটি টেবিলকে স্পর্শ করবেন তখনই আপনার হাতের ইলেক্ট্রন টেবিলের নেগেটিভ চার্জ
যুক্ত ইলেক্ট্রনগুলিকে নির্ভুলভাবে কেটে দেবে।আর আপনার মনে হবে টেবিলটি
শক্ত।কিন্তু এটি একটি ইলেক্ট্রিক্যাল ফোর্স মাত্র।ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্সকে
আমরা দেখিনা, একে স্থান এবং কালে লোকেট করা যায়না, এটি ‘’নাথিং’’।অথচ এই
নাথিংনেসটাই আপনার মস্তিষ্কে শক্ত নামক একটি নিউরো-ইলেক্ট্রিক্যাল ফিলিংস জন্ম
দিয়েছে।
প্রকৃতিতে শক্ত নামক কোনো বস্তুর যেমন অস্তিত্ব নেই ঠিক তেমনি মানুষের জীবনে মৃত্যু নামক কোনো বাস্তবতারও অস্তিত্ব নেই, পাথরকে স্পর্শ করলে আমরা একটি রিপুলসিভ ফোর্স ফিল করি এবং সেজন্যে আমাদের নিকট একটি পাথরকে শক্ত মনে হতে পারে সেই শক্তের অনুভূতি মিথ্যা নয়, ঠিক তেমনি মানব জীবনে মৃত্যুর অস্তিত্বও মিথ্যা নয় কিন্তু তাই বলে এই নয় যে এটি জীবনের শেষ, এটি একটি সিকোয়েন্সের পরিবর্তন মাত্র।আপনার নিকট একটি টেবিলকে শক্ত মনে হলেও উইপোকার নিকট টেবিলটি মোটেও শক্ত নয়। আপনার নিকট পানি তরল হলেও মিলিয়ন মিলিয়ন পিঁপড়ে আছে যারা পানিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।তাদের নিকট পানি মোটেও তরল পদার্থ নয়।মৃত্যুকে জীবনের সাধারণ একটি অভিজ্ঞতা বলে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের একটি শাখায় মনে করা হয়ে থাকে।
গ্রেভিটেশনাল লেন্সিং মহাকাশের তারকাদের অবাস্তব সময় এবং স্থানে দৃশ্যমান করে তুলে। যেমন আমাদের পৃথিবী থেকে গ্যালাক্সির অপজিটে শায়িত নিকটতর কোয়েসারের দূরত্ব ১৫০ কোটি আলোকবর্ষ কিন্তু এটি পৃথিবী থেকে কোয়েসারের বাস্তব দূরত্ব নয় ঠিক তেমনি অনেকেই মৃত্যুকে মানব জীবনের একটি অবাস্তব ঘটনা মনে করে।আপনি যখন একটি চাদরের মাঝখানে একটি লোহার গোলক রাখবেন তখন সেই চাদরটির কেন্দ্রে বক্রতা সৃষ্টি হয়।ঠিক তেমনি আমাদের গ্যালাক্সির বিপুল ম্যাস তার স্পেস-টাইম ফেব্রিককে বক্র করে দিয়েছে।আর তাই দূরের কোয়েসার থেকে আলো গ্যালাক্সির এই বক্রতা ভেদ করে আমাদের পৃথিবীতে প্রবেশ করতে প্রতিবন্ধকতা অনুভব করে।আমরা জানি আলো সরল রেখায় পথ চলে।তাই গ্যালাক্সির ভেতর দিয়ে লাইট অব ফোটন ভ্রমণ না করে বরং পঞ্চাশ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে লাইট ফোটন গ্যালাক্সির একদম উপরের অথবা নিচের প্রান্ত দিয়ে পৃথিবীর দিকে দীর্ঘতম পথ অতিক্রম করে ঘুরে আসবে।আর তাই কোয়েসারগুলির তথ্য পৃথিবীতে ভ্রমণ করতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর বেশি সময় অপচয় হয় এবং বাস্তব দূরত্বের তুলনায় পৃথিবীর সাথে তাদের দূরত্ব অনেক বেশি বেড়ে যায়।এভাবে মহাকাশে অনেক নক্ষত্রই আছে যাদের গ্রেভিটেশনাল লেন্সিং অবাস্তব লোকেশনে প্রদর্শন করছে।মৃত্যুও মানব মস্তিষ্কের একটি গ্রেভিটেশনাল লেন্সিং।এটি একটি ইলুশন।অন্তত বায়োসেন্ট্রিজম তাই মনে করে। ইলুশন বলতে এটি বুঝানো হয়নি যে মৃত্যু মিথ্যা অথবা এটি যন্ত্রণাহীন , ইলুশন বলতে শুধু বুঝানো হয়েছে এটি জীবনের কোনো অবিনশ্বর সিকোয়েন্স নয়!
স্পেস-টাইম ফেব্রিকের বক্রতার কারণে কোয়েসার থেকে পৃথিবীতে আলোক তরঙ্গ ভ্রমণ করতে ১৫০ মিলিয়ন লাইট ইয়ার্স সময় প্রয়োজন হয়।অতএব আমরা যখন হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে কোয়েসারের দিকে তাকাই তখন আমরা দেখি তার ১৫০ কোটি বছর অতীতের ইনফরমেশন।
কিন্তু জন
হুইলারের মতে, মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পূর্বের কোনো ঘটনার পক্ষে অস্তিত্বশীল হওয়া সম্ভব
নয় যদি বর্তমানে কোনো একজন পর্যবেক্ষক সেই অতীতকে পর্যবেক্ষণ না করে।মিলিয়ন বছর
অতীতের ঘটনাটি ততক্ষণ ঘটেনি যতক্ষণ আমরা সেটিকে পর্যবেক্ষণ করিনি।শুধুমাত্র
বর্তমানেই [ At Now] লাইট অব ফোটনের
পক্ষে গ্যালাক্সির প্রান্ত সীমা দিয়ে
ভ্রমণ করে ১৫০ মিলিয়ন বছর অতীতে চলে যাওয়া
সম্ভব।যার মানে অতীত এমন কিছু না যা অতীতেই ঘটে গেছে।মিলিয়ন বছর অতীত নির্ভর করে বর্তমানে একজন
পর্যবেক্ষকের উপস্থিতির উপর।পর্যবেক্ষণ ব্যতীত অতীত আনফোল্ড হয়না বরং এটি ব্লারি প্রবাবিলিস্টিক ওয়েভে
দোদুল্যমান থাকে।প্রকৃত অতীত একজন সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষকের উপস্থিতির উপরই
নির্ভরশীল।এই বিষ্ময়কর সম্ভাবনাকে রেট্রো-কজালিটি বলা হয়। কিন্তু রেট্রো-কজালিটির
সাথে মৃত্যুর কি কোনো সম্পর্ক আছে?সম্ভবত নেই।কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা তবুও রেট্রো-কজালিটিকে
একটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে মৃত্যুর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় ব্যাবহার করবো।জন হুইলারের
মতে, বর্তমানে উপস্থিত একজন পর্যবেক্ষক যখনই পর্যবেক্ষণ করে ঠিক তখন লাইট অব ফোটন
গ্যালাক্সিকে অতিক্রম করে ১৫০ বিলিয়ন বছর অতীতে বাউন্স করে!তার আগে ১৫০ মিলিয়ন বছর
অতীত নামক কোনো কোয়েসারের অস্তিত্ব থাকেনা ব্লারি পসিবিলিস্টিক ওয়েভ ব্যতীত।যদি
অতীতকে সৃষ্টি করতে বর্তমানে একজন পর্যবেক্ষকের
উপস্থিতির প্রয়োজন হয় তবে মৃত্যুরও কোনো অস্তিত্ব নেই কারণ যে বর্তমানে
উপস্থিতই নয় সে কখনোই মৃত্যুর অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারেনা।
বর্তমানে যার
অস্তিত্ব নেই সে টাইম ট্রাভেল করে দুই বিলিয়ন বছর ফিউচারে প্রবেশ করতে পারেনা অথবা
বর্তমানে অনপুস্থিত কোনো ব্যাক্তির পক্ষে ভ্রমণ করা অসম্ভব অতীত !যে বর্তমানে নেই
তার পক্ষে কি পরকাল বা আফটার লাইফে প্রবেশ করা সম্ভব?অতএব আফটার লাইফ বলতে কোনো
রিয়েলিটির অস্তিত্ব নেই, রিয়েলিটি প্রেজেন্ট।
বিগব্যাং বিন্দু
বিস্ফোরিত হয়েই আমাদের ইউনিভার্সের স্পেস-টাইম এক্সপেন্ড হচ্ছে। এবং মহাকাশের গ্রহ
নক্ষত্রের মধ্যবর্তী স্পেস প্রসারিত হয়ে চলছে।একদিকে গ্রহ নক্ষত্রের আভ্যন্তরীণ
গ্রেভিটেশনাল ফোর্স একে অপরকে আকর্ষণের মধ্য
দিয়ে তাদের মধ্যবর্তী দূরত্ব নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে আর অন্যদিকে
মহাবিস্পোরণ থেকে সৃষ্ট ব্যাং স্পিড তাদেরকে প্রচন্ড শক্তিতে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার প্রচেষ্টা
করছে।এই বিপরীত দুটি ফোর্সের পারস্পরিক
ব্যালান্সিং পয়েন্টে কক্ষপথের সৃষ্টি হয়।এবং সোলার সিষ্টেমের গ্রহ গুলি
উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে থাকে।গ্রহগুলির কোনো বাস্তব
কক্ষপথ নেই, কক্ষপথ গুলি হলো গ্রহ নক্ষত্রগুলির পারস্পরিক গ্রেভিটেশনাল ফোর্সের
ব্যালান্সিং পয়েন্ট।কোয়ান্টাম ফিজিক্সের একটি শাখা মৃত্যুকে ইনফিনিট জীবনের একটি
ব্যালান্সিং পয়েন্ট মনে করে।
অনেকে পরমাণুর
কক্ষপথকে সোলার সিষ্টেমের সাথে কম্পেয়ার করেন।রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল
অনুসারে,ইলেক্ট্রনগুলি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে সোলার সিষ্টেমের গ্রহ গুলির মতোই
তাদের নিজস্ব কক্ষপথে আবর্তিত হয়।কিন্তু এটা মোটেও স্মার্ট কোনো কম্পারিজন নয়।কারণ
সোলার সিষ্টেমে বাস্তব কোনো কক্ষপথের অস্তিত্ব নেই।আর গ্রহ গুলি কোনো কক্ষপথে নয়,
তারা পথ চলে গ্রেভিটির ব্যালান্সিং পয়েন্টে।ইলেক্ট্রনগুলির মধ্যে কি কোনো
গ্রেভিটেশনাল ব্যালান্সিং পয়েন্ট রয়েছে যা তাদের নির্দিষ্ট কক্ষপথ স্থির করে
দেয়?না!তা নয়, পরমাণুর অধানের উপরই তাদের শক্তিস্তর নির্ধারিত হয়।কোয়ান্টাম
ফিজিক্স অনুসারে-পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণের ইলেক্ট্রনগুলি স্পেস-টাইম জিওমেট্রিতে
ম্যাটারিয়ালাইজ হয় অথবা তারা সাইজ,সেইফ,স্পিন রোটেশন শূন্য ইউনিভার্সাল ওয়েভ
ফাংশনে ব্লারি পসেবিলিটিতে দোদুল্যমান থাকে।পর্যবেক্ষক যখন পর্যবেক্ষণ করে তখনই সে
ইলেক্টনগুলিকে সুনির্দিষ্ট অরবিটে আবর্তিত
হতে দেখে।কোনো পর্যবেক্ষকই পরমাণুর শক্তিস্তরকে অস্বীকার করতে পারেনা অথচ পর্যবেক্ষণের
পূর্বে পরমাণুর ম্যাটারিয়াল কোনো অস্তিত্বই থাকেনা।ঠিক একইভাবে মানব জীবনে বর্তমান কোনো মস্তিষ্কের পক্ষেই তার
বায়োলজিক্যাল দেহের মৃত্যুকে অস্বীকার করা সম্ভব নয় কিন্তু বর্তমানে একজন পর্যবেক্ষকের উপস্থিতি স্বীকার
করা ব্যাতীত মৃত্যুর অস্তিত্বকেও স্বীকার করাও সম্ভব নয়।পরমাণুর অরবিটের মতোই
মৃত্যু পর্যবেক্ষকের অনপুস্থিতিতে অস্তিত্বহীন।২০১০ সালে সায়েন্টিফিক আমেরিকায়
স্টিফেন হকিংস বলেছিলেন,
বিশ্বের সংবেদন
থেকে পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিকে Remove করার কোনো পথ নেই।
অনেকেই ভাবতে
পারেন পর্যবেক্ষক কিভাবে সাব-এটমিক পার্টিকেলদের আচরণকে প্রভাবিত করতে পারেন।কোয়ান্টাম
ফিজিক্সকে বুঝতে হলে ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট সম্পর্কে সামান্য একটু জ্ঞান থাকা
আবশ্যক।বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকৃয়ায় ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট
পরিচালনা করে দেখেছে পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণের
ধরণ, পার্টিকেল সম্পর্কে পর্যবেক্ষকের জ্ঞান,অজ্ঞানতা এবং এক্সপেরিমেন্টাল
যন্ত্রপাতি পার্টিকেলদের আচরণকে প্রভাবিত করে।ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টকে খুব
সিম্পলি বুঝার জন্যে কল্পনা করুন একটি বোর্ড যার মাঝ বরাবর দুটি ছিদ্র করা হয়ে
থাকে।এই ছিদ্র দুটির ভেতর দিয়ে ইলেক্ট্রন বা ফোটন সুট করা হয় এবং তারা সরাসরি
ডিটেক্টর স্কিনে হিট করে।আমরা জানি একটি মানুষের পক্ষে একই সময় গ্যালাক্সির
প্রতিটি সোলার সিষ্টেমে একইসাথে ভ্রমণ করা সম্ভব নয়।কারণ ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স
অনুসারে একটি অবজেক্ট একইসাথে দুটি লোকেশনে ভ্রমণ করতে পারেনা।এমন কোনো মানুষের
অস্তিত্ব কল্পনা করা অসম্ভব যিনি একই মুহূর্তে সুইডেন এবং আমেরিকায় ভ্রমণ
করছে।এতএব একটি পার্টিকেলের পক্ষে একটি সুনির্দিষ্ট সময় একটি ছিদ্রের ভেতর দিয়ে
ভ্রমণ করেই ডিটেক্টর স্কিনে হিট করা সম্ভব, একাধিক স্লিট দিয়ে নয়।ডাবল স্লিট
এক্সপেরিমেন্টের সময় বিজ্ঞানীরা ইলেক্ট্রন সুটার দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে স্লিটের
ভেতর দিয়ে ইলেক্ট্রন সুট করতে থাকে।এতই দ্রুত গতিতে ইলেক্ট্রনের স্রোত প্রবাহিত
হতে থাকে যে খালি চোখে তাদের পক্ষে নির্দিষ্ট করাই অসম্ভব ছিলো কোনো ইলেক্ট্রনটি
আসলে কোনদিকে প্রবেশ করছে।কিন্তু ক্লাসিক্যাল ফিজিক্সের সুত্র অনুসারে- তারা এটা সুনিশ্চিত করেই জানতো যে
ইলেক্ট্রনগুলি হয়তোবা একটি ছিদ্র দিয়ে ভ্রমণ করবে অথবা অন্যটি কিন্তু একইসাথে একটি
ইলেক্ট্রন একাধিক পথে ভ্রমণ করতে পারবেনা।যখন বিজ্ঞানীরা ডিটেক্টর স্কিন
পর্যবেক্ষণ করলো তখন তারা দেখলো সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব একটি বাস্তবতা, যা
ক্লাসিক্যাল ফিজিক্স দ্বারা কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।তারা দেখেছিলো-
ডিটেক্টরে পার্টিকেলগুলি পানির তরঙ্গের মতোই ইন্টারফেয়ারেন্স প্যাটার্ন তৈরি করেছে
যেনো তারা কোনো ম্যাটারিয়াল পার্টিকেলই নয় , তারা ওয়েভ, ওয়েভ অব দ্যা
পসিবিলিটি!ডিটেক্টরের প্রায় সর্বত্রই তারা হিট করেছে যা পার্টিকেলদের তরঙ্গ ধর্মের
দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে!তারা এমন ভাবে ডিটেক্টর স্কিনে হিট করেছে যেনো তাদের
বস্তুগত কোনো অস্তিত্বই নেই, যেনো কোনো পথেই তাদের পক্ষে ভ্রমণ করা অসম্ভব নয়
কিন্তু ডিটেক্টরে তারা প্রকৃত পার্টিকেলের মতোই তাদের অস্তিত্বের সিগনাল প্রকাশ
করেছে, যেনো তারা শুধুমাত্র ওয়েভ নয়।
বিজ্ঞানীরা
পরবর্তিতে পোলারাইজেশন লেন্স পরিধান করে ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্টটি পরিচালনা
করলো।পোলারাইজেশন লেন্সের মাধ্যমে
সুনির্দিষ্ট করে লাইট অব ফোটনের
ভার্টিকাল এবং হরিজন্টাল লাইনকে ডিফাইন করা সম্ভব।বিজ্ঞানীরা এবার স্লিটের
ভেতর দিয়ে লাইট অব ফোটন স্যুট করে।এবং পোলারাইজেশন লেন্স দ্বারা পরিস্কারভাবে
দেখতে পারে কোন ফোটনটি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো ছিদ্র দিয়ে ভ্রমণ করছে।যখনই এবার তারা
ডিটেক্টর স্কিন পর্যবেক্ষণ করে তারা দেখতে পায় সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি রিয়েলিটি,
ডিটেক্টরে কোনো ইন্টারফেয়ারেন্স প্যাটার্ণ তৈরি হয়নি বরং পার্টিকেলগুলি স্কিনে এমন
ভাবে হিট করেছে যেনো তাদের কোনো তরঙ্গধর্মই নেই বা তারা সম্ভাবনার তরঙ্গ নয়, তারা
পার্টিকেল, তারা শুধুই ম্যাটারিয়াল পার্টিকেল।কিন্তু প্রশ্ন হলো কেনো পর্যবেক্ষকের
পর্যবেক্ষণের ধরণের পরিবর্তন পার্টিকেলগুলিকে
তাদের পসিবিলিস্টিক্যাল বিহেভ ক্যান্সেল করতে ফোর্স ক্রিয়েট করলো?পার্টিকেলগুলি
কিভাবে আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলো পর্যবেক্ষক পোলারাইজেশন লেন্সের মাধ্যমে তাদের
গতিপথকে সুনির্দিষ্ট করে জেনে ফেলেছে?বিজ্ঞানীরা পরবর্তিতে পোলারাইজেশন ল্যান্স
অপসারণ করে এক্সপেরিমেন্টটি পরিচালনা করেন কিন্তু তারা এবার বিষ্মিত হয়ে দেখতে পায়
পার্টিকেলগুলি ইন্টারফিয়ারেন্স প্যাটার্ন তৈরি করেছে!কোনো না কোনো ভাবে পর্যবেক্ষক
যখন পার্টিকেলদের সম্ভাব্য গতিপথকে সুনির্দিষ্ট করে জেনে যায় তখন স্পিড অব লাইট
থেকেও দ্রুত গতিতে পার্টিকেলগুলি তাদের ইন্টারফেয়ারেন্স প্যাটার্ণ ক্যান্সেল করে
দেয়।অতএব পার্টিকেল এবং পর্যবেক্ষকের মাঝখানে কোনো স্পেস নেই এবং ম্যাটার এবং
মাইন্ড সময় দ্বারা বিচ্ছিন্ন নয়।
এন্টেংগেল
পার্টিকেলগুলির ক্ষেত্রেও ডাবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট পরিচালনা করা যায়।আপনি যখনই
টুইনদের একটির গতিপথ সুনির্দিষ্ট করে ফেলবেন এদের অন্যটি একটি ইউনিভার্সের প্রস্থ দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলেও তাৎক্ষণিক
ইন্টাফেয়ারেন্স প্যাটার্ন ক্যান্সেল করে দেয়।এ থেকে প্রমাণিত হয়,পার্টিকেলগুলির
মধ্যখানে ইন্টার গ্যালাক্টিক কোনো স্পেস কাজ করেনা এবং তারা সময় বা দূরত্ব দারা প্রভাবিত
নয়।পর্যবেক্ষক এবং পার্টিকেল এখানে পৃথক কোনো স্পেস এন্ড টাইমে অপারেট করেনা।
কোয়ান্টাম
ফিজিক্স আমাদের বলে, অবজারভার এবং ম্যাটার ইন্টারকানেক্টেড।স্পেস এবং টাইম এলগরিদম
পর্যবেক্ষকের মনেরই তৈরি।যদি সময় অবজারভারের মনেরই একটি কনসেপ্ট হয় তবে অতীত বা
ভবিষ্যতের কোন সময় অবজারভারকে মহাবিশ্বের স্পেস-টাইম মেট্রিক্স থেকে রিমুভ করা
সম্ভব?পর্যবেক্ষকের মৃত্যু কি তার কনসাসনেসের শূন্যতাকে নির্দেশ করে?যদি
অবজারভারকেই ডিলিট করে দেয়া হয় তবে সময়ের এলগরিদম অস্তিত্বহীন আর সময় যদি
অস্তিত্বহীন হয় পর্যবেক্ষক কোন সময় মৃত্যুবরণ করবে?
অনেকে অবাক হয়ে
বলবেন, স্পেস এন্ড টাইম পর্যবেক্ষক নিরপেক্ষ, মহাবিশ্বে কোনো পর্যবেক্ষক না থাকলেও
স্পেস এন্ড টাইম স্বাধীনভাবে অস্তিত্বশীল।কারণ একটি বস্তু থেকে আর একটি বস্তুর
মধ্যবর্তী একটি শূন্যস্থান আছে যা দ্বারা আমরা স্পেসকে খুব সহযে বুঝতে পারি, অতএব
পর্যবেক্ষন না থাকলেও স্পেস স্বাধীনভাবেই অস্তিত্বশীল থাকবে।কিন্তু ফ্যাক্ট হলো,
দুটি বস্তুর মাঝখানে এমন কোনো শূন্যস্থান নেই যা তাদের মধ্যবর্তী স্পেসের
বিস্তারকে নির্দেশ করছে কারণ দুটি বস্তুর মধ্যবর্তী এম্পটিস্পেসটি ডার্ক
ম্যাটার,ডার্ক এনার্জি, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক
ফোর্স, স্ট্রং ফোর্স ইত্যাদি ফিল্ড দ্বারা পরিপূর্ণ।অতএব দুটি বস্তুর মধ্যখানে
স্পেসের বিস্তার একটি ইলুশন,এটি আমাদের মনেরই একটি এলগোরিদম বা সফটওয়্যার যা
দ্বারা সে রিয়েলিটিকে আইডেন্টিফাই করে।আমাদের মন সব সময় এভাবেই দেখতে অভ্যস্ত যে
কোথায় একটি বস্তুর সমাপ্তি এবং অন্য আর একটি বস্তুর সূচনা আর সে এই প্রকৃয়াটিকে
স্পেস এলগোরিদম দ্বারাই কার্যকর রাখে।আমরা স্পেসকে মাইক্রো-মিটার, কিউবিক সেঃমি
বিভিন্ন পেরোমিটারে পরিমাপ করি এবং মনে করি এটি পর্যবেক্ষকেই উপস্থিতি ছাড়াই
বাস্তব।
সময়ের কথাই
বলি।আমরা সাধারণ ঘড়ির কাঁটার একটি পর্যায়ক্রমিক কম্পন দ্বারাই সময়কে পরিমাপ
করি।সোলার সিষ্টেমের প্রতিটি গ্রহ নক্ষত্র থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের প্রতিটি
পার্টিকেল কম্পন করছে।কিন্তু আমরা সে সকল কম্পনের ভিত্তিতে সময়কে পরিমাপ করিনা,
আমরা সময়কে পরিমাপ করি সুষম কম্পনের একটি পর্যায়ক্রমিক ছন্দের ভিত্তিতে।এবং এ
পর্যায়ক্রমিক ছন্দটিকে মহাবিশ্বের অন্যান্য ছন্দগুলির মতো সাধারণ একটি ছন্দ মনে না
করে, মনে করি সময় পরিমাপক যন্ত্র এবং সেই পর্যায়ক্রমিক ছন্দের বা পালসের ভিত্তিতে গ্যালাক্সির গ্রহ নক্ষত্র এবং
বস্তুকণার ছন্দকে পরিমাপ করি।আমরা আমাদের মানব সভ্যতার তৈরি একটি সার্বজনীন ছন্দকে
সমস্ত মহাবিশ্বের উপর ঐচ্ছিকভাবে প্রয়োগ করি।এবং এর নামই ‘’সময়’’।এটি আমাদের মনেরই
একটি এলগোরিদম।পর্যবেক্ষকের মস্তিষ্ক স্পেস-টাইম এলগোরিদম ব্যাতীত কোনো
সিকোয়েন্সকেই অনুভব করতে পারেনা।
যেখানে দুটি
বস্তুর মধ্যবর্তী কোনো দূরত্ব নেই সেখানে তাদের উভয়ের মাঝখানে বিস্তারিত কোনো
স্পেসও নেই।অতএব যেখানে অথবা যে প্লেসে কোনো বস্তুই নেই সেখানে কোনো বস্তুর সাথে
অন্য কোনো বস্তুর মধ্যবর্তী কোনো স্পেসও থাকার কথা নয়।কল্পনা করুন, ইউনিভার্স থেকে
সকল মহাজাগতিক বস্তুকণা অপসারণ করা হলো,ইউনিভার্স এখন এম্পটি, কমপ্লিটলি এম্পটি,
এমন একটি এম্পটিনেস কি সত্যিকার অর্থেই তৈরি করা যায়?কোয়ান্টাম ফিজিক্স অনুসারে,
পারফেক্ট ভ্যাকুয়ামেও কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন সংঘঠিত হচ্ছে এবং ভ্যাকুয়াম এনার্জি
ফ্লাকচুয়েট হয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জোড়ায় জোড়ায় ভার্চুয়াল পার্টিকেল সৃষ্টি হচ্ছে
এদের স্থায়িত্ব এতটাই স্বল্প যে তারা তাৎক্ষণিক অদৃশ্য হয়ে যায়।কাসিমির ইফেক্ট
থেকে প্রমাণিত হয়েছে ভ্যাকুয়াম একটি ট্রিমেন্ডাস শক্তিক্ষেত্র, সম্ভাবনার এক অসীম
মহাসাগর।তারমানে পর্যবেক্ষকের মস্তিষ্ক পারফেক্ট ভ্যাকুয়ামেও স্পেস এন্ড টাইম
মেট্রিক্স থেকে মস্তিষ্ককে রিমুভ করতে পারছেনা, সেখানেও জোড়ায় জোড়ায় ভার্চুয়াল
পার্টিকেল সৃষ্টি হচ্ছে আর যেখানে পার্টিকেল আছে সেখানে তাদের মধ্যবর্তী স্পেসও
আছে।অতএব পর্যবেক্ষকের মন স্পেস এবং টাইম এলগোরিদম ব্যাতীত মহাবিশ্বকে কোনোভাবেই
পারফেক্ট ভ্যাকুয়ামেও অনুভব করতে পারছেনা!যদি পর্যবেক্ষক বর্তমানে প্রেজেন্ট না
থাকতো তবে স্পেস এন্ড টাইম এলগোরিদমের অস্তিত্বই ছিলো অসম্ভব।অতএব যারা মনে করে
থাকেন কোয়ান্টাম ফিজিক্সের অন্তত একটি শাখা পরকালের অস্তিত্বকে সমর্থন করে থাকে
তাদের এটা জেনে সন্তুষ্ট থাকা উচিত যে তারা বর্তমানে একটি পর্যবেক্ষণ প্রকৃয়ার
উপস্থিতি ব্যাতীত স্পেস এবং টাইমকেই স্বীকার করেনা।অতএব কোয়ান্টাম ফিজিক্সের
বায়োসেন্ট্রিক ভিউ ব্যাবহার করার মাধ্যমে পরকালের অস্তিত্বকে প্রমাণ করার
প্রচেষ্টা অবান্তর।কোনোপ্রকার ঈশ্বরের সহয়তা ব্যাতীতই কোয়ান্টাম ফিজিক্স শুধুমাত্র
পর্যবেক্ষককে মহাবিশ্বপ্রকৃয়ার সাথে অন্তর্ভূক্ত করে তুলে এবং মহাবিশ্বের
এভুলিউশনকে ব্যাখ্যা করে।বিজ্ঞানী
হাইসেনবার্গ বলেছিলেন, পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণ ব্যতীত পার্টিকেলগুলি অনির্ণেয়
সম্ভাবনার তরঙ্গে দোদুল্যমান থাকে অথবা তাদের কোনো ম্যাটারিয়াল ন্যাচরাল সিলেকশন
সংঘঠিত হয়না’’। অতএব বায়োসেন্ট্রিজম আমাদের বলে, এভুলিউশনাল প্রকৃয়া বা ন্যাচরাল
সিলেকশন এ জন্যেই সংঘঠিত হয় কারণ পর্যবেক্ষক প্রেজেন্ট।এই মতবাদকে এনথ্রেইপিক
প্রিন্সিপ্যাল দ্বারা সত্যায়িত করা যায়।কিন্তু আমরা পরবর্তী অধ্যায়ে এনথ্রেপিক
প্রিন্সিপালের যোক্তিকতা আলোচনা করবো, আমরা আলোচনা করবো কেনো আমাদের মহাবিশ্ব ফাইন
টিউন?মৃত্যুর পরে কোনো জগতে আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা কি একেবারেই অসম্ভব?
লিখেছেন- রিসাস, ফাউন্ডার মাইন্ড হেলিক্স ইউনিভার্সটি
লিখেছেন- রিসাস, ফাউন্ডার মাইন্ড হেলিক্স ইউনিভার্সটি
( তথ্যসুত্রঃ
থিওরি অব বায়োসেন্ট্রিজম,বায়োলজি অব বিলিফ, সুপারব্রেন, আই এম দ্যা ইউনিভার্স ,কোয়ান্টাম গড,হাইপারস্পেস,ফেব্রিক অব দ্যা কসমস )
Comments
Post a Comment